• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ফায়ারফক্সের নতুন সংস্করণ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: এস.এম. গোলাম রাব্বি
মোট লেখা:৭২
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - ডিসেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ইনটারনেট
তথ্যসূত্র:
ইন্টারনেট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ফায়ারফক্সের নতুন সংস্করণ


জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার মজিলা ফায়ারফক্সের কথা নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগই এখন এ ব্রাউজারটিতে অভ্যস্ত। সম্প্রতি মজিলা ফায়ারফক্সের নতুন সংস্করণ ফায়ারফক্স ৪.০ বেটা বেরিয়েছে। শিগগিরই এর পূর্ণ সংস্করণ বের হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ লেখায় মজিলা ফায়ারফক্সের নতুন সংস্করণের কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

ট্যাবের নতুন অবস্থান :

মজিলা ফায়ারফক্স ৪.০-এর ট্যাবের জন্য নতুন অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। বেশি কার্যকর ও স্বতঃস্ফূর্ত ব্রাউজিংয়ের উদ্দেশ্যে ট্যাবগুলোকে এখন সবচেয়ে ওপরের অবস্থানে রাখা হয়েছে।

ট্যাব সুইচিং :

ফায়ারফক্স ৪.০-এর অ্যাড্রেস বার থেকেই এখন এক ট্যাব থেকে অন্য ট্যাবে স্থানান্তরিত হওয়া যাবে। যেকোনো ট্যাবের অ্যাড্রেস বারের ইউআরএলসংলগ্ন পুল ডাউন চিহ্নে ক্লিক করলেই অন্যান্য ট্যাবের অ্যাড্রেস চলে আসবে এবং সংশ্লিষ্ট ট্যাবের অ্যাড্রেসে ক্লিক করে সেই ট্যাবে নেভিগেট করা যাবে।



ফায়ারফক্স বাটন :

এটি ফায়ারফক্স ব্রাউজারের এ সংস্করণে যুক্ত করা এক নতুন বাটন। ফায়ারফক্স বাটনের ব্যবহারে সব মেনু আইটেম সহজে অ্যাকসেস করা যাবে।

অ্যাপস ট্যাব :

ওয়েব মেইলের মতো এমন কিছু সাইট আছে যা সব সময় খুলে রাখা প্রয়োজন হয়। ফায়ারফক্সের অ্যাপস ট্যাব ওই সব সাইটকে ব্রাউজারে একটি স্থায়ী জায়গা দেবে।

সিনক্রোনাইজেশন :

মজিলা ফায়ারফক্স ৪.০ আপনার সব সেটিং, পাসওয়ার্ড, বুকমার্ক, হিস্ট্রি, উন্মুক্ত ট্যাব এবং অন্যান্য কাস্টমাইজেশন একাধিক ডিভাইসে সিনক্রোনাইজ করতে পারে, যাতে আপনি যেখানে খুশি সেখানে বসে ফায়ারফক্স ব্যবহার করতে পারেন।



ট্যাব অর্গানাইজেশন :

ফায়ারফক্সের এ নতুন সংস্করণে ব্রাউজারের ট্যাবগুলো সুন্দরভাবে অর্গানাইজ করার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে গ্রুপ আকারে একাধিক ট্যাবকে ড্র্যাগ করে রাখা যায়। এ ট্যাবগুলোকে মজাদার ও চাক্ষুস পদ্ধতিতে অর্গানাইজ করা যায়, নামকরণ করা যায় এবং সজ্জিত করা যায়।

অ্যাড-অন ম্যানেজমেন্ট :

ফায়ারফক্স ৪.০-এ যোগ হয়েছে অ্যাড-অনগুলো ম্যানেজ করার সহজ পদ্ধতিসহ আপনার ব্রাউজিং পার্সোনালাইজ করার জন্য নতুন নতুন অপশন।



ওয়েবএম এবং হাই ডেফিনিশন ভিডিও :

ফায়ারফক্স ৪.০-এ রয়েছে ওয়েবএম ফরমেট সাপোর্ট যাতে হাই ডেফিনিশন কোয়ালিটির ভিডিও দেখা যায়।

ত্রিমাত্রিক ওয়েব :

ত্রিমাত্রিক গ্রাফিক্স যোগ হয়েছে ফায়ারফক্সে যা ডেভেলপারদের জন্য বিভিন্ন ধরনের গেম তৈরি এবং নতুন নতুন ওয়েব অভিজ্ঞতা অর্জনের দরজা খুলে দিয়েছে।

দ্রুত স্ক্রলিং :

ফায়ারফক্স ৪.০-এ জটিল ওয়েবপেজগুলো খুব দ্রুত স্ক্রলিং করা যাবে।

সিএসএস থ্রি স্টাইল :

ক্যাসকেডিং স্টাইল শিট বা সিএসএস সম্পর্কে সব ওয়েব ডিজাইনারেরই ধারণা রয়েছে। ফায়ারফক্স ৪.০-এ রয়েছে সিএসএস থ্রি সাপোর্ট। যেমন-ট্রানজিশন এবং ট্রান্সফর্মেশন। এসব সুবিধার কারণে ওয়েবপেজগুলোতে চমৎকার সব অ্যানিমেশন যোগ করা যাবে।

আপগ্রেডিং ফর্ম:

ফায়ারফক্স ৪.০-এ যুক্ত হয়েছে ফর্ম ফিচার। যেমন- লিস্ট অ্যাট্রিবিউট এবং এইচটিএমএল ৫ ভ্যালিডেশন। এসব বৈশিষ্ট্য ফর্ম ইম্প্লিমেন্টেশন ডেভেলপমেন্টের জন্য খুব কার্যকর।

ওয়েব কনসোল :

আধুনিক সাইটগুলোর ওপর পরীক্ষামূলক বিশ্লেষণ চালিয়ে ফায়ারফক্স আজ যেকোনো ব্যবহারকারীকে ডায়নামিক ওয়েবপেজের সব সুবিধা উপভোগের সুযোগ করে দিচ্ছে।

হার্ডওয়্যার অ্যাক্সেলারেশন :

উইন্ডোজে ডিরেক্ট টুডি এবং ডিরেক্ট থ্রিডি এবং ম্যাকে ওপেনজিএল ব্যবহারের মাধ্যমে ফায়ারফক্স দ্রুত গ্রাফিক্স অ্যাক্সেলারেশনের অভিজ্ঞতা দেবে সবাইকে। বর্তমানে এগুলো সব হার্ডওয়্যারে সক্রিয় করা থাকে।



এইচএসটিএস :

ঝুঁকিপূর্ণ সাইটগুলো অর্থাৎ যেসব সাইট থেকে আপনার কমপিউটারে ইন্টারনেট শত্রু বা স্পর্শকাতর ডাটা আসতে পারে, সেসব সাইট ব্যবহারের জন্য ফায়ারফক্সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই সব সাইটের সার্ভারের সাথে নিরাপদ সংযোগ স্থাপনের পরামর্শ আসে। অর্থাৎ এইচটিটিপিএস প্রটোকল সংযোগ।

প্রাইভেসি রক্ষা :

ফায়ারফক্স ৪.০ আপনার প্রাইভেসি রক্ষা করতে সচেতন। ফলে যেকোনো দ্বিতীয় ব্যক্তিকে আপনার ব্রাউজিং হিস্ট্রি দেখা থেকে বিরত রাখতে পারবেন।

মাল্টিটাচ সাপোর্ট:

উইন্ডোজ ৭.০-এর জন্য ফায়ারফক্স ৪.০-এ রয়েছে মাল্টিটাচ সাপোর্ট। ফলে সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতিতে ব্রাউজারের সাথে interact করতে পারবেন।

বিস্ময়কর ফন্ট :

ফায়ারফক্স ৪.০-এর রয়েছে ওপেনটাইপ ফন্ট ফিচার, যা ডিজাইনার এবং ডেভেলপারদের বিভিন্ন বৈচিত্র্যের ফন্ট ফিচারের ওপর আরো নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়েছে। যেমন- চমৎকার ওয়েবসাইট তৈরির জন্য কার্নিং অথবা লিগেচার।

এইচটিএমএল ৫ সাপোর্ট:

ফায়ারফক্স ৪.০-এর রয়েছে একটি নতুন এইচটিএমএল ৫ পার্সার এবং ওয়েব অডিও, ভিডিও, ড্র্যাগ ও ড্রপ এবং ফাইল হ্যান্ডলিংয়ের জন্য সম্পূর্ণ সাপোর্ট। ফলে ফায়ারফক্সে আজ ও আগামী দিনের যেকোনো সর্বোত্তম ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন চালানো যাবে।

শেষ কথা

নিঃসন্দেহে মজিলা ফায়ারফক্স আজ স্বীকৃত ভালো ব্রাউজার। এর প্রতিটি নতুন সংস্করণে যোগ হয় নতুন নতুন সুবিধা এবং সমাধান হয় পূর্ববর্তী সংস্করণের সমস্যার। ফায়ারফক্স ৪.০-এর পূর্ণ সংস্করণ আসার আগেই জেনে নিন এই বেটা সংস্করণের অসুবিধাগুলো কী কী এবং কতটা চমকপ্রদ হবে এই নতুন সংস্করণ।


কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : rabbi1982@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
পাঠকের মন্তব্য
২০ জানুয়ারী ২০১১, ১১:০১ PM
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস