• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > বেসিস সফটএক্সপো এবং আমাদের সফটওয়্যার শিল্প
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সম্পাদক
মোট লেখা:৩১৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১২ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সম্পাদনা
তথ্যসূত্র:
সম্পাদকীয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
বেসিস সফটএক্সপো এবং আমাদের সফটওয়্যার শিল্প

গত ২২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হয় পাঁচ দিনব্যাপী ‘বেসিস সফটএক্সপো ২০১২’। বাংলাদেশের সফটওয়্যার শিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরাসহ এ শিল্পের সাথে জড়িতদের মধ্যে প্রণোদনা সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়েই এই সফটএক্সপো প্রতিবছর আয়োজিত হয়। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস তথা বেসিস এই সফটএক্সপোর আয়োজক। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন প্রকল্প এতে সক্রিয় সহযোগিতা দিয়ে থাকে। ‘এম্পাওয়ারিং নেক্সট জেনারেশন : আগামী প্রজন্মের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক আপ্তবাক্যকে স্লোগান হিসেবে নিয়ে এবারের সফটএক্সপো আয়োজিত হয়। এ স্লোগান থেকেই এই সফটএক্সপোর মৌল লক্ষ্য স্পষ্ট। আমাদের সফটওয়্যার শিল্পকে গতিশীল করে আগামী প্রজন্মকে ক্ষমতাধর করে তোলাই এর মৌল লক্ষ্য। যথার্থ কারণেই বাংলাদেশে প্রতিবছর যথাসম্ভব আরও ব্যাপক আকারে এ ধরনের সফটওয়্যার মেলার আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এর আয়োজক প্রতিষ্ঠান তথা এ দেশের সফটওয়্যার শিল্পোদ্যোক্তাদের শীর্ষ সংগঠন বেসিসকে আমাদের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ। সেই সাথে এই মেলা আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা এবং সক্রিয় সহযোগিতাকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকেও একইভাবে জানাই ধন্যবাদ।

এ ধরনের সফটওয়্যার মেলা আয়োজনের ফলে দেশ-বিদেশের সাধারণ মানুষ ও উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী শ্রেণী বাংলাদেশ সফটওয়্যার শিল্পকে জানার একটা সুযোগ পায়। আমাদের সফটওয়্যার শিল্পের ভাবমর্যাদা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এ ধরনের মেলা নিশ্চিতভাবেই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। সেই সাথে আমরা আমাদের অবস্থানটুকু জানতে পারি এ ধরনের মেলার মাধ্যমে। যেমন আমরা জানলাম বিগত বছরে আমাদের সফটওয়্যার রফতানি আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণে পৌঁছেছে। আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মের ফ্রিল্যান্সারেরা বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন এ খাতে ফ্রিল্যান্সিং করে। এভাবে আমাদের সফটওয়্যার শিল্প সম্পর্কে মোটামুটি একটা চিত্র পেয়েছি। জেনেছি এর সম্ভাবনা সম্পর্কেও।

কেমন আছে আমাদের সার্বিক সফটওয়্যার শিল্প? এ প্রশ্নের জবাবে বলা যায়, আমরা সফটওয়্যার শিল্পে একটা গতি আনতে সক্ষম হয়েছি। স্থানীয়ভাবে তৈরি বাংলাদেশি সফটওয়্যারের একটা সম্ভাবনাময় বাজার রয়েছে। সফটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারিং ও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সফটওয়্যার শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার মোক্ষম সময় এটাই। বেসিস সূত্রের তথ্যমতে, ২০১১ সালের ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) আমরা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সফটওয়্যার রফতানি ও আউটসোর্সিং খাত থেকে আয় করেছি ২ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ২০১০ সালের একই সময়ে এই আয়ের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো জানিয়েছে, ২০১০ সালের তুলনায় ২০১১ সালে সফটওয়্যার রফতানি আয় দ্বিগুণে পৌঁছেছে। সফটওয়্যারের বাজার ও আয় বিবেচনায় এই অগ্রগতি নিশ্চিতভাবেই উল্লেখযোগ্য। বেসিসের দেয়া পরিসংখ্যান মতে, গত পাঁচ বছরে আমরা সফটওয়্যার খাত থেকে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি ডলার পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা আয় করেছি।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও শুভাশীষ বোস বলেছেন, সফটওয়্যার শিল্প বাংলাদেশের জন্য রফতানির গন্তব্য আরও সম্প্রসারিত করেছে। আমাদের সফটওয়্যার রফতানি ৩৫টি দেশের রফতানির কাছাকাছি। এখন সফটওয়্যার রফতানির সম্ভাবনার সময়। আগে ভারত ছিল এশিয়ার আইসিটি হাব। কিন্তু ভারতে এখন সফটওয়্যার উৎপাদন ও সফটওয়্যার সেবার খরচ বেড়ে গেছে। এখন বাংলাদেশ এই সুযোগে এর সফটওয়্যার শিল্প সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিতে পারে। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন। সুখের কথা, আমাদের তরুণ প্রজন্ম এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে আসছেন। আমাদের পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা এরই মধ্যে ৭ হাজারেরও ওপরে চলছে। এরা গড়ে জনপ্রতি ১০০০ ডলারের মতো প্রতিমাসে আয় করছেন। সে হিসাবে এই ফ্রিল্যান্সারেরা বছরে আয় করছেন ৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার। আশা করা যাচ্ছে, এদের সংখ্যা দ্রুত আরও বাড়বে। বেসিস সভাপতি মাহবুব জামান পরিস্থিতিকে উৎসাহব্যঞ্জক বলে মনে করেন। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের সফটওয়্যার বাজার সম্প্রসারণ সম্ভব বলে অনেকেই মনে করছেন।


কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস