লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
অ্যাশেস অব সিঙ্গুলারিটি এস্কেলেশন এক্সপানশন
অ্যাশেস অব সিঙ্গুলারিটি এস্কেলেশন এক্সপানশন
পুরো মহাবিশ্বটা কতখানি বড়, সেটা ঠিক আন্দাজ করে ওঠাটা কঠিন। ছোট একটা আন্দাজ অবশ্য করা যায়- পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পুরোটা দশবার ঘুরে এলে যতখানি হবে ততখানি। আর চাঁদ হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের মহাজাগতিক জিনিস। বাকিগুলো ঠিক কতখানি দূরে, সেগুলো নিশ্চয়ই আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
অ্যাশেস অব সিঙ্গুলারিটি করা হয়েছে এই বিশাল মহাবিশ্বের অজানা সভ্যতাগুলো নিয়ে। সভ্যতাগুলো তৈরি করা হয়েছে সিড মিয়ারসের মাস্টারপিসগুলোর চেয়েও আকর্ষণীয় করে, সিমুলেটেডনিমেশের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে। নক্ষত্র সমন্বয় টেক্স থেকে শুরু করে অতিরিক্ত ১২ জন খেলোয়াড় যোগ করা পর্যন্ত সবকিছুই করা যাবে গেমটিতে। আছে সম্ভাব্য অদ্ভুতুড়ে সব স্ট্র্যাটেজিক কৌশল, যা যেকাউকে গেমটির ফ্যান হতে বাধ্য করবে। গেমে গেমারকে প্রচুর পরিমাণে মাইক্রো ম্যানেজমেন্ট করতে হবে, করতে হবে সব ধরনের নির্মাণকাজ এবং সাম্রাজ্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গেমারকে নিতে হবে। জয় করতে হবে ছায়াপথের সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তি তার ভরবেগ পরিচালনা করার ক্ষমতা। খেলার শুরুতে কিছু একটি মৌলিক কৌশল মেনে চলতে হবে। জোগাড় করতে হবে যথেষ্ট সম্পদ। সাথে সাথে সাম্রাজ্য আর সামরিক বাহিনীর দায়িত্ব নিতে হবে। শুরু করতে হবে বিজ্ঞান গবেষণা, টেক ল্যাবস আপগ্রেড, বাড়াতে হবে নৌসীমা।
ট্যাক্টিক্যাল আর স্ট্র্যাটেজিক্যাল, বলা যায় এই ঘরানার অন্য সাম্প্রতিক গেমগুলো থেকে চারগুণ। ঠিক চারগুণ কেন, সেটা আমি বলব না। গেমারেরা নিজেরাই অনুভব করতে পারবেন। ফলেন এনচ্যানট্রেসের এই ডেব্যুটার নাম লেজেন্ডারি হিরোস। ফলে বুঝতেই পারছেন এই গেমটির সবচেয়ে অনন্য মাত্রা গেমটির অসাধারণ সুপারহিরোদের ঘিরে তৈরি হয়েছে। আর তার সাথে যুক্ত হয়েছে নতুন উন্নত ব্যাটল স্টাইল, বিশালাকার স্ট্র্যাটেজিক্যাল ম্যাপস, আর নিত্য-নতুন ফ্যান্টাসি
আরডব্লিউবিওয়াই
বহুদিন পর এলো একটি ক্লাসিক রোল প্লেয়িং গেম। আরডব্লিউবিওয়াই নামটা যেমন অদ্ভুত, গেমপ্লেও তেমনি অদ্ভুত। যখন কোনো গেম সত্যিকার অর্থেই যদি দুটি গেমিং স্টাইলের সবগুলো অংশকেই অনন্য সাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে, তাহলে সেটা থেকে দূরে থাকা যেকোনো গেমারের পক্ষে অসম্ভব। ম্যাপ স্টাইল সাধারণ প্লাগ অ্যান্ড প্লের মতোই। জয় করতে হবে অজানাকে, ডাঞ্জনস, প্যালেস আর রাইভাল হিরোদেরকে। যারা দুয়েকটি নয়, পাকাপাকি হাজার ধরনের বিপদ নিয়ে খেলা করতে পছন্দ করে, তারা এটি পেয়ে মুগ্ধ হবে। বিপজ্জনক এক খেলাঘরে নিয়ে যাবে গেমারকে আরডব্লিউবিওয়াই। সাথে আরও আছে এর কমান্ডিং ট্যাকটিক্স, বাস্তববাদ, শ্রেণিবিন্যাস আর এর অসম্ভব সুন্দর গ্রাফিক্স। এর যুদ্ধক্ষেত্র হচ্ছে আজ পর্যন্ত তৈরি হওয়া গেমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে অজানা আর উত্তেজনাপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র; যাকে গেমারেরা ওয়াকথ্রু দিয়ে বর্ণনা করেও পুরোপুরি বোঝাতে ব্যর্থ হবেন। শুরু হয় বিশাল গ্রাউন্ড গ্রিড মনুমেন্টালসের মধ্য দিয়ে। ঘটনাস্থল ডার্ক ক্রিপ্ট। আছে ক্লাসিক কয়েন ফিড সিস্টেম, কয়েন মাল্টিপ্লেয়ার্স ও বোনাস রাউন্ডস। যদি বেশি ঝুটঝামেলাতে পড়ে যান, সেজন্য আছে ইনস্ট্যান্ট অটো সেভিং ফিচার, যার দরুন যেকোনো পজিশন থেকে সহজে রিস্টার্ট দেয়া যাবে। আছে লুকানো এক্সপ্লোসিভ, নানা ধরনের মেইজ, যা গেমারদের তাদের বুদ্ধিমত্তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে বাধ্য করবে, তাদেরকে ওই ভয়ঙ্কর বিভীষিকাময় পরিবেশে বেঁচে থাকতে সাহায্য করবে। প্রাথমিক ধাক্কা শেষ হয়ে যাওয়ার পর আবার এই ভেবে বসে থাকলে হবে না যে, তখন বিশ্রামের সময়। কারণ, চারদিক থেকে যেকোনো সময়ে নানা ভূত কিংবা ঘুউলের আবির্ভাব হতে পারে। ছোটখাটো সমস্যা শেষ হয়ে এলে বিশাল বিশাল দানব আর বিভিন্ন কীট মানব ঝাঁকে ঝাঁকে হাজির হয়ে যাবে আর গেমারদের শুরু করতে হবে ক্রিপ্ট অব দ্য নেক্রোড্যান্সারের যুদ্ধযাত্রা। আর এর মাঝে থেকেই যোদ্ধাদের ঘুরে বেড়াতে হবে শত্রম্নদের এলাকায়। সাথে সাথে লক্ষ রাখতে হবে বুবি ট্র্যাপগুলোর দিকে। তাই গেমারেরা আর অপেক্ষা না করে এখনই নিয়ে বসুন আরডব্লিউবিওয়াই
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : এক্সপি/ভিসটা/৭, সিপিইউ : ইন্টেল কোর টু কোয়াড বা তার সমতুল্য, র্যা ম : ৪ গিগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/২ গিগাবাইট উইন্ডোজ ৭, ভিডিওকার্ড : জি ফোর্স ৬০০০ সিরিজ জিটিএস/রাডেওন (সমতুল্য), হার্ডডিস্ক : ৬ গিগাবাইট