• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > গেমের জগৎ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৬ - জুন
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
খেলা প্রকল্প
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
গেমের জগৎ
এলিয়েন আইসোলেশন
গেম অব থ্রোনস দেখে অাতকে উঠেছেন! পিলে চমকে গিয়েছে মেট্রো লাস্ট লাইট খেলতে গিয়ে! বসে পড়ুন এলিয়েন আইসোলেশন নিয়ে, বাকি সবকিছু ছেলেখেলা মনে হবে। সত্যিকার অর্থেই অসাধারণকেও ছাড়িয়ে গেছে এলিয়েন আইসোলেশন। খেলতে খেলতে গেমার হয়তো নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন যে কিছু সত্য হয়তো না জানাই শ্রেয়। গেমটি পুরোটাই স্টোরিভিত্তিক, তাই স্টোরিলাইনের কোনো কিছু বলে স্পয়লার দিতে চাচ্ছি না। তবে অনুরোধ থাকবে বিশাল গেমটি ডাউনলোড দেয়ার আগে অবশ্যই ইউটিউব থেকে এলিয়েন আইসোলেশনের সিনেম্যাটিক ট্রেইলার দেখে নেবেন। কারণ, সব গেম সবার জন্য নয়। গেমটি নতুন রিলিজ হওয়ার পরপরই জয় করে নিয়েছে গেমারদের মন। গেমটি রোল প্লেয়িংয়ের ওপর এনে দিয়েছে নতুন মাত্রা। এলিয়েন আইসোলেশন অন্য যেকোনো রোল প্লেয়িং গেম থেকে খুব সহজেই আলাদা করা যায়। কারণ, এতে রয়েছে অবাধ চলাচলের স্বাধীনতা আর অনন্যসাধারণ কী কনফিগারেশন। সম্পূর্ণ ফ্রি মোড গেম হওয়া সত্ত্বেও গেমারের যেকোনো সিদ্ধান্ত গেমের ঘটনাপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করবে না, কিন্তু পরিবর্তিত হয়ে যাবে গেম এন্ডিং। অস্ত্র এবং বিভিন্ন প্রকরণের ক্রাফটিং সুবিধা গেমারকে দেয়, যা মেট্রো লাস্ট লাইট বা আনচার্টেডের মতো গেমগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে। গেমটির শুরুতে বিভিন্ন পাওয়ার ট্রেন্ডের মধ্য থেকে নিজস্ব চরিত্র নির্ধারণ করে নিতে হয়। এতে রয়েছে ইচ্ছেমতো ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ এবং চলাচলের সুবিধা। গেমার সম্পূর্ণ ম্যাপে ইচ্ছেমতো বিচরণ করতে পারবেন শুধু একটি শর্তে- বেঁচে থাকতে হবে। গেমারের ইচ্ছের প্রতি সর্বোচ্চ মনোযোগ দেয়া হয়েছে। গেমার সম্পূর্ণ ম্যাপে যেখানে খুশি সেখানে যা ইচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ এবং নিরীক্ষণ করতে পারবেন। চিরায়ত রোল প্লেয়িং গেমের ঘটনাপ্রবাহের সাথে যখন অত্যাধুনিক গ্রাফিক্স এবং মনোরম ভয়ঙ্কর গেমিং পরিবেশ ও শব্দশৈলী একাকার হয়ে যায়, তখন গেম ছেড়ে উঠে পড়া সত্যিই অসম্ভব হয়ে ওঠে। সবচেয়ে বড় মাধুর্য লুকিয়ে আছে গেমগুলোর সাউন্ডট্র্যাকে, প্রত্যেকটি সুর যেন বিশেষ করে ওই ধরনের পরিস্থিতির জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে। আর প্রত্যেক সত্যের আছে অদ্ভুত সব ক্ষমতা, যা গেমারের ক্ষমতাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করবে।
গেমটির মাঝে একটা অন্যরকম আমেজ আছে। শুরুটা হয় আকাশ চিরে- যারা বিজ্ঞান নিয়ে কারণে-অকারণে চিন্তিত থাকেন তারা ভাবতে পারেন- যা নেই তা নিয়ে আবার কাটাকাটি কী করে! তবে অসাধারণ সুন্দর গ্রাফিক্স তাদের চিমত্মা-ভাবনা সব থামিয়ে মুগ্ধ হতে বাধ্য করবে। আকাশ চিরে গেমারের নামার কারণও আছে- কারণ গেমারকে এখন কোনো নায়ক বা কোনো ভিলেনের চরিত্রে নয়, খেলতে হবে স্বয়ং গডের চরিত্রে। এবার গেমিং মিলেছে ধর্ম এবং ইতিহাসের সাথে। যুক্তিকে মিশিয়েছে কল্পনায়, জাদুকে মিশিয়েছে বিজ্ঞানে। প্রতিষ্ঠা করতে পারে নিজের বিশ্বাসকে। সব মিলিয়ে অনন্যসাধারণ স্টোরিলাইন, মনোমুগ্ধকর গ্রাফিক্স, বাস্তবসম্মত অডিও-ভিজ্যুয়ালাইজেশন। গেমিং জগত গত তিন বছরে যেই পর্যায়ে পৌঁছেছে তার বছরত্রয়ীর শেষের ক্যানভাসে শেষ অাঁচড় দেয়ার মতো একটি মাস্টারপিস। গেমারকে খেলতে হবে অ্যাম্বাসাডর থেকে শুরু করে কম্ব্যাটান্ট হিসেবে। মুখোমুখি হতে হবে সম্ভাব্য সব বাস্তবতার।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : ৭/৮.১/১০, সিপিইউ : ইন্টেল কোরআই৫ ২.৩ গিগাহার্টজ/এএমডি সমমানের প্রসেসর, র্যা ম : ৪ গিগাবাইট উইন্ডোজ ৭/৮.১/১০, ভিডিও কার্ড : ২ গিগাবাইট উইথ পিক্সেল শেডার, ১৬+ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস, সাউন্ড কার্ড, কিবোর্ড ও মাউস

যোতুন
গেমটির নাম যেমন অদ্ভুতুড়ে, গেমপ্লেও ঠিক তেমন। গেমের স্টোরিলাইন গ্রিক মিথলজিক্যাল গডস আর তাদের পাওয়ার স্ট্রাগল নিয়ে। জিউস থেকে শুরু করে অনেক থেলানিওস সবাইকেই পাওয়া যাবে যোতুনের হার্ড পাওয়ারলাইন গেমপ্লেতে। গেমারকে পার হয়ে যেতে হবে ভয়ঙ্কর জঙ্গল, বিশাল এবড়োথেবড়ো পর্বতমালা, জটিল সব গোলকধাঁধা, পুরনো অট্টালিকা, পারদভর্তি গুহা, মৃত মানুষের দেশ, ভয়াবহ আগ্নেয়গিরি। যুদ্ধ করতে হবে ভয়ঙ্কর সব দানব, ড্রাকুলা, কীটপতঙ্গ, কঙ্কাল প্রভৃতির সাথে। গেমারের পুরো যাত্রাই প্রতিস্তর বিপদসঙ্কুল আর আকস্মিকতায় ভরা। এর মাঝে গেমারকে সমাধান করতে হবে বিভিন্ন ধরনের ধাঁধা, অর্জন এবং প্রতিষ্ঠা করতে হবে বিশ্বাস। আর শ্যাডো অব দ্য কলসাসের পাঁড় ভক্তরাও এখানে খুঁজে পাবেন তাদের পছন্দসই বিশালাকৃতির টাইটানদের সাথে যুদ্ধ এবং তার পাশাপাশি যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব। খুঁজে ফিরতে হবে বহুদিন আগে হারিয়ে যাওয়া গুপ্তধন। গেমার ব্যবহার করতে পারবেন বিভিন্নভাবে অর্জন করা জাদুমন্ত্র আর অদ্ভুত ক্ষমতাসম্পন্ন সব অস্ত্র। প্রত্যেকটি যুদ্ধে থাকবে অনন্যসাধারণ থ্রিডি শো, যা গেমারকে মুগ্ধ করবে। গেমের পুরোটাই সুন্দর গ্রাফিক্যাল টেক্সচার দিয়ে তৈরি। তাই গেমারেরা গেমটিকে বেশ ভালোমতোই উপভোগ করবেন বলা যায়। কারণ, এ ধরনের ক্লাসিক গেমিং প্রোডাকশন ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কমই আসে।
গেমটি ছোট ছোট গল্পে বিভক্ত। প্রত্যেকটি গল্প একটির চেয়ে আরেকটির সৌন্দর্যের ভয়াবহতাকে ফুটিয়ে তুলেছে। এই প্র-তার সবকিছু শেষ করে ফেলা যাবে মাত্র একটা ফুটবল ম্যাচ দেখতে যতক্ষণ লাগে ততক্ষণের মধ্যেই হয়তো। আর এই দ্রুতলয়ের গেমিং গেমারকে তার সর্বোচ্চ শক্তির শেষটুকু ব্যবহার করতে বাধ্য করবে।
গেমটিতে আছে নন-লিনিয়ার ম্যাপিং, যা এর মজাদার বৈশিষ্ট্যগুলোকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। এতে আছে ব্যাকড্রাফটিং, ওপেন এন্ডেড নেচার, শেষ না হওয়া স্কিল সেটস, নিত্য-নতুন জায়গা। শুরুতে ডিপ কমব্যাট সিস্টেমটিকে ঠিকমতো ঠাহর করা যাবে না, আসেত্ম আসেত্ম যখন বেসিক পাঞ্চ আর কিক বাদেও হুয়ান নতুন কমপ্লিমেন্টারি স্কিলগুলো অর্জন করতে থাকবে তখন জ্যাব, আপারকাট, হাই জাম্প ট্যাক্টিক্স থেকে শুরু করে কিছুক্ষণের জন্য মুরগিতে বদলে যাওয়া সবকিছুই ডিপ কমব্যাটে গেমারকে সাহায্য করবে।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : ৭/৮.১/১০, সিপিইউ : ইন্টেল কোরআই৩ ২.০ গিগাহার্টজ/এএমডি সমমানের প্রসেসর, র্যা ম : ৪ গিগাবাইট উইন্ডোজ ৭/৮.১/১০, ভিডিও কার্ড : ১ গিগাবাইট উইথ পিক্সেল শেডার, ২ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস, সাউন্ড কার্ড, কিবোর্ড ও মাউস

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৬ - জুন সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস