লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৪০০ কোটি ছাড়ালো
গ্লোবাল ডিজিটাল রিপোর্ট ২০১৮-র তথ্য
বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৪০০ কোটি ছাড়ালো
‘‘We Are Social’ এটি একটি গ্লোবাল এজেন্সি। তাদের দাবি মতে, এটি বিশ্বমানের ধারণা সরবরাহ করেঅগ্রসর চিন্তার ব্র্র্যান্ডগুলোর জন্য। অপর দিকে Hootsuite একটি সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফরম। এ দুটি প্রতিষ্ঠান একসাথে মিলে সম্প্রতি প্রকাশ করেছে 2018 Global Digital suite of reports। এই রিপোর্ট মতে, বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪০০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৭ সালে এসে এইপ্রথমবারের মতো বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি লোক এখন অনলাইনে। সর্বশেষ তথ্য-পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ২৫ কোটির মতো মানুষ শুধু ২০১৭ সালেই অনলাইনে যুক্ত হয়। অবাক করা বিষয়, এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে দ্রæতগতির প্রবৃদ্ধিহার অর্জন করেছে আফ্রিকা। এই মহাদেশে বছরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বড়ছে ২০ শতাংশ হারে।
২০১৭ সালে ইন্টারনেট ইউজারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পেছনে বেশি অবদান রেখেছে স্মার্টফোন ও মোবাইল ডাটা প্ল্যানের ব্যবহার। ২০ কোটিরও বেশি মানুষ ২০১৭ সালে হাতে পেয়েছে তাদের প্রথম স্মার্টফোন। বিশ্বে এখন ৭৬০ কোটি মানুষের বসবাস। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি মানুষের রয়েছে মোবাইল ফোন। আর আজকেরদিনে যেসব হ্যান্ডসেট ব্যবহার হয়, সেগুলোর অর্ধেকেরই বেশি স্মার্ট ডিভাইস। ফলে মানুষ আগের চেয়ে যেকোনো স্থান থেকে সহজেই সমৃদ্ধ ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ পাচ্ছে।
সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহারও অব্যাহতভাবে বাড়ছে। প্রতিটি দেশেই টপ প্ল্যাটফরম ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা গত ১২ মাসে প্রতিদিন বেড়েছে ১০ লাখ নতুন ব্যবহারকারীর সংখ্যা। বিশ্বে ৩০০ কোটিরও বেশি লোক প্রতিমাসে সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহার করছে। প্রতি ১০ জনের ৯ জনই তাদের পছন্দের প্ল্যাটফরমে ঢুকছে মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে।
আমরা এ বছরেরএই রিপোর্ট থেকে ২০১৮ সালে এসে ডিজিটাল দুনিয়ার বিস্তারিত বিশ্লেষণ পেতে পারি
২০১৮ সালে এসে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০২.১০ কোটি।
প্রতিবছর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে ৭ শতাংশ হারে।
২০১৮ সালে সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩১৯.৬০ কোটি।
প্রতিবছর সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে ১৩ শতাংশ হারে।
২০১৮ সালে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫১৩.৫০ কোটি।
প্রতিবছর মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে ৪ শতাংশ হারে।
এই রিপোর্ট প্রণয়নে ডাটা পার্টনার ছিল গেøাবাল ওয়েব ইনডেক্স, জিএসএমএ ইন্টেলিজেন্স, স্ট্যাটিস্টা, লকোওয়াইজ এবং সিমিলার ওয়েব। এসব প্রতিষ্ঠানের ডাটা থেকে আমরা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত পাই।
এক: ১০০ কোটি বছর
এটি শুধু সেইসব মানুষের সংখ্যা নয়, যারা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরএ সংখ্যা বছর বাড়িয়েছে। বিগত ১২ মাসে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারেরসময়ও বাড়িয়েছে। গেøাবাল ওয়েব ইনডেক্সের উপাত্ত মতে, একজন গড়পড়তা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এখন ইন্টারনেট-চালিত ডিভাইস ও সার্ভিস ব্যবহার করে প্রতিদিন ইন্টারনেটের পেছনে ৬ ঘণ্টা করে ব্যয় করে। আর এই সময়টা মোটামুটিভাবে তার প্রতিদিনের জেগে থাকা সময়ের এক-তৃতীয়াংশ। আমরা যদি মোটামুটিভাবে ৪০০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর এই সময়টা একসাথে যোগ করি, তবে তা ২০১৮ সালের ১০০ কোটি বছর অনলাইন সময়কে ছাড়িয়ে যাবে।
দুই: ভবিষ্যতের বণ্টন
‘উই আর সোশ্যাল’ এর গত বছরের বিশ্লেষণী রিপোর্টেউল্লেখ করেছিল, বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটে প্রবেশের সুযোগটা সমভাবে বণ্টিত নয়। ২০১৮ সালে এসেও দেখা গেছে এই বৈষম্য রয়ে গেছে, তবে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে।
ইন্টারনেট পেনিট্রেশনের হার এখনো অনেক নিচে রয়ে গেছে গোটা মধ্য আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে, কিন্তু এসব অঞ্চলও ইন্টারনেটকে বরণ করে নেয়ায় প্রবৃদ্ধি ঘটছে সবচেয়ে দ্রæতগতিতে।
আফ্রিকায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বছর বছর বাড়ছে ২০ শতাংশ হারে। জানা গেছে, ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে মালিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৬ গুণ। গত বছর বেনিন, সিয়েরা লিওন, নাইজার ও মোজাম্বিকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়েছে দিগুণেরও বেশি।
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ইন্টারনেটে প্রবেশের সুযোগ ত্বরান্বিত করার প্রভাব অনুভূত হবে সব ক্ষেত্রে। কারণ গুগল, ফেসবুক, আলিবাবা ও টেনসেন্টের মতো কোম্পানিগুলো লড়াই করে যাচ্ছেআকারে-প্রকারে আরো উন্নত বিশ্বপণ্য সরবরাহ করতে, যা এসব নতুন ব্যবহারকারীর চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। এসব পরিবর্তন ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলবে ভবিষ্যতের ইন্টারনেটের ওপর। আলোচ্য রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছেÑআগামী কিছুদিনের মধ্যে এসব ব্যাপারে নানা তথ্য উদঘাটন করবে এই প্রতিবেদনের প্রণেতা প্রতিষ্ঠান ‘উই আর সোশ্যাল’।
তিন: কানেকশন বাড়বে
বিশ্বের মোট লোকসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি লোকের হাতে রয়েছে মোবাইল। এদের বেশিরভাগই ব্যবহার করে স্মার্টফোন।বিশ্বজুড়েঅনন্য মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রতিবছর বাড়ছে ৪ শতাংশ হারে, যদিও বেশিরভাগ আফ্রিকাজুড়ে পেনিট্রেশনের হার এখন ৫০ শতাংশের নিচেই রয়ে গেছে।
অনলাইনে যাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পছন্দ হচ্ছে স্মার্টফোন। অন্যসব ডিভাইসের সম্মিলিত অবদানের তুলনায় ওয়েব ট্রাফিকে স্মার্টফোনের অবদানই সবচেয়ে বেশি।
অধিকন্তু, এই ডাটা শুধু ওয়েব ব্যবহারের জন্য। অঢ়ঢ় অহহরবথেকে পাওয়া হালনাগাদ তথ্যমতে, মানুষ এখন মোবাইল অ্যাপ ব্রাউজারের চেয়ে সাত গুণ বেশি সময় কাটায় মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে। অতএব, মোবাইলের ইন্টারনেট শেয়ার উপরে উল্লিখিত পরিসংখ্যানের চেয়েও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা। ফেসবুক থেকে পাওয়া সর্বসাম্প্রতিক ডাটা এই ফলকে আরো জোরালো করে তোলে যে, এই প্ল্যাটফরমের ঠিক ৬ শতাংশ গেøাবাল ইউজার এই প্ল্যাটফরমে মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে ঢুকছে না।
চার:প্রতি সেকেন্ডে ১১ জন নতুন ব্যবহারকারী
বিগত বছরটিতে প্রায় ১০ লাখ লোক প্রতিদিন তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার শুরু করে। এর অর্থ হচ্ছে, এ ক্ষেত্রে প্রতি সেকেন্ডে ১১ জন নতুন ব্যবহারকারী যোগ হচ্ছে। বিগত ২০১৭ সালে বিশ্বে সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৩ শতাংশ। তবে অবাক হওয়ার ব্যাপার, বিগত বছরে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি হারের প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মধ্য আফ্রিকা ও দক্ষিণএশিয়ায়Ñ যথাক্রমে ৯০ শতাংশ ও ৩৩ শতাংশ। রিপোর্টে প্রতিফলিত ৪০টি দেশের মধ্যে সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি ঘটাতে সক্ষম হয় সৌদি আরবÑ হার ৩২ শতাংশ। এরপরই আসে ভারতের নাম, যার হার ৩১ শতাংশ। .
আমরা দেখতে পাচ্ছিÑ এই প্রবৃদ্ধির পেছনে বয়স্ক ব্যবহারকারীদের একটা অবদান রয়েছে। এরা সামাজিক গণমাধ্যমেও যোগ দিচ্ছেন। শুধু ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে যাদের বয়স ৬৫ বছরের চেয়ে বেশি, তাদের সংখ্যা গত এক বছরে বেড়েছে ২০ শতাংশ। ফেসবুক ব্যবহারকারী টিনএজারদের সংখ্যাও বেড়েছে।কিন্তু ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সংখ্যা গত এক বছরে বেড়েছে ৫ শতাংশ।
ফেসবুক ব্যবহারে নারী-পুরুষের হারে এখনো বড় ধরনের পার্থক্য থেকে গেছে। ফেসবুক থেকে পাওয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছেÑ এখন মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় নারীরা পুরুষের তুলনায় উল্লেখযোগ্য কম মাত্রায় ফেসবুক ব্যবহার করছে।
পাঁচ: ফিলিপাইনের মুকুট অক্ষুণœ
একটানা তিন বছর ফিলিপিনোরা অধিকতর বেশি পরিমাণ সময় কাটিয়েছে সামাজিক গণমাধ্যমের পেছনে। দেশটির ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন সামাজিক গণমাধ্যমের পেছনে গড়ে চার ঘণ্টা খরচ করে।
ব্রাজিলিয়ানেরাও এই প্রবণতাটিকে ধারণ করছে। ২০১৭ সালে আর্জেন্টিনাকে পেছনে ফেলে ইন্দোনেশীয় ও থাইয়েরা র্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আসতে পেরেছে।
ছয় : ফেসবুকের প্রাধান্য বজায় আছে
২০১৭ সালটি ছিল মার্ক জুকারবার্গের ও তার টিমের জন্য আরো একটি ভালো বছর। কারণ, ফেসবুক ইঙ্কের প্ল্যাটফরম পোস্টিং আশাপ্রদ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে ২০১৭ সালে। ফেসবুকের কোর প্ল্যাটফরম এখনো প্রাধান্য বিস্তার করে আছে বিশ্ব সামাজিক দৃশ্যপটে। প্রতিবছর এর ব্যবহারকারী বাড়ছে ১৫ শতাংশ। ২০১৮ সালের শুরুতে এসে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৭ কোটি।
হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক মেসেঞ্জার উভয়েই কোর ফেসবুকের তুলনায় দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। বছর বছর মেসেঞ্জার অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩০ শতাংশ বাড়ছে।‘সিমিলার ওয়েব’-এর দেয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যান মতে দেখা গেছেÑ হোয়াটসঅ্যাপের জোরালোতর জিওগ্রাফিক অবস্থান রয়েছে। ১২৮টি দেশেই এখন হোয়াটসঅ্যাপ সেরা মেসেঞ্জার অ্যাপ। অপরদিকে ফেসবুক মেসেঞ্জারের সেরা অবস্থান ৭২টি দেশে। বর্তমানে মাত্র ২৫টি দেশে ফেসবুক মালিকানাধীন অ্যাপ সেরা মেসেঞ্জার প্ল্যাটফরম নয়।
মেসেঞ্জারের এই ছাপ ফেলার মতো অবস্থান থাকা সত্তে¡ও ইনস্টাগ্রাম সক্ষম হয়েছে ফেসবুক ইঙ্কের সমান প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে। ২০১৭ সালে বিশ্বে এর এক-তৃতীয়াংশ ব্যবহারকারী বেড়েছে। এ বছরের আঞ্চলিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বের ২৩০টিরও বেশি দেশ ও টেরিটরিতে রয়েছে ইনস্টাগ্রামের ব্যবহারকারী।
সাত : অর্গানিক রিচের পতন অব্যাহত
এবারের রিপোর্টে ‘উই আর সোশ্যাল’ দল বেঁধেছে লকোওয়াইজের সাথে, বিশ্বের ১৭৯টি দেশের ফেসবুক রিচ ও অ্যাঙ্গেজমেন্ট শেয়ার করার জন্য। যেমনটি প্রত্যাশা করা হয়েছিলÑ রিচ ও অ্যাঙ্গেজমেন্ট উভয়েরই গত বছর পতন ঘটেছে। বছর বছর গড়ে রিচের পতন ঘটছে ১০ শতাংশ হারে।
হতাশাজনক প্রবণতা সত্তে¡ও এসব সংখ্যা সবখানের মার্কেটারদের জন্য মূল্যবান বেঞ্চমার্ক হবেÑ বিশেষ করে এর কারণ, এগুলো ভেতরের খবর দেয় পেইড মিডিয়াতে ব্যবহৃত ব্র্যান্ডের সংখ্যার তথ্য।
আট: মোবাইল কানেকশন স্পিড বেড়েছে
বিশ্বব্যাপী মোবাইল ডাটা কানেকশনের গতি আরো বাড়ছে। জিএসএমএ ইন্টেলিজেন্সের রিপোর্ট মতে, ৬০ শতাংশেরও বেশি মোবাইল কানেকশন এখন ‘ব্রডব্যান্ডের’ শ্রেণীতে ফেলা যাবে।
তা সত্তে¡ও বিভিন্ন দেশের মোবাইল কানেকশন স্পিডের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। নরওয়ের মোবাইল ব্যবহারকারীরা গড়ে ৬০ এমবিপিএসের চেয়ে বেশি স্পিড উপভোগ করে। এই হার মোটামুটিভাবে বিশ্বের গড় স্পিডের হারের তুলনায় তিনগুণ।
নেদারল্যান্ডস, সিঙ্গাপুর ও আরব আমিরাতসহ ৬টি দেশের মোবাইল ব্যবহারকারীরা বর্তমানে উপভোগ করছে গড়ে ৫০ এমবিপিএসের চেয়ে বেশি গতির কানেকশন। স্পেকট্রামের অপর প্রান্তে ভারত ও ইন্দোনেশিয়াসহ ১৮টি দেশের কানেকশনের স্পিড এখনো ১০ এমবিপিএসেরও নিচে, যা বিশ্বগড় স্পিডের চেয়ে অনেক কম।
এরপরও আছে সুখবর। গত বছরে এর আগের বছরের তুলনায় মোবাইল কানেকশন স্পিড বেড়েছে ১০ শতাংশ। অবশ্য অধৈর্যশীলদের জন্য এটি কোনোভাবেই কোনো সুখবর নয়। দ্রæততর কানেকশন পীড়ন কমাতে সহায়ক হতে পারে। গবেষণায় জানা গেছে, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের বিলম্ব, বাফারিং ভিডিও কনটেন্ট একই মাত্রায় উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারেÑ হরর ছবি দেখার কিংবা গণিতের জটিল সমাধান করার সময়েও।
দ্রæততর ডাউনলোডের আংশিক কারণে বিশ্বব্যাপী গড়পড়তা স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা প্রতিমাসে খরচ করে ৩ জিবি ডাটাÑ গত বছরে এই খরচের হারটা বেড়েছে ৫০ শতাংশ।
নয় : ই-কমার্স খরচে উল্লম্ফন
‘স্ট্যাটিস্টা’ থেকে পাওয়া সর্বশেষ ‘ডিজিটাল মার্কেট আউটলুক’ সূত্রে জানা যায়Ñ গত বছর ই-কমার্স মার্কেটে ভোগ্যপণ্যের বাজার বেড়েছে ১৬ শতাংশ। ২০১৭ সালে এই বাজারে মোট বার্ষিক খরচের পরিমাণ প্রায় দেড় ট্রিলিয়ন ইউএস ডলার (১ ট্রিলিয়ন = ১,০০০,০০০,০০০,০০০)। এই পণ্যের মধ্যে এককভাবে সবচেয়ে বড় অবদান ফ্যাশনপণ্যের।
বিশ্বব্যাপী ভোগ্যপণ্য (যেমনÑ ফ্যাশনপণ্য, খাবার, ইলেকট্রনিকসপণ্য, খেলনা) কেনার জন্য ই-কমার্স প্ল্যাটফরম ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত বছরে বেড়েছে ৮ শতাংশ, বিশ্বে এখন ১৮০০ কোটি লোক অনলাইনে পণ্য কিনছে। মোটামুটিভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৪৫ শতাংশই এখন ব্যবহার করে ই-কমার্স সাইট। তবে এক্ষেত্রে পেনিট্রেশন বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের।
ই-কমার্সের পেছনে সময় খরচের পরিমাণও বাড়ছে। প্রতিবছর ‘অ্যাভারেজ রেভিনিউ পার ইউজার’ (এআরপিইউ) বাড়ছে। বর্তমানে এর পরিমাণ ৮৩৩ ইউএস ডলার। ব্রিটিশেরা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ই-কমার্স স্পেন্ডার, জনপ্রতি ২ হাজার ইউএস ডলারেরও বেশি।
সবিশেষ উল্লেখ্য, এগুলো শুধু ভোগ্যপণ্যের হিসাব। অন্য ধরনের পণ্যের হিসাব যোগ করলে (যেমনÑ ট্রাভেল, ডিজিটাল কনটেন্ট, মোবাইল অ্যাপ) বিশ্বের ই-কমার্সের মোট পরিমাণ ২ ট্রিলিয়নের কাছাকাছি হবে।
দশ : ৫ হাজার চার্ট
এখানে যেসব বাছাই করা কিছু তথ্য-পরিসংখ্যান দেয়া হলো,তা ‘২০১৮ গেøাবাল ডিজিটাল’ রিপোর্টের ৫ হাজার চার্ট থেকে নেয়া। বিশেষ করে ২৩০টি দেশ ও টেরিটরির ইন-ডেপথ ডাটা পাওয়া যাবে বিভিন্ন আঞ্চলিক রিপোর্টে। এসব বিভিন্ন অপরিহার্য পরিসংখ্যান এসব দেশ ও টেরিটরিকে সহায়তা করবে বৈশ্বিক ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া ও মোবাইল প্রবণতাকে জানতে ও বুঝতে।