• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ইষ্টার্ণ প্লাস-বিসিএস কমপিউটার মেলা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: তুহিন মাহমুদ
মোট লেখা:২৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৪ - মে
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
বিসিএস ডিজিটাল এক্সপো
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ইষ্টার্ণ প্লাস-বিসিএস কমপিউটার মেলা

রাজধানীর শান্তিনগরের ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটে গত ৯ থেকে ১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় ‘ইস্টার্ন প্লাস-বিসিএস কমপিউটার ও মোবাইল মেলা ২০১৪’। ইস্টার্ন প্লাস শপিং সেন্টার ও ল্যাপটপ বাজার এবং বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি (বিসিএস) এ মেলা আয়োজন করে। বেচাকেনাতে জমে উঠে এই মেলা। আকর্ষণীয় মূল্যে তথ্যপ্রযুক্তিপণ্য কেনাকাটা করতে পেরে এবং সাথে নানা উপহার পেয়ে ক্রেতারাও হয়েছিলেন খুশি। মেলায় কমপিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট পিসি, স্মার্টফোনসহ তথ্যপ্রযুক্তি ও মোবাইল ফোনের সর্বাধুনিক সংস্করণের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করা হয়। আর এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আকর্ষণীয় ছাড় ও নানা উপহার দেয়। সেই সাথে প্রতিটি পণ্য কেনাকাটাতেই ছিল ফ্রি কুপন। যাতে র্যা ফল ড্র’তে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা জিতে নেন ট্যাবলেট পিসি, স্মার্টফোন, স্পিকার, মডেম, পেনড্রাইভসহ আকর্ষণীয় তথ্যপ্রযুক্তিপণ্য উপহার।

মেলার উদ্বোধন

৯ এপ্রিল সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ইস্টার্ন প্লাস-বিসিএস ল্যাপটপ বাজার সমিতির সভাপতি আবদুল মোমিন খানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জববার, বিসিএস সভাপতি এএইচএম মাহফুজুল আরিফসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরিতে কমপিউটার শিক্ষা ছাড়া কোনো নিয়োগ দেওয়া হবে না। চতুর্থ শ্রেণীর পদ থেকে শুরু করে উচ্চপদে সবখানেই কমপিউটার শিক্ষার যোগ্যতা লাগবে। বিশ্বজুড়ে এখন প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটছে। তথ্যপ্রযুক্তি দখলে না নিতে পারলে উন্নয়নের মহাসড়ক থেকে ছিটকে পড়তে হবে। সরকার এক লাখ নারীকে ল্যাপটপ দেবে, যাতে নারীরা ফ্রিল্যান্সিং করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, কমপিউটার এখন আর বিলাসী পণ্য নয়। এটি দৈনদিন জীবনেরই অংশ হয়ে উঠেছে। সরকার ইন্টারনেটের দাম কমিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও কমাবে। কমপিউটার পণ্যে কোনো ভ্যাটও থাকবে না বলে তিনি জানান।

প্রথম দিন থেকেই জমজমাট মেলা

শামিত্মবাগের এই কমপিউটার বাজারটি নতুন হলেও মেলার মধ্য দিয়ে সব প্রযুক্তিপ্রেমীর নজর কাড়ে। উদ্বোধনের পর থেকেই কমপিউটার ও মোবাইল মেলা বেশ জমে উঠতে শুরু করে। মেলাকে কেন্দ্র করে যেনো এক নতুন রূপ পায় বাজারটি। প্রতিদিনই বাড়তে থাকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণা। মেলায় ছিল তরুণ প্রজন্মের উপচে পড়া ভিড়। তাদের আগ্রহ হালনাগাদ ডিজাইনের ল্যাপটপ, ট্যাবলেট আর স্মার্টফোনে। শুধু তাই নয়, বয়েসীরাও কম যাননি। নিত্যনতুন এসব ডিভাইস নেড়েচেড়ে দেখা আর কেনাকাটায় মগ্ন ছিলেন তারাও।

মেলায় যত অফার

আকর্ষণীয় দামের পাশাপাশি মেলায় এইচপি ল্যাপটপে গিফট ভাউচার ও মগ; আসুস ও লেনোভো ল্যাপটপে হেডফোন, অটিজি ক্যাবল ও টি শার্ট; টুইনট্যাব ট্যাবলেটে ব্যাগ, কিবোর্ড ও ৮ জিবি পেনড্রাইভ; তোশিবা ল্যাপটপে স্ক্যাচ কার্ড (স্মার্টফোনসহ নানা পুরস্কার); এভিরা ইন্টারনেট সিকিউরিটির সাথে মগ ও পছন্দমতো গিফট (হেডফোন, মেমরি কার্ড, কিবোর্ড, ওয়্যারলেস মাউস); ক্যানন ই-৫০০ প্রিন্টারের সাথে ১৬ জিবি পেনড্রাইভ; ডেল স্পিকারের সাথে সাকিব আল হাসানের পোস্টার ইত্যাদি উপহার দেয়া হয়।

লেনোভোর ইয়োগা-৮ মেটাল বডি ল্যাপটপে প্রি বুকিংয়ে দেয়া হয় ৫ শতাংশ ছাড়। পান্ডা ইন্টারনেট সিকিউরিটি ও মোবাইল সিকিউরিটিতে ৪৫ শতাংশ ছাড় ও বাংলালায়ন এক মাসের ফি-তে ১০০ শতাংশ ছাড় দেয়।
রিসোর্স টোটাল ল্যাপটপ সলিউশন পুরনোর বদলে নতুন ল্যাপটপ; ফেমাস টেকনোলজি ল্যাপটপের সাথে থ্রিডি গ্লাস, মনিটরে ৮ জিবি পেনড্রাইভ; ইনপেসবাজার ডটকম এক হাজার টাকার পণ্যে গিফট, ক্যামেরার সাথে মগ; বাইনারি লজিক ডেস্কটপ পিসির সাথে টিস্যু ব্যাগ; কায়েত কমপিউটার ট্যাবলেটের সাথে ৮ জিবি পেনড্রাইভ; দোয়েল ল্যাপটপে ১৬ জিবি পেনড্রাইভ; জেএন টেকনোলজি ট্যাবলেট পিসিতে ৮ জিবি মেমরি কার্ড দেয়। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন উপহার দেয়।

মেলায় ডি-লিঙ্ক পণ্যে নিশ্চিত উপহার ঘোষণা দেয় কমপিউটার সোর্স। মেলার স্পন্সর হিসেবে নেটওয়ার্কিং পণ্যে তিন বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা দেয় ডি-লিঙ্ক। থ্রিজি নেটওয়ার্ককে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে ডি-লিঙ্কের তারহীন প্রযুক্তির ক্লাউড রাউটার, অ্যাকসেস পয়েন্ট, আইপি ক্যামেরা, ল্যান কার্ড, অ্যাডাপ্টার, সুইচ এবং মডেমের সাথে তিন বছরের বিক্রয়োত্তর সেবারও ঘোষণা দেয়। মার্কেটের পঞ্চম তলার ৬৬ ও ৬৭ নম্বর হোল্ডিং নম্বরে কমপিউটার সোর্সের শাখা থেকে এই সুযোগ নেন ক্রেতারা। পাশাপাশি মেলা চলাকালে এখান থেকে যেকোনো পণ্যের সাথে থাকা কুপনের মাধ্যমে নিশ্চিত উপহার ছিল। এছাড়া ফুজিৎসু, ডেল, এইচপি, স্যামসাং ব্র্যান্ডের ল্যাপটপসহ ৪৭টি ব্র্যান্ডের প্রয়োজনীয় আইটি ডিভাইস কেনা যায় মেলা থেকে। মেলায় ১৯ হাজার টাকায় দেশী ব্র্যান্ডের সিএসএম পিসির সাথে তিন বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা ছাড়াও ২৮ হাজার ৭৫০ টাকায় ল্যাপটপ বিক্রি করে কমপিউটার সোর্স।
মেলার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক আসুস মেলা চলাকালীন আসুসের বিভিন্ন মডেলের নোটবুক, নেটবুক ও ট্যাবলেট পিসির সাথে টি-শার্ট, ইউএসবি ওটিজি ক্যাবল, হেডফোন বা হেডসেট প্রভৃতি উপহার দেয়।

বাড়তি আয়োজন

মেলায় ১৩ ও ১৫ এপ্রিল ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে বিজয়ীদের জন্যও উপহার হিসেবে ছিল আকর্ষণীয় তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য। ১১ এপ্রিল বেলা সাড়ে ৩টায় শিশুদের জন্য আয়োজন ছিল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার। দুই গ্রুপে ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের আকায় এদিন উঠে আসে আগামীর তথ্যপ্রযুক্তিঘনিষ্ট দেশ- ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রায় একশ’ শিশু এদিন মনের মাধুরি মিশিয়ে আকে স্বপ্নের ছবি। আর শিশুরা যখন ব্যস্ত ছিল ক্যানভাসে রং-তুলির আঁচড় দিতে, অভিভাবকেরা তখন চুটিয়ে ঘুরেছেন মেলায়। করেছেন কেনাকাটাও। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রধান বিচারক ছিলেন প্রখ্যাত তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জববার।

পুরো মেলা চত্বরেই ছিল ফ্রি ওয়াইফাই। মেলায় শিশুদের জন্য ছিল ফ্রি গেমিং জোন। মেলায় প্রবেশের জন্য কোনো টিকেট ছিল না। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে মেলা।
আয়োজনের পেছনে যারা

এ মেলায় স্পন্সর হিসেবে ছিল আসুস, এভিরা ও ডি-লিঙ্ক। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল এটিএন বাংলা, এবিসি রেডিও, সমকাল ও কমপিউটার বিচিত্রা। এ ছাড়া আইএসপি পার্টনার হিসেবে ছিল স্পিড টেকনোলজি ও কানেক্ট বিডি।
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৪ - মে সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস