• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > কমপিউটার নিষ্ক্রিয় হওয়ার লক্ষণ ও সমাধান
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: তাসনীম মাহ্‌মুদ
মোট লেখা:১২৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৬ - সেপ্টেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ব্যবহার
তথ্যসূত্র:
ব্যবহারকারীর পাতা
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
কমপিউটার নিষ্ক্রিয় হওয়ার লক্ষণ ও সমাধান
কোনো ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেটই আজীবন সচল থাকে না। যদি দীর্ঘ বছর ধরে কমপিউটার ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে নিঃসন্দেহে বলা যায়, এ সময়ের মধ্যে কোনো না কোনো সময় আপনার কমপিউটার নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল দীর্ঘ ব্যবহারের ফলে বা এক বা একাধিক যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে। যদি দীর্ঘ ব্যবহারের ফলে এক বা একাধিক যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার কারণে কমপিউটারের কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে তা সাধারণত সমাধানযোগ্য। সাধারণত কমপিউটারের কোনো সমস্যা হলে আপনাকে সঙ্কেত দেবে। যদি এ সম্পর্কে কোনো ধারণা থাকে, তাহলে পরবর্তী করণীয় কাজগুলো খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।
ধরা যাক, আপনার প্রতিষ্ঠানের কোনো এক কর্মচারী হঠাৎ করে তার কমপিউটারের সাথে প্ল্যাগ করা হেডফোন থেকে কিছু অস্বাভাবিক শব্দ শুনতে পেলেন। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এ ধরনের অস্বাভাবিক শব্দ হওয়ার অর্থ আপনার কমপিউটাররের মাদারবোর্ড নিষ্ক্রিয় হওয়ার পথে। এ অবস্থায় যথাযথভাবে গুরুত্ব না দেয়ায় তিন-চারদিন পর তার কমপিউটার পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। একটি কমপিউটার পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হওয়ার আগে কীভাবে এর লক্ষণগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা যায়, তার উপায় ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে এ লেখায় উপস্থাপন করা হয়েছে।
০১. সফটওয়্যার গিস্নচ
ঘন ঘন সফটওয়্যার গিস্নচ বা সফটওয়্যারের ত্রম্নটি হলো একটি ভালো চিহ্ন, যা কিছুটা কমপিউটারের স্বাভাবিক কাজে বাধা সৃষ্টি করে থাকে। সফটওয়্যারে সমস্যা সৃষ্টি হলে কমপিউটার সেস্না হয়ে পড়ে, ঘন ঘন ফ্রিজ বা ক্র্যাশ হয় এবং এরর মেসেজ পাঠায়। যদি সমস্যাটি শুধু একটি প্রোগ্রাম-সংশ্লিষ্ট হয়, তাহলে আপনার কমপিউটার নিষ্ক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা কম।
তবে যখন কয়েকটি প্রোগ্রাম খারাপ আচরণ করতে থাকে, তখন কমপিউটার রিবুট করার পরও স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয়। তাহলে ব্যবহাকারীর উচিত প্রথমে ভাইরাস চেক করে দেখা, যা বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। রিবুট করলে অনেক সময় সমস্যার সমাধান হয়ে যায়, কিন্তু কেন হয়, তা সবার মনে এক স্বাভাবিক প্রশ্ন। এমন অবস্থায় হার্ডড্রাইভের ঝগঅজঞ ডাটা চেক করার জন্য ক্রিস্টালডিস্কইনফো (CrystalDiskInfo) অনুসারে প্রোগ্রাম ব্যবহার করুন, যাতে আসন্ন ব্যর্থতার লক্ষণ শনাক্ত করা যায়।
যদি আপনার কমপিউটার খুব গরম হয়ে যায় বা ভোল্টেজ অস্থির হয়ে পড়ে, তা চেক করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন স্পিডফ্যান (SpeedFan) নামে এক প্রোগ্রাম, যা হার্ডওয়্যারের উভয় লক্ষণ শনাক্ত করতে পারে।
প্রত্যেক ব্যবহারকারীর মনে রাখা উচিত, রিবুটের মাধ্যমে শুধু কমপিউটারের নয় বরং অনেক গ্যাজেটেরই সমস্যা সমাধান হয়। রিবুট চমৎকারভাবে কাজ করে কমপিউটার, ওয়্যারলেস রাউটার, হোম এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেম, ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোনে।
আপনি এ কাজে লাগাতে পারেন যেকোনো ধরনের কমপিউটার প্রোগ্রাম বা অ্যাপের ওপর, যখন অস্বাভাবিকভাবে আচরণ করতে থাকে। ধরুন, আপনার ওয়েব ব্রাউজার অস্বাভাবিকভাবে আচরণ করতে শুরু করল, তখন তা বন্ধ করে আবার চালু করলে সমস্যার সমাধান হয়ে যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই।
কখনও কখনও সফটওয়্যার গিস্নচ হয়ে থাকে সমস্যার গভীরের অংশ, যা সহজে দূর করা যায় না। ব্যবহৃত অবস্থায় আপনার কমপিউটারের গতি যদি কমে যেতে থাকে, তাহলে এর কারণ হতে পারে কোনো খারাপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে সিপিইউ এবং মেমরি ব্যবহার হওয়া।
কোন প্রোগ্রাম এটি তা পিনপয়েন্ট করতে সহায়তা পাবেন রিস্টার্ট করার মাধ্যমে। কমপিউটার কিছুক্ষণ চলার পর যদি সমস্যা সৃষ্টি হয়, তাহলে খেয়াল করে দেখুন কোন প্রোগ্রামটি অতি সম্প্রতি চালু করা হয়েছে।
পিসিতে এ কাজটি করার জন্য CTRL+SHIFT+ESC চাপুন টাস্ক ম্যানেজার ওপেন করার জন্য। এখান থেকে জানতে পারবেন কোন প্রোগ্রাম রান করছে। আপনি নিজেও আনরেসপন্সিভ প্রোগ্রাম সিলেক্ট করে তা বন্ধ করে দিতে পারবেন End Task-এ ক্লিক করে।
ম্যাকের ক্ষেত্রে পাবেন Force Quit অপশন। টাস্ক ম্যানেজার ওপেন করার জন্য Command + Option + ESC চাপুন। এবার ক্ষতিকর প্রোগ্রাম সিলেক্ট করে Force Quit ক্লিক করুন।
ধরুন, কমপিউটার রিবুট করার পরও কাজ করতে ব্যর্থ হচ্ছে কোনো কারণে সমস্যা দূর না হওয়ায়। এমন ক্ষেত্রে স্টার্টআপের সময় যাতে প্রোগ্রামগুলো রান করতে না পারে সে জন্য চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এ কাজ শেষে প্রোগ্রামগুলো একটি একটি করে রিএনাবল করতে থাকুন, যতক্ষণ পর্যন্ত না সমস্যাযুক্ত প্রোগ্রামটি খুঁজে বের করে রিমুভ করছেন। অথবা সেফ মোড ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এটি কমপিউটারে বিল্টইন এক শক্তিশালী টুল। এর মাধ্যমে আপনি ম্যানুয়ালি সেটিং সংশোধন করতে পারবেন এবং যেসব প্রোগ্রাম বা ড্রাইভার সমস্যা সৃষ্টি করছে, সেগুলো আনইনস্টল করতে পারবেন।
রিবুট অনেক সময় ইন্টারনেট কানেকশন সমস্যাও ট্রাবলশুট করতে পারে। যদি ইন্টারনেট কানেকশন দুর্বল বা স্পটি হয়, তাহলে রাউটার বা মডেম সফটওয়্যার সমস্যার মধ্য দিয়ে রান করার সম্ভাবনা থাকে। এমন অবস্থায় গিস্নচ ফিক্স করতে পারবেন রাউটার বা মডেমকে আনপ্লাগ করে ১০ থেকে ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করার পর আবার প্লাগ করুন। কিন্তু কেন রাউটার বা মডেমকে আনপ্লাগ করে ১০ থেকে ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করা? আমাদের জানা থাকা দরকার, ইলেকট্রনিক ইক্যুইপমেন্টে থাকে ক্যাপসিটর, যাতে ভোল্টেজ স্বাচ্ছন্দ্যে প্রবাহিত হতে পারে। যাই হোক, ক্যাপাসিটর তত্ত্বাবধান করে গ্যাজেট শক্তি যতক্ষণ পর্যন্ত না তা ফুরিয়ে যায়, যা সাধারণত হয়ে থাকে ১০ সেকেন্ডের চেয়ে বেশি।
০২. হার্ডওয়্যার গিস্নচ
আপনার মাউস কি অবিরতভাবে কাজের সময় কয়েক সেকেন্ডের জন্য বা আরও বেশি সময়ের জন্য কাজ করা বন্ধ করে দেয়? হয়তো এ সময় মনিটরে ভুতুড়ে কিছু লাইন বা ব্লক প্রদর্শিত হতে পারে। ফ্ল্যাশড্রাইভে প্লাগইন করার পরও আপনার কমপিউটার তা দেখতে পায় না।
এমন অবস্থায় প্রথমে মাউস, কিবোর্ড এবং মনিটর ক্যাবল আপনার কমপিউটারের সাথে সুদৃঢ়ভাবে কানেক্টেড আছে কি না চেক করে দেখুন। কেননা, লুজ কানেকশনের জন্যও অনেক সময় এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। প্রথমে ভিন্ন আরেকটি মাউস দিয়ে চেষ্টা করুন অথবা অন্য আরেকটি ইউএসবি সস্নটে ফ্ল্যাশড্রাইভ প্লাগ করে দেখুন। যদি এতে কাজ হয়, তাহলে প্রথম গিস্নচের কারণ হতে পারে সম্ভবত খারাপ ইউএসবি পোর্ট।
আর যদি এতেও সমস্যা দূর না হয়, তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনার কমপিউটার নিষ্ক্রিয় হওয়ার পথে আছে। এ ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় হতে পারে আপনার মাদারবোর্ড, পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট অথবা গ্রাফিক্স সিস্টেম। এমন অবস্থায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ আপগ্রেড করা বা সম্পূর্ণ কমপিউটার বদলিয়ে ফেলা উচিত।
০৩. নয়েজি হার্ডড্রাইভ বা সিস্টেম ফ্যান :
আপনার সিস্টেম থেকে আসা বিরক্তিকর আওয়াজ কখনই ভালো লক্ষণ নয়। যদি আপনার হার্ডড্রাইভ ক্লিকিং বা বিরক্তিকর গ্রাউন্ডিং শব্দ করে থাকে, তাহলে এটি হতে পারে দীর্ঘ ব্যবহারের ফলে ক্ষয় হওয়ার কারণে ম্যালফাংশনিং অংশ বা ম্যালফাংশনিং সমস্যা।
নয়েজি ফ্যানের অর্থ হচ্ছে কমপিউটারের ভেতরে প্রচুর পরিমাণে ধুলাবালি জমা হওয়ায় খুব গরম হওয়া। এটি নির্দিষ্ট করতে পারে ম্যালফাংশনের অংশ, যেমন- খুব গরম হয়ে যাওয়া প্রসেসর।
যদি আপনি ডেস্কটপ ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে খুব সহজেই তা পরিষ্কার করে নিতে পারবেন। এ কাজ শুরু করার আগে কেস ওপেন করে ভেতরের অংশটি পরিষ্কার করুন কম্প্রেসড এয়ার ক্যান দিয়ে এবং ভাঙা ফ্যানের শব্দ শোনা যায় কি না তা খেয়াল করে শুনুন।
ফ্যান যেহেতু তেমন ব্যয়বহুল নয়, তাই ফ্যানের কোনো সমস্যা হলে অনায়াসে তা প্রতিস্থাপন করতে পারবেন অল্প খরচে। এরপরও যদি বাজে শব্দ শোনা যায়, ধরে নিতে পারেন সমস্যাটি হচ্ছে কুলিং ফ্যানের। সুতরাং কুলিং ফ্যান বদলানো ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
০৪. বুট ফেইলুর
কমপিউটার চালু করলে কী disk boot failure এ ধরনের মেসেজসহ আবির্ভূত হয়? কমপিউটারের সুইচ অন করার পর উইন্ডোজ লোডিং কার্যক্রম থেমে গেলে নিজে নিজেই রিবুট হয়।
বুট ফেইলুর হতে পারে হার্ডড্রাইভ ফেইলুরের অথবা করাপ্ট করা অপারেটিং সিস্টেমের এক লক্ষণ। আপনি উইন্ডোজ রিইনস্টল করে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। উইন্ডোজ রিইনস্টল করলে আপনার ড্রাইভের সব ডাটা মুছে যাবে। এ ব্যাপারে সচেতন থাকলেই হবে। সুতরাং কমপিউটার রিইনস্টল করার আগে আপনার প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো ব্যাকআপ করা হয়েছে তা নিশ্চিত করুন।
যদি নিষ্ক্রিয় অথবা করাপ্ট করা হার্ডড্রাইভ বুট ফেইলুরের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে হার্ডড্রাইভ অথবা কমপিউটার প্রতিস্থাপন করা ছাড়া আপনার জন্য করণীয় তেমন বেশি কিছু নেই।
প্রত্যেক ব্যবহারকারীকে মনে রাখতে হবে, কালের বিবর্তনের সাথে সাথে কমপিউটার এক সময় ধীর থেকে ধীর হতে থাকবে। আপনি কমপিউটারের গতি বেশ কিছুটা উন্নত করতে পারবেন অপ্রয়োজনীয় ফাইল ও প্রোগ্রাম দূর করার মাধ্যমে।
০৫. দুর্বল পারফরম্যান্স
পুরনো কমপিউটারের সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার পারফরম্যান্স সাধারণত হয়ে থাকে মন্থর, অস্থিতির জন্য সম্ভাব্য কিছু কারণও রয়েছে।
হয়তো আপনার হার্ডড্রাইভ প্রায় পূর্ণ হয়ে গেছে অথবা কমপিউটার ভাইরাসে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। সব সময়ই হার্ডওয়্যারের ভিত্তিস্বরূপ মারাত্মক সমস্যার প্রচুর সম্ভাবনা থাকে। পিসির পারফরম্যান্স উন্নত করার জন্য নিচে বর্ণিত ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
স্টার্টআপের গতি বাড়ানো
যত দিন যাবে ব্যবহারকারী তার কমপিউটারে বেশি থেকে বেশি প্রোগ্রাম ইনস্টল করবেন, যা খুব এক প্রক্রিয়া। ইনস্টল করা এসব প্রোগ্রামের মধ্যে কোনো কোনোটি নিজেদেরকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু করে যখন কমপিউটার চালু করা হয়। এর ফলে সৃষ্টি হয় এক লগজ্যাম। অর্থাৎ এমন এক অবস্থা সৃষ্টি হয়, যেখানে স্বাভাবিক প্রগ্রেস ব্যাহত হয় প্রচুর কাজ করার জন্য।
সফটওয়্যার এবং ডাটা পরিপূর্ণ কমপিউটারে অটোরানের মতো প্রোগ্রাম চালু করুন। এটি আপনাকে জানাবে কোন প্রোগ্রামটি চালু হচ্ছে। এরপর যেসব প্রোগ্রাম আপনার জন্য দরকার নয়, সেগুলো যাতে রান না করে তা এক ক্লিকে বলতে পারবেন।
কঠোরতা অবলম্বন করুন। এমনকি যেসব প্রোগ্রাম প্রায়শ লোড হয়, সেগুলোও সম্ভবত সরাসরি লোড হওয়ার দরকার নেই। ব্যতিক্রম শুধু সিকিউরিটি সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে। নিরাপত্তার জন্য এটি স্টার্টআপের সময় লোড হওয়া দরকার।
কোনো প্রোগ্রামকে আনইনস্টল করা দরকার নেই। যদি বুঝতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু হারিয়ে গেছে, তাহলে আপনি তা আবার এনাবল করতে পারবেন।
ড্রাইভ স্পেস ফ্রি করা
কমপিউটারের হার্ডড্রাইভ পরিপূর্ণ হয়ে গেলে সম্পূর্ণ কমপিউটারের গতি কমে যায়। সুতরাং কোনো ব্যবহারকারীর উচিত হবে না সম্পূর্ণ হার্ডড্রাইভ পরিপূর্ণ করা, এমনকি সামান্য কয়েক গিগাবাইট স্পেস ফ্রি করলেও পিসির গতি মন্থরই থাকবে।
যদি আপনি বুঝতে পারেন হার্ডড্রাইভ পরিপূর্ণ হয়ে গেছে, তাহলে এখনই সময় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার। এ ক্ষেত্রে WinDirStat-এর মতো প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে পারেন, যা আপনাকে বলে দেবে কোন ফাইল বা ফোল্ডার প্রচুর স্পেস দখল করে আছে। এর ফলে বড় ধরনের ফাইলকে বা নিয়মিতভাবে ব্যবহার করা হয়, এমন ফাইকে এক্সটারনাল হার্ডড্রাইভে সরিয়ে নিয়ে মূল হার্ডড্রাইভের ফাইলগুলো মুছে ফেলুন।
ডুপ্লিকেট ফাইলের কারণেও অনেক সময় হার্ডড্রাইভ ভারাক্রান্ত হতে পারে। ডুপ্লিকেট ক্লিনার (Duplicate Cleaner) নামের প্রোগ্রামটি দ্রুত এ সমস্যা দূর করতে পারে। উইন্ডোজের জন্য টেম্পোরারি ফাইল ও ফোল্ডার এবং অন্যান্য প্রোগ্রাম খুব দ্রুত বেড়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে সিক্লিনার (CCleaner) নামে প্রোগ্রামটি, যা খুব দ্রুত টেম্পোরারি ফাইলসহ অন্যান্য ফাইল হার্ডড্রাইভ থেকে দূর করে স্পেস বাড়াতে পারে।
দ্রুততর ব্রাউজার ব্যবহার করা
ইন্টারনেট সার্ফিংয়ের সময় কমপিউটার খুব ধীরগতিতে রান করে। এ সমস্যাটি হতে পারে ইন্টারনেট কানেকশনের কারণে। আবার ব্রাউজারের পুরনো ভার্সনের কারণেও ব্রাউজিং স্পিড কম হতে পারে। সুতরাং আপনার ব্যবহৃত ব্রাউজারটি আপ টু ডেট কি না তা নিশ্চিত করুন। এছাড়া ধীরগতির ব্রাউজার যেমন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের কারণেও সমস্যা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিকল্প ব্রাউজার হিসেবে ফায়ারফক্স বা ক্রোম ব্যবহার করলে আপনার ব্রাউজিং গতি বেশ কিছুটা বাড়বে। এ ছাড়া ব্যবহৃত ব্রাউজারটি ক্লগড হতে পারে অনাকাঙিক্ষত টুলবার দিয়েও। কেননা, এটি রান হওয়ার জন্য ব্যবহার করে প্রসেসিং পাওয়ার। এর ফলে প্রতিটি পেজ লোড হয় স্বাভাবিকের চেয়ে ধীরে
ফিডব্যাক : mahmood_sw@yahoo.com


পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৬ - সেপ্টেম্বর সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস