লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
গ্রিমডন অ্যাশেজ অব মাইমুট
গ্রিমডন অ্যাশেজ অব মাইমুট
এলিয়েন প্ল্যানেট থেকে এলিয়েনদের সরিয়ে তাদের গ্রহ দখল করে নেয়া সুবিধার কাজ নয়। ছোটকাল থেকেই আমরা দেখে আসছি বাইর থেকে ভয়ঙ্করদর্শী এলিয়েনরা এসে আমাদের পৃথিবী দখল করে নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মানুষের গিয়ে এই দখলকাজ চালানোটা নতুন। প্রত্যেকেই অবাঞ্ছিত বিপদ এড়িয়ে চলতে চায়। তবুও গেমারদের মধ্যে যারা অতি উৎসাহী এই বিষয়ে, তারা খুব আনন্দ সহকারে বসে পড়তে পারেন গ্রিমডন নিয়ে।
সাধারণ কাজের মধ্যেও অ্যাডভেঞ্চার খুঁজতে খুঁজতে যারা ক্লান্ত, তাদের জন্য একেবারে মনমতো একটি গেম হবে এই গ্রিমডন। গেমটির গেম ফিল্ড হচ্ছে আজ পর্যন্ত তৈরি হওয়া গেমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে অজানা আর বাস্তবসম্মত; যাকে গেমারেরা ওয়াকথ্রু দিয়ে বর্ণনা করেও পুরোপুরি বুঝাতে ব্যর্থ হবেন। আর এত কিছুর পর যেটা সমস্যা হবে যে অজানা গ্রহে আঘাত হানতে গিয়ে গেমার নিজের পায়ে হয়তো নিজেই কুড়াল মেরে বসবেন। গেমপ্লে অদ্ভুতভাবে আকস্মিক, যেকোনো ধরনের ধারাবাহিকতাবিহীন।
গ্রিমডনে গতির সাথে আছে মাল্টিডিরেকশনাল যুদ্ধ এবং যুদ্ধাস্ত্র, যা গেমারের অভিজ্ঞতায় শিহরণ জাগাবে। সাথে আছে সবার প্রিয় টেলিপোর্টেশন সিস্টেম, যা দিয়ে নিমিষেই অতিক্রম করা যাবে স্বাভাবিক দৃষ্টিতে অনতিক্রম্য দূরত্ব, যাওয়া যাবে বহু অদ্ভুত অজানা গ্যালাক্সিতে।
হিরোজ অব বিগ স্টর্মের মতো গেমের পর গ্রিমডন না খেললেই নয়। প্রথম দেখাতে গেমটিকে আর দশটা সাধারণ ইনোভেশন গেমের মতো মনে হবে না। দেখে মনে হবে একটি ফ্যান্টাসি জনরার মডেল ওয়ার্ল্ড, যেখানে গেমারকে একের পর এক শত্রুর নানারকম ফরমেশন ভেদ করে এগিয়ে যেতে হবে আর যতদূর এগোনো যাবে শত্রুরাও তত আগ্রাসী হয়ে উঠবে। তবে এর স্টোরিলাইনের মাঝে আছে অসম্ভব বুদ্ধিমান কিছু টুইস্ট আর মেশিন অ্যালগরিদমিক গেমপ্লে। সব মিলিয়ে গেমারকে অনেকখানি বুদ্ধিমত্তা আর গেমিং স্কিল খরচ করতে হবে গেমটির পেছনে।
তবে একটা জিনিস আগে থেকেই বলে নেয়া ভালো এই পারফেক্ট লিভিং ওয়ার্ল্ডের পেছনে ছোটার এই কাহিনীটা বেশ লম্বা। তাই অনেকক্ষণ ধরে এলিয়েন নিধন করতে করতে ধৈর্য ভেঙেও যেতে পারে। তবে এর জন্যও আছে সমাধান, আছে অসাধারণ মাল্টিপ্লেয়ার গেমিংয়ের ব্যবস্থা। দূর-দূরান্তের বন্ধু, নিত্যনতুন স্ট্র্যাটেজি আর কল্পনাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার গেম নিয়ে বসে পড়ুন এখুনি আর যদি একটু টাকা খরচ করতে ইচ্ছে থাকে, তাহলে সহজেই পেতে পারেন দুর্দান্ত সব প্রিমিয়াম ম্যাপ আর স্টাফÑ যা আপনার ইনভেন্টরিকে করবে অসাধারণ আর অজেয়।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : ৭/৮/১০, সিপিইউ : ইন্টেল কোর টু কোয়াড বা তার সমতুল্য, র্যাম : ৬ গিগাবাইট, ভিডিও কার্ড : এনভিডিয়া এফএক্স সিরিজ/এএম রাডেওন (সমতুল্য) ও হার্ডডিস্ক : ১২ গিগাবাইট।
অ্যাশেজ অব সিঙ্গুলারিটি : ফুল রিলিজ
পুরো মহাবিশ্বটা কতখানি বড়, সেটা ঠিক আন্দাজ করে ওঠা কঠিন। ছোট একটা আন্দাজ অবশ্য করা যায়, পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব পৃথিবীর এ-মাথা থেকে ও-মাথা পুরোটা দশবার ঘুরে এলে যতখানি হবে, ততখানি; আর চাঁদ হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের মহাজাগতিক জিনিস। বাকিগুলো ঠিক কতখানি দূরে, সেগুলো নিশ্চয়ই আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
অ্যাশেজ অব সিঙ্গুলারিটিকেরা হয়েছে এই বিশাল মহাবিশ্বের সব অজানা সভ্যতাগুলো নিয়ে। সভ্যতাগুলো তৈরি করা হয়েছে সিড মিয়ারসের মাস্টারপিসগুলোর চেয়েও আকর্ষণীয় করে, সিমুলেটেড নিমেষ দিয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে। নক্ষত্র সমন্বয় টেক্স থেকে শুরু করে অতিরিক্ত ১২ জন খেলোয়াড় যোগ করা পর্যন্ত সবকিছুই করা যাবে গেমটিতে। আছে সম্ভাব্য অদ্ভুতুড়ে সব স্ট্র্যাটেজিক কৌশল, যা যেকাউকে গেমটির ফ্যান হতে বাধ্য করবে। গেমে গেমারকে প্রচুর পরিমাণে মাইক্রোম্যানেজমেন্ট করতে হবে, করতে হবে সব ধরনের নির্মাণকাজ এবং সা¤্রাজ্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গেমারকে নিতে হবে। জয় করতে হবে ছায়াপথের সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তি ও তার ভরবেগ পরিচালনা করার ক্ষমতা। খেলার শুরুতে কিছু একটি মৌলিক কৌশল মেনে চলতে হবে। জোগাড় করতে হবে যথেষ্ট সম্পদ। সাথে সাথে সা¤্রাজ্যের আর সামরিক বাহিনীর দায়িত্ব নিতে হবে। শুরু করতে হবে বিজ্ঞান গবেষণা, টেক ল্যাবস আপগ্রেড, বাড়াতে হবে নৌসীমা।
টেকটিক্যাল আরও স্ট্র্যাটেজিক্যাল বলা যায় এই ঘরানার অন্যান্য সাম্প্রতিক গেমগুলো থেকে চারগুণ। ঠিক চারগুণ কেন সেটা আমি বলব না, গেমারেরা নিজেরাই অনুভব করতে পারবেন। ফলেন এনচ্যানট্রেসের এই ডেব্যুটির নাম লিজেন্ডারি হিরোজ। ফলে বুঝতেই পারছেন এই গেমটির সবচেয়ে অনন্য মাত্রা গেমটির অসাধারণ সুপারহিরোদের ঘিরে তৈরি হয়েছে। আর তার সাথে যুক্ত হয়েছে নতুন উন্নত ব্যাটল স্টাইল, বিশালাকার স্ট্র্যাটেজিক্যাল ম্যাপস, আর নিত্যনতুন ফ্যান্টাসি।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : ৭/৮/১০, সিপিইউ : ইন্টেল কোর টু কোয়াড বা তার সমতুল্য, র্যাম : ৮ গিগাবাইট, ভিডিও কার্ড : এনভিডিয়া এফএক্স সিরিজ/এএম রাডেওন (সমতুল্য) ও হার্ডডিস্ক : ৩০ গিগাবাইট।