• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > অডিওজাঙ্গল : মিউজিক তৈরি করে আয়
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মো: জাকারিয়া চৌধুরী
মোট লেখা:৩৫
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - নভেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ফ্রিল্যান্স
তথ্যসূত্র:
ঘরে বসে ‍আয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
অডিওজাঙ্গল : মিউজিক তৈরি করে আয়

মিউজিক শুনতে কে না ভালোবাসেন। অনেকে আবার মিউজিক তৈরি করতে ভালোবাসেন। কমপিউটারে মিউজিক তৈরি করার নানা ধরনের সফটওয়্যার রয়েছে। হয়তোবা অনেকে শখের বসে কমপিউটারে মিউজিক তৈরি করে দেখেছেন। তবে কমপিউটারে মিউজিক তৈরি করে তাকে পেশা হিসেবে নেয়াটা অতটা সহজ বিষয় নয়। কারণ, মিউজিক বিক্রি করতে বিভিন্ন ধরনের রেকর্ডিং কোম্পানির কাছে ছোটাছুটি করতে হয়। ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন এই কাজটি ঘরে বসে অনায়াসেই করতে পারবেন। এ ধরনের একটি সাইট হচ্ছে অডিওজাঙ্গল (www.AudioJungle.net)।

অডিওজাঙ্গল হচ্ছে ইন্টারনেটে অডিও কেনাবেচার একটি মার্কেটপ্লেস। এটি তৈরি করেছে এনভাটো (Envato) নামের একটি অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, যা নিয়ে এর আগে ‘কমপিউটার জগৎ’ ম্যাগাজিনে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। এনভাটোর অন্যান্য সাইটের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ThemeForest.net, GraphicRiver.net এবং ActiveDen.net। বর্তমানে এনভাটোতে মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ লাখের ওপর এবং মোট আইটেমের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। তার মধ্যে শুধু অডিওজাঙ্গলে ২০ হাজারের ওপর আইটেম/অডিও রয়েছে। এসব অডিও সাধারণত কোনো ওয়েবসাইট, সফটওয়্যার বা গেমের ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার হয়। কতগুলো আবার সিনেমার টাইটেল মিউজিক হিসেবে বা কোনো প্রতিষ্ঠানের থিম মিউজিক হিসেবে ব্যবহার হয়। ফলে অডিওজাঙ্গলের অডিওগুলোর রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। এনভাটোর যেকোনো আইটেম প্রতিবার বিক্রি হলে এর ডেভেলপার বা Author-কে ৫০% থেকে ৭০% পর্যন্ত অর্থ দেয়া হয়।



এনভাটোর যেকোনো একটি সাইটে রেজিস্ট্রেশন করে এর সব সাইটের মেম্বার হওয়া যায়। রেজিস্ট্রেশন করার পর অডিও বিক্রি করার আগে সাইটের নিয়মকানুন ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে এবং একটি ক্যুইজে অংশ নিতে হবে। ক্যুইজের প্রশ্নগুলো অত্যন্ত সহজ হয়ে থাকে। অডিওজাঙ্গল সাইটে ৫টি মূল বিভাগে অডিও আপলোড করে বিক্রি করা যায়। এগুলো হলো :

০১. মিউজিক

এই বিভাগে কয়েক মিনিট ধরে শুধু মিউজিক অথবা ভোকাল মিউজিক আপলোড করা যায়। বলা বাহুল্য, মিউজিকের গুণগত মান অবশ্যই উন্নত এবং প্রফেশনাল হতে হবে। অন্যথায় সাইটের কর্তৃপক্ষ এটি না। ভোকাল মিউজিক অবশ্যই ইংরেজিতে হতে হবে। এক্ষেত্রে গায়ক বা গায়িকার পরিচিতি যুক্ত করতে হবে এবং সাইটে বিক্রি করতে গায়ক বা গায়িকা থেকে যথাযথ অনুমতি নেয়া হয়েছে কি না, তা জানাতে হবে। মিউজিকগুলো কোনো জনপ্রিয় বা কপিরাইটযুক্ত অডিওর ওপর ভিত্তি করে বা মিল রেখে তৈরি করা যাবে না। অথবা কোনো ফ্রি লুপ বা স্যাম্পল দিয়ে তৈরি করা যাবে না। সব অডিও ৪৪.১ কি.হা. এবং ১৬ বিট স্টেরিও হতে হবে। WAV অথবা MP3 ফরমেটে ফাইল আপলোড করা যাবে। এমপিথ্রির ক্ষেত্রে ৩২০ কেবিপিএস বিট রেট হতে হবে। ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ১০ মিনিট হতে হবে। মূল অডিওর সাথে একটি প্রিভিউ অডিও (MP3 ফরমেটে) আপলোড করতে হবে। প্রিভিউ অডিওটি ক্রেতা কেনার আগে শুনতে পারবে, তবে এর সাথে সাইটের দেয়া একটি ওয়ারমার্ক সাউন্ড ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে যুক্ত করতে হবে।

০২. মিউজিক প্যাকস

এই ধরনের বিভাগে একসাথে সর্বোচ্চ ১০টি মিউজিক ট্র্যাক যুক্ত করে বিক্রি করা যাবে। ‘মিউজিক’ বিভাগে আপনার আপলোড করা কয়েকটি অডিও নিয়ে ‘মিউজিক প্যাক’ তৈরি করতে পারবেন। তবে একটি ট্র্যাককে একাধিক প্যাকে যুক্ত করতে পারবেন না। সব ট্র্যাকের মূল দৈর্ঘ্য ৩০ মিনিটের বেশি হতে পারবে না। প্রিভিউ অডিওতে সব ট্র্যাকের অংশবিশেষ যুক্ত করতে হবে।

০৩. সাউন্ড

এ বিভাগে গেমের সাউন্ড, কার্টুন সাউন্ড, ইন্টারফেস সাউন্ড, বাটন এবং মেনু সাউন্ড, প্রাকৃতিক সাউন্ড ইত্যাদি তৈরি করে আপলোড করা যায়। সাউন্ডগুলো সাধারণত কয়েক সেকেন্ডের একটি অডিও অথবা কয়েকটি সাউন্ডের একটি প্যাক হতে পারে। প্যাকে সর্বোচ্চ ৫০টি অডিও থাকতে পারে এবং সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটের হতে হবে।

০৪. সোর্স ফাইল

এই বিভাগে সাউন্ডের শুধু WAV বা MP3 ফাইল আপলোড না করে যে সফটওয়্যার দিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে তার সোর্স ফাইল বিক্রি করা যায়। উদ্দেশ্য, ক্রেতা এটিকে পরবর্তী সময়ে যাতে নিজের ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করতে পারে সেই সুযোগ দেয়া। যেসব সফটওয়্যারের সোর্স ফাইল বিক্রি করা যায়, এগুলো হলো Cubase, FL Studio, Logic Pro, Pro Tools, Reason এবং অন্যান্য।

০৫. লোগো অ্যান্ড আইডেন্ট

এই বিভাগে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতিমূলক মিউজিক হিসেবে অডিও বিক্রি করা যায়। এক্ষেত্রে ৩০ সেকেন্ডের একটি ট্র্যাক অথবা সর্বোচ্চ ১০টি ট্র্যাকের একটি প্যাক তৈরি করে আপলোড করা যায়।

প্রফেশনাল মিউজিক তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল অডিও ওয়ার্কস্টেশন বা DAW পাওয়া যায়। DAW বলতে শুধু কমপিউটারের সফটওয়্যারকেই বোঝায় না, এটি হচ্ছে কমপিউটার হার্ডওয়্যার, কমপিউটার সফটওয়্যার, অডিও ইন্টারফেস এবং পেরিফেরালের একটি সমন্বিত রূপ। জনপ্রিয় কয়েকটি ডিজিটাল অডিও ওয়ার্কস্টেশন অ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে- Ableton Live, ACID Pro, Ardour, Audition, Cubase, Digital Performer, FL Studio, Koblo, Logic Pro, Nuendo, Pro Tools, Reason, SONAR। এগুলোর কতগুলো বিনামূল্যে আর কতগুলো কিনে ব্যবহার করতে হয়।

শেখার জন্য Audiotuts+ নামে এনভাটোর একটি টিউটরিয়াল ব্লগ সাইট রয়েছে (http://audio.tutsplus.com)। এই সাইটে অডিও তৈরির বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যারের টিউটরিয়াল রয়েছে। সাথে অডিও রেকর্ড, তৈরি এবং ট্র্যাক মিক্স করার বিভিন্ন ধরনের টেকনিক শেখানো হয়, যা দিয়ে একজন নতুন ব্যবহারকারী ধীরে ধীরে দক্ষ হয়ে উঠতে পারবেন।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : zakaria.cse@gmail.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
পাঠকের মন্তব্য
১৩ ডিসেম্বর ২০১০, ৩:১২ AM
১৩ ডিসেম্বর ২০১০, ৩:১২ AM
খুব ভালো লাগলো
২৭ ডিসেম্বর ২০১০, ৩:১২ AM
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস