স্টাফ রিপোর্টার
আগামী ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি তথা বিসিএসের ২০১২-১৩ মেয়াদের নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন। একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে এ মেয়াদের জন্য এ সমিতির অন্যান্য শাখা কমিটির নির্বাচন। সমিতি সূত্রমতে, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন। এ নির্বাচনে সমিতির ৬৮৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
নির্বাচনী তফসিল অনুসারে গত ২২ নভেম্বর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। তফসিল মোতাবেক ২৪ নভেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়। প্রার্থী পরিচিতি সভা ছিল ৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনের দিন সকাল ১০টায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে। শেষ হবে বিকেল ৪টায়। একই দিনে ভোট গণনা ও ফল ঘোষণার কথা রয়েছে। এ নির্বাচন শেষে পদ বণ্টনের কাজ চলবে ১৭ ডিসেম্বর। ফল সম্পর্কে আপত্তি জানানোর শেষ সুযোগ ১৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ফল সম্পর্কিত আপত্তির শুনানি ও নিষ্পত্তির দিন নির্ধারিত হয়েছে ২০ ডিসেম্বর।
জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করার জন্য ১৬ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরা হচ্ছেন : মোস্তাফা জববার, মো: ফয়েজ উল্লাহ খান, মো: মঈনুল ইসলাম, এটি শফিকউদ্দিন আহমেদ, মজিবুর রহমান স্বপন, শাহিদ-উল-মুনির, কাজী শামসুদ্দিন আহমেদ লাভলু, বিএম ইনাম লেনিন, আক্তার হোসেন খান, জাবেদুর রহমান শাহিন, নাজমুল আলম ভূঁইয়া জুয়েল, মজহার ইমাম চৌধুরী, মো: মোস্তাফিজুর রহমান, এসএম ওয়াহিদুজ্জামান, মো: আহসান হাবিব ও আব্দুল মমিন খান।
এবারের নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন স্বদেশ রঞ্জন সাহা। এ বোর্ডের সদস্য থাকছেন দু’জন : খন্দকার আতিক-ই-রববানী ও এএইচএম মাহফুজুল আরিফ। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন আখতারুজ্জামান মঞ্জু। আপিল বোর্ডের দুই সদস্য হচ্ছেন এস কবির আহমেদ ও মো: কামরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, সুপরিচিত ব্যবসায়ী পেশাজীবী এসএম কামাল প্রথম বাংলাদেশ কমপিউটার শিল্প খাতের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ভেন্ডরদের সমন্বয়ে একটি সমিতি গড়ে তোলার ধারণা নিয়ে আসেন। সে সূত্রেই ১১ সদস্যের একটি অ্যাডহক কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে ১৯৮৭ সালে সূচনা ঘটে বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির অভিযাত্রা। এসএম কামালকে মনোনীত প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আফতাবুল ইসলামকে উপ-সভাপতি করে গঠিত হয় সমিতির ১৯৮৭-১৯৯১ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি। এ কমিটির সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন মঈন খান।
১৯৯১ সালের দিকে এসে একটি খসড়া ‘মেমোরেন্ডাম অ্যান্ড আর্টিক্যাল অব অ্যাসোসিয়েশন’ প্রণীত হয়। এপর এর বাংলা অনুবাদ সংস্করণ প্রকাশ করা হয়। এর সাথে বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধানের সাথে সমন্বয় সাধন করা হয়।
বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি দেশের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ভেন্ডরদের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত ও নিবন্ধিত সমিতি। এটি দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের একমাত্র সমিতি বলেও স্বীকৃত। এটি দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সমিতি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ‘এ’ ক্যাটাগরির সদস্য। বিসিএস আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ডব্লিউআইএসটিএ এবং অ্যাসোসিও’র সাথে যুক্ত।
১৯৮৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বিসিএস চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশের কমপিউটার ভেন্ডরদের একটি প্ল্যাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ রাখতে এবং তাদের সম্ভাব্য সব ধরনের উৎসাহ যোগানোর মাধ্যমে তাদের অভিন্ন স্বার্থরক্ষার করে চলতে। এটি এখন তাদের সুরক্ষা দেয়ার অন্যতম প্রতিষ্ঠানে পরিণত। সমিতি সরকারের সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে দেশে আইসিটি সম্পর্কে সব স্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য। এজন্য সমিতি ঢাকাসহ বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সচেতনতামূলক নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। বিসিএস সেই সাথে কাজ করে যাচ্ছে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য।
কজ ওয়েব