• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > নতুন বছর : নতুন প্রযুক্তিপ্রবণতা ‍এবং নতুন প্রযুক্তিভাবনা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সম্পাদক
মোট লেখা:৩১৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সম্পাদনা
তথ্যসূত্র:
সম্পাদকীয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
নতুন বছর : নতুন প্রযুক্তিপ্রবণতা ‍এবং নতুন প্রযুক্তিভাবনা

প্রযুক্তি কারো জন্য থেমে থাকে না। প্রযুক্তি চলে আপন গতিতে। এবং এও আমাদের জানা আছে, প্রযুক্তিই বোধহয় সবচেয়ে গতিময় এক শিল্পমাধ্যম। প্রযুক্তিশিল্প এর সৃজনশীলতা দিয়ে গতিময়তা ও পরিবর্তনশীলতার ক্ষেত্রে সবকিছুকে যেনো ছাড়িয়ে গেছে। প্রযুক্তির এই গতিপ্রবণতা সম্পর্কে আমাদের সম্যক উপলব্ধি না থাকলে সমূহ বিপদ ঠেকানো যায় না। সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ইত্যাদি সবকিছুই তখন স্থবির হয়ে পড়ে। অগ্রগতি থেমে যায়। প্রতিযোগিতায় জাতি পিছিয়ে পড়ে। অতীতে এর বাস্তব উদাহরণ রয়েছে আমাদের জাতীয় জীবনে। সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ ও আইটি পার্ক গড়ে তোলাসহ অনেক ক্ষেত্রে সে উপলব্ধি আমাদের ছিল না বলেই আইটি ক্ষেত্রে আমাদের অনেক পিছিয়ে পড়তে হয়।

অতীতের সে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদেরকে প্রযুক্তিপ্রবণতার সম্যক উপলব্ধি নিয়ে ভাবতে হবে আগামী দিনের প্রযুক্তিপ্রয়োগ নিয়ে। সেজন্য আমাদের জানতে হবে নতুন নতুন প্রযুক্তিপ্রবণতাকে। মোট কথা প্রযুক্তির ধারা-প্রকৃতি সম্পর্কে আমাদের থাকতে হবে যথাসচেতন। সুখের কথা, একটি প্রযুক্তিবান্ধব সরকার এখন দেশের শাসন ক্ষমতায়। আমরা মনে করি, এ সরকার সচেতন ও প্রতিশ্রুতিশীল এক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপারে। আমাদের প্রত্যাশা, নতুন বছরটি আমাদের সামনে হাজির হয়েছে যেসব সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি নিয়ে, এখন আমাদের কাজ হবে সেসব প্রযুক্তিকে কিভাবে যথাশিগগির আমাদের প্রয়োগ সীমায় নিয়ে আসা যায়। সেজন্য আমরা ২০১০ সালের প্রতিশ্রুতিশীল প্রযুক্তির ওপর আলোকপাত করে চলতি সংখ্যায় উপস্থাপন করেছি ‘২০১০ সালের প্রযুক্তি’ শীর্ষক লেখাটি। আশা করছি, লেখাটি নতুন বছরে প্রতিশ্রুতিশীল প্রযুক্তিসমূহ ও নবতর প্রযুক্তিপ্রবণতা সম্পর্কে আমাদের সচেতন করে তুলবে।

চলতি সংখ্যায় আমাদের মূল প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের শিরোনাম হচ্ছে, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের এক বছর’। আগেই বলেছি, গত এক বছর আমাদের দেশের শাসন ক্ষমতায় আমরা পেয়েছি একটি প্রযুক্তিবান্ধব সরকার। গত এক বছরে সেই সূত্রে আমাদের প্রযুক্তি খাতে অনেকটা গতির সঞ্চার হয়েছে, যদিও ওই আকাঙ্ক্ষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ পেতে আমাদের এখনো বাকি। তবে সে লক্ষ্যে এ সরকার কাজটা সূচনা করতে যাচ্ছে বলেই আমাদের বিশ্বাস। ৯ জুলাই ২০০৯-এ সংশোধিত হয়েছে ‘তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন ২০০৬’। আমরা পেয়েছি নতুন আইসিটি নীতিমালা ২০০৯। পেয়েছি ‘রূপকল্প ২০২১ : ডিজিটাল বাংলাদেশ’। বাংলাভাষা প্রমিতকরণ কমিটি গঠিত হয়েছে। আইপি টেলিফোনি লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের দাম কমানো হয়েছে ৩৩ শতাংশ। কয়েকটি ব্যাংকে মোবাইল ব্যাংকিং চালু করা হয়েছে। এমনি কিছু উদ্যোগ দেশে আইসিটি ব্যবহারে কিছুটা হলেও গতি এনেছে। তবে এখনো অনেক ক্ষেত্রে অনেক কিছুই আমাদের করণীয় বাকি। প্রত্যাশিত ডিজিটাল বাংলাদেশের ইত্যাদি নানা দিক তুলে ধরার চেষ্টা চলেছে আমাদের উল্লিখিত প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে।

অন্য আর সব লেখালেখির মধ্যে চলতি সংখ্যায় বাংলাদেশে কমপিউটার জগৎ সূচিত লাইভ ওয়েবকাস্টিং সার্ভিসের ওপর একটি তথ্যপূর্ণ লেখা ‘কমপিউটার জগৎ এবং বাংলাদেশ লাইভ ওয়েবকাস্ট’ ছাপানো হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ওয়েবকাস্টিংয়ে নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ সূচিত হলো। কমপিউটার জগৎ এর সূচনালগ্ন থেকেই বাংলাদেশে প্রযুক্তির প্রয়োগ-প্রসার কামনা করে এক্ষেত্রে সাধ্যমতো উদ্যোগ-আয়োজন চালিয়ে আসছে। সে ধারাবাহিকতায় কমপিউটার জগৎ-এর এবারের এ উদ্যোগ। উল্লিখিত লেখার মাধ্যমে কমপিউটার জগৎ এই নবতর প্রযুক্তির সুবিধাগুলো সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করতে চেয়েছে। আমরা আশা করছি, এ লেখাটি পড়ে পাঠকসাধারণ লাইভ ওয়েবকাস্টিং সম্পর্কে সম্যক একটি ধারণা পাবেন।

সবশেষে বলতে চাই, নতুন একটি বছরে আমরা পা রেখেছি। এ বছরটি যেনো হয় আমাদের জাতীয় অগ্রগতির বছর। আর একথা স্বীকৃত- প্রযুক্তির অবলম্বন ছাড়া সে অগ্রগতি কল্পনার অতীত। তাই এ বছরে প্রযুক্তির প্রয়োগ-প্রসার প্রশ্নে আমাদের সঠিক দিকনির্দেশনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সুখের কথা, আমাদের হাতে আছে একটি তরতাজা আইসিটি নীতিমালা। এই নীতিমালার বাস্তবায়নে যেনো আমরা কোনো ধরনের শৈথিল্য প্রদর্শন না করি। এ নীতিমালার বাস্তবায়নই প্রযুক্তিক্ষেত্রে আমাদের জাতীয় অগ্রগমন নিশ্চিত করতে পারে, সে বিশ্বাস যেনো আমরা না হারাই। সে প্রত্যাশাই রইল এই ইংরেজি নববর্ষের সূচনা সময়ে।
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস