• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > প্রিন্স অব পারসিয়া
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - জুলাই
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
প্রিন্স অব পারসিয়া

বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মুক্তি পেয়েছে গেমারদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকা অ্যাকশন ও অ্যাডভেঞ্চারে ঠাসা প্রিন্স অব পারসিয়া সিরিজের নতুন গেম। ১৯৮৯ সাল থেকে গেমিং জগতে সাফল্যের সাথে পদচারণা করে আসা এ সিরিজের নতুন এ গেমটির নাম দ্য ফরগটেন স্যান্ডস। স্যান্ডস অব টাইম, ওয়ারিওর উইদিন ও দ্য টু থ্রনস, এ তিনটি গেম মিলে একটি ট্রিলজি ছিলো। তারপর ২০০৮ সালে বের হয়েছিলো নতুন ধারার আর্টিস্টিক গ্রাফিক্সের সমাহারে নতুন কাহিনী নিয়ে প্রিন্স অব পারসিয়া-হেয়ার অ্যাপারেন্ট (আন-অফিশিয়াল নেম)। এ গেমের ধারাবাহিক তিনটি পর্ব হবার কথা ছিলো। তাই নতুন গেম হিসেবে ট্রিলজির দ্বিতীয় পর্বটির মুক্তি পাবার কথা ছিলো। কিন্তু ১ম পর্বটি গেমারদের মনে তেমন একটা দাগ কাটতে না পারায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে আগের ট্রিলজির প্রিন্সকে। নতুন এ গেমের কাহিনী গড়ে উঠেছে স্যান্ডস অব টাইম ও ওয়ারিয়র উইদিন গেমের মাঝের সময়কে কেন্দ্র করে।



প্রিন্স অব পারসিয়ার প্রায় এক যুগ হতে চলল, কিন্তু কোনো গেমেই প্রিন্সের কোনো নির্দিষ্ট নাম দেয়া হয়নি। তাকে আমরা প্রিন্স বলেই জানি। কিন্তু নাম ছাড়া মানুষ! ব্যাপারটা কেমন যেনো লাগে। তাই গেমে তার কোনো নাম না থাকলে কি হবে, স্যান্ড অব টাইমসের কাহিনীর ওপরে ভিত্তি করে বানানো জেক গাইলেনহল অভিনীত মুভিতে প্রিন্সের নাম দেয়া হয়েছে দাস্তিন। দাস্তিন নামের অর্থ হচ্ছে সাহসী যোদ্ধা। নামটি প্রিন্সের জন্য যথোপযুক্ত হয়েছে এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। পারস্যের রাজা শাহরামান তার কনিষ্ঠ পুত্রকে যোদ্ধা ও অ্যাথলেট হিসেবে গড়ে তুলেছেন এবং স্যান্ড অব টাইমসে ইন্ডিয়ার সাথে যুদ্ধে সে তার দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু রাজা মনে করেন তাকে যুদ্ধবিদ্যায় আরো পারদর্শী হতে হবে এবং নেতৃত্বদানের ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। তাই সে প্রিন্সকে তার বড় ছেলে মালেকের কাছে শিক্ষা নেবার জন্য যাওয়ার আদেশ করে। এখান থেকেই শুরু গেমের কাহিনী।

গেমের শুরুতেই দেখা যাবে প্রিন্স মরুভূমির বুকে ছুটে চলেছে পারস্য রাজ্যের সীমান্তের দিকের এক রাজ্যে যেখানে শাসনের দায়িত্বে রয়েছে তার ভাই মালেক। কিন্তু সেখানে পৌছে সে দেখে শক্তিশালী এক বাহিনী তার ভাইয়ের রাজ্য আক্রমণ করেছে সেই রাজ্যে লুকানো এক বিশাল ধনভান্ডারের লোভে। শত্রুপক্ষ অপ্রতিরোধ্য, মালেক দিশেহারা হয়ে পড়ে রাজ্য হারানোর ভয়ে। তাই সে সিদ্ধান্ত নেয় সে শত্রুপক্ষকে থামাতে সাহায্য নিবে জাদুশক্তির। সে মুক্ত করে দেবে জাদুশক্তিতে শক্তিশালী ভয়ঙ্কর ইতিহাসিক জ্বিন বাহিনী যার নাম সলোমন’স আর্মি। প্রিন্স তাকে বাধা দেয় সে যেনো এ পদক্ষেপ না নেয় কারণ তারা এ বাহিনীর ক্ষমতা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না। কিন্তু একরোখা মালেক তার কথায় কান না দিয়ে মুক্ত করে দেয় জিন বাহিনী। কিন্তু ঘটে হিতে-বিপরীত। শত্রুপক্ষকে নির্মূল করার সাথে সাথে সেই বাহিনী মালেকের রাজ্যের সবাইকেও পাথর বানিয়ে দিতে থাকে এবং সেই সাথে ভয়ঙ্কর এক ঝড়ের সৃষ্টি করতে থাকে যা তার রাজ্যকে তচনচ করে দেবার জন্য যথেষ্ট। প্রিন্স ও মালেক চেষ্টা করে ভয়ানক সেই বাহিনীর কর্ণধার রাতাশকে নিজের বশে আনতে কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়।

রাতাশ হচ্ছে রাজা সলোমনের রাজত্বকালের এক শয়তান জ্বিন। মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সে তার জাদুশক্তি প্রয়োগ করে মরুভূমির বালু থেকে এক দুর্ধর্ষ যোদ্ধার দল বানায়। কিন্তু রাজা সলোমন ও জ্বিন গোত্রের অন্যান্য রাজা মিলে রাতাশ ও তার বাহিনীকে বন্দী করে রাখে এক কারাগারে। মালেকের ভুলের কারনে সে আবার মুক্ত হয়ে মানবসভ্যতা ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। কিন্তু বাদ সাধে প্রিন্স ও মালেক। মালেকের সাথে যুদ্ধের সময় রাতাশ মালেকের ওপর ভর করে তাকে নিজের আয়ত্বে নিয়ে নেয়। রাতাশ পালিয়ে বেড়ায় আর প্রিন্স তাকে খুজে বেড়ায়। তাদের এ ইদুর-বেড়াল খেলার মাঝে উপস্থিত হয় জ্বিন গোত্রের রাণী রাজিয়া। সে প্রিন্সকে বলে সে যার পিছে ঘুরছে সে মালেক নয়, মালেকের ছদ্দবেশে রাতাশ। তাকে নির্মূল করার একমাত্র উপায় হচ্ছে জ্বিন সোর্ড বা তলোয়ার। প্রিন্সকে হাসিল করতে হবে সেই তলোয়ার এবং তারপর মোকাবেলা করতে হবে রাতাশের। তাকে হত্যা করে প্রিন্সকে রক্ষা করতে হবে তার ভাইয়ের রাজ্য ও নিতে হবে তার ভাইকে ছিনিয়ে নেয়ার প্রতিশোধ।

রাজিয়ার কাছ থেকে সে লাভ করবে জাদুশক্তি যাতে সে শুধু সময়কেই নয়, মাটি, আগুন, পানি ও বাতাসকে ব্যবহার করতে পারবে রাতাশের বাহিনীকে সমূলে উৎপাটন করার জন্য। মাটির আবরণ দিয়ে নিজের শরীরে সে বর্ম বানাতে পারবে এবং কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া মাটির বানানো পথ সে আবার ফিরিয়ে আনতে পারবে। বায়ুশক্তি ব্যবহার করে দ্রুতগতিতে স্থানান্তর ও ঘূর্নিঝড় বানিয়ে শত্রুকে উড়িয়ে দিতে পারবে। আগুনের সাহায্যে সে শত্রুপক্ষের চারদিকে চক্র বানিয়ে তাদের কাবাব বানাতে ও আগুনে তলোয়ার দিয়ে তাদের কচুকাটা করতে পারবে। পানির ঝর্ণার গতি থামিয়ে তা স্থবির করে তা বেয়ে উঠতে পারবে এবং বরফের ঝড় দিয়ে শত্রুকে নাস্তানাবুদ করতে পারবে। এছাড়া শারীরিক কলাকৌশল ও যুদ্ধবিদ্দ্যার পারদর্শিতার বলে সে একাই প্রতিহত করতে পারবে বিশাল এক বাহিনীকে। গেমটি আনকোরা কমব্যাট স্টাইল, শ্বাসরুদ্ধকর কাহিনী, প্রান্তবন্ত পরিবেশ, অবিকল পারস্যের পটভূমি, শ্রুতিমধুর শব্দশৈলী ও মনোহর গ্রাফিক্সের কারণে এ বছরের সেরা গেমগুলোর তালিকার শীর্ষের দিকের স্থান দখল করে নেবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। তাই কোমর কষে যোগ দিন অসাধারণ এ গেমে প্রিন্সের দুঃসাহসিক অভিযানের সঙ্গী হিসেবে।

ডেভেলপার : ইউবিসফট মনট্রেয়াল
পাবলিশার : ইউবিসফট
সিরিজ : প্রিন্স অব পারসিয়া
গেম ইঞ্জিন : অ্যানভিল/জেড
ক্যাটেগরী : অ্যাকশন/অ্যাডভেঞ্চার
মোড : সিঙ্গেল প্লেয়ার

সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট

প্রসেসর : ২.৬ গিগাহার্টজ ইন্টেল ডুয়াল কোর
র্যা ম : ১ গিগাবাইট (ভিসতা/সেভেনে ২ গিগাবাইট)
গ্রাফিক্স কার্ড : ২৫৬ মেগাবাইট (পিক্সেল শ্রেডার ৩.০ সমর্থিত)
হার্ডডিস্ক স্পেস : ৮ গিগাবাইট

কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস