• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > গেমের জগৎ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৬ - মে
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
খেলা প্রকল্প
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
গেমের জগৎ
গ্রিম ডন
এলিয়েন প্ল্যানেট থেকে এলিয়েনদের সরিয়ে তাদের গ্রহ দখল করে নেয়া সুবিধার কাজ নয়। ছোটকাল থেকেই আমরা দেখে আসছি- বাইরে থেকে ভয়ঙ্করদর্শী এলিয়েনরা এসে আমাদের পৃথিবী দখল করে নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মানুষের গিয়ে এই দখলকাজ চালানোটা নতুন। প্রত্যেকেই অবাঞ্ছিত বিপদ এড়িয়ে চলতে চায়। তবুও গেমারদের মধ্যে যারা অতি উৎসাহী এই বিষয়ে, তারা খুব আনন্দ সহকারে বসে পড়তে পারেন গ্রিম ডন নিয়ে।
সাধারণ কাজের মধ্যেও যারা অ্যাডভেঞ্চার খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত, তাদের জন্য একেবারে মনমতো একটি গেম এই গ্রিম ডন। গেমটির গেম ফিল্ড হচ্ছে আজ পর্যন্ত তৈরি হওয়া গেমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে অজানা আর বাস্তবসম্মত; যাকে গেমারেরা ওয়াকথ্রু দিয়ে বর্ণনা করেও পুরোপুরি বোঝাতে ব্যর্থ হবেন। আর এতকিছুর পর যেটা সমস্যা হবে, তা হলো অজানা গ্রহে আঘাত হানতে গিয়ে গেমার নিজের পায়ে হয়তো নিজেই কুড়াল মেরে বসবেন। গেমপ্লে অদ্ভুতভাবে আকস্মিক এবং যেকোনো ধরনের ধারাবাহিকতাবিহীন।
গ্রিম ডনে গতির সাথে আছে মাল্টি ডিরেকশনাল যুদ্ধ এবং যুদ্ধাস্ত্র, যা গেমারের অভিজ্ঞতায় শিহরণ জাগাবে। সাথে আছে সবার প্রিয় টেলিপোর্টেশন সিস্টেম, যা দিয়ে নিমিষেই অতিক্রম করা যাবে স্বাভাবিক দৃষ্টিতে অনতিক্রম্য দূরত্ব, যাওয়া যাবে বহু অদ্ভুত অজানা গ্যালাক্সিতে। হিরোস অব বিগ স্টর্মের মতো গেমের পর গ্রিম ডন না খেললেই নয়। প্রথম দেখাতে গেমটিকে আর দশটা সাধারণ ইনোভেশন গেমের মতো মনে হবে না। দেখে মনে হবে একটি ফ্যান্টাসি জনরার মডেল ওয়ার্ল্ড। যেখানে গেমারকে একের পর এক শত্রম্নদের নানা ধরনের ফর্মেশন ভেদ করে এগিয়ে যেতে হবে। আর যতদূর এগোনো যাবে, শত্রম্নরাও তত আগ্রাসী হয়ে উঠবে। তবে এর স্টোরিলাইনের মাঝে আছে অসম্ভব বুদ্ধিমান কিছু টুইস্ট আর মেশিন অ্যালগরিদমিক গেমপ্লে। সব মিলিয়ে গেমারকে অনেকখানি বুদ্ধিমত্তা আর গেমিং স্কিল খরচ করতে হবে গেমটির পেছনে।
তবে একটা জিনিস বলে নেয়া ভালো- এই পারফেক্ট লিভিং ওয়ার্ল্ডের পেছনে ছোটার কাহিনিটা বেশ লম্বা। তাই অনেকক্ষণ ধরে এলিয়েন নিধন করতে করতে ধৈর্য ভেঙেও যেতে পারে। তবে এর জন্যও আছে সমাধান, আছে অসাধারণ মাল্টিপ্লেয়ার গেমিংয়ের ব্যবস্থা। দূর-দূরান্তের বন্ধু, নিত্যনতুন স্ট্র্যাটেজি আর কল্পনাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার গেম নিয়ে বসে পড়ুন এখনই। আর যদি একটু টাকা খরচ করতে ইচ্ছে থাকে, তাহলে সহজেই পেতে পারেন মারভেলের দুর্দান্ত সব প্রিমিয়াম ম্যাপ আর স্টাফ, যা আপনার ইনভেন্টরিকে করবে অসাধারণ আর অজেয়।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : ৭/৮/১০, সিপিইউ : ইন্টেল কোর টু কোয়াড বা তার সমতুল্য, র্যা ম : ৬ গিগাবাইট উইন্ডোজ ৭/১০, ভিডিও কার্ড : এনভিডিয়া এফএক্স সিরিজ/এএমডি রাডেওন (সমতুল্য), হার্ডডিস্ক : ১২ গিগাবাইট
টেলস অব টাইম
টেলস অব টাইম গেমটির সবচেয়ে শক্তিশালী দিক ফ্রিডম অব ক্রিয়েশন, ফ্রিডম অব এরিয়া ও ফ্রিডম অব মুভমেন্ট। গেমার তার বিশাল এলাকায় যেভাবে খুশি, যা দিয়ে ইচ্ছে তার টাইম ডিস্টিঙ্কট, প্যারালাল এবং নিজস্ব ফ্যান্টাসি রাজ্য গড়ে তুলতে পারবেন। টেলস অব টাইম তার পূর্ববর্তী একই জনরার গেমগুলো থেকে আরও উন্নত এবং কুশলী গ্রাফিক্স ও সাউন্ড কোয়ালিটি সমৃদ্ধ, যা সত্যিকার অর্থেই গেমটিকে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে বহুদূর যেতে সাহায্য করেছে। গেমে যুক্ত হয়েছে নতুন ইমোশনাল ডিফিকাল্টি, যা বিভিন্ন মিথলজিক্যাল ফ্যান্টাসির অ্যাপিয়ারেন্স আর হিরোর পাওয়ার রেঞ্জ। টাইমভিত্তিক পাওয়ার আপ যেমন গেমারকে নতুন সুরক্ষা দেবে, তেমনি পাজলের জন্যও বিভিন্ন টাইম কনস্ট্রেইন্টস অনেক সময় শাপেবর হয়ে উঠতে পারে। জলপথ, আকাশপথ এবং স্থলপথ সব মিলিয়ে বেশ বিশাল আকারের বৈচিত্র্য পাওয়া যাবে মুভমেন্ট ফ্রিডম জোন গঠন করার সময়। সেই বিচিত্র সেনাবাহিনী নিয়ে যুদ্ধ করতে হবে তারচেয়েও বিচিত্র শত্রম্নদের সাথে।
মাইন ক্রাফট আনিমেটেড গেমগুলোর গ্রাফিক্স পাওয়ার আর টেলস অব টাইমের পার্থক্য অনেকখানি বেশি। তাই হিরোদের জন্য অপেক্ষা না করে গেমারকে নিজ থেকেই গড়ে তুলতে হবে প্রশিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ টাইম স্কিলস। আর হিরোর শক্তিমত্তার ওপরই নির্ধারিত হবে গেমারের সাম্রাজ্যের ভাগ্য। আছে সম্পূর্ণ আরপিজি ঘরানার ট্যালেন্ট আর স্কিলস ট্রি, যা দিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো পাওয়ার বণ্টন করা যাবে। গেমারের সাথে দেখা হয়ে যাবে অন্য একদল ডিফেন্ডারের, যারা গেমারের মতোই আটকা পড়ে আছে টাইমলেস জগতের মধ্যে। আছে জটিল সব গোলকধাঁধা, যেগুলোতে একবার ঢুকে পড়লে বের হওয়া বেশ কষ্টসাধ্যই বটে। আছে অসম্ভব সুন্দর রিক্রুটমেন্ট সিস্টেম, যা দিয়ে খুব সহজেই টাইম ট্র্যাভেলিং ফুয়েল আর পাজল ট্রেঞ্চ সম্ভব।
পুরো গেমটির পাজল স্কিম অসম্ভব দ্রুত। তাই দক্ষ গেমারদের জন্য এটি পারফেক্ট স্ট্র্যাটেজিক প্লাটফর্ম হলেও রুকিদের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। গেমটির অসাধারণ গেমপ্লে গেমারকে দেবে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা, যদিও টার্নভিত্তিক নয় এবং গ্রাফিক্স বর্তমানের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মতো উন্নত নয়। গেমটিতে আছে বেশ বড় হিস্টোরিক্যাল টাইম ট্রি, যা নিজের গেম প্ল্যানে থেকে হিসাব করে বের করতে করতেই অনেকখানি আনন্দ উপভোগ করা যাবে। সাথে আছে স্টোরি মোডের বিশাল ম্যাপস কালেকশন, যা দিয়ে সহজেই অনেক দিন চালিয়ে দেয়া যাবে। সূক্ষ্ম হিসাব-নিকাশ ছাড়াও গেমারকে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের ওপরও কিছুটা নির্ভর করতে হবে। কারণ গেমটির এআই যথেষ্টই ভালো প্রতিপক্ষ। সবকিছু মিলিয়ে টেলস অব টাইম গেমারকে এক সফল এবং উত্তেজনাপূর্ণ রোল প্লেয়িং পাজলের অভিজ্ঞতা দেবে। স্ট্র্যাটেজিস্টরা আর দেরি না করে এখনই লম্বা একটা সময় পার করতে প্রস্ত্তত হয়ে যান টেলস অব টাইমের সাথে।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : ৭/৮/১০, সিপিইউ : ইন্টেল কোর টু কোয়াড বা তার সমতুল্য, র্যা ম : ২ গিগাবাইট উইন্ডোজ ৭/১০, ভিডিও কার্ড : এনভিডিয়া এফএক্স সিরিজ/এএমডি রাডেওন (সমতুল্য), হার্ডডিস্ক : ১.৫ গিগাবাইট।

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৬ - মে সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস