লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৮ - সেপ্টেম্বর
পিলারস অব ইটারনিটি ২
পিলারস অব ইটারনিটি ২
পিলারস অব ইটারনিটি ২ সহজে মুড সেট করে দেবে। এই ব্লকবাস্টার আরপিজি ফ্যান্টাসির শুরু হবে ভয়ঙ্কর অন্ধ কূপ দিয়ে আর এমনই তার ভিজ্যুয়ালাইজেশন যে, যারা ক্লস্টফোবিক তাদের এটা নিয়ে না বসাই ভালো। এরপরের অংশ আবার টানেল থেকে একেবারেই আলাদা শ্বাসরুদ্ধ করা পরিবেশ ফেরারি হিসেবে পালানো। সেই পালানোর ওপর একটি ফোকাস আরেকটি ফোকাস মেকানিক্স আর এনভায়রনমেন্টাল আর্কিটেক্ট দিয়ে মিশ্রিত করা হয়েছে এমনভাবে যে, দৌড়ানোর সময় রাস্তার নুড়ি থেকে স্কাইলাইন পর্যন্ত কিছুই চোখ এড়াবে না। গেমটিতে আছে কনটেন্ট, আছে সুন্দর স্টোরিলাইন, আছে হিউমার। আর সবচেয়ে শক্তিশালী করা হয়েছে ক্লাস সিস্টেম এবং স্কিলট্রি আর রিফাইনড, ক্লাসিক এবং চয়েস সেন্ট্রিক।
গেমটি বিভিন্ন ছোট ছোট গল্পে বিভক্ত। প্রত্যেকটি গল্প একটির চেয়ে আরেকটির সৌন্দর্যের ভয়াবহতাকে ফুটিয়ে তুলেছে। এই প্রচন্ডতার সবকিছু শেষ করে ফেলা যাবে মাত্র একটি ফুটবল ম্যাচ দেখতে যতক্ষণ লাগে ততক্ষণের মধ্যেই হয়তো। আর এই দ্রুতলয়ের গেমিং গেমারকে তার সর্বোচ্চ শক্তির শেষটুকু ব্যবহার করতে বাধ্য করবে আর গেমার পাবেন ঈদের মতোই আনন্দ-উত্তেজনা।
গেমারেরা হয়তো এখন ভাবছেন এত তাড়াহুড়ো আর উত্তেজনার মধ্যে গেমটার অনেক অংশই ঠিকমতো বুঝে উঠা যাবে না। কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক এর উল্টো। গেমের প্রত্যেকটি চরিত্রের চারিত্রিক গভীরতা-সম্পূর্ণতা নিয়ে গেমের প্রত্যেকটি অংশকে সৌন্দর্যপূর্ণ করে গড়ে তুলেছে। নিখুঁত স্টোরিলাইন, হৃদয় আঁকড়ানো রোলপ্লেয়িং সব মিলিয়ে গেমটি ‘ওর্থ দ্য টাইম’। এখানে প্রত্যেকটি এপিসোডের মধ্যে উপরে বলা বিষয়গুলো ছাড়াও আরও একটি মজার ব্যাপার আছে গেমটির প্রত্যেকটি অংশই মৌলিক, রিদমিক এবং নতুনত্বসম্পন্ন। প্রত্যেকটি ব্যাটল ভিন্ন ভিন্ন ট্যাকটিকসকে বের করে নিয়ে আসে। আর প্রত্যেক অনুভূতি তার মানবিক চূড়াকে স্পর্শ করে যায়। গল্পের প্রতিটি বাঁকে গেমারকে হতে হবে হতভম্ব, বাস্তবতার নিষ্ঠুরতায়। একপর্যায়ে গেমার শিখে নেবে শক্তিশালী সব জাদু, দ্রুত জীবন বাঁচানোর দক্ষতা। পাওয়া যাবে ক্রসবো, গ্রেনেড, ধারালো ফাঁদ আরও অনেক কিছু। কিন্তু সবকিছু ছাড়িয়ে গেমারকে নির্ভর করতে হবে নিজের সিদ্ধান্তগুলোতে, যার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে সবকিছুর ভবিষ্যৎ। সব মিলিয়ে গেমার খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারবে পুরো গেমিং ম্যাট্রিক্সের সাথে।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : ৭/৮.১/১০, সিপিইউ : ইন্টেল কোরআই৩ ১.৫ গিগাহার্টজ/এএমডি সমমানের প্রসেসর, র্যাম : ৮ গিগাবাইট, ভিডিও কার্ড : ২ গিগাবাইট উইথ পিক্সেল শেডার, ২০+ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস, সাউন্ডকার্ড, কিবোর্ড ও মাউস