পিএইচপি ইনস্টলেশন
আগের টিউটোরিয়াল থেকে আমরা জেনেছি, পিএইচপি স্ক্রিপ্টের জন্য আমাদের দুই ধরনের সফটওয়্যার দরকার। সেগুলো হচ্ছে সার্ভার সফটওয়্যার ও ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার। ক্লায়েন্ট সফটওয়্যারগুলো (ব্রাউজার ও নোটপ্যাড) সাধারণত আমাদের সবারই আছে। এখন যা করতে হবে তা হচ্ছে এপাচি, পিএইচপি ও ডাটাবেজ সফটওয়্যার মাইএসকিউএল ইনস্টল করা। মাইএসকিউএল কী কাজে লাগবে সে সম্পর্কে পরে আলোচনা করা হবে। এ সফটওয়্যারগুলো সবই অনলাইনে ফ্রি পাওয়া যায়। গুগলে অযথা খুঁজতে হবে না বরং একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করলেই দরকারি সব সফটওয়্যারই ইনস্টল হয়ে যাবে। আলাদা করে সব সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হবে না। সফটওয়্যারটির নাম হচ্ছে ঢঅগচচ। https://www.apachefriends.org/download.html লিঙ্ক থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে অন্য সব সফটওয়্যারের মতো ইনস্টল করে নিতে হবে।
ইনস্টল হয়ে গেলে ডেস্কটপে XAMPP-এর একটি আইকন আসবে। আইকনে ডাবল ক্লিক করে ওপেন করতে হবে। তবে অন্য একটি উপায়েও ওপেন করা যায়। তার জন্য এটি যে ড্রাইভে ইনস্টল হয়েছে সে ড্রাইভে গিয়ে নামের XAMPP Control Panel আইকন খুঁজে বের করতে হবে। আপনি যদি D ড্রাইভে সফটওয়্যারটি ইনস্টল করেন, তবে তার লোকেশনটি হবে এমন- D:\Program Files\xampp ev D:\xampp। এখন আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে Start বাটনে ক্লিক করা (এপাচি ও মাইএসকিউএল)।
এপাচি ও মাইএসকিউএল চালু করার পর ব্রাউজারের অ্যাড্রেস বারে http://localhost লিখলে নিচে ছবির মতো একটি পেজ আসবে। যদি না আসে, তবে ঊহমষরংয লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে।
পিসিতে সার্ভার ইনস্টল হয়েছে কি না সেটা বোঝা যাবে এই পেজটি এলে। সার্ভার ইনস্টল হওয়ার অর্থ আপনার কমপিউটারটি এখন একটি সার্ভার হিসেবে (লোকাল সার্ভার) কাজ করছে। আপনার করা সব কাজ বা প্রজেক্টগুলো রাখতে হবে xampp ডিরেক্টরির ভেতরে htdocs নামে ফোল্ডারে।
WAMP, MAMP কী?
অপারেটিং সফটওয়্যার উইন্ডোজের জন্য বানানো সফটওয়্যারটির নাম WAMP| WAMP = Windows + Apache + MySQL + PHP। উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা ইচ্ছে করলে XAMPP ইনস্টল না করে WAMP ইনস্টল করেও পিএইচপির কাজ করতে পারবেন।
ম্যাক পিসির জন্য বানানো সফটওয়্যারটির নাম MAMP| MAMP = Mac + Apache + MySQL + PHP| লিনআক্সের জন্য বানানো সফটওয়্যারের নাম LAMP| LAMP = Linux + Apache + MySQL + PHP|
XAMPP = X(Cross Platform) + Apache + MySQL + PHP + Perl। এটি ক্রস প্ল্যাটফর্ম সফটওয়্যার হওয়ার কারণে যেকোনো এনভায়রনমেন্টে পিএইচপি নিয়ে কাজ করা যাবে। সব সফটওয়্যারের কাজ একই। তবে এটি অন্যগুলোর তুলনায় একটু বেশি সুনামের সফটওয়্যার। লিনআক্স, ম্যাক ও উইন্ডোজের জন্য ঢঅগচচ-এর আলাদা ভার্সন রয়েছে। এ লেখায় উইন্ডোজের জন্য ঢঅগচচ ডাউনলোড করে ইনস্টল দেয়া হয়েছে।
পিএইচপি কোড লেখা
সি ড্রাইভে XAMPP ইনস্টল করা হলে এই নামে একটি ফোল্ডার পাওয়া যাবে, সেখানে সব ওয়েব কনটেন্ট রাখতে হবে।
C:\xampp\htdocs হচ্ছে সব ডকুমেন্টের আসল বা মূল ডিরেক্টরি। তবে অন্য কোনো ড্রাইভে যেমন D ড্রাইভ বা E ড্রাইভে ইনস্টল করা হলে তখন এটা হবে এমন D:\xampp\htdocs/ বা E:\xampp\htdocs। ডিরেক্টরিতে কাজ করা সব ফাইল রাখতে হবে। ডিরেক্টরিতে mytest.php নামে কোনো ফাইল রাখা হলে সেই ফাইলে অ্যাক্সেস পাওয়ার জন্য ব্রাউজারের অ্যাড্রেসবারে লিখতে হবে http://localhost/mytest.php।
এবার কোড লেখা শুরু করা যাক। প্রশ্ন হলো, কোড কোথায় লিখব। উত্তর হচ্ছে নোটপ্যাড। নোটপ্যাড পস্নাস পস্নাস নামে একটি সাধারণ নোটপ্যাড আছে, সেখানে কোড লেখা যায়। এ ছাড়া পিএইচপি লেখার জন্য বিশেষায়িত কিছু সফটওয়্যার আছে। যেমন- Net Beans, Dreamweaver। এসব নোটপ্যাডে কোড লেখার কিছু বাড়তি সুবিধা আছে, যেগুলো সাধারণ নোটপ্যাডগুলোতে নেই। এসব নোটপ্যাড সফটওয়্যারগুলোকে ওউঊ (Integrated Development Environment) বলে। তবে এসব সফটওয়্যার ব্যবহার করেই কোড লিখতে হবে এমন নয়। আপনি যেখানে কোড লিখে স্বাছন্দ্যবোধ করবেন, সেখানেই লিখবেন।
পিএইচপি বেসিক সঙ্কেত
এইচটিএমএল ফাইলের শেষে এক্সটেনশন হিসেবে .যঃসষ লিখতে হয়। তেমনি পিএইচপি কোডের বেলায় ফাইল সেভ করার সময় .php এক্সটেনশন দিয়ে ফাইল সেভ করতে হবে। অন্যথায় পিএইচপি কোড কাজ করবে না। পিএইচপি কোডের প্রতেকটি অংশ চিহ্ন দিয়ে। আর প্রতিটি আলাদা কোডলাইন (instruction) শেষ হবে সেমিকলন দিয়ে। এবার কোড এডিটর খুলে নিচের মতো করে লিখুন :
echo”This is my first php page”;
?>
লেখা শেষ হলে পেজটি mypage.php নামে সেভ করতে হবে। আর ফাইলটি সেভ করার জন্য htdocs browse করে দেখিয়ে দিতে হবে। ব্রাউজারের অ্যাড্রেস বারে http://localhost/mypage.php লিখে এন্টার চাপলে আউটপুট আসবে নিচের মতো।
শর্ট ট্যাগ
এই চিহ্নের ভেতরে কোড লিখতে হবে এমন নয়। এর কিছু সংক্ষিপ্ত রূপও আছে, যেগুলো ব্যবহার করে কোড লেখা যাবে। যেমন- উপরের কোড এভাবেও লেখা যাবে :
= “This is my first web page”;?>
দেখা যাচ্ছে এর বদলে ?> লিখলেও পিএইচপি কোড কাজ করছে। echo-এর বদলে লেখা যায় =। এছাড়া আর যেসব উপায়ে কোড লেখা যায়, সেগুলো হচ্ছে :
এ পদ্ধতিতেও কোড লেখা যায়, তবে এ পদ্ধতি এখন আর কার্যকর নয়। প্রথম পদ্ধতিটিই সব সময় ব্যবহার করা ভালো