(পর্ব : ২)
গত সংখ্যায় ওডেস্কে কাজ পাওয়ার জন্য প্রোফাইল কমপ্লিটনেসের অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। এবার মাই টেস্ট সেকশন এবং কভার লেটার লেখার কিছু সাধারণ নিয়ম ও কাজ পাওয়ার কিছু বিশেষ টিপ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
মাই টেস্ট পরিচিতি
এখানে আপনি কাজের ধরন অনুসারে বিভিন্ন টেস্ট দিতে পারেন। টেস্টগুলোতে পাস করলে ক্লায়েন্ট নির্দিষ্ট কাজের ব্যাপারে আরও গুরুত্ব দেবে। প্রাথমিকভাবে একজন ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাই‡ji Portfolio, Test এবং Resume-র ওপর ভিত্তি করে কাজ দিয়ে থাকে।
আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপার হন, তাহলে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের যে ল্যাঙ্গুয়েজ এবং ফ্রেমওয়ার্কগুলো নিয়ে কাজ করবেন সেগুলোর ওপর পরীক্ষা দিতে পারেন। ওডেস্কে প্রায় ৩৪৪টি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দেয়া যায়।
ধরুন, আপনি একজন ওয়েব ডিজাইনার, psd থেকে xhtml, css এডিটিংয়ের কাজ করেন। তাহলে ওডেস্কে HTML 4.01, CSS 2.0, XHTML 1.0, CSS 3, Adobe Photoshop টেস্টগুলো দিতে পারেন। টেস্টগুলোতে ভালো নম্বর পেলে ক্লায়েন্ট আপনাকে এই ধরনের কাজে বিশ্বাস করবে।
যদি ওয়েব প্রোগ্রামার হন, তাহলে পিএইচপি, অ্যাডভান্সড পিএইচপি, মাইএসকিউএল, জুমলা, ওয়ার্ডপ্রেস ইত্যাদি টেস্ট দিতে পারেন। অনেক সময় ক্লায়েন্ট তার প্রজেক্টের বিবরণে বলে দেয় যে নির্দিষ্ট টেস্টে আপনাকে পাস করতে হবে।
সাধারণত সব পেশার লোকজন যে টেস্টগুলো দিতে পারেন সেগুলো হচ্ছে : ০১. ওডেস্ক রেডিনেস টেস্ট। এই টেস্টে পাস করার অর্থ হচ্ছে আপনি ওডেস্কের নিয়মকানুনগুলো জানেন। ০২. ইউএস ইংলিশ বেসিক স্কিল টেস্ট। ০৩. ইংলিশ স্পেলিং টেস্ট ও ইউএস ভার্সন। এই দুটি টেস্টে পাস করলে ক্লায়েন্ট বুঝবে ইংরেজিতে দক্ষ।
যেভাবে টেস্ট দেবেন
আপনার প্রোফাইলের হোমপেজ থেকে Find Contractors & Jobs->Test-এ টেস্ট করলে এখন ওপরের ছবির (চিত্র-১) মতো পেজ আসবে, যেখানে সব টেস্টের নাম আছে।
এখন যে বিষয়ের টেস্ট দিতে চান সেটির ওপর ক্লিক করলে টেস্টের সিলেবাস এবং নিয়মকানুন আসবে। এগুলো দেখে পরীক্ষা দিন। আর পরীক্ষা দেয়ার আগে ভালো করে প্রস্ত্ততি নিতে ভুলবেন না।
কিভাবে কভার লেটার লিখবেন
কভার লেটার হচ্ছে ওডেস্কের কাজের আবেদনপত্র। অনেকেই কভার লেটার লেখার নির্দিষ্ট নিয়মের কথা বলেন, তবে যে কাজের জন্য আবেদন করছেন, কভার লেটারের মাধ্যমেই আপনাকে বুঝতে হবে যে কাজটায় আপনি দক্ষ। নিচে উল্লিখিত লেটারটি দিয়ে কাজ পাওয়া যেতে পারে।
Dear Sir,
I have 2 years experience in web development. Please see my latest project
http://www.domain1.com/
http://www.domain2.subdomain.com/
http://www.domain3.com/theme/spark
http://www.domain4.com/
And accept me
Thanks
Myname
ভালো হয় আরেকটু সুন্দরভাবে নিচের মতো করে কভার লেটার লিখতে পারলে,
Hi,
I have gone through your job posting, and I'm very much interested to work with you. I have completed several web development projects. And I think I can support you on this with my best effort. You can visit my latest web projects.
http://www.domain1.com/
http://www.domain2.com/
http://www.domain3.com/
Looking forward to hearing from you :)
With Thanks
Myname
কভার লেটারে কী কী বিষয় থাকতে হয়, তা নিচের লেটারে দেখানো হলো
01. Introduction (includes salutation/ greetings, name ‘I am Monir’, title ‘a freelance web designer’, country ‘from the Bangladesh’ and brief work history ‘I’ve been working as a web designer for so and so years, creating and designing websites for various so and so companies…’). If the client was the one who invited me to apply for the position, I always begin my cover letter by thanking him/her for considering me for an interview.
02. A brief summary of the job description. This is important because it shows that you have actually read and understood the job description.
03. Skills. Describe your related skills.
04. Availability, schedule and other work-related details.
Most of the questions/items raised in the job posting or in the message sent by clients are about skills and competencies, availability and rate, so make sure you cover them in 3 and 4.
05. End note (‘Thank you’, ‘Looking forward to hear from you again’, etc) and signature.
You don’t have to follow this guide exactly, but at least you’ll have an idea of the structure and you can be creative with your own cover letter.
নতুনদের জন্য টুকিটাকি তথ্য
০১. প্রথমদিকে খুবই কম বাজেটে বিড করুন এবং টাকার দিকে গুরুত্ব না দিয়ে রেটিং এবং ফিডব্যাকের প্রতি গুরুত্ব দিন।
০২. যে প্রজেক্টে বিড করবেন তা ভালো করে বুঝে নিন। কোনো একটি রিকোয়ারমেন্ট না পারলে কাজ না নেয়াই ভালো।
০৩. যে প্রজেক্টে বিড করবেন সে প্রজেক্টের ক্লায়েন্ট সম্পর্কে অন্য কন্ট্রাক্টররা কি ফিডব্যাক দিয়েছে এবং তার পেমেন্ট পদ্ধতি ভেরিফায়েড আছে কি না দেখে নিন।
০৪. আপনার কাজের ব্যাপারে ১০০ ভাগ সৎ থাকুন।
০৫. সাধারণত এই এশিয়ান সাবকন্টিনেন্টের (ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া) ক্লায়েন্টদের প্রজেক্টে বুঝেশুনে বিড করুন, তারা অনেক সময়ই কথা দিয়ে কথা রাখে না। আপনি নিশ্চিন্তে আমেরিকান, কানাডিয়ান, ইউরোপিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান ক্লায়েন্টদের প্রজেক্টে বিড করতে পারেন।
০৬. নতুন কাজে বেশি বিড করুন। একটা নতুন জব পোস্ট হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিড করতে পারলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশিরভাগ সময় ক্লায়েন্ট প্রথম কয়েকজনের মধ্যেই কাউকে ইন্টারভিউতে ডাকে।
০৭. সুন্দর, সাধারণ এবং সংক্ষিপ্ত কভার লেটার লিখুন। ক্লায়েন্টের চাহিদাগুলো ভালোভাবে পড়ুন এবং চাহিদা অনুসারে কভার লেটার লিখতে চেষ্টা করুন। কেন আপনি এই কাজের উপযোগী, কেন আপনাকে ক্লায়েন্ট নিয়োগ করবে, সে কথা স্পষ্ট করে লিখুন। আগের যদি কোনো অভিজ্ঞতা বা কাজের নমুনা থাকে তাহলে তার লিঙ্ক দিন কভার লেটারে। ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করবেন না।
০৮. নতুনরা ৫০ ডলারের কাজের জন্য ১০ ডলারের মধ্যে বিড করুন। কেন কম বিড করেছেন, তা কাজদাতাকে কভার লেটারে লিখুন। বলুন- আপনি ওডেস্কে নতুন। আপনি অনেক কাজ জানেন এবং অভিজ্ঞ। কিন্তু যেহেতু নতুন, তাই এই মুহূর্তে আপনার টাকার চেয়ে ভালো কিছু ফিডব্যাক দরকার। তাই কম টাকা বিড করেছেন। দেখবেন সহজেই ইন্টারভিউতে ডাক পাবেন, যার অর্থ হচ্ছে ক্লায়েন্ট আপনার কাছে আরও কিছু জানতে চাচ্ছে। যা জানতে চাচ্ছে তা স্পষ্ট জবাব দিন। বাড়তি কথা বলবেন না। নিজের কাছে নিজে সৎ থাকবেন এবং বলবেন- আপনি পরিশ্রমী, অভিজ্ঞ এবং সৎ।
০৯. বাংলাদেশ সময় ভোর ৩টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ে বিড করুন। এই সময়ে ওডেস্কে সবচেয়ে বেশি জব পোস্ট হয় এবং বিডকারীর সংখ্যা তুলনামূলক কম। এই সময়ে বিড করলে ইন্টারভিউতে দ্রুত ডাক পাওয়া যায়।
১০. প্রতিদিন বুঝে কমপক্ষে দুটি জবে বিড করুন। নতুনদের অনেক বেশি বিড করতে হবে, যত বেশি জবে বিড করবেন কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি থাকবে। বিষয়টি এমন নয় যে আপনি নতুন এবং ২০-২৫টি জবে বিড করেই জব পেয়ে যাবেন। নতুন হিসেবে ধরে নিতে পারেন কমপক্ষে ২০০টি জব বুঝে বিড করার পর প্রথম কাজটি পাবেন, তবে প্রথম কয়েকটি বিড করেও কাজটি পেয়ে যেতে পারেন।
মূল কথা হচ্ছে, ওডেস্ক বা অন্য যেকোনো মার্কেটপ্লেসে যদি সফলতার সাথে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে যেকোনো একটি বিষয়ে ভালোভাবে দক্ষ হোন। সেটি হতে পারে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং, সার্স ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ডাটা অ্যান্ট্রি বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। তারপর আপনার পছন্দের মার্কেটপ্লেসে একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং আপনার প্রোফাইল শক্তিশালী করুন। তারপর নির্দিষ্ট বিষয়ের জবগুলোতে ভালোভাবে বুঝে বিড করুন এবং কভার লেটারের মাধ্যমে ক্লায়েন্টকে বোঝান যে কাজটায় আপনি দক্ষ। তাহলে সাফল্য পেতে খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না।
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : najmul.pss@gmail.com