লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
লেখার ধরণ:
বর্ষপূর্তি সংখ্যা
কমপিউটার জগৎ-এর পাথেয়
তখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। থ্রি ডব্লিউ বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবেরই বয়স তখন মাত্র দুই বছর। অনেকের কাছেই রহস্যময় ছিল এর কার্যকারিতা। আর খোদ কমপিউটারই তখন আভিজাত্যের স্ট্যাটাস সিম্বল। সেই সময় বাংলাদেশের একটি পত্রিকা দাবি করে বসে ‘জনগণের হাতে কমপিউটার চাই’। বিস্ময়কর! হ্যাঁ, অবশ্যই বিস্ময়কর ছিল এই স্লোগানটি এবং তারচেয়েও রহস্যময় ছিল শুধু কমপিউটার বিষয়ক একটি পত্রিকার প্রকাশনা। প্রশ্ন উঠেছিল পত্রিকাটি টিকবে কি না? কে লিখবে? কোথায় পাওয়া যাবে কনটেন্ট- এসব প্রশ্নও উঠেছিল।
এসব এখন থেকে ২৩ বছর আগের কথা। কমপিউটার জগৎ-এর প্রকাশ প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশের প্রকাশনার ইতিহাসে ছিল এক বিরাট বিস্ময়। তারও চেয়ে বিস্ময়কর ছিল এর দূরদর্শিতা এবং নতুন প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখানোর ক্যারিশমা। যদিও প্রথমাবস্থায় আঙ্গিকগত জৌলুস তেমন ছিল না, কিন্তু বিষয়গত বৈচিত্র্য ছিল অভূতপূর্ব। এর পেছনের কারণ বলতে গেলে একজন ব্যক্তির কথাই বলতে হয়। এটা স্ত্ততির ব্যাপার নয়, কারণ একক প্রচেষ্টাতেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কমপিউটার জগৎ নামের পত্রিকাটি। আর এর পেছনে প্রকাশনা-বাণিজ্য করার অভিপ্রায় তার একেবারেই ছিল না। মূল বিষয়টাই ছিল কমপিউটার এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ার প্রত্যয়। এই একনিষ্ঠ কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্বের নাম অধ্যাপক আবদুল কাদের। বিজ্ঞান নিয়ে তার ছিল সহজাত আগ্রহ। কিন্তু ফোর প্লাস- পার্সোনাল কমপিউটার প্রচলনের পরপরই তিনি উপলব্ধি করেছিলেন অচিরেই এই যন্ত্রটি গবেষণাগার আর উচ্চ পর্যায়ের বাধা অতিক্রম করে সাধারণের কাছে নেমে আসবে। প্রথম যখন ইন্টারনেট উদ্ভাবনের খবর জানলেন, তখনই অধ্যাপক আবদুল কাদের বলেছিলেন- ‘একসময় মানুষের যোগাযোগ এবং জ্ঞানচর্চার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠবে ওয়েব বা নেটওয়ার্ক।’ এসব আশির দশকের প্রথম দিকের কথা। তখনই তিনি উপলব্ধি করেছিলেন সাধারণ মানুষের জন্য কমপিউটার এবং এর নেটওয়ার্কের ব্যবহার উন্মুক্ত করে দিতে হবে। কিন্তু এ প্রসত্মাবনা নিয়ে তিনি যাদের কাছে গিয়েছিলেন, তাদের বেশিরভাগের কাছ থেকেই নিরুৎসাহিত হয়েছিলেন। অধ্যাপক আবদুল কাদের দেখেছিলেন শিক্ষিত মানুষ, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব- সবারই নিদারুণ কমপিউটার-ভীতি রয়েছে। সে সময় খুবই প্রচলিত একটি কুসংস্কার ছিল- ‘কমপিউটার মানুষের বেকারত্ব বাড়াবে।’ কিন্তু কী পরিমাণ বাড়াবে বা কমপিউটারের ক্ষমতা সম্পর্কে কারও কোনো সম্যক ধারণাই ছিল না।
নববইয়ের দশক শুরুই হলো ডেস্কটপ পাবলিকেশন আর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের শুভ বার্তা নিয়ে। আর অধ্যাপক আবদুল কাদের এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন নতুন প্রজন্মকে কমপিউটারের তথ্য জানানোর জন্য। তিনি বুঝেছিলেন ওপর দিকে বা মহলে ধর্ণা দিয়ে তেমন লাভ হবে না, চাপটা যদি নিচের দিক থেকে আসে, তাহলেই কমপিউটার আর এর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সমৃদ্ধ হতে পারবে বাংলাদেশ। কত বড় একটা সিদ্ধামত্ম যে এটা ছিল- এখন হয়তো অনেকে তা বিস্মৃত হয়েছেন, কিন্তু যেকেউ কমপিউটার জগৎ-এর প্রথম দিকের সংখ্যাগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন। বিশেষত প্রধান প্রতিবেদন ও সম্পাদকীয়গুলো ছিল অনন্য সাধারণ।
প্রথম দিকে কমপিউটার জগৎ একাধারে যেমন উদ্বুদ্ধকরণের কাজ করেছে, তেমনি তৎকালীন কমপিউটার প্রযুক্তি এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়েও কাজ করেছে। আর এগুলো শুধু গালগল্প বা কল্পকাহিনী ছিল না- ছিল অত্যন্ত তথ্যসমৃদ্ধ এবং সহজবোধ্য। অথচ সেই সময় এ ধরনের লেখা সংগ্রহ ছিল রীতিমতো দুরূহ। কারণ সে সময় বিজ্ঞানবিষয়ক লেখার একটা টিপিক্যাল কৌশল ছিল- অতিসাধারণীকরণ। যারা বিজ্ঞান লেখক ছিলেন, অনেকেই তারা নিজেদেরকেই বিজ্ঞানী বলে মনে করতেন, আর তারা কেউ বিভ্রান্তি ভঞ্জন করতেন না। বাংলাদেশের বিজ্ঞান লেখকদের প্রিয় বিষয় তখন ছিল মহাকাশ কিংবা জীববিজ্ঞান। অর্থাৎ এসব বিষয়ের সত্যিকার তথ্যের সাথে কল্পনা বা ধারণার সংযোগ ঘটানোই ছিল মূল কাজ, যার সত্যাসত্য যাচাই করার উপায় ছিল না। যার ফলে অনেক ভুল ধারণা এবং কুসংস্কার বিজ্ঞানবিষয়ক লেখার মধ্যে পাওয়া যেত। কমপিউটার নিয়েও এই বিজ্ঞান লেখকদের ছিল উন্নাসিকতা। কারণ, কমপিউটারের পেছনের বিজ্ঞান সাইবারনেটিকস সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞানসম্পন্ন লেখক প্রায় ছিলেনই না। যে কারণে কমপিউটার জগৎ প্রথম দিকে প্রকৌশলী এবং সত্যিকার কমপিউটার ব্যবহারকারী পেশাজীবীদের কাছ থেকেই লেখা সংগ্রহ করত কিংবা সাক্ষাৎকার প্রকাশ করত। মনে রাখা দরকার, এখনকার মতো কনটেন্ট বা সোর্স ছিল না, ছিল না বিদেশী পত্রপত্রিকাও। সাংবাদিকদের মধ্যেও যারা বিজ্ঞানবিষয়ক তথ্য পরিবেশন করতেন তাদের সোর্স বলতে ছিল বিদেশী সংবাদ সংস্থার দেয়া তথ্য কিংবা নিউজ উইক, টাইম ম্যাগাজিন বা ইকোনমিস্টের মতো গুটিকয়েক পত্রিকা। অধ্যাপক আবদুল কাদের তাই বলতে গেলে মিশনই নিয়েছিলেন কমপিউটারবিষয়ক লেখক সৃষ্টির। এদের মধ্যে যেমন ছিলেন প্রযুক্তিবিদ-সাংবাদিক, তেমনি ছিলেন তরুণ সোৎসাহী শিক্ষার্থী। এদের মধ্য থেকেই এখন অনেকে হয়ে উঠেছেন খ্যাতিমান লেখক বা সম্পাদক।
এমনও নয় যে, একটি অফিস নিয়ে বসে অধ্যাপক আবদুল কাদের সবাইকে সমবেত করে বেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কমপিউটার জগৎ-এর প্রকাশনা শুরু করেছিলেন। এমনটা ঘটা সম্ভবও ছিল না। অধ্যাপক আবদুল কাদেরকে নিজ কর্মস্থলের গুরুদায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাই লেখক, প্রকাশক ও নতুন ধরনের সাংবাদিকতা সৃষ্টি করতে হয়েছিল। বিভিন্ন পত্রিকা অফিস, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কিংবা কারও বাসায় পর্যন্ত তিনি যেতেন এবং তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতেন বিষয়ভিত্তিক লেখা বা সংবাদ পরিবেশনের জন্য।
আইডিয়া এবং শেয়ারিং এই ছিল কমপিউটার জগৎ-এর জনক অধ্যাপক আবদুল কাদেরের কর্মধারা। তথ্যের বস্ত্তনিষ্ঠতা- তা সে প্রযুক্তিগতই হোক কিংবা সরকারি নীতি-বিষয়কই হোক, সে বিষয়ে তিনি ছিলেন আপসহীন। সে কারণেই কমপিউটার জগৎ কখনও অনির্ভরযোগ্য তথ্য দেয়নি কিংবা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে পাঠককে অস্তিত্তে ফেলেনি। কমপিউটার জগৎ-এর টিকে থাকার সংগ্রামে এই বৈশিষ্ট্যকে খুবই গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত। কারণ এর সাথে জড়িয়ে আছে যেমন পত্রিকাটির গ্রহণযোগ্যতার বিষয়, তেমনি আছে রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণ এবং নতুন প্রজন্মের সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়গুলো।
একটি পত্রিকা প্রকাশের সাথে সাথে যে তা জনস্বার্থের মুখপত্র হয়ে দাঁড়ায়, তা অধ্যাপক আবদুল কাদের খুব ভালোভাবেই বুঝেছিলেন। সে কারণে তার জীবদ্দশায় তাকে নিয়ে কোনো লেখা তিনি প্রকাশ করেননি, অন্যান্য ব্যক্তিত্ব, তাদের কর্ম ও সাফল্য নিয়ে প্রচুর কাজ করেছে কমপিউটার জগৎ। কমপিউটার ব্যবহারকারীদের সহায়তা হয় এবং নতুন কমপিউটার ব্যবহারকারী বাড়ানোর একটা তাগিদ সবসময় দিয়ে এসেছে কমপিউটার জগৎ। এর সাথে সাথে এর কার্যকর ব্যবহারের দিকটাকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বেশি। কমপিউটারনির্ভর বিনোদনের বিষয়গুলোর চেয়ে পেশাদারি ব্যবহারের দিকে পত্রিকাটি গুরুত্ব দিয়েছে বলেই এর জনপ্রিয়তা ক্রমাগত বেড়েছে।
সময়মতো জাতীয় দাবিগুলো তুলে ধরার ব্যাপারেও মাসিক পত্রিকা হলেও কমপিউটার জগৎ অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল। এ ক্ষেত্রে ওই ‘জনগণের জন্য চাই কমপিউটার’-এর মতো দাবি যেমন ছিল, তেমনি ছিল সাবমেরিন ফাইবার অপটিক ক্যাবল সংযোগ নেয়ার দাবিও। এছাড়া কমপিউটার আমদানির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কমপিউটার প্রদান ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ, ওয়াইটুকে সলিউশনের কাজ পাওয়া এবং ডাটা এন্ট্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রাপ্তির বিষয়গুলো ছিল সবিশেষ। যদিও এ বিষয়গুলো অন্যান্য দেশে সাধারণত দৈনিক পত্রিকাগুলোই দায়িত্ব নিয়ে করেছে, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, বাংলাদেশে কোনো দৈনিক পত্রিকাই ওই সময়ে এ দায়িত্ব পালন করেনি। মূলত প্রযুক্তি সম্পর্কে সম্পাদক-প্রকাশকদের অজ্ঞতা এবং ব্যবসায়িক সম্ভাবনা দেখতে না পাওয়াতেই দৈনিক পত্রিকাগুলোর বেশিরভাগই কমপিউটারের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার, আইসিটি পার্ক, সাবমেরিন ফাইবার অপটিক ক্যাবল সংযোগ এবং ই-গভর্মেন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উপেক্ষা করে গেছে। এসব বিষয়ে পজিটিভ ভূমিকা তো ছিলই না, কোনো কোনো ক্ষেত্রে নেগেটিভ ভূমিকাও নিতে দেখা গেছে এদের। বিশেষ করে স্কুল পর্যায়ে কমপিউটার প্রদান এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ, কৃষকদের কমপিউটার প্রযুক্তির আওতায় আনা- এসব বিষয়ের ক্ষেত্রে সমালোচনা যতটা করেছে দৈনিক পত্রিকাগুলো, সে তুলনায় বস্ত্তনিষ্ঠ সংবাদ বা সাফল্য অর্জনের সংবাদগুলো সে সময় পরিবেশন করেনি। মাসিক পত্রিকা কমপিউটার জগৎ বলতে গেলে একক প্রচেষ্টাতেই এ সম্পর্কিত তথ্য-সম্ভাবনা এবং জনমতবিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করে গেছে মাসের পর মাস। এমনকি ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কিত ধারণা ও এর সম্ভাবনার দিকগুলো নিয়ে রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত আসার অনেক আগে থেকেই কাজ করেছে কমপিউটার জগৎ। গ্রামীণ তথা কৃষক পর্যায়ে নেটওয়ার্কভিত্তিক সংযোগ প্রদান এবং কৃষি ও ক্ষুদ্র শিল্পের ন্যায্য বাণিজ্যবিষয়ক ইস্যু প্রথম তুলেছিল এই পত্রিকাটিই। এছাড়া টেলিমেডিসিন এবং সামাজিক যোগাযোগের সুবিধা সার্বজনীন করে তোলার বিষয়গুলোকেও গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে কমপিউটার জগৎ।
কমপিউটার জগৎ-এর প্রথম সাত বছর ছিল উদ্বুদ্ধকারণ এবং সম্ভাবনা জানানোর সময়। এরপর কমপিউটারায়নের সাথে সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির পাশাপাশি মোবাইল ফোনের সম্মিলন ঘটার পর নতুন সব ইস্যুতেও কমপিউটার জগৎ নিয়েছে অগ্রণী ভূমিকা। এ প্রসঙ্গে ভিওআইপির উন্মুক্তকরণ ও এর বাধাগুলো, দুর্নীতি, প্রযুক্তিগত সমস্যা- কোনো কিছুই কমপিউটার জগৎ-এর চোখ এড়ায়নি।
এসবের সাথে সাথে প্রথম থেকে আজ পর্যমত্ম একনিষ্ঠভাবে যে কাজটি করে যাচ্ছে কমিপউটার জগৎ, তাহলো প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে পাঠকের আপডেট রাখা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কাজের পরিধি বৃদ্ধি এবং নতুন কাজের ক্ষেত্র ও সম্ভাবনার কথাও প্রথম সবিসত্মারে জানায় এই পত্রিকাটি। সেই ডাটা এন্ট্রির যুগ থেকে শুরু করে মাঝে কলসেন্টার, এখনকার আউটসোর্সিং, এনিমেশন ইত্যাদিতে তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক খবরাখবরও বাংলাদেশে বস্ত্তনিষ্ঠভাবে দিচ্ছে কমপিউটার জগৎ।
প্রায় দুই যুগের পথ চলায় কমিপউটার জগৎকেই আত্তীকরণ করতে হয়েছে অনেক কিছু। যত নতুন প্রযুক্তি, ততই সমস্যার উদ্ভব এবং নানাজনের নানা চাহিদাও বেড়েছে। কমপিউটার জগৎ কিন্তু পেশাজীবী এবং কমপিউটার ব্যবহারকারীদের সাথেই থাকতে চেয়েছে বা থেকেছে সবসময়। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগিতা থেকে নিয়ে চলমান জনপ্রিয় প্রযুক্তির ট্রাবলশুটিং বিনোদনের খবর জানানোর কাজ পর্যমত্ম এখন করছে কমপিউটার জগৎ। গণিত সম্পর্কে পাঠক তথা নতুন প্রজন্মের আগ্রহ সৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে পত্রিকাটি। এছাড়া আইসিটির সাথে সাথে এগিয়ে যাওয়া, হাইব্রিড টেকনোলজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স এবং ন্যানোটেকনোলজির খবরও সবাই পেয়ে যাচ্ছেন কমপিউটার জগৎ-এর মাধ্যমেই।
অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা নিয়ে কমপিউটার জগৎ-এর পথ চলা সবসময়ই আধুনিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে আসছে। সে কারণেই প্রতিটি সংখ্যাতেই পাঠক পান নতুন বিষয়। কোনো কোনো বিজ্ঞাপন হয়তো বহুদিন ধরে একই কনটেন্ট নিয়ে প্রকাশিত হয়, কিন্তু কমপিউটার জগৎ-এর লেখার বিষয় সবসময়ই নতুন এবং বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ থাকে। এটাই আসলে এই পত্রিকার দায়বদ্ধতা। একসময় কমপিউটারবিষয়ক ভীতি দূর করা এবং প্রযুক্তিটিকে সার্বজনীন করে তোলার যে দায়িত্ব নিয়েছিল পত্রিকাটি, তা এখনও বিস্মৃত হয়নি বলেই আমার বিশ্বাস। যদি এই দায়িত্ব ও প্রত্যয় অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামীর অনেক জটিলতার সমাধানও দিতে পারবে কমপিউটার জগৎ।
প্রকাশনা ছাড়াও কমপিউটার জগৎ নতুন প্রজন্মের মেধা অনুসন্ধানে আইসিটি শিক্ষার প্রসার, বাংলাদেশের ই-কমার্স উদ্যোগকে দেশ থেকে প্রথমবারের মতো বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কাজও করেছে। দেশ এবং দেশের উদ্যমী নতুন প্রজন্মকে সবসময়ই কমপিউটার জগৎ প্রাধান্য দিয়েছে, ভবিষ্যতেও তাই হোক এর পাথেয়
ফিডব্যাক : abir59@gmail.com