• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ফিফা ১৭ : গেম রিভিউ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মঞ্জুর
মোট লেখা:৪
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৭ - এপ্রিল
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
খেলা প্রকল্প
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ফিফা ১৭ : গেম রিভিউ
আল্টিমেট টিম হোক, ক্যারিয়ার মোড হোক কিংবা হোক নতুন যুক্ত হওয়া স্টোরি মোড দ্য জার্নি- সব স্তরের খেলোয়াড়ের জন্যই কিছু না কিছু আছে ফিফা ১৭-তে। অনেক কিছু জানার পরও জানার আরও কিছু বাকি থেকে যায়...
০১. দ্য জার্নিতে দল বাছাই : ফিফা ১৭ খেলতে গিয়ে সবাই শুরুতেই যে অংশে সবচেয়ে আগ্রহী, তা হচ্ছে ১৭ বছর বয়সী এলেক্স হান্টারকে নিয়ে স্টোরি মোডে খেলা। এই অংশে দল বাছাই একটি জরুরি অংশ। আপনি যদি এমন দল পছন্দ করেন, যারা প্রিমিয়ার লিগ খেলার লক্ষ্যে থাকে, যেমন চেলসি কিংবা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বা ম্যানচেস্টার সিটি; তাহলে আপনাকে দলে জায়গা রাখতে লড়তে হবে ইব্রাহিমোভিচ কিংবা আগুয়েরোদের সাথে, যা আপনার জন্য অবশ্যই কঠিন হবে। আর যদি এরচেয়ে সহজ দলগুলো বাছাই করেন, তাহলে আপনার খেলে যাওয়াটাও সহজ হয়ে আসবে।
০২. ফ্রি-কিক : সেট পিসগুলো এখন আরও চ্যালেঞ্জিং, একই সাথে আপনি সুযোগ পাচ্ছেন আগের চেয়ে অনেক ভালো নিয়ন্ত্রণের। রান আপের দিক এবং কোণ বদলাতে পারবেন শট নেয়ার আগে। খেলোয়াড়ভেদে বদলে যাবে ফ্রি-কিক নেয়ার কৌশলও। বলের বাঁক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আপনি যদি নেটের বেশ দূরে শট খেলেন আর শট খেলা খেলোয়াড়ের বাঁকের রেটিং ৭৫-এর কম, তাহলে আপনার পাঠানো বল ঠিক জায়গায় পৌঁছাবে না। ভালো খবর হচ্ছে, আপনি শট খেলার আগেই প্লেয়ার এট্রিবিউট দেখে নিতে পারবেন। পাওয়ার বারের ঠিক মাঝামাঝিতে হিট করতে পারলে আপনার সফলতার সম্ভাবনা বেশি থাকবে, আর যদি বলের ঠিক লাইন বরাবর সোজাসুজি পায়ের বাইরের দিক দিয়ে শট খেলেন, তাহলে রবার্তো কার্লোসের মতো দেয়ালের বাইরে দিয়ে গোল করতেও পারবেন। কিন্তু সফলতা খুব সহজ হবে না, প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে।
০৩. পেনাল্টি কিক : বদলে গেছে পেনাল্টি কিকও। খেলোয়াড়কে পছন্দমতো লাইনে আনতে পারবেন। দৌড় লাগাতে পারবেন, আবার গতি কমাতেও পারবেন। আর এর ওপর নির্ভর করবে আপনার কিক করা বলের গতি। সাথে শুটের বোতামেও আঙুল চালাতে হবে। ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
০৪. মিস্টার ড্রিবলদের থামানো : মেসি বা নেইমারদের মতো খেলোয়াড়দের নিয়ে আগের মতো আর সবাইকে ড্রিবলিং দিয়ে বোকা বানিয়ে যেতে পারবেন না। দুইজনকে পার করতে করতেই রক্ষণভাগের অন্য খেলোয়াড়েরা এগিয়ে আসবেন আর থামাতে সাহায্য করবেন ড্রিবলিংয়ের রাজকুমারদের। যদি আপনি পাসিং দলের হন, যেমন বার্সেলোনা, দশটি পাসের পরপরই খেলা এগিয়ে যাবে আরও ভালোভাবে।
ক্রমাগত ফিফা সিরিজে কাজ করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এই গেমের রোমাঞ্চ এখানেই শেষ হচ্ছে না। খেলতে খেলতে আপনি আবিষ্কার করবেন আরও অনেক কিছু। আর আমরাও খুঁজে নিয়ে আসব আরও নতুন খবর, টিপস আর ট্রিকস। নতুন ক্যারিয়ারের জন্য শুভ কামনা রইল
ফিডব্যাক :
monzuralferdous@gmail.com

ওয়ারফ্রেম
বর্তমান গেমিং বিশ্বে সবচেয়ে বিখ্যাত থার্ড পারসন অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার এবং থার্ড পারসন শুটিং জনরার গেম সিরিজ ওয়ারফ্রেম এবং ভিনগ্রহী প্রাণীদের থেকে তার পৃথিবী রক্ষার অনবদ্য কাহিনি। পরবর্তী পর্বগুলোতে এই সিরিজের সবশেষ গেমগুলো নিয়ে কথা বলার আগে যারা এই সিরিজের সাথে পরিচিত নয়, তাদের জন্য সিরিজের প্রথম গেমটি সম্পর্কে কিছু বলে নেয়া দরকার। গেমটি যখন তৈরি করে তখন তাদের মূল লক্ষ্য ছিল এমন কোনো গেম সৃষ্টি করা, যা তৎকালীন ঝিমিয়ে পড়া গেমিং জগতকে এক ঝাঁকুনিতে জাগিয়ে তুলতে পারে।
নিজেদের সূক্ষ্মতা একটু ঝালাই করে নেয়ার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি ওয়ারফ্রেম দিচ্ছে সবচেয়ে দুর্দান্ত গ্রাফিক্স পারফরম্যান্স, অসাধারণ অডিও কোয়ালিটি এবং স্বছন্দ সাবলীলতা। পৃথিবী তখন মিসরকেন্দ্রিক সভ্যতাতে ভর করে এগিয়ে চলছে। পৃথিবীর উত্তরোত্তর উন্নতি ভিনগ্রহবাসীদের মোটেও পছন্দ হচ্ছিল না। তাই তারা ঝাঁকে ঝাঁকে নেমে আসে পৃথিবীর সভ্যতার কেন্দ্রকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য। সিরিয়াস স্যাম নামে এক অভিযাত্রী তখন তপ্ত রোদ্দুরে মিসরের পিরামিডগুলোকে দেখে নিজের জ্ঞান পিপাসা মিটাচ্ছিল। অনিন্দ্যসুন্দর সেই দিনের আকাশ কালো করে তখন সেই এলিয়েনরা নেমে আসে পিরামিডগুলোতে। গেমার প্রথম দিকে কিছু বুঝে উঠতে না পারলেও পরে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়ার কিছু নেই। কারণ, এই গেম দিয়ে সহজেই আপনি আগামী বছর পর্যন্ত কাটিয়ে দিতে পারবেন।
টেন্নো বিভিন্ন আদিবাসীর বাসস্থানে এলিয়েনদের অবস্থান খুঁজে পায় এবং ধীরে ধীরে তাদের ইনোভেশন প্ল্যান সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করে। কিন্তু অল্প সময় পর সেও বুঝতে পারে, নিজের হাতে দায়িত্ব তুলে না নিলে পৃথিবীকে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না। টেন্নো বেরিয়ে পরে এলিয়েন নিধন অভিযানে। পরে স্যাম দেখা পেতে থাকে আরও শক্তিশালী এলিয়েনদের আর খোঁজ পায় তারচেয়েও বড় ষড়যন্ত্রের।
ওয়ারফ্রেম এমন একটি গেম, যেটি নিয়ে একবার বসে পড়লে যেকোনো গেমার কোনোভাবেই আর গেমটি শেষ না করে উঠতে পারবে না। টানা খেলে গেলে সম্পূর্ণ গেমটি শেষ করতে লাগতে পারে কয়েক মাস। এর মাঝে যদি বাংলাদেশের চিরায়ত ব্যবস্থা অনুসারে ইলেকট্রিসিটি যদি গেম প্লেতে বিঘ্ন না ঘটায় তাহলে গেমটি শেষ না করে কমপিউটারের সামনে থেকে ওঠার কোনো কারণ নেই। এই কয়েক ঘণ্টার গেম প্লেতে গেমার পাবে লক্ষাধিক এলিয়েন ধ্বংস করার আনন্দ। আছে অসম্ভব মারাত্মক সব অস্ত্র। আছে রিভলভার, শটগান, পস্নাজমাগান, চেইনশ, মিনিগান, চেইনগান, রেলগান, লেসার গান, গ্রাইন্ডার আরও নানা ধরনের অস্ত্র। আছে ডেস্ট্রাক্টেবল অবজেক্ট, ডিনামাইট, গ্রেনেড, স্মোক বম্ব, বস্নাস্ট বম্ব, ফ্ল্যাশ বম্ব, টাইম বম্ব আরও বহু ধরনের বম্বিং ইকুইপমেন্ট। গেমটিতে আছে ছোট ছোট এলিয়েন মনস্টার থেকে শুরু করে বিশালাকার দানব। আছে উড়ন্ত দানব, মানুষখেকো গাছগাছালি। আর এগুলোকে ধ্বংস করার জন্য টেন্নো ব্যবহার করতে পারবে নানা ধরনের হেলিপ্যাড, টারেট প্রভৃতি। তাই টেন্নো হচ্ছে আল্টিমেট সুপার নিনজা যে কি না আপনি যা অ্যাকশন কল্পনা করতে পারেন সব করতে পারে।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : ৭ তদূর্ধ্ব, সিপিইউ : ইন্টেল কোর টু কোয়াড বা তার সমতুল্য, র্যা ম : ৮ গিগাবাইট উইন্ডোজ, ভিডিও কার্ড : জি ফোর্স ৬০০০ সিরিজ জিটিএস/রাডেওন (সমতুল্য), হার্ডডিস্ক : ২২ গিগাবাইট

টোটাল ওয়ার অ্যারেনা
একটা নারী, এক হাতকাটা লোক, একটা টিকটিকি; সাথে মনাকল, বার সব মিলিয়ে হিবিজিবি অবস্থা। সবাই বলে ধর্ম আর রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে পারলে আর কোনো কিছুর দিকে খবর থাকে না মানুষের, কিন্তু ডিভিনিটি এসব ধারণাকে নিয়ে আরেকবার ভাবাবে। রিয়াল টাইম স্ট্র্যাটেজি ঘরানার ম্যাপ স্টাইল অনেকটাই সিভিলাইজেশনের মতোই। জয় করতে হবে অজানাকে, ডাঞ্জনস, প্যালেস আর রাইভাল হিরোদেরকে। সাথে আছে শক্তিশালী কাস্টমাইজেশন সেকশন। যেখানে হিরো কাস্টমাইজেশন করা যাবে। আছে ফ্যান্টাসি সেটিংস দিয়ে ইউনিট ক্র্যাফটিং, যা নিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো সেনাবাহিনীকে তৈরি করা যাবে।
পুরো টোটাল ওয়ার অ্যারেনার ব্যাটল স্কিম অসম্ভব দ্রুত, তাই দক্ষ গেমারদের জন্য এটি পারফেক্ট স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যাটফর্ম হলেও রুকিদের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। গেমটির অসাধারণ গেমপ্লে গেমারকে দেবে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা, যদিও টার্নভিত্তিক নয় এবং গ্রাফিক্স বর্তমানের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মতো উন্নত নয়। তারপরও পুরো ব্যাটল স্কিম কখনই গেমারকে একঘেয়েমিতে ফেলবে না। যুদ্ধ আরও জমজমাট হয়ে ওঠে যখন খুব শক্তিশালী কোনো হিরোর ব্যাটল শুরু হয় কিংবা যখন বিশাল এক সীজ উয়েপনারি-মিক্সড আর্মির সামনে পড়ে কাবু হয়ে ওঠে। গেমটিতে আছে বেশ বড় টেক ট্রি, যা নিজের সিংহাসনে থেকে হিসেব করে বের করতে করতেই অনেকখানি আনন্দ উপভোগ করা যাবে। সাথে আছে ক্যাম্পেইন মোডের বিশাল ম্যাপস কালেকশন, যা দিয়ে সহজেই পুরো দুই দিন চালিয়ে দেয়া যাবে। অদ্ভুত সুন্দর টেক্সচার, টেরিয়ান, রিসোর্স সবকিছুই গেমারকে মুগ্ধ করবে। সাথে তৈরি করা প্রতিটি সিটিতে থাকছে নির্দিষ্ট রেসিয়াল ইনহ্যাবিট্যাট, তাই সেগুলো দেখাশোনা করাটাও বেশ উত্তেজনাপূর্ণ হবে। সূক্ষ্ম হিসাব-নিকাশ ছাড়াও গেমারকে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের ওপরও কিছুটা নির্ভর করতে হবে। কারণ, গেমটির এআই যথেষ্ট ভালো প্রতিপক্ষ। সবকিছু মিলিয়ে ডিভিনিটি টোটাল ওয়ার অ্যারেনা গেমারকে যুগের অন্যতম সফল এবং উত্তেজনাপূর্ণ রিয়াল টাইম স্ট্র্যাটেজির অভিজ্ঞতা দেবে। তাই আর দেরি না করে এখনই কৌশলী স্ট্র্যাটেজিস্ট হয়ে উঠুন আর নিজেকে তৈরি করে ফেলুন দক্ষ কমান্ডার হিসেবে।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : ৭ তদূর্ধ্ব, সিপিইউ : ইন্টেল কোর টু কোয়াড বা তার সমতুল্য, র্যা ম : ৮ গিগাবাইট উইন্ডোজ, ভিডিও কার্ড : জি ফোর্স ৬০০০ সিরিজ জিটিএস/রাডেওন (সমতুল্য), হার্ডডিস্ক : ১৬ গিগাবাইট

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৭ - এপ্রিল সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস