আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ডিজিটাল কর্মপদ্ধতি, তথ্যপ্রযুক্তির সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি, পণ্য ও সেবা নিয়ে ডিজিটাল জীবনধারাভিক্তিক প্রদর্শনীর আয়োজন করে বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি তথা বিসিএস। বিসিএস আয়োজিত চারদিনব্যাপী এ মেলার শিরোনাম ছিল ‘বিসিএস ডিজিটাল এক্সপো ২০১০’। এবারের স্লোগান ছিল ‘টুওয়ার্ডস ডিজিটাল বাংলাদেশ’। ঢাকার শেরাটন হোটেলে এ মেলা চলে ৩১ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত। বিসিএস ডিজিটাল এক্সপো ২০১০-এর পাশাপাশি ৩১ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান ‘অ্যাসোসিও মাল্টিল্যাটারাল ট্রেড ভিজিট ২০১০’। মূলত জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচি বাস্তবায়নকে সামনে রেখে বিসিএস এ প্রদর্শনী ও আইসিটির আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ট্রেড ভিজিটের আয়োজন করে।
বিসিএস ডিজিটাল এক্সপো ২০১০ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার। স্বাধীনতার সূবর্ণজয়মত্মীর বছর ২০২১ সালের মধ্যে আমরা এমন একটি দেশ গড়ব যেখানে থাকবে না ক্ষুধা, দারিদ্র্য, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, যে বাংলাদেশ হবে আলোকিত, সমৃদ্ধ এবং আধুনিক বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশের আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দেয়া।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, প্রযুক্তি দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য একটি বড় মাধ্যম। সরকারকে ডিজিটালাইজড করার এবং ই-কমার্সের কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তা শুরু হয়ে গেছে। আশা করছি ২০২১ সালের মধ্যে আমাদের দেশের জনশক্তি হবে প্রযুক্তিতে।
অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ডিজিটালপ্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। আত্মবিশ্বাস আর উদ্যোগী কার্যক্রমের মাধ্যমের ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান বলেন, প্রযুক্তি খাতে উন্নতি হচ্ছে, যার ফলে বর্তমানে নানা ধরনের কার্যক্রম সহজ হয়ে গেছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে এগিয়ে যাওয়া সহজ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির সভাপতি মোস্তাফা জববার। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল সরকার এবং শিক্ষা ব্যবস্থার বড় পরিবর্তন প্রয়োজন। এ দুটি কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাওয়া সহজ হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এশিয়ান ওশেনিয়ান কমপিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন তথা অ্যাসোসিও’র প্রেসিডেন্ট লুই কিয়েন লিয়ং, অ্যাসোসিও’র ডেপুটি প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ এইচ কাফী, এক্সিয়েটা (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইকেল ক্যুনর ও সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলমগীর কবির এফসিএসহ অনেকে।
বিসিএস ডিজিটাল এক্সপো ২০১০-এ সর্বমোট ৪৫টি প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ড ৪২টি স্টল এবং ২০টি প্যাভিলিয়নজুড়ে তাদের বিভিন্ন আইসিটি ও ডিজিটালপ্রযুক্তি পণ্যসামগ্রী প্রদর্শন করে। বরাবরের মতো এবারের মেলাতেও আয়োজন করা হয় শিশু-কিশোরদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এতে তিনটি বিষয় ও বয়সের ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মেলার প্রবেশমূল্য সাধারণ দর্শকদের জন্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়, তবে বরাবরের মতে এবারও স্কুলপড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ পায়।
মেলার আকর্ষণসমূহ
বিসিএস ডিজিটাল এক্সপো ২০১০-এ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের অফার দেয় :
ফ্লোরা লিমিটেড :
বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম বড় প্রযুক্তিপণ্য বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ফ্লোরা লি.-এর অন্যতম আকর্ষণ ছিল তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডের ফ্লোরা পিসি নোটবুক ও নেটবুক। মডেল ও কনফিগারেশনভেদে ফ্লোরা পিসি নোটবুকে বিশেষ ছাড় দেয়া হয়। ফ্লোরা মেলা উপলক্ষে তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডের ৫টি ভিন্ন ভিন্ন মডেল, কনফিগারেশন ও দামের নোটবুক প্রদর্শন করে, যা ক্রেতাসাধারণকে ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট করে। এছাড়া ফ্লোরা পিসিও ক্রেতাসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ফ্লোরার প্যাভিলিয়নকে সুসজ্জিত করা হয়েছিল আকর্ষণীয় দামের বিভিন্ন মডেল ও কনফিগারেশনের ইপসনের স্ক্যানার, ইঙ্কজেট প্রিন্টার, লেজার প্রিন্টার, ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টার, মাল্টিমিডিয়া স্টোরেজ ভিউয়ার, প্রজেক্টর দিয়ে। ফ্লোরার প্যাভিলিয়নের আরেক আকর্ষণীয় পণ্য ছিল বিভিন্ন মডেল ও কনফিগারেশনের বিশ্বখ্যাত নাইকন ও অলিম্পাস ব্র্যান্ডের ডিজিটাল ক্যামেরা। এছাড়াও ফ্লোরার স্টলে এইচপি ও ডেল ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেল ও কনফিগারেশনের নেটবুক ও নোটবুক পাওয়া যায়।
এসার :
এ প্রতিষ্ঠানটি মেলায় উপস্থাপন করে বিশেষ সুযোগ দিয়ে টাচস্ক্রিন সুবিধাসম্বলিত বিভিন্ন কনফিগারেশন ও মডেলের অ্যাস্পায়ার সিরিজের নেটবুক, নোটবুকসহ এসার ব্র্যান্ডের প্রোজেক্টর ও এএমডির ডুয়াল-কোর মোবাইল প্রসেসরবিশিষ্ট ফেরারি ওয়ান নোটবুক। এসার কনফিগারেশনভেদে বিভিন্ন পণ্যে ৮০০ থেকে ৩৫০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় দেয়। এসার পণ্যের বিজনেস পার্টনার এক্সিকিউটিভ টেকনোলজি।
তোশিবা :
তোশিবা ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের ল্যাপটপ ও নেটবুক এ মেলায় উপস্থাপন করে আইওএম তথা ইন্টারন্যাশনাল অফিস মেশিন লি.। মেলা উপলক্ষে আইওএম স্যাটেলাইট, প্রোটিজি ও টেকরা সিরিজের বিভিন্ন নোটবুক ও নেটবুক মডেল ও কনফিগারেশনভেদে ছাড়দামে অফারের পাশাপাশি বিশেষ উপহার দেয়।
জেএএন অ্যাসোসিয়েট :
এবারের মেলায় জেএএন অ্যাসোসিয়েট বেশি জোর দেয় ক্যাননের বিভিন্ন মডেলের ডিজিটাল ক্যামেরার ওপর। উল্লেখ্য, জেএএন অ্যাসোসিয়েট ক্যাননের লেজার ও বাবলজেট প্রিন্টার ও স্ক্যানারের বাংলাদেশের পরিবেশক।
ইন্টেল :
ইন্টেলের প্যাভিলিয়নে প্রদর্শন করা হয় ইন্টেলের কোর আইথ্রি, কোর আইফাইভ ও কোর আইসেভেন প্রসেসরের গেমিং পারফরমেন্স। বাংলাদেশে ইন্টেল প্রসেসর এককভাবে পুরো বাজার দখল করে আছে।
ইউনিক বিজনেস সিস্টেম :
এ প্রতিষ্ঠানে মেলায় বিভিন্ন মডেল ও কনফিগারেশনের এমএসআই ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ ও নেটবুক আকর্ষণীয় দামে অফার করে। ইউনিক সিস্টেম তাদের স্টলে হিটাচি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন কনফিগারেশনের প্রজেক্টর দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করে।
স্মার্ট টেকনোলজিস :
মেলায় তাদের প্যাভিলিয়নে স্যামসাং লেজার প্রিন্টার, বিভিন্ন মডেল ও কনফিগারেশনের লেজার প্রিন্টার, মাল্টিফাংশনাল প্রিন্টার, মাল্টিফাংশনাল ফ্যাক্স, ফটোকপিয়ার ও মাল্টিফাংশনাল ফটোকপিয়ার প্রদর্শন করে। এছাড়া স্যামসাং লেজার প্রিন্টারে ছিল ধামাকা অফার। প্রতিটি প্রিন্টারের সাথে ছিল স্ক্র্যাচকার্ড, যেখানে নিশ্চিত পুরস্কার হিসেবে ছিল স্যামসাং স্লিমফিট টিভি, স্যামসাং ক্যামেরা, স্যামসাং মোবাইল, মগ ইত্যাদি।
মাল্টিলিংক :
মাল্টিলিংক মেলায় তাদের প্যাভিলিয়নকে সজ্জিত করে বিভিন্ন মডেল, কনফিগারেশন ও দামের এইচপি নোটবুক, এইচপি নেটবুক, এইচপি লেজার ও ডেস্কজেট প্রিন্টার, স্ক্যানার ইত্যাদি প্রদর্শন করে। উল্লেখ্য, মাল্টিলিংক এমন এক প্রতিষ্ঠান, যাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুধু এইচপি পণ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এইচপি তাদের পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে বেশ ছাড় দিয়ে এবং বিক্রীত পণ্যের সাথে দেয় স্ক্র্যাচকার্ড।
গ্লোবাল ব্র্যান্ড :
গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্যাভিলিয়নে আকর্ষণ ছিল মডেল ও কনফিগারেশনের ইপিসি, আসুস ব্র্যান্ডের নেটবুক, ই-টপ পিসি, ই-বক্স, ভিভটেক প্রজেক্টর, আসুস নোটবুক, আসুস ব্র্যান্ড পিসি, ডেল ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেল ও কনফিগারেশনের নোটবুক ও নেটবুক। গ্লোবালের প্যাভিলিয়নের আরেক আকর্ষণ ছিল ব্রাদার ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেল ও কনফিগারেশনের লেজার প্রিন্টার, কালার লেজার প্রিন্টার, মাল্টিফাংশন লেজার প্রিন্টার, মাল্টিফাংশন ইঙ্কজেট প্রিন্টার, কালার লেজার মাল্টিফাংশন প্রিন্টার।
লেনোভো :
লেনোভোর প্যাভিলিয়নের আকর্ষণ ছিল লেনোভোর বিভিন্ন মডেল ও কনফিগারেশনের অল-ইন-ওয়ান পিসি, ফেস রিকগনিশন ফিচারসম্বলিত লেনোভো আইডিয়া ম্যাডসহ বিভিন্ন কনফিগারেশনের নোটবুক। প্রতিটি পণ্যের সাথে ছিল বিশেষ উপহারসামগ্রী। বাংলাদেশে লেনোভোর পণ্যের মাস্টার রিসেলার খান জাহান আলী।
ইনডেক্স আইটি :
ইনডেক্সের প্যাভিলিয়নের আকর্ষণ ছিল স্যামসাংয়ের বিভিন্ন ধরনের এক্সটারনাল ডিভিডি রাইটার, বিভিন্ন মডেল ও কনফিগারেশনের প্রজেক্টর, স্যামসাং মনিটর ও ডিজিটাল ফটোফ্রেম।
কমপিউটার সোর্স :
কমপিউটার সোর্সের প্যাভিলিয়নের আকর্ষণ ছিল বিভিন্ন মডেল, কনফিগারেশন ও দামের ডেল ব্র্যান্ডের নোটবুক, প্রোলিঙ্কের ওয়েবক্যাম, নোটবুক, এইচপি ব্র্যান্ডের কম্প্যাক নোটবুক, ফুজিৎসু নোটবুক, ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি।
ইউনাইটেড কমপিউটার সেন্টার :
ইউসিসির স্টলের প্রধান আকর্ষণ ছিল বিভিন্ন সাইজ ও রেজ্যুলেশনের ভিউসনিক এলসিডি মনিটর, ভিউসনিক নোটবুক, এইচডি মিডিয়া প্লেয়ার, ডিজিটাল ফটোফ্রেম। ইউসিসি বিভিন্ন পণ্যে বিশেষ মূল্যছাড় দেয়।
বিজনেসল্যান্ড :
বিজনেসল্যান্ড লি.-এর প্যাভিলিয়নের মূল আকর্ষণ ছিল ফক্সকন মাদারবোর্ডের গ্রাফিক্স পারফরমেন্স প্রদর্শন। এরা ফক্সএজ ক্যাসিং ও লিঙ্কসিস নেটওয়ার্ক পণ্যও প্রদর্শন করে।
রহিমআফরোজ :
রহিমআফরোজ মেলায় তাদের স্টলে বিভিন্ন ক্ষমতার ইউপিএস ও আইপিএস আকর্ষণীয় দামে বিক্রি করে।
স্যাটকম কমপিউটারস :
মেলায় স্যাটকম উপস্থাপন করে তরুণ প্রজন্মের ক্রেজ আইপড ন্যানো, যা ভিডিও রেকর্ড ১.৩ মে.গা. পিক্সেলবিশিষ্ট ভিডিও প্লে করতে পারে। এছাড়া এদের স্টলে ছিল মাউস ও কিবোর্ডবিহীন ম্যাক মিনি, ম্যাক এয়ার, ম্যাকবুক প্রো ইত্যাদি।
বাইনারি লজিক :
এ প্রতিষ্ঠানটি মেলায় ইন্টেল কোর আইথ্রি, কোর আইফাইভ ও কোর আইসেভেন প্রসেসরবিশিষ্ট বিভিন্ন নিজস্ব ব্র্যান্ড আকর্ষণীয় দামে উপস্থাপন করে।
রিশিত কমপিউটার্স :
মেলায় রিশিত কমপিউটার্স উপস্থাপন করে বিভিন্ন কনফিগারেশন ও মডেলের সনি ভায়ো নোটবুক, এইচপি কম্প্যাক নোটবুক, ডিজিটাল ক্যামেরা, রিশিত নোটবুক।
কম ভ্যালী :
কম ভ্যালী লি.-এর স্টলের আকর্ষণ ছিল বেনকিউ ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেল ও কনফিগারেশনের এলসিডি মনিটর, নোটবুক, বিভিন্ন ধরনের স্পিকার। কম ভ্যালী লি. বেনকিউ ল্যাপটপে ছাড় দেয় মডেল ও কনফিগারেশনভেদে ৫০০-৩২০০ টাকা।
এশিয়া মহাদেশের মোবাইল ফোন জগতের অন্যতম কোম্পানি এক্সিয়েটা (বাংলাদেশ) লিমিটেড ‘বিসিএস ডিজিটাল এক্সপো ২০১০’-এ তাদের চমৎকার ব্র্যান্ড ‘রবি’ নিয়ে পস্নাটিনাম স্পন্সর হিসেবে অংশ নিয়েছে। এ ছাড়া গোল্ড স্পন্সর হিসেবে ছিল জনপ্রিয় ব্র্যান্ড স্যামসাং ও বিশ্ববিখ্যাত সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট, অফিসিয়াল ওয়াইম্যাক্স পার্টনার বাংলালায়ন কমিউনিকেশনস লিমিটেড। অফিসিয়াল ব্যাংক হিসেবে ছিল সাউথইস্ট ব্যাংক, মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল দেশ টিভি, দৈনিক সমকাল এবং রেডিও টুডে। মেলার টিকেট কাউন্টার স্পন্সর হিসেবে ক্যাসপারস্কি এবং ভলান্টিয়ার ড্রেস স্পন্সর হিসেবে ইউনাইটেড কমপিউটার সেন্টার অংশ নেয়। অন্যদিকে প্রদর্শনীর গেমিং জোন স্পন্সর করে বিজনেসল্যান্ড, ওয়েবপেজ ডেভেলপমেন্ট স্পন্সর ডাটা সফ্ট লিমিটেড, ইন্টারনেট কিয়স্ক স্পন্সর করে কালারস অব বাংলাদশে এবং লাইভ ওয়েবকাস্ট পার্টনার কমজগৎ ডট কম। এছাড়াও মেলা-পূর্ব এবং মেলা চলাকালীন সময়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পৃষ্ঠপোষকতায় ‘বিসিএস ডিজিটাল এক্সপো ২০১০’-এর তথ্যসম্বলিত লিফলেট এবং বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সুসজ্জিত ৪টি পিকআপ ভ্যান ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য স্থানে পরিভ্রমণ এবং সেসব জায়গায় মেলার লিফলেট বিতরণ করে।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ব্যান্ডউইডথের দাম কমানোর দাবি’
বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো জনস্বার্থে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ব্যান্ডউইডথের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছে। আসন্ন বাজেটের আগেই ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাতিলের দাবি জানায় এরা।
সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন বাংলালায়নের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান
রাজধানীর একটি হোটেলে ২ এপ্রিল ওয়াইম্যাক্সের লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠান বাংলালায়ন আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এ দাবি রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘ব্যান্ডউইডথের দাম কমানো নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে বিভিন্ন সময়ে তাগাদা দেয়া হয়েছে। আশা করি, এ বিষয়ে তারা নজর দেবে।
‘ওয়াইম্যাক্স ফর ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলালায়নের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর।
বাংলালায়নের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ সামস স্বাগত বক্তব্যে বলেন, এক মেগাবাইট ব্যান্ডইউডথ কিনতে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এর সাথে আরো ১৫ শতাংশ ভ্যাট। গ্রাহকসংখ্যা বাড়াতে হলে ব্যান্ডউইডথের দাম কমাতে হবে।
এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির সভাপতি মোস্তাফা জববার। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে আগে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়তে হবে। বাংলালায়নের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, ‘ব্যান্ডউইডথের দাম ৯ হাজার টাকায় আমাদের কাছে বিক্রি করলেও আমরা গ্রাহককে আরো কম দামে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে পারবো।’
কজ ওয়েব