• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ইরেজার টুল ব্যবহার করে ফাইল বা ফোল্ডার স্থায়ীভাবে ডিলিট করা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: লুৎফুন্নেছা রহমান
মোট লেখা:১৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - ফেব্রুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ইউটিলিটি
তথ্যসূত্র:
সফটওয়্যার
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ইরেজার টুল ব্যবহার করে ফাইল বা ফোল্ডার স্থায়ীভাবে ডিলিট করা

আমরা অনেকেই মনে করি, উইন্ডোজে কোনো ফাইল বা ফোল্ডার ডিলিট করলে তা স্থায়ীভাবে মুছে যায়। আমাদের এ ধারণা সর্বতোভাবে সত্য নয়। যখন কেনো ফাইল ডিলিট করা হয়, অপারেটিং সিস্টেম তা ডিস্ক থেকে সত্যি সত্যি মুছে ফেলতে পারে না। এটি শুধু ফাইল সিস্টেম টেবল থেকে ফাইলের রেফারেন্স মুছে ফেলে। ফাইল ডিস্কেই থেকে যায় যতক্ষণ পর্যন্ত না অন্য ফাইল এই অবস্থানে ওভাররাইট হচ্ছে। অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে উইন্ডোজে কোনো ফাইল বা ফোল্ডার ডিলিট করলে তা পিসির হার্ডডিস্ক থেকে ডিলিট না হয়ে ইলেক্ট্রনিক কনটেন্ট লিস্ট থেকে ফাইল এন্ট্রিকে শুধু মুছে ফেলে। এ এন্ট্রি মূলত ব্যবহার হয় কোথায় সব তথ্য স্টোর হয়, তা ট্র্যাক করার জন্য। এর ফলে অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীরা প্রয়োজনে ডিলিট করা ফাইল উদ্ধার করে ব্যবহার করতে পারেন। লক্ষণীয়, রিসাইকেল বিন খালি করলেও ডিলিট করা ফাইল ও ফোল্ডার যথাযথভাবে ডিলিট হয় না। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ডাটা আমাদের অজান্তেই অনেকটা হুমকির মুখেই থেকে যায়। এমন অবস্থায় বিশেষ করে সিকিউরিটির ব্যাপারে সচেতন ব্যবহারকারীরা ইরেজার নামে এক ফ্রি টুল ব্যবহার করতে পারেন, যা পরিপূর্ণভাবে ফাইল ও ফোল্ডার যেমনি দ্রুতগতিতে স্থায়ীভাবে মুছে ফেলতে পারে, তেমনি পারে দক্ষতার সাথে অব্যবহৃত ডিস্ক স্পেসকে পরিষ্কার করতে। ইরেজার ফ্রি ডাউনলোড করা যাবে http://erascr.heidi.ie/ ইরেজার টুল ব্যবহার করে ফাইল, ফোল্ডার ডিলিট করার আগে গুরুত্বপূর্ণ ফাইলের ব্যাকআপ করা উচিত এবং নিশ্চিত হয়ে ডিলিট করা উচিত। কেননা ইরেজার দিয়ে ডিলিট করা ফাইল কোনো অবস্থাতেই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়।



ইরেজার মূলত উইন্ডোজের একটি অ্যাডভান্স সিকিউরিটি টুল যা হার্ডডিস্ক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ডাটা স্থায়ীভাবে মুছে ফেলে সিলেকটেড ডাটা কয়েকবার ওভাররাইট করার মাধ্যমে। ইরেজার উইন্ডোজ ৯৮ থেকে শুরু করে উইন্ডোজ ভিসতা পর্যন্ত সব ভার্সন যেমন সাপোর্ট করে, তেমনি সাপোর্ট করে উইন্ডোজ সার্ভার ২০০৩ ও ২০০৮।

ইরেজার টুল দিয়ে ফাইল, ফোল্ডার স্থায়ীভাবে ডিলিট করার জন্য নিচে বর্ণিত ধাপ অনুসরণ করুন-

ধাপ-১ :

ইরেজার টুলকে তিনভাবে ব্যবহার করা যায়, তবে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করার উপায় হলো পপ-আপ মেনু। সাধারণত কোনো ফাইলে ডানক্লিক করলে একটি মেনু আবির্ভূত হয়, যেখানে ডিলিটসহ বিভিন্ন কমান্ড থাকে। Eraser ইনস্টল করা থাকলে মেনুতে নতুন আইটেম যুক্ত হয়। পরীক্ষার জন্য উইন্ডোজ নোটপ্যাড ব্যবহার করে একটি ফাইল তৈরি করে ডেস্কটপে সেভ করে দেখতে পারেন। এবার এই ফাইলে ডান ক্লিক করে সিলেক্ট করুন Erase।

ধাপ-২ :

যেহেতু ইরেজার টুল দিয়ে কোনো কিছু ডিলিট করা একটি স্থায়ী প্রসেস, তাই কোনো কিছু ডিলিট করলে প্রোগ্রাম নিশ্চিত হবার জন্য জানতে চাইবে। যদি ডিলিট করার ব্যাপারে নিশ্চিত থাকেন, তাহলে ওকেতে ক্লিক করতে হবে। বাই ডিফল্ট ইরেজার সবসময় একটি রিপোর্ট প্রদর্শন করে কী কী ডিলিট করা হয়েছে। এই রিপোর্টকে সেভ ও রিভিউ করা যায়। ইরেজার অনেকভাবে ফাইল ডিলিট করতে পারে। ভালো হয় 7 pass Schneier নেয়া, কেননা এতে ডাটা সাতবার ওভাররাইট হয়।



ধাপ-৩ :

কোনো কিছু ডিলিট করার সময় নিশ্চিত হতে চাইলে Yes বাটনে ক্লিক করতে হবে রিসাইকেল বিন পুরোপুরি খালি করার জন্য। রাইট ক্লিক উইন্ডোজের যেকোনো জায়গা থেকে এক্সেস করা যায় এবং এ কাজটি প্রতিদিনই করা হলো প্রোগ্রামের সর্বোত্তম ব্যবহার। ডিলিটের কাজটি সুগঠিতভাবে করতে চাইলে StartAll ProgamsEraser নেভিগেট করলে মূল উইন্ডো আবার আবির্ভূত হবে। এই উইন্ডোর বাম দিকের প্যানে On Demand এবং Scheduler দুটি আইকন রয়েছে।

ধাপ-৪ :

On Demand সিলেক্ট করা আছে কি না তা নিশ্চিত করে ফোল্ডারকে ওপেন করুন, যা ধারণ করে যথাযথ ও স্থায়ীভাবে ডিলিট করার জন্য ফাইলসমূহ। উইন্ডোজ ফাইল কমান্ড ব্যবহার করে হাইলাইট করা ফাইল ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ করে মূল ইরেজার উইন্ডোতে নিয়ে আসুন। ফাইল ইরেজারে নিয়ে আসলেও দুর্ঘটনাক্রমে ফাইল ডিলিট হয় না। এক্ষেত্রে ফাইলকে অবশ্যই সিলেক্ট করে রান আইকনে ক্লিক করতে হবে কোনো কিছু সত্যি সত্যি ডিলিট করার জন্য।



ধাপ-৫ :

নিয়মিতভাবে সিস্টেমের পরিচর্যার জন্য সিডিউলার সেট করলে চমৎকার কাজ করবে, কেননা এ ধরনের কাজ করার কথা অনেকেরই মনে থাকে না। ইরেজারে সিডিউলার সেট করা থাকলে প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট দিনে হার্ডডিস্ককে সূক্ষ্মভাবে পরিষ্কার করে। শুধু তাই নয়, অব্যবহৃত স্পেসে কোনো কিছু থাকলে তা নষ্ট করে। সুতরাং FileNew Task-এ ক্লিক করুন। Task Properties ডায়ালগ বক্স ওপেন হবার পর নিশ্চিত করুন যে ‘Unused Space on Drive’ সিলেক্ট করা আছে। এরপর ড্রপডাউন মেনু ওপেন করে সিলেক্ট করুন C ড্রাইভ এবং পরিশেষে ‘Shutdown System’ সিলেক্ট করলে পিসি নিজে নিজে কাজ করবে।

সিডিউল ট্যাবে ক্লিক করে ইরেজারকে অভিহিত করুন কখন আপনি নির্দিষ্ট অপারেশনকে রান করতে চান। ধরুন, ড্রপডাউন মেনু থেকে বৃহস্পতিবার ১৯:০০ বেছে নিলেন, যাতে প্রতি বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় এই টাস্ক কার্যকর হবে এবং কাজ শেষে নিজে নিজে শাটডাউন হবে। নতুন সিডিউলে কাজ নিশ্চিত করতে চাইলে ওকে বাটনে ক্লিক করে আবার ওকে বাটনে ক্লিক করলে লিস্টে যুক্ত হবে।

ধাপ-৬ :

ইরেজারের মূল উইন্ডোর বাম দিকের প্যানে রয়েছে এক্সপ্লোরার। এটি ওপেন করে মিনি উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার যাতে ফাইল ও ফোল্ডারকে ইরেজারের ভেতরে অন ডিমান্ড ডিলিশন উইন্ডোতে ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ করা যায়। এর ফলে ইরেজার ও উইন্ডোজে কাজ করা সহজ হবে।

ফাইল ডিলিট করার জন্য ইরেজার কোন প্রক্রিয়া ব্যবহার করছে তা দেখতে চাইলে Edit-এ ক্লিক করে Preferences-এ ক্লিক করে Erasing-এ ক্লিক করতে হবে। এ প্রোগ্রামে হেল্প ফাইলে রয়েছে প্রচুরসংখ্যক সহায়ক তথ্য। এসব তথ্যের ভিত্তিতে আপনি বিভিন্নভাবে ফাইল ইরেজ করতে পারবেন।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : mahmood_sw@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস