লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
তাসনীম মাহ্মুদ
মোট লেখা:১২৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - ফেব্রুয়ারী
লেখার ধরণ:
উইন্ডোজ এক্সপিসফটওয়্যার,
তথ্যসূত্র:
ব্যবহারকারীর পাতা
চাই এক্সপির সুষ্ঠু ব্যবহার পর্ব-০৩
গত দুই পর্বে অর্থাৎ ডিসেম্বর-০৮ এবং জানুয়ারি-০৯ সংখ্যায় ব্যবহারকারীর যেসব আচরণ বা কর্মকান্ড এক্সপির জন্য ক্ষতিকর তা তুলে ধরা হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এ সংখ্যায়ও ব্যবহারকারীর এমন কিছু আচরণ তুলে ধরা হয়েছে, যা এক্সপির স্বাভাবিক কিছু কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। এসব কাজ আমাদের স্বাভাবিক কার্যকলাপকে ব্যাহত করে, যা নতুন ব্যবহারকারীসহ অনেক অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীর অজানা। আবার অনেকের এ সংক্রান্ত ধারণা থাকলেও প্রায়শ গুরুত্ব না দিয়ে এড়িয়ে যেতে দেখা যায়।
সিকিউরিটি সফটওয়্যার
মোটরসাইকেল চালককে রক্ষাকবচ হিসেবে অবশ্যই হেলমেট পরতে হয়। কিন্তু স্বাভাবিক চলাফেরার সময় যদি হেলমেট ব্যবহার করা হয় তাহলে যেমন বিরক্তিকর মনে হবে, তেমনি তা হবে হাস্যকর। তেমনি অপ্রয়োজনে মাল্টিপল প্রটেক্টিভ গিয়ার দিয়ে পিসিকে সুরক্ষিত করতে গেলে এক বাজে অবস্থার সৃষ্টি হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। যদি সিস্টেমে কোনো অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম থেকে থাকে, তাহলে বাড়তি অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামটি সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করা ছাড়া তেমন কোনো অতিরিক্ত নিরাপত্তা বিধান করতে পারে না। শুধু তাই নয়, এর ফলে সিস্টেমের গতি কমে যাবে, কেননা ক্ষতিকর কোড শনাক্ত করার জন্য প্রতিটি ফাইল দু’বার স্ক্যান হয়। আরেকটি সিকিউরিটি ফিচার রয়েছে, যা ফায়ারওয়ালের প্রতিরূপ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কমান্ডো পারসোনাল ফায়ারওয়াল ইনস্টল করে উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল সক্রিয় রাখলে কোনো কোনো পোর্ট মনিটর নাও হতে পারে। সুতরাং এ ধরনের প্র্যাকটিস একটি অনিরাপদ ব্যবস্থা হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।
সমাধান
কমপিউটারের নিরাপত্তার জন্য একটি অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ্লিকেশনই যথেষ্ট। যদি একটি অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করার পর দ্বিতীয় আরেকটি অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করে থাকেন, তাহলে এটি রেভো অনইনস্টলার ব্যবহার করে আনইনস্টল করুন। অনুরূপভাবে সিস্টেমে যদি ভিন্ন ফায়ারওয়াল প্রোগ্রাম থাকে, তাহলে কন্ট্রোল প্যানেল থেকে উইন্ডোজ ফায়ারওয়ালকে নিষ্ক্রিয় করুন।
সতর্কতা
স্পাইবুট-সার্চ ডেস্ট্রয় অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ্লিকেশন নয়। এটি একটি অ্যান্টি স্পাইওয়্যার টুল। এটি স্পাইটুল ও সফটওয়্যার শনাক্ত করে, কিন্তু কোনো আক্রান্ত ফাইল ট্র্যাক করতে পারে না। কোনোরকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই নিশ্চিন্তে যুগপৎভাবে আপনি অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ও স্পাইবুট রান করতে পারবেন। অবশ্য স্পাইবুটের সাথে সমন্বিত টিটাইমার মডিউলটি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, কেননা অ্যাপ্লিকেশন রেজিস্ট্রর পরিবর্তন ঘটিয়ে প্রতিবার একটি ডায়ালগবক্স প্রদর্শন করে। তবে স্পাইবুটের মূল ইউজার ইন্টারফেস থেকে এই মডিউলকে ডিজাবল করা যায়।
যদি আপনার পিসি কোনো অবস্থাতে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত না থাকে কিংবা যদি নেটওয়ার্ক ক্যাবল বিচ্ছিন্ন থাকে অথবা WLAN ফাংশন নিষ্ক্রিয় থাকে, তাহলে সিকিউরিটি টুল যেমন ফায়ারওয়ালকে নিষ্ক্রিয় করা যেতে পারে। এর ফলে সিস্টেম রিসোর্সের লোড কমে যাবে এবং কমপিউটারের পারফরমেন্স বাড়বে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, উচ্চ রেজ্যুলেশনের ভিডিও প্লে করা যাবে।
কন্ট্রোল সেন্টার
প্রায় সব ধরনের কাজের জন্য, হতে পারে তা ডিভিডি বার্নিংয়ের জন্য, টিভি প্রোগ্রাম উপভোগ করার জন্য, কিংবা সাধারণ চিঠিপত্র লেখার জন্য ইন্টারনেটে প্রচুর ফ্রিওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সব ফ্রিওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনই স্ট্রিং অ্যাটাচবিহীন নয়। এসব স্ট্রিং শঠতাপূর্ণ মারাত্মক স্পাইওয়্যার। স্পাইওয়্যার থেকে পরিত্রাণের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে এমন প্রসত্মাবনা এতে থাকে। অথচ এগুলো ছদ্মবেশী স্পাইওয়্যার। যদি কেউ এ ধরনের প্রোগ্রাম লোড বা ইনস্টল করেন, তাহলে তিনি বাজে পপআপ দিয়ে প্রায় নাজেহাল হবেন এবং সতর্কতামূলক লিঙ্ক পাবেন। স্পাইওয়্যার যদি সিস্টেমে এক্সেস করতে পারে, তাহলে তা দূর করা কঠিন হবে।
সমাধান
সব সময় ডাউনলোডের সোর্স চেক করে দেখুন এবং সেসব ওয়েবসাইটের ওপর নির্ভর করুন যেগুলো সবসময় অ্যাপ্লিকেশন মনিটর করে। এ ধরনের কিছু নির্ভরযোগ্য পোর্টালে Softpedia যুক্ত করে (win.softpedia.com), বেটানিউজ (www.betanews.com) অথবা সরাসরি সফটওয়্যার প্রস্ত্ততকারকের ওয়েবসাইটে। তাছাড়া এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো সত্যিই আপনার দরকার আছে কিনা, ভেবে দেখুন এবং স্পাইওয়্যার, ম্যালওয়্যার বা অ্যাডওয়্যার টার্মসহযোগে অ্যাপ্লিকেশনের নাম খুঁজে দেখুন। ধরুন, আপনার হাতের কাছে একটি অজানা অ্যাপ্লিকেশন বা টুল রয়েছে, যা আপনাকে প্রলুব্ধ করছে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে সার্চ ফিল্ডে SpyBoot spyware ইনপুট দিন। যদি আপনার কমপিউটার ইতোমধ্যে স্পাইওয়্যারে আক্রান্ত হয়ে থাকে, তাহলে সিকিউরিটি টুল যেমন স্পাইবুট বা হাইজ্যাক ইনস্টল করে পিসিকে স্ক্যান করুন।
টিউনিং টুল
ইন্টারনেটে অসংখ্য অপটিমাইজেশন ইউটিলিটি রয়েছে, যেগুলো কমপিউটারের পারফরমেন্স বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এসব ইউটিলিটির মধ্যে কোনো কোনোটি হার্ডডিস্কের স্টোরেজ স্পেস ফ্রি করতে পারে, রেজিস্ট্রিকে পরিষ্কার ও ক্লাটারবিহীন রাখতে পারে। অপ্রয়োজনীয় ড্রাইভার বাদ দিতে পারে এবং ডিলিট করতে পারে যেমন অপ্রয়োজনীয় লিঙ্ক তেমনি পারে ডিএলএল ফাইলকে।
টিউনিং টুল যদি ভালোভাবে কাজ করে, ব্যাপারটি হবে চমৎকার। কিন্তু যদি কোনো ভুল হয়, তাহলে এই পিসিতে কাজ করা সত্যিই কঠিন হয়ে পড়বে। সম্ভাব্য এররের রেঞ্জ হবে লিঙ্ক থেকে যেটি মোটেও কাজ করবে না, প্রিন্টার শনাক্ত করতে পারবে না এবং এমনকি সিস্টেম ক্র্যাশও করতে পারে।
সমাধান
পিসি অপটিমাইজেশন টুলে কোনো পরিবর্তন করার আগে কোনো বিচ্যুতি ছাড়া পুরো সিস্টেমের ইমেজসহ সব ডাটার একটি ব্যাকআপ তৈরি করা উচিত। এ কাজের জন্য ড্রাইভ ইমেজ ইউটিলিটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এই অ্যাপ্লিকেশন হার্ডডিস্ককে সম্পূর্ণ নিরাপদ করতে পারে। এটি মাইক্রোসফটের ভলিউম শ্যাডো সার্ভিস (VSS) ব্যবহার করে ব্যাকআপ তৈরি করার জন্য।
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : mahmood_sw@yahoo.com