শেল, কন্সোল ও টার্মিনাল কী তা আমরা আগেই জেনেছি৷ এই তিনটি বিষয় নিয়ে কারো ধারণাগত কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়৷ গত কয়েক সংখ্যা ধরে লিনআক্সের বিভিন্ন কমান্ড নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে৷ লিনআক্সে অনেক শেল আছে৷ আর শেলের সংখ্যা একদম কম নয়৷ তাই এবার লিনআক্সের শেল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে৷
ইতোপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে লিনআক্সের ক্ষেত্রে কমান্ডগুলো বিভিন্ন শেলে বিভক্ত থাকে৷ এই শেলগুলোর মধ্যে যে শেলটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা হলো ব্যাশ শেল৷ বেশিরভাগ লিনআক্স অপারেটররা লিনআক্সের ব্যাশ শেলে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন৷ লিনআক্স ধারাবাহিকের এই পর্বে আমরা ব্যাশ শেল সম্পর্কে পুরোপুরি জানবো৷
শোনা যায় এপল কমপিউটারের ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের সাথে লিনআক্সের খুব মিল আছে৷ এতটা মিল আর অন্য কোনো অপারেটিং সিস্টেমের সাথে নেই৷ বর্তমান সময় হচ্ছে গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI)-এর যুগ৷ অপারেটিং সিস্টেমের কার্নেল ঠিক রেখে শুধু ইন্টারফেস পরিবর্তন করে অপারেটিং সিস্টেমের যেকোনো লুক দেয়া সম্ভব৷ তাই ইন্টারফেসের মিল মানেই যে অপারেটিং সিস্টেমের মিল তা কোনোভাবেই বলা সম্ভব নয়৷ এই মিল বলা সম্ভব যখন কার্নেলের মিল পাওয়া যায় বা কমান্ডের মিল পাওয়া যায়৷ ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম এবং লিনআক্সের কিছু শেল কমন৷ এজন্যই ম্যাক এবং লিনআক্সের মিল আছে তা অনেকে বলে থাকেন৷
কমান্ড এবং কমান্ডের কার্যাবলী নিচে দেয়া হলো :
alias–এলিয়াসতৈরি করবে৷
apropos–হেল্পের ম্যানুয়াল পেজ খুঁজে বের করবে৷
awk–ফাইন্ড এবং রিপ্লে¬সের জন্য এই কমান্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷
break–লুপথেকে সরাসরি বের হবার কমান্ড৷
builtin–একশেলেরভেতরথেকে অন্য শেল চালানো৷
bzip2–ফাইলজিপ (কম্প্রেস করার কমান্ড)৷
cal–এই কমান্ড দিয়ে ক্যালেন্ডার প্রদর্শন করানো যায়৷
case–শর্তসাপেক্ষে কমান্ড চালানো৷
cat–এই কমান্ডের মাধ্যমে যেকোনো ফাইলের কনটেন্ট দেখা যায়৷
cd –ডিরেক্টরি পরিবর্তন করার কমান্ড৷
cfdisk – পার্টিশন করার কমান্ড৷
chgrp – গ্রুপের মালিকানা পরিবর্তন করার কমান্ড৷
chmod – পারমিশন পরিবর্তন করার কমান্ড৷
chown – ফাইলের মালিকানা এবং গ্রুপ পরিবর্তন করার কমান্ড৷
chroot –ভিন্ন রুট ডিরেক্টরিতে কমান্ড চালানোর কমান্ড৷
cksum – CRC checksum এবং byte count প্রিন্ট করার কমান্ড৷
clear –স্ক্রিন ফাঁকা করার কমান্ড৷ ডস মোডের cls কমান্ডের মতো কাজ করে৷
cmp – দুটো ফাইলের তুলনা করার কমান্ড৷
comm – শর্ট করা ফাইলসমূহ তুলনা করার কমান্ড৷
command Run a command - শেল ফাংশন বাইপাস করে কমান্ড চালানোর কমান্ড৷
continue – লুপের পরবর্তী কার্যক্রম আবার চালু করা৷
cp – ফাইল কপি করার কমান্ড৷
cron –শিডিউল করা কমান্ডসমূহ চালানোর কমান্ড৷
crontab – কমান্ড শিডিউল করার কমান্ড৷
csplit – ফাইল দুইভাগ করার কমান্ড৷
cut – ফাইল অনেকগুলো অংশে ভাগ করার কমান্ড৷
date – সময় এবং তারিখ প্রদর্শন ও পরিবর্তন করার কমান্ড৷
dc – ক্যালক্যুলটর৷
dd – ফাইল কনভার্ট করে কপি করা যায় এই কমান্ডের মাধ্যমে৷
ddrescue–ডাটারিকোভারি করার কমান্ড৷ ডিস্ক স্ক্যান করার সময় ফাইল মুছে গেলে এই কমান্ড ব্যবহার করা যায়৷
declare –ভ্যারিয়েবলডিক্লিয়ার করার কমান্ড৷
df –ডিস্কে কতটুকু ফাঁকা জায়গা আছে তা দেখানো যায় এই কমান্ডের মাধ্যমে৷
diff – দুটো ফাইলের তুলনামূলক পার্থক্য দেখায়৷
diff3 –তিনটি ফাইলের তুলনামূলক পার্থক্য দেখায়৷
dig – DNS সার্ভারের অবস্থা দেখার কমান্ড৷
dir –ডিরেক্টরিরলিস্ট সংক্ষেপে দেখানোর কমান্ড৷
dirname –ডিরেক্টরির পাথ পরিবর্তন করে নতুন নাম দেবার কমান্ড৷
dirs – লগে থাকা ডিরেক্টরির নামগুলো দেখাবে৷
du – ফাইল কতটুকু জায়গা দখল করে আছে তা দেখাবে৷
echo –স্ক্রিনেমেসেজ প্রদর্শন করবে৷
egrep – ফাইলের ভেতরে সার্চ করবে৷
eject – ফ্লপি ড্রাইভ বা পেন ড্রাইভ ইজেক্ট করবে৷
enable –শেলেরকিছুনিজস্ব কমান্ড আছে যেগুলো পরিবর্তন করা যায়৷ এই কমান্ডের মাধ্যমে সেই কমান্ডগুলো সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় করা যায়৷
env – এটি হচ্ছে এনভায়রনমেন্ট ভেরিয়েবল বের করার কমান্ড৷
ethtool –নিক বা ল্যান কার্ড সেটিং৷
eval –নির্ধারিতকিছু কমান্ড খুঁজে বের করা৷
exec – কমান্ড সম্পাদন করা৷
exit –শেলথেকেবের হওয়া৷
expand – ট্যাবজুলোকে স্পেসে রূপান্তর করার কমান্ড৷
export – এনভায়রনমেন্ট ভেরিয়েবল সেট করার কমান্ড৷
expr – এক্সপ্রেশন খুঁজে বের করার কমান্ড৷
false –সিস্টেমকে অলসভারে বসিয়ে রাখার কমান্ড৷
fdformat – ফ্লপি ডিস্ক ফরমেট করার কমান্ড৷
fdisk –লিনআক্সের পার্টিশন তৈরি বা মডিফাই করার টুল৷ এই কমান্ড ডসের fdisk কমান্ডের মতো৷
fgrep – ফাইলের ভেতরের কোনো স্ট্রিং খুঁজে বের করবে৷
file – ফাইল টাইপ খুঁজে বের করবে৷
কজ
ফিডব্যাক : motruza_ahmad@yahoo.com