• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ৭০ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরির কর্মযজ্ঞে চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৫ - এপ্রিল
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মতামত
তথ্যসূত্র:
পাঠের মতামত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
৭০ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরির কর্মযজ্ঞে চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা
৭০ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরির কর্মযজ্ঞে চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা
আইসিটি বিষয়ে পড়াশোনার শেষে বা পড়াশোনারত অবস্থায় বাংলাদেশের অনেক ছাত্রছাত্রী বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য দৌড়াদৌড়ি না করে কিংবা টিউশনি না করেই সরাসরি ফ্রিল্যান্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েছে এবং বেকারত্বের অভিশাপ থেকে যেমন নিজেদেরকে রক্ষা করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারছে, তেমনি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারেরা সারা বিশ্বে নিজেদের একটি অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে আইসিটিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের একটি ব্র্যান্ডিং ইমেজও তৈরি হয়েছে। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এ ক্ষেত্রে অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিংয়ে না আছে সরকারের প্রত্যক্ষ অবদান, না আছে এ দেশে সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস তথা বেসিসের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অবদান।
তবে সম্প্রতি সরকার দেশে ফ্রিল্যান্সার তৈরির এক বিশাল কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছে। একটু দেরিতে হলেও সরকারের এই বোধোদয়ের সাধুবাদ জানাই। তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে আউটসোর্সিং আয়ের জন্য দেশে ৭০ হাজার ফ্রিল্যান্সারকে প্রস্ত্তত করা হচ্ছে। সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ মনে করে, সারাদেশের ৭০ হাজার ফ্রিল্যান্সারকে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ দেয়া হলে এর থেকে অন্তত দেড় লক্ষাধিক ফ্রিল্যান্সার সুবিধা ভোগ করবে।
ইতোমধ্যে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে জানুয়ারি থেকে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এ কার্যক্রম শেষ হবে। এ কার্যক্রম উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে (সম্ভাবনাময় এলাকা) ফ্রিল্যান্সারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ প্রকল্পে (লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং) ১৮১টি ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রশিক্ষণ দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ (এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট) করে আবেদন করেছে।
প্রশিক্ষণ শুরু করার আগে আইসিটি বিভাগ আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সাক্ষাৎ শেষ করেছে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয় আইসিটি বিভাগ। পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আইসিটি বিভাগ সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর করে। ওই চুক্তিতে রয়েছে প্রশিক্ষণবিষয়ক সব শর্ত।
ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ১৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৭১ কোটি টাকা খরচে সারাদেশ থেকে নির্বাচিত শৌখিন ফ্রিল্যান্সারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। অবশিষ্ট ৯ কোটি টাকা খরচ করে গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, যাতে সাংবাদিকেরা পেশাগত জীবনে উৎকর্ষ আনতে পারেন এবং অবসর সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বাড়তি আয় করে জীবন-মান উন্নত করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সারদের প্রশিক্ষণের জন্য আইসিটি বিভাগ লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ওই প্রকল্পে এই টাকা ব্যয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করে দুই বছর পর আইসিটি বিভাগ ১ হাজার কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছে।
সরকারের গৃহীত এ পদক্ষেপকে আমরা সাধুবাদ জানাই। সেই সাথে প্রত্যশা করি, ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ করা ১৮০ কোটি টাকা যেন প্রকৃত অর্থে ফ্রিল্যান্সিংয়ে উৎসাহীদের পেছনে খরচ করা হয়। এখানে যেন কোনো স্বজনপ্রীতি না থাকে। সেই সাথে প্রশিক্ষকদের মান যেন ভালো হয়, তাও খেয়াল করা দরকার। প্রয়োজনে প্রশিক্ষকদের মান যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা উচিত।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে কোনো গাফিলতি হলে পুরো কর্মযজ্ঞই ব্যর্থ হবে। বিফলে যাবে ৭০ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরির কার্যক্রম। সেই সাথে আমরা আরও প্রত্যাশা করি, গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, তা যেন সত্যিকার অর্থে গণমাধ্যম কর্মীদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রশিক্ষণের জন্য খরচ করা হয়, অন্য কোনো খাতে নয়। এ ক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ নজরদারি থাকা দরকার। তা না হলে এ খাতের জন্য বরাদ্দ অর্থের পুরোটাই হরিলুট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সায়ফুলস্নাহ চৌধুরী
চাষাঢ়া, নারায়ণগঞ্জ
প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৫ এক সময়োপযোগী লেখা
ক্রীড়ামোদীদের কাছে ফুটবলের পর সম্ভবত সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হলো ক্রিকেট। ফুটবল বা ক্রিকেট যতই জনপ্রিয় হোক না কেন, কিছু ভুলভ্রান্তি হয়েই থাকে। কোনো কোনো খেলায় ছোট ভুল সিদ্ধান্ত পুরো ফলাফলকে পাল্টে দেয়। সৃষ্টি হয় দর্শক ও ভক্তদের মনে প্রচ- ক্ষোভ-বিক্ষোভসহ তীব্র সমালোচনা। ভদ্রজনের খেলা হিসেবে বিবেচিত ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হতে দেখা যায়নি। যদিও বর্তমানে প্রতিটি খেলা বিতর্কাতীত করতে নিত্যনতুন প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। যতটুকু সম্ভব ফুটবল ও ক্রিকেট খেলা পরিচালনাসহ ভুলত্রুটিগুলো বহুলাংশে কমিয়ে আনা হয়েছে। বলা যায়, খেলা পরিচালনার ক্ষেত্রে অর্থাৎ আম্পায়ারিং ও রেফারিংয়ের ক্ষেত্রে ভুলত্রুটি নেই বললেই চলে, যদি না সেখানে আম্পায়ারের কোনো পক্ষপাতের দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। অর্থাৎ আম্পায়ার যদি পক্ষপাতদুষ্টু না হয়, তাহলে আধুনিক ক্রিকেটে ভুল সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই বললে চলে।
এসব কথা কমপিউটার জগৎ-এ লিখছি এ কারণে যে, কমপিউটার জগৎ বরাবরের মতো এবারও বিশ্বকাপ ক্রিকেটে কোন কোন প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে তার ওপর এক লেখা প্রকাশ করে। আমি বেশ কয়েকবার এ লেখা ভালো করে পড়ি এবং খেলার আদ্যোপান্ত বোঝার চেষ্টা করি। মূলত কমপিউটারে জগৎ-এ প্রকাশিত লেখাটি পড়ে বুঝতে পারলাম, আসলেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলায় বাংলাদেশকে আম্পায়ারেরা হারিয়েছিল কি না। প্রথমে আমার ধারণা হয়েছিল, আমরা অতিমাত্রায় প্রত্যাশী ও আবেগপ্রবণ হওয়ায় খেলার ফলাফল মেনে নিতে পারছি না। কিন্তু পরে আমার সে ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। বাংলাদেশকে যে হারানো হয়েছে তা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন টিভি রিপ্লেতে ওই বিশেষ অংশগুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়, যা সচরাচর হতে দেখা যায় না।
সত্যি কথা বলতে কী, আমি এবারের বিশ্বকাপের প্রতিটি খেলাই দেখিছি এবং ভারত-বাংলাদেশের খেলার ফলাফলে হতাশ হয়ে কমপিউটার জগৎ-এ প্রকাশিত লেখা ‘প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৫’ আরেকবার ভালো করে পড়ে দেখি। বিশেষ করে হক আই, ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম, স্টাম্প ক্যামেরা, থার্ড অ্যাম্পায়ার ইত্যাদি খুব ভালো করে পড়ে বুঝতে পারি আসলেই এ খেলায় আম্পায়ারেরা বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে উঠতে দিল না। খেলা নির্ভুলভাবে পরিচালনায় এমনসব আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হওয়ার পর বাংলাদেশকে হারাতে হলো ক্রিকেটবিশ্বের নোংরা বাণিজ্যের কাছে। ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের বল ট্র্যাকিং টেকনোলজির ডেলিভারি বলের ট্রেজেক্টরি রেখাচিত্রের মাধ্যমে স্পষ্ট বুঝা গেছে যে, রুবেলের বলে রোহিত শর্মা ক্যাচ আউট হয়েছিল, বল ডেলিভারিটি নো বল ছিল না। অনুরূপভাবে বলের ট্রেজেক্টরি রেখাচিত্রে বোঝা যায়, সুরেশ রায়নাও যথার্থভাবে এলবিডবিস্নউ হয়েছিল। আবার মাহমুদউলস্নার শটে শিখর ধাওয়ান যে ক্যাচটা ধরেছিল, সেটিও আউট ছিল না, ছিল ছক্কা। তা টিভির আল্ট্রা সেস্নামোশন ক্যামেরায় ক্যাপচার করা দৃশ্যে ধরা পড়ে।
প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার হয়েছিল ঠিকই। এখানে ফলাফল ছিল পক্ষপাতদুষ্টু। যেকোনো ক্ষেত্রে এমনটি হতে পারে। ধন্যবাদ কমপিউটার জগৎ-কে যথাসময়ে উপযুক্ত বিষয় নির্বাচন করে পাঠকদের হাতে তুলে ধরায়। তবে এ লেখার মূল উপজীব্য বিষয় হলো বড় আকারে চিত্র, যা থেকে কমপিউটার জগৎ আমাদেরকে বঞ্চিত করেছে। এ লেখায় বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য অংশের ছবি যেমন- হক আই ও ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের একাধিক চিত্রসহ বল ডেলিভারি সিস্টেম এবং আল্ট্রা সেস্নামোশনের একাধিক চিত্র দেয়া হলে পাঠকদের জন্য ভালো হতো। কমপিউটার জগৎ-এর কাছে আমাদের দাবি, আগামীতে এ ধরনের লেখায় যথাযথ চিত্র প্রদানে কার্পণ্য যাতে না হয় সেদিকে দৃষ্টি থাকবে।
শাহজাহান মিঞা
মিরপুর, ঢাকা

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৫ - এপ্রিল সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস