ড. ডিভএক্স ভিডিও এডিটিংয়ের চমৎকার টুল
কমপ্রেসড ফাইল ফরমেটের মধ্যে ভালোমানের জন্য DivX ফরমেটটি উল্লেখযোগ্য। উঁচুমানের ভিডিও, স্পষ্ট শব্দ এবং তুলনামূলক ছোট ফাইলের জন্য ওয়েবেও এর ব্যবহার বাড়ছে ধীরে ধীরে। বিশেষ করে ইন্টারনেট মুভিগুলোর বেশিরভাগই থাকে এই DivX ফরমেটে। Dr. DivX এমন একটি সফটওয়্যার, যার মাধ্যমে ডিভিডি থেকে DivX ফাইলে কনভার্ট করতে পারবেন। অন্য ফাইল থেকে DivX-এ কনভার্ট ও এডিট করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, পছন্দমতো ফাইল সাইজও সেট করে দিতে পারবেন। ইচ্ছেমতো ফিল্টার যোগ করতে পারবেন, অনেক ফাইল একীভূত করে এক ফাইলে রূপ দিতে পারবেন। মোট কথা, একটি ভিডিও সফটওয়্যারের অনেক অপশনই আপনি পাবেন এবং তা অবশ্যই খুব সহজে। কারণ, এর ইউজার ইন্টারফেস খুব সহজ। এখানেই শেষ নয়। এর সর্বশেষ ভার্সনে আছে ভিডিও স্ট্যান্ডার্ড সিলেক্ট অপশন। যেমন আপনি আউটপুট ফাইলকে কোন স্ট্যান্ডার্ডে অনুসরণ করাতে চান, তার সুযোগ পাবেন। ইচ্ছে করলে হোম থিয়েটার, মোবাইল, হ্যান্ডহেল্ড অপশন সিলেক্ট করতে পারবেন। এমনকি হাই ডেফিনিশন (এইচডি) ভিডিও ফাইলও তৈরি করতে পারবেন। এক কথায় DivX ফাইলের চূড়ান্ত সল্যুশন দেবে এই Dr. DivX.
ইনস্টলেশন
DivX ইনস্টলেশন অনেক সোজা এবং এই লেখায় Dr. DivX 2.0.0 055-এর ব্যবহার দেখানো হয়েছে। সফটওয়্যার ইনস্টল করার পর স্টার্ট করলে এর দৃষ্টিনন্দন ইন্টারফেস দেখতে পারবেন। লক্ষ করে দেখুন, বাম পাশের প্যানেলে রয়েছে ফাইল ইনপুট অপশন, অডিও ট্র্যাক ও সাবটাইটেল ট্র্যাক (চিত্র-১)। নিচে লক্ষ করে দেখুন, লোগোযুক্ত চারটি অপশন সিলেক্ট করার ব্যবস্থা আছে। অপশনগুলো হলো- হোম থিয়েটার, হাই ডেফিনিশন, পোর্টেবল ও হ্যান্ডহেল্ড। সেই সাথে আছে কোয়ালিটি ও ফাইল সাইজ নির্ধারণ করার অপশন। ডান পাশের প্যানেলে আছে ভিডিও প্রিভিউ, আউটপুট ফাইল সেভ করার অপশন (চিত্র-২)।
ফাইল সিলেকশন
এবার DivX ফাইল তৈরির কৌশল জানা যাক। প্রথমেই ইনপুট অপশনে গিয়ে ফাইল সিলেক্ট করুন। ফাইলের ধরন .vob, .avi, .divx, .mpg ইত্যাদি হতে পারে। মনে রাখবেন, সোর্স ফাইলের মান ভালো হওয়া জরুরি। কেননা, সোর্স ফাইলের ভিডিও মান ভালো হলে ভালোমানের আউটপুট পাবেন। যা-ই হোক, ফাইলটি সিলেক্ট করলে দেখতে পাবেন নিচের উইন্ডোতে অডিও ট্র্যাক সিলেক্ট হয়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে অডিও ট্র্যাক একের অধিকও হতে পারে। যেমন- কোনো ডিভিডির অনেক ভাষার ট্র্যাক থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ভাষাটি সিলেক্ট করুন। ইচ্ছে করলে অন্য সাউন্ড ট্র্যাকও ব্যবহার করতে পারবেন। একই কথা সাবটাইটেলের ক্ষেত্রেও। আপনার পছন্দনীয় সাবটাইটেলটি সিলেক্ট করুন অথবা বাদও দিতে পারবেন।
ফাইল সিলেকশন শেষ, এবার দেখা যাক ফাইলের মানের বিষয়টি। যদি হাই ডেফিনিশন সিলেক্ট করেন, তাহলে মান খুব ভালো হবে, সেই সাথে ফাইল সাইজও বড় হবে। হ্যান্ডহেল্ড সিলেক্ট করলে সাইজ ছোট হলেও রেজ্যুলেশন কম হবে, ফলে ভিডিও ফেটে যাবে। সাধারণত মোবাইল, আইপড প্রভৃতি ডিভাইসের জন্য এ ফরমেট। আবার পছন্দমতো ফাইল সাইজ দেখিয়ে দিতে পারবেন। ফাইল সাইজের ওপর নির্ভর করবে ভিডিও মান। তবে ডিফল্ট হিসেবে ব্যালান্সন্ড সিলেক্টেড থাকবে। অপশন সিলেক্ট হয়ে গেলে সেভ ডেসটিনেশন দেখিয়ে দিন ও ফাইলের নাম লিখে সেভ করুন। .avi ও .divX এই দুই ফরমেটে সেভ করতে পারবেন।
এনকোডিং
সবশেষে ‘এনকোড’ বাটনে ক্লিক করুন। এনকোড শুরু হওয়ার সাথে সাথে দেখতে পাবেন Dr. DivX একজন সত্যিকারের ডাক্তারের মতো আপনার ফাইলটি অ্যানালাইসিস করছে। অ্যানালাইসিস শেষ হলে এনকোডিং শুরু হবে এবং এটি দুই ধাপে সম্পন্ন হবে। এনকোড চলার সময় আপনি পজ অপশন পাবেন, যা একটি বড় সুবিধা। সম্পূর্ণ এনকোডিং টাইম কমপিউটারের কনফিগারেশনের ওপর নির্ভরশীল। দ্রুত এনকোডিংয়ের জন্য সিস্টেমটিও ভালো হওয়া জরুরি।
এই তো গেল বেসিক এনকোডিং। অ্যাডভান্স ট্যাবে আরো চারটি অপশন পাবেন। অপশনগুলো হলো- ভিডিও প্রিসেট, প্রসেসিং, কোডেক এবং অডিও। প্রসেসিংয়ে পাবেন ক্রপ, রেজ্যুলেশন, ইমেজ প্রসেসিং ও নয়েজ রিডাকশন অপশন। কোডেক ট্যাবে পাবেন বিটরেট, ফ্রেমরেট সিলেক্ট করার ব্যবস্থা। অডিও ট্যাবে আছে ফরমেট, স্যাম্পলিং, চ্যানেল মোড নির্ধারণ করে দেয়ার সুযোগ। মনে রাখবেন, অ্যাডভান্স অপশন শুধু অ্যাডভান্স ইউজারদের জন্যই প্রযোজ্য।
পরিশেষে Dr. DivX ব্যবহার করে আপনি পাবেন সহজেই DivX ফাইল তৈরির সুযোগ। সর্বোপরি, ছোট ফাইল সাইজ ও ভালো মানের জন্য এটি আপনাকে দেবে এক ভিন্ন আমেজ।
এক নজরে ড. ডিভএক্স
• টুস্টেপ এনকোডিং, তাই মান খুবই ভালো।
• আকর্ষণীয় ইন্টারফেস।
• ইউজার ফ্রেন্ডলি।
• ব্যাচ প্রসেস অপশন।
• রিজিউস অপশন।
• পিভিউ এবং ভিডিওর কিছু অংশ সিলেক্ট করে এনকোড করার সুযোগ।
• প্রয়োজনমতো ফাইল সাইজ নির্ধারণ করে দেয়ার সুযোগ।
মিনিমাম সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট
প্রসেসর : পেন্টিয়াম ফোর বা সমমানের ১ গি.হা.।
র্যাম : ১২৮ মেগাবাইট।
উইন্ডো ২০০০ অথবা এক্সপি।
ডিরেক্ট এক্স ৯।
কোডেক ভার্সন ৬।
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : musfiq003@gmail.com