বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশেই যারা সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টিকে নিজেদের পেশা হিসেবে বেছে নিতে চাইছেন, তাদের কাছে এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিভাগ হচ্ছে এসইও তথা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। এর অবশ্য অনেক কারণ আছে। যেমন- যাদের কমপিউটারে দক্ষতা কম, কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসতে চান, তারা সাধারণত ডাটা এন্ট্রিকেই তাদের প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নেন। কারণ, এরা মনে করেন এই পেশায় শুধু নাম-ঠিকানা এন্ট্রি করলেই বুঝি হয়! কিন্তু বাস্তবে এখন ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো ঠিক সেভাবে আসে না। এখন ডাটা এন্ট্রি বলতে বুঝায় ক্যাপচা এন্ট্রি, ডকুমেন্ট কনভার্সন, ক্লাসিফাই অ্যাড লিস্ট এন্ট্রি, ওয়েব রিচার্জ, সাইনআপ এন্ট্রি, ইয়াহু আনসার, পোস্ট ডাটা ইন ওয়ার্ডপ্রেস সাইট, পোস্ট ডাটা ইন ব্লগ কিংবা ই-কমার্স ইত্যাদি। অতএব ডাটা এন্ট্রির কাজ আপাতদৃষ্টিতে যত সহজ মনে হয় প্রকৃতপক্ষে তত সহজ যে নয়, তা উপরের উদাহরণ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে আমাদের যে মেধা ও শ্রমের দরকার সেই একই মেধা ও শ্রমের বিনিময়ে আমরা খুব সহজেই এসইও’র কাজ করতে পারি। এক্ষেত্রে কাজের পারিশ্রমিকও ডাটা এন্ট্রির চাইতে অনেক বেশি।
অনেকেই ক্যারিয়ার হিসেবে ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টকে তাদের প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নেন। যাদের আগে থেকেই প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ধারণা আছে, তাদের জন্য এটা খুব একটা কঠিন কিছু না হলেও বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ কমপিউটার ব্যবহারকারী প্রোগ্রামিং বিষয়টিকে ভয় পান। তা ছাড়া বেশিরভাগ মানুষই কমপিউটারে তাদের সময় কাটান গান শুনে, ছবি দেখে, ইন্টারনেটে চ্যাটিং করে অথবা ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের টুকটাক কাজ করে। তাই হঠাৎ করে তাদেরকে যদি প্রোগ্রামিংয়ের জটিল বিষয়গুলো লেখানোর চেষ্টা করা হয়, তাহলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর তাই এ ধরনের কমপিউটার ব্যবহারকারীরা যাতে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন সেদিকে লক্ষ রেখে এ লেখা উপস্থাপন করা হয়েছে। আর এক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে-এসইও।
এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কী?
সোজা কথায় বলতে হলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হচ্ছে কোনো একটি ওয়েবপেজকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের (গুগল, ইয়াহু, বিং, এমএসএন, আসক) কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে উপস্থাপন করা, যাতে কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর কেউ সার্চ করলে অন্য ওয়েবসাইটকে পেছনে ফেলে সবার আগে ‘উত্তর সাইটটি’ প্রদর্শিত হতে পারে। লক্ষ করলে দেখা যাবে, কোনো সার্চ ইঞ্জিনে আমরা যখন একটি শব্দ দিয়ে সার্চ করি তখন সাধারণত ১০টির মতো ফলাফল প্রদর্শিত হয়। এই ফলাফলের মধ্যে যদি কোনো ভিজিটর তার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পান, তাহলে দ্বিতীয় পাতায় না গিয়ে শব্দ পরিবর্তন করে আবার অন্যভাবে অনুসন্ধানের চেষ্টা করা উচিত। তাই স্বভাবতই বলা চলে কোনো একটি ওয়েবসাইট কোনো এক বা একাধিক শব্দের বিপরীতে যদি শীর্ষ ১০ ফলাফলের ভেতরে থাকে তাহলে তার ভিজিটরের সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনিভাবে বাড়বে তার আয়ের সংখ্যাও।
labnol.org-এর হিসাব অনুযায়ী ১৮ কোটি ২০ লাখ ওয়েবসাইট বর্তমানে ইন্টারনেটে অবস্থান করছে এবং প্রতিনিয়তই এই সংখ্যা বেড়ে চলছে। এর অর্থ হচ্ছে এই বিপুল সংখ্যক ওয়েবসাইটের ওনার বা মালিকেরা চান তাদের ওয়েবসাইটটি যাতে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম দশে থাকতে পারে, আর এর জন্য টাকা খরচ করতেও তাদের কোনো কুণ্ঠাবোধ নেই।
এসইও কত ধরনের
এসইও ২ ধরনের। যথা- ‘অন পেজ এসইও’ এবং ‘অফ পেজ এসইও’। এগুলোকেও আবার বিভিন্ন উপভাগে ভাগ করা যায়।
একটি ওয়েবসাইডের ভেতরে অন এবং অফ পেজ এসইও’র মধ্যে পরিসংখ্যান তুলনা করলে দেখা যায় শতকরা ৭৫ ভাগ কাজই অন পেজ সংশ্লিষ্ট, আর বাকি শতকরা ২৫ ভাগ অফ পেজ সম্পর্কিত। তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাইডগুলোতে যারা কাজ করেন, তাদের কাজের ৮০ শতাংশই অফ পেজসংশ্লিষ্ট। কারণ, অন পেজ এসইও’র কাজ যেহেতুওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের সাথে জড়িত, তাই ভালো মানের ওয়েব ডিজাইন প্রতিষ্ঠানগুলো এ কাজের বেশিরভাগ অংশই তার ক্লায়েন্টকে করে দেয়। বাংলাদেশে অবশ্য এই ধারা এখনও খুব একটা গড়ে ওঠেনি। যদিও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ইদানীং এ বিষয়টির ওপর লক্ষ রেখে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে, তবে তা হাতেগোনা।
নিচে অন পেজ ও অফ পেজ এসইও’র বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
অন পেজ
ডব্লিউ থ্রি কমপ্লায়েন্স :
W3 অর্থ হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কনসোর্টিয়াম। এটি একটি আন্তর্জাতিক কমিউনিটি, যেখানে বিভিন্ন পেশা ও সংস্থার লোকজন একসাথে মিলিত হয়ে ওয়েবের একটি প্রমিত মান বা স্ট্যান্ডার্ড গঠন করার কাজে নিয়োজিত। এরা এখানে একটি ওয়েবসাইট ভালোভাবে কাজ করার জন্য বিভিন্ন গাইডলাইন ও প্রটোকল তৈরি করেন। যখন কোনো ওয়েবপেজ তৈরি করতে যাব, তখন যেনো এই গাইডলাইন মোতাবেক তা তৈরি করা হয়, সেদিকে যেমন লক্ষ রাখতে হবে, ঠিক তেমনি যাতে কোনো এইচটিএমএল ধরনের ‘এরর’ পেজে না থাকে, তাও লক্ষ রাখতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে খুব সহজেই এ জাতীয় ওয়েবপেজ তৈরি করা যায়। আপনি খুব সহজেই W3c’s Validator টুল ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটকে পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন। ঠিকানা-http ://validator.w3.org
Head Tags : Head Tags-কে ৩ ভাগে ভাগ করা যায় :
টাইটেল ট্যাগ :
Title Tag হচ্ছে সেই ট্যাগ, যা গুগল তার সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্টে প্রদর্শন করে। একে সংক্ষেপে SERPS বলা হয়। আপনি যদি টাইটেল ট্যাগ পেজে সেট করতে চান, তাহলে তা অবশ্যই ৬৪ ক্যারেক্টারের ভেতরে হতে হবে এবং এর মধ্যে আপনার প্রাইমারি ‘কীওয়ার্ড’ থাকতে হবে।
ডেসক্রিপশন মেটা ট্যাগ :
আমরা যখন গুগল, ইয়াহু বা বিং সার্চ ইঞ্জিনে কোনো কীওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করি, তখন টাইটেলের সাথে সাথে নিচে ওয়েবসাইটের একটি ছোট Description প্রদর্শিত হয়, যা দেখে আমরা বুঝতে পারি সাইটটির ভেতরে আসলে কোন ধরনের তথ্য আছে। এই বিবরণীতে অবশ্যই প্রাইমারি কীওয়ার্ডটি সংযুক্ত থাকতে হবে। ভাষা হতে হবে সুশৃঙ্খল, সহজপাঠ্য ও ১৬০ ক্যারেক্টারের ভেতরে।
কীওয়ার্ড মেটা ট্যাগ :
কীওয়ার্ড মেটা ট্যাগ কতগুলো সম-ধরনের শব্দের সমষ্টি, যা সাধারণত ওয়েবসাইটকে বা তার কোনো একটি পেজকে rank বাড়াতে সাহায্য করে। এটি অবশ্যই কনটেন্টসংশ্লিষ্ট হতে হবে।
এইচটিএমএল স্ট্রাকচার :
আপনি যদি ওয়েবসাইটকে ওয়ার্ডপ্রেস বা জুমলা দিয়ে তৈরি করেন, তাহলে এইচটিএমএলের গঠন আনুপাতিক হারে সুন্দর হবে। এক্ষেত্রে আপনার দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তবে যদি তা না করেন তাহলে-Div tag ব্যবহার করুন ছক সংহত করতে। লেখাকে বোল্ড করতে শক্তিশালী ট্যাগ ব্যবহার করুন।
কখনই সিএসএস ব্যবহার করে কোনো কনটেন্ট লুকাতে যাবেন না।
হেডিং ট্যাগ :
এর মানে হচ্ছে, আপনি পেজে মোটা বড় বড় হরফে যে টাইটেলগুলো বসান তাই হেডিং ট্যাগ হিসেবে ব্যবহার হয়। এগুলোকে H1, H2, H3—H6 হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। H1 মানে হচ্ছে সবচেয়ে বড় হেডিং, এর পর H2 হচ্ছে তারচেয়ে আকারে ছোট হেডিং এবং এভাবে H6। তবে একটি কথা মনে রাখতে হবে, H1 হেডিং একটি পেজে একবারই ব্যবহার হয়। আপনার প্রাইমারি কীওয়ার্ড অবশ্যই এসব হেডিংয়ে ব্যবহার করতে চেষ্টা করবেন।
ইউআরএল স্ট্রাকচার :
যখন ডোমেইন নেম কিনতে যাবেন, তখন চেষ্টা করবেন যাতে আপনার প্রাইমারিতে যে কীওয়ার্ড থাকবে এর সাথে সংশ্লিষ্ট একটি ডোমেইন নেম কিনতে। এসইও-সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট তৈরিতে এটি অনেক সাহায্য করবে। আপনার ইউআরএলগুলো যাতে সবাই পড়তে পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। embac.org/phpbb/ucp.php? mode=privacy&sid=3224af141 26e3ddc74afb0dc59d87047-এটি হিউম্যান রিডেবল কোনো লিঙ্ক নয়, অর্থাৎ মানুষের পক্ষে এই লিঙ্ক পড়া ও বোঝা বেশ কঠিন। পাশাপাশি এই লিঙ্কটি দেখুন-www.ascentseo.co.nz/about-us
ইনবাউন্ড লিঙ্ক :
ইনবাউন্ড লিঙ্ক হচ্ছে আপনার নিজের এক পেজের সাথে আরেক পেজের লিঙ্কআপ করা। অর্থাৎ নির্দিষ্ট কিছু কীওয়ার্ডের মাধ্যমে একটি ওয়েবপেজের এক পেজের সাথে অপর একটি পেজের যে অভ্যন্তরীণ সংলাপ, তাকে ইনবাউন্ড লিঙ্ক বলে। ইনবাউন্ড লিঙ্কের সবচেয়ে বড় উদাহারণ হচ্ছে-http ://www.wikipedia.org
অল্ট ট্যাগ :
সব সময় মনে রাখতে হবে, সফটওয়্যার কখনও কোনো ছবি বা ইমেজ বুঝতে পারে না। কারণ, তার চোখ নেই। সার্চ ইঞ্জিনও যেহেতু একটি সফটওয়্যার ছাড়া আর কিছু নয়, তাই তার পক্ষেও বোঝা সম্ভব নয় ছবিটি মানুষের ছবি না বিড়ালের। কিন্তু গুগলের ইমেজ সার্চে গিয়ে যদি Dog লিখে সার্চ দেন, তাহলে দেখতে পাবেন ওখানে যে ছবিগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে, সবই কুকুরের ছবি। এটা সম্ভব হয়েছে অল্ট ট্যাগের কারণে। আপনি যদি আপনার পেজে ছবি সংযুক্ত করতে চান, তাহলে অবশ্যই সেই ছবির একটি নাম দিতে হবে এবং সেটি যদি আপনার কীওয়ার্ডসংশ্লিষ্ট রিলেটেড হয়, তাহলে তা আরও ভালো। ছবির নামটা যে স্থানে বসাতে হয় তাকে “alternative text” বা ALT Tag বলে।
কনটেন্ট
ডুপ্লিকেট কনটেন্ট :
একটি বিষয়ে সব সময় বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, তা হচ্ছে ডুপ্লিকেট কনটেন্ট। অর্থাৎ সাইটে যাই টেক্সট আকারে দেন না কেন, তা যেনো আসল অর্থাৎ অরিজিনাল হয়। চুরি করা বা কোনো জায়গা থেকে ধার করা কিছু দিয়ে যদি সাইটটি পূর্ণ করে ফেলেন, তাহলে এটি গুগলের কাছে খুব বাজে একটি বিষয় হিসেবে উপস্থাপিত হবে এবং গুগল কখনই ডুপ্লিকেট কনটেন্ট পছন্দ করে না।
কীওয়ার্ড ডেনসিটি
প্রাইমারি কীওয়ার্ড অযথা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ, কোনো সার্চ ইঞ্জিনই অযথা কীওয়ার্ডের ব্যবহার পছন্দ করে না। এক্ষেত্রে গুগলের নিয়ম ১০০টি ওয়ার্ড থাকলে সর্বোচ্চ ৩ বার কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্য ইয়াহু বা বিং একটু নমনীয়। তাদের নিয়মানুযায়ী এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪/৫ বার প্রাইমারি keyword ব্যবহার করা যাবে।
কীওয়ার্ড ডেনসিটি বা ঘনত্ব মাপতে হলে এই সাইটটির সাহায্য নিতে পারেন-http://bryan-wain.com/keyword-density
সাইটম্যাপ
সাইটম্যাপ দুই ধরনের। যেমন-ভিজ্যুয়াল সাইটম্যাপ এবং এক্সএমএল সাইটম্যাপ।
ভিজ্যুয়াল সাইটম্যাপ :
এটি একটি সাধারণ পেজ, যেখানে সাধারণত পুরো ওয়েবপেজের লিঙ্কগুলো যুক্ত থাকে।
এক্সএমএল সাইটম্যাপ :
প্রথমে ওয়েবপেজের বিস্তারিত বর্ণনা একটি এক্সএমএল ফাইলে লিপিবদ্ধ করতে হবে। এটি করতে হলে http://www.xml-sitemaps.com সাইটটির সহায়তা নিতে পারেন। এক্সএমএল সাইটম্যাপ তৈরি করার পর তা গুগলের ওয়েবমাস্টার টুল নামের সাইটে সাবমিট করতে হবে। সাইটটির ঠিকানা:www.google.com/webmasters/tools
Robots.txt :
একটি বড় ওয়েবসাইটের সব পেজ সাইটের মালিকের প্রয়োজন নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে Robots.txt হচ্ছে একটি কার্যকর সমাধান। Robots.txt-এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনকে বলে দেয়া হয় কোন পেজ সে ইনডেক্সিং করবে, আর কোন পেজ করবে না।
অফ পেজ সিইও
অফ পেজ সিইও’র পুরো বিষয়টিই প্রধানত Backlink- নির্ভর। তাই আমাদের জানা দরকার ব্যাকলিঙ্ক কী?
ব্যাকলিঙ্ক :
একটি ওয়েবসাইটের কোনো পৃষ্ঠায় যদি অন্য একটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক থাকে, তাহলে দ্বিতীয় সাইটের জন্য এই লিঙ্ককে বলা হয় ব্যাকলিঙ্ক। একটি ওয়েবসাইটের ব্যাকলিঙ্ক যত বেশি থাকবে, পেজ র্যালঙ্ক বাড়ার ক্ষেত্রেও তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ব্যাকলিঙ্ক বাড়ানোর অনেক পদ্ধতি রয়েছে, যেগুলো পর্যায়ক্রমে নিচে বর্ণনা করা হলো :
ব্লগ পোস্ট :
বিভিন্ন ব্লগ সাইটে গিয়ে আমরা আমাদের লিঙ্ক দিয়ে আসতে পারি। তবে শর্ত হচ্ছে ব্লগ সাইটগুলো অবশ্যই Dofollow হতে হবে।
প্রোফাইল লিঙ্ক :
ওয়েবে হাজার হাজার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ফোরাম আছে। আমরা এসব সাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন শেষ করে কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে প্রোফাইল তৈরির মাধ্যমে আমাদের ওয়েবসাইটের Link up করতে পারি।
বুকমার্কিং:
আমাদের আশপাশে অসংখ্য সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট আছে। এসব সাইটে গিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটের লিঙ্ক ও বর্ণনা দেয়ার মাধ্যমে বুকমার্কিং করার লিঙ্কআপ করতে পারি।
আর্টিকেল ডিস্ট্রিবিউশন :
নেটে হাজার হাজার আর্টিকেল সাইট রয়েছে। যেখানে আমরা আমাদের সাইট অথবা অন্য যেকোনো বিষয়ের ওপর আর্টিকেল লিখে তার সাথে লিঙ্ক করে ব্যাকলিঙ্কের কাজ করতে পারি।
ডাইরেক্টরি সাবমেশিন :
বিভিন্ন ডাইরেক্টরি সাইটে আপনার সাইটটি অন্তর্ভুক্ত করে লিঙ্কআপের কাজটি করতে পারেন।
লিঙ্ক এক্সচেঞ্জ :
অন্য একটি সাইটের সাথে আপনার লিঙ্ক বিনিময়ের মাধ্যমেও ব্যাকলিঙ্কের সংখ্যা বাড়াতে পারেন। এর জন্য বেশ ভালো একটি সাইট হচ্ছে-http://www.link-exchange.ws
.EDU Link :
সার্চ ইঞ্জিনগুলো .EDU লিঙ্ক খুব পছন্দ করে, তাই অন্য যেকোনো সাধারণ সাইটের ব্যাকলিঙ্ক থেকে .EDU যুক্ত লিঙ্ক যত বেশি সম্ভব দেয়ার চেষ্টা করতে হবে।
লিঙ্কহুইল :
এটি খুব বেশি পেজ র্যা ঙ্কযুক্ত। ওয়েবসাইটে দুটি লিঙ্কের ভেতরে একটি থাকবে আপনার সাইটের লিঙ্ক এবং অপরটি থাকবে তারই সমপর্যায়ের র্যােঙ্কযুক্ত ওয়েবসাইটের লিঙ্ক। এখন সমপর্যায়ের অপর সাইটেও অনুরূপ ২টি লিঙ্ক থাকবে, যার একটি আপনার সাইটের এবং অপরটি তারই সমপর্যায়ের আরেকটি সাইটের। এভাবে শেষের যে সাইটটি আসবে তা আবার যুক্ত হবে প্রথমটির সাথে। চক্রাকারে এভাবে যে লিঙ্ক তৈরি হয়, তাকে Linkwheel বলে। পাশের ছবি দেখলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে-
লিঙ্কহুইল টেকনিক ব্যবহারের ফলে একটি ওয়েবপেজ অতি দ্রুত র্যা ঙ্কিংয়ে প্রথম দিকে চলে যায়।
এ ছক ২৮-০৪-১১ তারিখে পাওয়া ডাটার ভিত্তিতে তৈরি করা
সাইট আন্তর্জাতিক কর্মী বাংলাদেশী কর্মী
ওডেক্স--------------২৪,৭৩৯--------------৪,৩৭৬
ইল্যান্স---------------৪,৩৮২-----------------৫৫৮
গুরু-------------------৬,৭১৬------------------৯৯
ফ্রিল্যান্সার---------১,১৩,০৭৮-------------৩,৭৬৬
ভিওয়ার্কার ------------১,৩৯৩----------------৩৪৫
পিপলপারআওয়ার-----৮,৭৩০----------------১২৮
এখান থেকে বোঝা যায়, আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে এসইও কর্মীরা সবেমাত্র প্রবেশ করতে শুরু করেছেন। এই প্রবেশের মাত্রা আরও বাড়াতে হবে। তবে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং কর্মী তৈরির ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আমাদের চোখে পড়ছে না। যা হচ্ছে তা বেসরকারি পর্যায়ে বিক্ষিপ্তভাবে।
............................................................................................................
সাক্ষাৎকার
ধৈর্য না হারিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে
সাহেদুর রহমান হীরা : আপনি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার কীভাবে শুরু করলেন?
মো. লিটন :
শুরুটা বেশ কঠিন ছিল। আমি যখন ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্যারিয়ার শুরু করি তখন সবেমাত্র অন্যরা এই বিষয়গুলো জানতে শুরু করেছেন। তাই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার মতো তেমন কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল। এ বিষয়ে হীরা স্যার আমাকে খুবই সাহায্য করেছেন। তাছাড়া নিজের আগ্রহ ছিল প্রচুর। আসলে এভাবেই শুরু।
সাহেদুর রহমান হীরা : নতুনেরা এ পেশায় কীভাবে আসতে পারবে?
লিটন :
নতুনদের এ পেশায় আসতে হলে আগে তাকে মানসিকভাবে প্রস্ত্তত হতে হবে। কারণ, প্রথম দিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাজ পেতে দেরি হয়। এতে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন। কিছুদিনের মধ্যে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এর ফলে তার পক্ষ আর সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। তাই ধৈর্য না হারিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তা ছাড়া এ পেশায় জড়িত অভিজ্ঞ কেউ কাছাকাছি থাকলে নিজের ভুল কোথায় হচ্ছে, তা বুঝে নিয়ে দ্রুত সমাধানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
সাহেদুর রহমান হীরা : এসইও’র ক্ষেত্রে সাধারণত আপনি কী ধরনের কাজ বেশি করে থাকেন?
লিটন :
সব ধরনের কাজই করি। তবে বেশি পরিমাণে যে কাজটি করা হয়, তা হলো ফোরাম পোস্টিংয়ের কাজ।
সাহেদুর রহমান হীরা : আপনার কাছে এ পেশার সমস্যাগুলো কী কী?
লিটন :
এ পেশায় সমস্যা খুব একটা নেই। কারণ, এখন নেট স্পিড আগের তুলনায় অনেক ভালো, তা ছাড়া ল্যাপটপের মাধ্যমে কাজ করলে ভালো।
............................................................................................................
ফ্রিল্যান্সার সাক্ষাৎকার : থ্রিডি ডিজাইনার
আউটসোর্সিংয়ে থ্রিডি কাজের রয়েছে ব্যাপক সম্ভাবনা। যত দিন যাচ্ছে ভিডিও গেম এবং থ্রিডি অ্যানিমেটেড মুভিগুলো আরো বাস্তবসম্মত হয়ে উঠছে, যা খুব সহজেই সব বয়সের মানুষের মন জয় করে নিচ্ছে। এ শিল্পে খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন থ্রিডি কাজের চাহিদা তৈরি হচ্ছে। গেমস বা মুভি ছাড়াও স্থাপত্যে থ্রিডি কাজের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। প্রায় সব জনপ্রিয় আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসে থ্রিডি অ্যানিমেশন, থ্রিডি মডেলিং, থ্রিডি রেন্ডারিং ইত্যাদি কাজ পাওয়া যায়। আয়ের দিক থেকে এ ধরনের কাজগুলোতে অন্যান্য আউটসোর্সিং ক্ষেত্র থেকে বেশি মূল্য পাওয়া যায়। যেসব সফটওয়্যার দিয়ে থ্রিডি কাজ করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- মায়া, থ্রিডিএস ম্যাক্স, সিনেমা ফোরডি, জেডব্রাশ, ব্লেন্ডার পসার ইত্যাদি।
বাংলাদেশের থ্রিডি ডিজাইনারেরাও আউটসোর্সিংয়ে খুব দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। থ্রিডি কাজে সফলতা পেয়েছেন এরকম একজন ফ্রিল্যান্সার হচ্ছেন মো. এহসানুল ইসলাম। তিনি সিলেটে থাকেন। গত ১০ বছর থেকে থ্রিডিভিত্তিক নানা ধরনের কাজ করছেন। প্রথমদিকে মূলত দেশী ক্লায়েন্টদের কাজ করতেন। বর্তমানে নিয়মিতভাবে আউটসোর্সিংয়ের কাজগুলো করছেন। ছোটবেলা থেকেই থ্রিডি গেমের প্রতি আকর্ষণ ছিল মো. এহসানুল ইসলামের, সেই থেকে থ্রিডি কাজ করার প্রতি আগ্রহ জন্মে। ১৯৯৮ সালের দিকে থ্রিডি ম্যাক্স শেখা শুরু করেন। সেসময় ইন্টারনেট সহজলভ্য ছিল না, শুরুটা করেছিলেন বই পড়েই। পরে ইন্টারনেট থেকেই মূল দক্ষতা অর্জন করেন। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি কাজ করেছেন থ্রিডি মডেলিং, অ্যানিমেশন, ক্যারেক্টার অ্যানিমেশন, ফ্লুয়িড সিমুলেশন, রিজিড বডি ডাইনামিক্স, ল্যান্ডস্ক্যাপিংয়ের ওপর। বর্তমানে আর্কিটেকচারাল ভিজ্যুয়ালাইজেশন অর্থাৎ ইন্টেরিয়র, এক্সটেরিয়র মডেলিং ও ভিজুয়ালাইজেশনের কাজ করতেই স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করেন। থ্রিডি কাজে নিজের সফলতা এবং এ কাজের সম্ভাবনা নিয়ে এহসানুল ইসলামের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো: জাকারিয়া চৌধুরী।
জাকারিয়া : আপনি কত দিন থেকে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছেন?
এহসান :
থ্রিডির কাজ অনেক দিন থেকে করলেও আউটসোর্সিংয়ের কাজগুলো মূলত ২-৩ বছর ধরেই করছি।
জাকারিয়া : আপনি কীভাবে কাজ পেয়ে থাকেন?
এহসান :
দেশে আমি মূলত আর্কিটেকচারাল কনসালটেন্সি ফার্ম আর ডেভেলপারদের কাছ থেকে কাজ পাই। আমাদের দেশেও বর্তমানে এই ফিল্ডে অনেক কাজ আছে। ইন্টারনেটে প্রায় সব জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেমন freelancer.com, odesk.com ইত্যাদি সাইটে এ ধরনের কাজ পাওয়া যায়। তবে এসব সাইট থেকে নতুনদের জন্য প্রথম দিকে কাজ পাওয়াটা তুলনামূলকভাবে কঠিন। গ্রাফিক্সের কাজ আরেকভাবে পাওয়ার উপায় রয়েছে, যা আমাদের দেশের বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সারেরা হয়ত খেয়াল করেন না। এটি হচ্ছে নামীদামী কোনো সাইটে নিজের কাজের একটি ভালো পোর্টফলিও তৈরি করে রাখা। এ ধরনের একটি জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে cgsociety.org। আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে নিজের কাজগুলো বিভিন্ন ফোরামে নিয়মিত পোস্ট করা। এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে ক্লায়েন্ট নিজে থেকেই কাজের প্রস্তাব জানায়। cgsociety.org সাইটে আমার একটি পোর্টফলিও আছে এবং এই সাইট থেকে আমি সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইউরোপের কয়েকজন নিয়মিত ক্লায়েন্ট পেয়েছি। তাছাড়া jobs.cgarchitect.com সাইট থেকেও আমি আউটসোর্সিংয়ের কাজ পেয়ে থাকি।
জাকারিয়া : একটি প্রজেক্টে গড়ে কত মূল্য পাওয়া যায়? কোন পদ্ধতিতে টাকা পেয়ে থাকেন?
এহসান :
প্রতিটি প্রজেক্টে গড়ে ৬০০ থেকে ৮০০ ডলার পাওয়া যায়। আর্কিটেকচারাল ভিজ্যুয়ালাইজেশনের কাজ থেকে অ্যানিমেশনের কাজের থেকেও অনেক বেশি অর্থ পাওয়া যায়। পেপাল না থাকার কারণে আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সারদের অনেক অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয়। তবে আমি বেশিরভাগ পেমেন্ট ‘ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন’ মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে পেয়ে থাকি।
জাকারিয়া : একটি কাজ করতে আপনার কতদিন সময় লাগে?
এহসান :
এটা আসলে অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। অনেক সময় ক্লায়েন্টকে প্রাথমিক কাজ দেখানোর পর কিছু পরিবর্তন করতে হয়। তবে গড়ে ৩ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। অ্যানিমেশনের কাজে আরও বেশি সময় লাগে।
জাকারিয়া : কাজ করতে কোনো ধরনের সমস্যার মুখোমুখি কখনো হয়েছেন কি?
এহসান :
প্রধানত ইন্টারনেটের গতিই বড় সমস্যা। আমাদের দেশের ইন্টারনেটের আপলোড করার গতি এত কম যে অনেক সময় ক্লায়েন্টকে রিয়েল টাইম প্রেজেন্টেশন দেয়া যায় না। ইন্টারনেটের চার্জও আমাদের দেশে অনেক বেশি। তাছাড়া লোডশেডিংয়ের জন্যও আমার কয়েকবার ডেডলাইন মিস হয়েছে। অর্থ স্থানান্তরের সমস্যাটাও অনেকের জন্য বড় হয়ে দেখা দেয়।
জাকারিয়া : নতুনেরা কীভাবে এ ধরনের কাজগুলো শিখতে পারে?
এহসান :
শেখার জন্য ইন্টারনেটে পাওয়া টিউটোরিয়ালগুলো সবচেয়ে ভালো। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে আজকাল ভিডিও টিউটোরিয়াল অনলাইনে পাওয়া যায়। থ্রিডি ম্যাক্সের সাথে দেয়া ভিডিও টিউটোরিয়ালগুলো থেকে প্রাথমিক সম্পর্কে জানতে হবে। এছাড়াও আজকাল ‘3D Total Training’, ‘Digital Tutors’, ‘CG Academy Tutorials’, ‘Gnomon Workshop’ ইত্যাদি সিরিজের বিখ্যাত টিউটোরিয়াল পাওয়া যায় আমাদের দেশেই। ঢাকার ইস্টার্ন প্লাজায় এসব টিউটোরিয়ালের ডিভিডি পাবেন।
জাকারিয়া : নতুনদের জন্য আপনার পরামর্শগুলো কী কী?
এহসান :
ভালো করে কাজ শিখুন। ইন্টারনেটে সব বিষয়ের ওপরই অনেক টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়, সেগুলো দেখে নিন। বিভিন্ন জনপ্রিয় ফোরামে আপনার কাজগুলো পোস্ট করুন। দেখুন অন্যরা কী মন্তব্য দেয় এবং কাজকে সেভাবে পরিবর্তন করে নিন। অন্যান্য প্রফেশনাল আর্টিস্টদের সাথে নিজেকে তুলনা করুন, তাদের কাজের কাছাকাছি আউটপুট দেয়ার চেষ্টা করুন। দেখবেন, এক সময় আপনার কাজও বিশ্বমানের হয়ে গেছে। আর ইংরেজিতে কিছুটা দক্ষতা থাকলে কাজ পেতে তা সবসময় সহায়তা করবে।
জাকারিয়া : থ্রিডি কাজে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনাগুলো কী?
এহসান :
বর্তমানে একাই এ কাজগুলো করি। নিজের বাসায় অনেককে ব্যক্তিগতভাবে প্রশিক্ষণও দিই। কাজের পরিমাণ বাড়লে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করার ইচ্ছে আছে। আর ভবিষ্যতে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করারও ইচ্ছে রয়েছে।
মো. এহসানুল হকের সাথে যোগাযোগের ই-মেইল ঠিকানা হচ্ছে : ehsan.cgfx@gmail.com
এবং পোর্টফলিও হচ্ছে http://freelancercg.cgsociety.org/gallery।
............................................................................................................
‘প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই একজন ফ্রিল্যান্সার গড়ে তোলা সম্ভব’
মো. সুমন
প্লাটফরম : ওডেক্স
মোট শ্রমঘণ্টা : ৩৫০০
মোট অ্যাকাউন্ট : ২
হীরা : আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার কীভাবে শুরু করলেন?
সুমন :
প্রথমে কমপিউটার জগৎ পত্রিকায় জাকারিয়া ভাইয়ের একটি লেখা পড়ে এ বিষয়ে জানতে পারি। তখন আমি কুষ্টিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের ছাত্র। কিছুদিন পর ঢাকায় এসে আইডিবি ভবন থেকে হীরা স্যারের একটি ক্যাসেটের মাধ্যমে বিষয়গুলো সম্পর্কে আরও জানতে পারি। পরে তার হাত ধরেই আমার ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু।
হীরা : নতুনেরা এই পেশায় এলে কীভাবে আসবে?
সুমন :
আমি মনে করি, এ পেশায় প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই একজন সত্যিকারের ফ্রিল্যান্সার গড়ে তোলা সম্ভব। বিক্ষিপ্তভাবে কিছু বিষয় জেনে এই ক্যারিয়ার শুরু করা ঠিক নয়। তাহলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
হীরা : এসইও’র ক্ষেত্রে সাধারণত আপনি কী ধরনের কাজ বেশি করে থাকেন?
সুমন :
আমি সাধারণত Forums Posting-এর কাজ বেশি করে থাকি।
হীরা : আপনার কাছে এই পেশার সমস্যাগুলো কী কী?
সুমন :
প্রধান সমস্যা হচ্ছে PAY PAL, কারণ বয়ারেরা যখন একজনকে দিয়ে অনেক দিন কাজ করান, তখন এরা আর ফ্রিল্যান্সিং সাইডগুলোর মাধ্যমে কাজ অব্যাহত রাখতে চান না। সরাসরি আমাদেরকে পেমেন্ট দিতে চান। কারণ ফ্রিল্যান্সিং সাইডগুলো বায়ারদের কাছ থেকে মোটা অংকের চার্জ কেটে রাখে। এরা পছন্দ করে PAY PAL এর মাধ্যমে পেমেন্ট দিতে, কিন্তু আমাদের এখানে এটি এখনও চালু হয়নি।
কজ ওয়েব