• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > আইসিটি মন্ত্রণালয় : একটি মাইলপলক
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মোস্তাফা জব্বার
মোট লেখা:১৩৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - আগস্ট
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
আইসিটি
তথ্যসূত্র:
উত্তরন
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
আইসিটি মন্ত্রণালয় : একটি মাইলপলক

প্ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশের জন্য আরো একটি মাইলফলক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত ৩ আগস্ট ২০১০ সকাল সাড়ে দশটায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভাকক্ষক্ষ তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, সরকারের আরো দুটি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। তার নিজের প্রস্তাবনাতেই একটি হবে রেলওয়ে মন্ত্রণালয় এবং আরেকটি হবে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ফলে শেখ হাসিনা তার নিজের অঙ্গীকারের প্রতি যে তিনি আন্তরিক এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি নিয়ে তার কর্মকান্ড যে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত, সেটি তিনি আবারো প্রমাণ করলেন। তিনি যখন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন তখন কমপিউটারের ওপর থেকে সম্পূর্ণ শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহার করেন, মোবাইলের মনোপলি ভেঙ্গে দেন এবং অনলাইন ইন্টারনেট প্রসারের জন্য ভি-স্যাট ব্যবহারের পরিধি সম্প্রসারিত করে দেন। আজকের বাংলাদেশে কমপিউটার, মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট প্রসারের পেছনে শেখ হাসিনার সেসব সিদ্ধান্তের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। ২০০১ সালে তার শাসনকালের শেষ বছরে তিনি আইসিটি টাস্কফোর্স গঠন করেছিলেন। এর বর্তমান নাম হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স। ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আট বছরে আইসিটি টাস্কফোর্সের ছয়টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার তিনটিই হয়েছে ২০০১ সালে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে, আর বাকি তিনটির দু’টি হয়েছে পাঁচ বছরের বেগম খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে এবং একটি হয়েছে দুই বছরে ফখরুদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে। কার কাছে এই টাস্কফোর্সের কতটা গুরুত্ব সেটি অনুভব করা যায় তাদের নিজ নিজ আমলে সভা অনুষ্ঠানের সংখ্যা থেকেই। শেখ হাসিনা ২০০১ সালে এক বছরেই তিনটি সভা করতে পারলেন, আর বেগম জিয়া পাঁচ বছরে দুটি সভা করলেন, ফখরুদ্দীন দুই বছরে করলেন একটি; এতেই বোঝায় যায় শেখ হাসিনা ছাড়া দুইজন সরকারপ্রধানই কোনমতে নিয়মরক্ষার জন্য টাস্কফোর্সের সভাগুলো করেন।

এবার ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর টাস্কফোর্সকে সক্রিয় না দেখে অবশ্য একটু অবাক হচ্ছিলাম। ঠিক বুঝতে পারছিলাম না, প্রধানমন্ত্রী প্রায় উনিশ মাস সময় নিলেন টাস্কফোর্সের সভা করতে। কেনো? ভাবছিলাম, প্রধানমন্ত্রী নানা কাজে জড়িয়ে আছেন, তার সরকার বিডিআর বিদ্রোহ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা পর্যন্ত একের পর এক চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে, ফলে বিলম্বটা অনভিপ্রেত। এর মাঝে টাস্কফোর্সের নাম বদল করার প্রয়োজন ছিল বলেই হয়তো সময়টা আর একটু বেশি লেগেছে।

৩ আগস্ট ২০১০ তিনি যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের প্রথম সভা করলেন এবং কার্যবিবরণী অনুমোদন করাসহ নয়টি এজেন্ডা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলেন তখনই মনে হলো সভা অনুষ্ঠানের বিলম্বের চাইতেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অনুষ্ঠিত সভার কর্মফল। সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং পরিকল্পনা সচিব, টেলিযোগাযোগ সচিবসহ এই খাতের গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারকদের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে সিরিয়াস।



২৯ জুলাইয়ের সভাটি পিছিয়ে ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়। এতে আলোচ্যসূচি হিসেবে কার্যবিবরণী অনুমোদন এবং বিগত সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের বিষয়গুলোর বাইরে অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং অবহিতকরণই প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল। বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি নীতিমালা বাস্তবায়নের অগ্রগতি অবহিতকরণ, বিগত বাজেটে বরাদ্দ করা ১০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ ব্যবহারের অগ্রগতি পর্যালোচনা, হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার পার্ক ও আইটি ভিলেজ স্থাপনের অগ্রগতি পর্যালোচনা, আইসিডিসি কোম্পানি প্রতিষ্ঠার অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং বাংলায় ডোমেইন নেম, ই-পেমেন্ট গেটওয়ে, ই-টেন্ডারিং ও ডি-একনেক চালু করার অগ্রগতি পর্যালোচনা করার বিষয় আলোচনায় ছিল। এর বাইরে ই-সার্ভিস যোগান এবং ৫০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন ছিল আলোচ্যসূচিতে।

নিয়মমাফিক টাস্কফোর্সের সভার আলোচ্যসূচি নির্ধারিত হয় টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটির সভায়। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর আইসিটি টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটির সভা হয়েছে, যাতে মুখ্য সচিব সভাপতিত্ব করেন। তবে এর নাম ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স হবার পর নির্বাহী কমিটির আর কোনো সভা হয়নি। ফলে আলোচ্যসূচি নির্ধারিত হয়েছে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের হাতেই। মুখ্য সচিব এই সভায় আইসিটি টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটির সভার সুপারিশগুলো পেশ করেন। তবে এটি সবার জন্যই একটি অনুপ্রেরণাদায়ক বিষয় ছিল, সভার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের কথা শুনেন। আলোচ্যসূচি পেশ করার পর বাণিজ্যমন্ত্রী কথা বলেন এবং তিনিই প্রস্তাব করেন, বেসরকারি খাতের কথা শুনতে হবে আগে। প্রথমেই আমি কথা বলি। কমপিউটারের যুগে বাংলা ভাষার দুর্দশা, সরকারি ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার কম ব্যবহার, সরকারের ওয়েবসাইটে বাংলার বদলে ইংরেজির ব্যবহার নিয়ে কথা বলে আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মকান্ডের সমন্বয়হীনতার কথা বলি। একই সাথে আইসিটি খাতের জন্য জায়গার ব্যবস্থা করা এবং শিক্ষায় কমপিউটার ব্যবহারের বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। আমার বক্তব্যের পর বেসিসের সভাপতি মাহবুব জামান, ইয়াসমিন হক ও একে আজাদসহ অনেকেই বক্তব্য পেশ করেন। আমার আলোচনাতে ছিল- ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়টির সমন্বয় সাধন করা জরুরি। সরকারের নানা শাখা প্রশাখায় ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে নানা ধরনের কাজ হচ্ছে- কিন্তু সেসব কাজের পূর্ণ সমন্বয় হচ্ছে না। মন্ত্রণালয় যে কাজ করছে, তার সাথে এটুআইয়ের কাজের স্ববিরোধিতা রয়েছে। আমাদের আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী প্রথমে বললেন, রেলওয়েকেও আলাদা মন্ত্রণালয় করতে হবে। এরপর তিনি আইসিটি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, আইসিটিকে পূর্ববর্তী সরকার একটি মন্ত্রণালয়ের সাথে যুক্ত করলেও সেটি হয়েছিল শুধু নামে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। ফলে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় অবশ্যই থাকা উচিত। প্রধানমন্ত্রীর এই দূরদর্শিতা প্রশংসনীয়। বিদ্যমান মন্ত্রণালয়টি তার কমপিউটার বা আইসিটি বিষয়গুলোকে নতুন মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করবে এবং বিদ্যমান মন্ত্রণালয়টি দেশের বিজ্ঞান চর্চা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণা, নতুন নতুন উদ্ভাবন, বিজ্ঞান শিক্ষা ও এর প্রসারের ক্ষেত্রে অবদান রাখবে। মন্ত্রণালয়কে রক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিজ্ঞান ক্ষেত্রের দুর্বলতাকে সবলতায় রূপান্তরের উদ্যোগ নিলেন।

প্রধানমন্ত্রী আইসিটি মন্ত্রণালয় গঠন করার প্রস্তাব করে পুরো সভাকে কার্যত চমকে দেন। কেউ এমন একটি প্রস্তাবের জন্য প্রস্ত্তত ছিল বলে মনে হলো না। কেউ একজন বললেন, এই প্রস্তাবটিকে নিকারে পাঠাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বললেন, এর জন্য নিকারের প্রয়োজন নেই। শুধু অর্থমন্ত্রী অর্থ বরাদ্দ দিলেই হবে। তিনি তখন হাসিমুখে অর্থমন্ত্রীর দিকে তাকান এবং অর্থমন্ত্রী সম্মতিসূচক মাথা নাড়লে প্রস্তাবটি সিদ্ধান্তে পরিণত হবার পর্যায়ে পৌঁছায়। এ সময়ে পরিকল্পনা সচিব প্রস্তাব করেন, টেলিযোগাযোগ খাতটির সাথে আইসিটির অনেক সম্পর্ক রয়েছে, সেটিকে একসাথে করে ফেলা যায় কি না, সেটি চিন্তা করতে হবে। কিন্তু আমি বললাম, বাংলাদেশের বাস্তবতার আলোকে সেটি সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী বললেন, সেটি এমনিতেই অনেক বড় মন্ত্রণালয়, কাজও বেশি। ফলে দু’টি মন্ত্রণালয়কে এক করা ঠিক হবে না। শেষাবধি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে আগের মতো রেখে আলাদা আইসিটি মন্ত্রণালয় গড়ার প্রস্তাবই অনুমোদিত হয়।

আমি মনে করি, এটি বাংলাদেশের আইসিটি খাতের জন্য একটি অনন্য সুযোগ তৈরি করবে। সরকার এই মন্ত্রণালয়কেই কার্যত ডিজিটাল বাংলাদেশ মন্ত্রণালয় হিসেবে দেখতে পারে। এতে তথ্যপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ করার সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। নীতিনির্ধারণ, নীতিমালা প্রণয়ন তো বটেই, ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠার বড় কাজটি করতে পারে এই মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে উল্লেখ করা জরুরি, বর্তমানে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় নামে যে মন্ত্রণালয় আছে সেটি শুধু নামেই আইসিটি মন্ত্রণালয়। এর অন্তরে রয়েছে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। নতুন নামকরণ করার পর মন্ত্রণালয়ের কাজের কোনো নতুনত্ব গড়ে তোলা হয়নি। এর কার্যপরিধি বাড়েনি। আগের যে কাঠামো ছিল নতুন নামকরণের পরও সেই কাঠামোই রয়েছে। ২০০৩ থেকে ২০১০ সময়কালে এই মন্ত্রণালয়ের কাজের পরিধির কোনো হেরফের হয়নি। যদিও মন্ত্রণালয় এখন আগের চাইতে অনেক বেশি কাজ করে, তথাপি এটি বুঝতে হবে এই মন্ত্রণালয়ের কাজের খবরদারি এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন সেল করে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাথে যুক্ত বলে তাদের মন্ত্রণালয় থেকে কোনো কথা বলা যায় না। তাদের যখন যেখানে খুশি তারা তখন সেখানেই তা করে থাকে। যেহেতু এর অর্থের যোগানদারও ইউএনডিপি, সেহেতু তারা যখন যা খুশি তখন তাই করে বসে। কখনো তারা কনসালট্যান্সি করে এবং নিজেদের মতো করে নীতিমালা তৈর করে। আবার কখনো তারা প্রশিক্ষণ দেয়। আবার কখনো তারা ল্যাপটপ সরবরাহ করে। অন্যদিকে সরকারের সব মন্ত্রণালয় আইসিটিসংশ্লিষ্ট তাদের কাজগুলো নিজেরাই করে থাকে। বিজ্ঞান এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় এক্ষক্ষত্রে সাইডলাইনে বসে থাকে। অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন যদি আইসিটিসংক্রান্ত বিষয় হয়ে থাকে, তবে তাকে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকতে হবে এবং একে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে রাখার কোনো যুক্তি নেই। প্রধানমন্ত্রীকে যখন আইসিটির দরকার হবে, তখন সেটি ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর হাতের কাছে এটুআই থাকার প্রয়োজন নেই।

সরকারের তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক যাবতীয় কাজ এই মন্ত্রণালয় করবে। যেমন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি স্কুলঘর তৈরি করে। সে স্কুলঘরটি নির্মাণ করে গণপূর্ত বিভাগ। তেমনি করে সরকার স্কুলে কমপিউটার ল্যাব করবে বা ল্যাপটপ সরবরাহ করবে; এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিলেও কাজটি আইসিটি মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। ফলে সরকারের সব মন্ত্রণালয়েরই আইসিটিবিষয়ক কাজ এই মন্ত্রণালয়ের মাঝে চলে আসবে। এই মন্ত্রণালয় আইসিটিবিষয়ক গবেষণা, উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ, অবকাঠামো তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। এজন্য আইসিটি মন্ত্রণালয়কে ঠুঁটো জগন্নাথ না বানিয়ে একটি শক্তিশালী মন্ত্রণালয়ে পরিণত করতে হবে। বর্তমানে কমপিউটার কাউন্সিল নামে যে সংস্থাটি আছে, তাকে অনেক শক্তিশালী করা যায়, যা গণপূর্ত বিভাগের মতো হতে পারে। নতুন নতুন বিভাগ বা অধিদফতরও এজন্য তৈরি হতে পারে।

বস্ত্তত সেই সভার সবার জন্য প্রধানমন্ত্রীর এসব সিদ্ধান্ত অবাক করার মতো ছিল। অন্য এক আলোচ্যসূচিতে মহাখালীর আইটি ভিলেজ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টতই বললেন, হাজার হাজার মানুষকে উচ্ছেদ করা কঠিন হবে। তিনি নিজেই প্রশ্ন তোলেন, ওরা যাবে কোথায়? আমি তখনই প্রস্তাব করি, সেই মহাখালীর দিকে না তাকিয়ে আমাদের জন্য অন্য জায়গার ব্যবস্থা করুন। সেই আলোকেই তিনি কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারকে আইসিটি খাতের জন্য বরাদ্দ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিলেন। তবে এতে আপত্তি জানালেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি একে আজাদ। তিনি দাবি করলেন, ভবনটি এফবিসিসিআইকে দেবার জন্য। প্রধানমন্ত্রী বিজিএমইএ ভবন বিক্রি করার ক্ষক্ষত্রে ব্যবসায়ীদের অতি লোভের প্রসঙ্গ টেনে বললেন, আইসিটি হলেই ব্যবসায় বাড়বে। ফলে আইসিটিকেই এখানে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : mustafajabbar@gmail.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস