• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > এবি ব্যাংক- আইইউটি দ্বিতীয় জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি উৎসব ২০০৯
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মোঃ আনোয়ারুল আবেদীন
মোট লেখা:২
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - সেপ্টেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
প্রতিযোগিতা
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
এবি ব্যাংক- আইইউটি দ্বিতীয় জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি উৎসব ২০০৯

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) এবং আইইউটি কমপিউটার সোসাইটির (আইইউটিসিএস) আয়োজনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ‘এবি ব্যাংক-আইইউটি দ্বিতীয় জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি উৎসব-২০০৯’। প্রায় ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২০০ প্রতিযোগী এবং ১২টিরও বেশি স্কুল ও কলেজ এতে অংশ নেয়।



বর্ণাঢ্য এই আয়োজন শুরু হয়েছিল ১৩ আগস্ট। সারাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নুরূল ইসলাম নাহিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কায়সার এ চৌধুরী। আইইউটি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন আইইউটিসিএসের প্রধান উপদেষ্টা ও আইইউটি’র কমপিউটার বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এম এ মোত্তালিব এবং আইইউটিসিএসের প্রেসিডেন্ট ও উৎসবের কনভেনর মো: আনোয়ারুল আবেদীন মিঠু।



দুইদিনব্যাপী এই উৎসব ছয়টি প্রাথমিক ভাগে বিভক্ত ছিল : প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সেমিনার, কমপিউটার গেমিং প্রতিযোগিতা, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার প্রজেক্ট প্রদর্শনী, তথ্যপ্রযুক্তি অলিম্পিয়াড এবং সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা।

প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা

উৎসবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্মানজনক এই আয়োজনে সারাদেশের ৩৭টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩টিরও বেশি তালিকাভুক্ত দল অংশ নিয়েছিল। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য সারাদেশের প্রোগ্রামারদের মহাসমাগম ঘটেছিল আইইউটি’র কমপিউটার ল্যাবগুলোতে। মেধার এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে বুয়েটের দল ‘ভুশন্ডির কাক’। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল যথাক্রমে বুয়েটের দল ‘র্যা ন্ড-এক্লিপটিক’ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বেলুন মনস্টার’।

সেমিনার

উৎসবে সর্বমোট ২টি তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। দেশবরেণ্য কয়েকজন অধ্যাপক ও প্রভাষক এতে অংশগ্রহণ করেন।

১৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিনারের বিষয় ছিল ‘Digital Bangladesh : A roadmap to achieve the goal’। প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের কমপিউটার বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সৈয়দ আখতার হোসেন।




এর পরদিন আয়োজিত সেমিনারের বিষয় ছিল ‘Human resource readiness for ICT’। বক্তব্য দেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের কমপিউটার বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: রোকনুজ্জামান।

গেমিং প্রতিযোগিতা

এতে উৎসবের সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগী অংশ নেয়। গেমিং প্রতিযোগিতায় কমপিউটার গেম ছিল দুটি : ফিফা ০৯ এবং কাউন্টার স্ট্রাইক সোর্স। কাউন্টার স্ট্রাইকে ৫৪টি দল এবং ফিফায় ১৬৮ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। কাউন্টার স্ট্রাইকে ‘ভয়েড’ প্রথম হয় এবং রানার্সআপ হয় ‘এক্সকে’। ফিফায় প্রথম ও রানার্সআপ হয় যথাক্রমে আইইউটির রুবায়েত রহমান এবং তানভীর হক। আইইউটির ‘স্টুডেন্ট সেন্টার’-এ আয়োজিত এ প্রতিযোগিতা দর্শক সমাগমে মুখর ছিল।

প্রজেক্ট শোকেসিং

আইইউটি’র অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত দুইদিনব্যাপী সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার প্রজেক্ট প্রদর্শনী দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে।

হার্ডওয়্যার বিভাগে ছয়টি প্রজেক্ট প্রদর্শিত হয়। ডুয়েটের হারুন-উর-রশিদ ও মো: সাইফুর রহমান ‘স্মার্ট হোম/অফিস’-এর জন্য এবং মো: হোসেন রেজা ‘মোবাইল বেজড হোম অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাপ্লায়েন্স কন্ট্রোল’-এর জন্য যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।



সফটওয়্যার বিভাগে ১৮টি প্রজেক্ট প্রদর্শিত হয়। যেখানে আকন্দ আশফাকুর রহমান ও আতিকুল ইসলাম মোল্লা ‘একাত্তর’-এর জন্য, মো: হাসিবুল হক ও আ.ন.ম. ফয়জুল হোসেন ‘টুবি ওয়েব ট্রানস্লেটর’-এর জন্য এবং এস.এম. শাহনেওয়াজ ও মো: আনোয়ারুল আবেদীন মিঠু ‘রেজাল্ট সলিউশন’-এর জন্য যথাক্রমে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জন করে।

তথ্যপ্রযুক্তি অলিম্পিয়াড

প্রতিযোগী ও পরীক্ষকদের উপস্থিতিতে আয়োজিত হয় তথ্যপ্রযুক্তি অলিম্পিয়াড। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিযোগীদের জন্য দু’টি ভিন্ন প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। এতে প্রায় একশ’ প্রতিযোগী অংশ নেয়। কলেজ বিভাগ থেকে নটরডেম কলেজের রিফাত-আল- শাহরিয়ার প্রথম, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শাহদীপ ২য় এবং নটরডেম কলেজের ওয়াসিম ৩য় স্থান অধিকার করে।

বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগে বুয়েটের মো: মাহবুবুল হাসান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিবাকর সামন্ত এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মো: মাসুদুর রহমান যথাক্রমে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করে।

সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা

সর্বমোট ১৬টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এ প্রতিযোগিতায় ‘ঢাকা ফাইটার্স’, ‘ডিসি রকার্স’ দল দুটি যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান দখল করে। দুটি দলই ছিল ঢাকা কলেজের। তৃতীয় স্থান অধিকার করে ট্রাস্ট কলেজের দল ‘অর্ণব’।

সমাপনী আয়োজন

পুরস্কার বিতরণী ছিল এ উৎসবের সর্বশেষ আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর নজরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন এবি ব্যাংক লিমিটেডের ডিরেক্টর মো: আনোয়ার জামিল সিদ্দিকী। এই আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন আইইউটি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ইমতিয়াজ হোসেন, কমপিউটার বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রধান এবং আইইউটি কমপিউটার সোসাইটি’র প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এম. এ. মোত্তালিব। প্রত্যেক বিভাগের বিজয়ীদের বিভিন্ন পুরস্কার, স্মারক ও সনদ দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।

কজ ওয়েব

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস