লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৬ - সেপ্টেম্বর
ড্রাগন এজ অরিজিনস
ড্রাগন এজ অরিজিনস
গেমারকে খেলতে হবে অ্যাম্বাসাডর থেকে শুরু করে কম্ব্যাটান্ট হিসেবে। মুখোমুখি হতে হবে সম্ভাব্য সব বাস্তবতার। গেমারকে পার হয়ে যেতে হবে ভয়ঙ্কর জঙ্গল, বিশাল এবড়োথেবড়ো পর্বতমালা, জটিল সব গোলকধাঁধা, পুরনো অট্টালিকা, পারদভর্তি গুহা, মৃত মানুষের দেশ, ভয়াবহ আগ্নেয়গিরি। যুদ্ধ করতে হবে ভয়ঙ্কর সব দানব, ড্রাকুলা, কীটপতঙ্গ, কঙ্কাল প্রভৃতির সাথে। গেমারের পুরো যাত্রাই প্রতিস্তর বিপদসঙ্কুল আর আকস্মিকতায় ভরা। এর মাঝে গেমারকে সমাধান করতে হবে বিভিন্ন ধরনের ধাঁধা, সমাধান করতে হবে অর্জন এবং প্রতিষ্ঠা করতে হবে বিশ্বাস। আর ডার্ক্সাইডার ৩-এর পাঁড় ভক্তরাও এখানে খুঁজে পাবেন তাদের পছন্দসই বিশালাকৃতির টাইটানদের সাথে যুদ্ধ এবং তার পাশাপাশি যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব। খুঁজে ফিরতে হবে বহুদিন আগে হারিয়ে যাওয়া গুপ্তধন। গেমার ব্যবহার করতে পারবেন বিভিন্নভাবে অর্জন করা জাদুমন্ত্র আর অদ্ভুত ক্ষমতাসম্পন্ন সব অস্ত্র। আছে অপূর্ব সুন্দর ব্যাকগ্রাউন্ড ন্যারেশন, যা গেমারকে প্রতিমুহূর্তে এনে দেবে নতুন উদ্যম।
ড্রাগন এজ অরিজিনস এমন একটি গেম, যেটি নিয়ে একবার বসে পড়লে যেকোনো গেমার কোনোভাবেই আর গেমটি শেষ না করে উঠতে পারবে না। টানা খেলে গেলে সম্পূর্ণ গেমটি শেষ করতে লাগতে পারে সাত থেকে নয় ঘণ্টা। আর গেমটি না শেষ করে কমপিউটারের সামনে থেকে ওঠার কোনো কারণ নেই। এই কয়েক ঘণ্টার গেমপ্লেতে গেমার পাবে বহু ক্রিচারস ধ্বংস করার আনন্দ। আছে অসম্ভব মারাত্মক সব অস্ত্র। আছে নানা ধরনের ম্যাজিকা অ্যান্ড স্পেলস। আছে ডেস্ট্রাক্টেবল অবজেক্ট, ডিনামাইট, গ্রেনেড, স্মোক বম্ব, বস্নাস্ট বম্ব, ফ্ল্যাশ বম্ব, টাইম বম্বসহ বহু ধরনের বম্বিং ইক্যুইপমেন্ট। গেমটিতে আছে ছোট ছোট এলিয়েন মনস্টার থেকে শুরু করে বিশালাকার দানব। আছে উড়ন্ত দানব, মানুষখেকো গাছ-গাছালি। আর এগুলোকে ধ্বংস করার জন্য গেমার ব্যবহার করতে পারবে নানা ধরনের হোলিপ্যাড, টারেট কার্ডস প্রভৃতি। তাই প্রিয় গেমারেরা, সিরিজের সর্বশেষ গেম এসে পড়ার আগেই পোক্ত করে নিন ড্রাগন এজের সাথে সম্পর্কটা।
অদ্ভুত সুন্দর টেক্সচার, টেরিয়ান, রিসোর্স সবকিছুই গেমারকে মুগ্ধ করবে। সাথে তৈরি করা প্রতিটি সিটিতে থাকছে নির্দিষ্ট রেসিয়াল ইনহ্যাবিট্যাট। তাই সেগুলো দেখাশোনা করাটাও বেশ উত্তেজনাপূর্ণ হবে। সূক্ষ্ম হিসাব-নিকাশ ছাড়াও গেমারকে ষষ্ঠ ইন্দ্রীয়ের ওপর কিছুটা নির্ভর করতে হবে। কারণ, গেমটির এআই যথেষ্ট ভালো প্রতিপক্ষ। সবকিছু মিলিয়ে ডিভিনিটি ড্রাগন কমান্ডার গেমারকে যুগের অন্যতম সফল এবং উত্তেজনাপূর্ণ আর পিজিএ’র অভিজ্ঞতা দেবে। তাই দেরি না করে এখনই হয়ে উঠুন দক্ষ ড্রাগন কমান্ডার।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : এক্সপি/ভিসতা/৭, সিপিইউ : ইন্টেল কোর টু কোয়াড বা তার সমতুল্য, র্যা ম : ৪ গিগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/৭, ভিডিও কার্ড : জি ফোর্স ৬০০০ সিরিজ জিটিএস/রাডেওন (সমতুল্য), হার্ডডিস্ক : ১৬ গিগাবাইট
অ্যাশেস অব সিঙ্গুলারিটি
পুরো মহাবিশ্বটা কতখানি বড়, সেটা ঠিক আন্দাজ করে ওঠাটা কঠিন। ছোট একটা আন্দাজ অবশ্য করা যায়, পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব পৃথিবীর এই মাথা থেকে ওই মাথা দশবার ঘুরে এলে যতখানি হবে ততখানি। আর চাঁদ হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের মহাজাগতিক জিনিস। বাকিগুলো ঠিক কতখানি দূরে, সেগুলো নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না।
অ্যাশেস অব সিঙ্গুলারিটি করা হয়েছে এই বিশাল মহাবিশ্বের সব অজানা সভ্যতা নিয়ে। সভ্যতাগুলো তৈরি করা হয়েছে সিড মিয়ারসের মাস্টারপিসগুলোর চেয়েও আকর্ষণীও করে, সিমুলেটেড নিমেশ দিয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে। নক্ষত্র সমন্বয় টেক্স থেকে শুরু করে অতিরিক্ত ১২ জন খেলোয়াড় যোগ করা পর্যন্ত সবকিছুই করা যাবে গেমটিতে। আছে সম্ভাব্য অদ্ভুতুড়ে সব স্ট্র্যাটেজিক কৌশল, যা যেকাউকে গেমটির ফ্যান হতে বাধ্য করবে। গেমে গেমারকে প্রচুর পরিমাণে মাইক্রোম্যানেজমেন্ট করতে হবে, করতে হবে সব ধরনের নির্মাণকাজ এবং সাম্র্রাজ্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গেমারকে নিতে হবে। জয় করতে হবে ছায়াপথের সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তি ও তার ভরবেগ পরিচালনা করার ক্ষমতা। খেলার শুরুতে কিছু একটি মৌলিক কৌশল মেনে চলতে হবে। জোগাড় করতে হবে যথেষ্ট সম্পদ। সাথে সাথে সাম্রাজ্যের আর সামরিক বাহিনীর দায়িত্ব নিতে হবে। শুরু করতে হবে বিজ্ঞান গবেষণা, টেক ল্যাবস আপগ্রেড, বাড়াতে হবে নৌসীমা।
স্ট্র্যাটেজি- আরপিজি জনরার এই গেমটিতে সবকিছু আরও ট্যাক্টিকাল আরও স্ট্র্যাটেজিকাল, বলা যায় এই ঘরানার অন্যান্য সাম্প্রতিক গেমগুলো থেকে চারগুণ। ঠিক চারগুণ কেন সেটা আমি বলব না, গেমারেরা নিজেরাই অনুভব করতে পারবেন। ফলেন এনচ্যানট্রেসের এই ডেব্যুটার নাম লেজেন্ডারি হিরোস। ফলে বুঝতেই পারছেন, এই গেমটির সবচেয়ে অনন্য মাত্রা গেমটির অসাধারণ সুপারহিরোদের ঘিরে তৈরি হয়েছে। তার সাথে যুক্ত হয়েছে নতুন উন্নত ব্যাটল স্টাইল, বিশালাকার স্ট্র্যাটেজিকাল ম্যাপস, আর নিত্যনতুন ফ্যান্টাসি।
গেমটির অসাধারণ গেমপ্লে গেমারকে দেবে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। পুরো ব্যাটল স্কিম কখনই গেমারকে একঘেয়েমিতে ফেলবে না। যুদ্ধ আরও জমজমাট হয়ে ওঠে যখন খুব শক্তিশালী কোনো হিরোর সাথে ডিমনদের ব্যাটল শুরু হয় কিংবা যখন বিশাল এক সিজ উইপনারি-মিক্সড আর্মির সামনে পরে কাবু হয়ে ওঠে। সাথে আছে ক্যাম্পেইন মোডের বিশাল ম্যাপস কালেকশন, যা দিয়ে সহজেই পুরো দুদিন চালিয়ে দেয়া যাবে। অদ্ভুত সুন্দর টেক্সচার, টেরিয়ান, রিসোর্স সবকিছুই গেমারকে মুগ্ধ করবে। সাথে তৈরি করা প্রতিটি সিটিতে থাকছে নির্দিষ্ট রেসিয়াল ইনহ্যাবিটাট। তাই সেগুলো দেখাশোনা করাটাও বেশ উত্তেজনাপূর্ণ হবে। সূক্ষ্ম হিসাব-নিকাশ ছাড়াও গেমারকে ষষ্ঠ ইন্দ্রীয়ের ওপরও কিছুটা নির্ভর করতে হবে। কারণ, গেমটির এআই যথেষ্ট ভালো প্রতিপক্ষ। সবকিছু মিলিয়ে অ্যাশেস অব সিঙ্গুলারিটি গেমারকে যুগের অন্যতম সফল এবং উত্তেজনাপূর্ণ স্ট্র্যাটেজি গেমিংয়ের অভিজ্ঞতা দেবে। তাই দেরি না করে এখনই কৌশলী স্ট্র্যাটেজিস্ট হয়ে উঠুন অ্যাশেস অব সিঙ্গুলারিটির সাথে।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : উইন্ডোজ ৭ বা তদুর্ধ, সিপিইউ : কোরআই৩/এএমডি সমমানের, র্যা ম : ৮ গিগাবাইট, ভিডিও কার্ড : ২ গিগাবাইট, হার্ডডিস্ক : ২০ গিগাবাইট, সাউন্ড কার্ড, কিবোর্ড ও মাউস