নতুন ধাঁচের রেসিং স্টাইল ও রোমাঞ্চকর গেমপ্লে নিয়ে বাজারে এসেছে স্প্লিট সেকেন্ড নামের গেমটি। এটি স্প্লিট/সেকেন্ড বা স্প্লিট সেকেন্ড : ভেলোসিটি নামেও পরিচিত। এটি ডেভেলপ করেছে ব্ল্যাক রক স্টুডিও এবং পাবলিশ করেছে ডিজনি ইন্টারঅ্যাকটিভ স্টুডিওস। এটি উইন্ডোজ, প্লেস্টেশন ৩ ও এক্সবক্স ৩৬০-এর জন্য অবমুক্ত করা হয়েছে। গেমবয় ও নিনটেনডো কনসোলের জন্য এ গেমের কোনো ভার্সন বের হয়নি।
প্লট
ইদানীং টিভিতে রিয়ালিটি শো নিয়ে ব্যাপক মাতামাতি চলছে। সে আমেজ আরো চাঙ্গা করার জন্য গেমের মধ্যেও আনা হয়েছে। গেমারকে এক কাল্পনিক রিয়ালিটি টিভি শোতে অংশগ্রহণ করতে হবে, যাতে নানারকম রেসিং ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে হবে অর্থ ও খ্যাতি অর্জনের লক্ষে। গেমের মূল আকর্ষণ হচ্ছে রেস খেলার সময় রাস্তায় বিভিন্ন রকমের বাধার সম্মুখীন হওয়া। প্লেয়ার এবং প্রতিপক্ষ উভয়েরই ক্ষমতা আছে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে রাস্তার যানবাহন বা আশপাশের বাড়িঘর ধ্বংস করে রাস্তায় বাধার সৃষ্টি করা ও অন্য রেসারের গাড়ির ক্ষতি করার। একে একে ইভেন্ট জয় করে নতুন অ্যাপিসোডে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং রিয়ালিটি টিভি শো’র বাকি প্রতিযোগীদের হারিয়ে জয়ের মুকুট নিজের দখলে নিতে হবে।
গেমপ্লে
অন্যান্য রেসিং গেমের ইভেন্টের সাথে এ গেমের রয়েছে বিশাল পার্থক্য। সাধারণভাবে রেস খেলে জেতার সম্ভাবনা কম, কারণ প্রতিযোগীদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বেশ কড়া। তাই জিততে হলে পাওয়ার প্লে অপশনের সাহায্য নিতে হবে। পাওয়ার প্লে অপশনটি গেমের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। গেমারের একটি পাওয়ার মিটার থাকবে যা গাড়ি নিয়ে ড্রিফট, ড্রাফট ও জাম্প করার ফলে বাড়তে থাকবে। পাওয়ার মিটারের তিনটি ভাগ থাকবে। প্রথম ভাগ পূর্ণ হলে একজন প্রতিপক্ষকে ট্রিগার করা যাবে। দিবতীয়ভাগে একসাথে ২-৩টি এবং তৃতীয়ভাগ পূর্ণ করতে পারলে সামনে থাকা পুরো গাড়ির বহর তছনছ করে দেয়া যাবে। প্রতিপক্ষ যদি পেট্রোল পাম্পের পাশে দিয়ে যায় আর গেমারের পাওয়ার মিটার পূর্ণ থাকে তবে সে পেট্রোল পাম্পকে ট্রিগার করে উড়িয়ে দিতে পারবে। এক্ষেত্রে সময়জ্ঞান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ উপযুক্ত সময়ে ট্রিগার করতে পারলে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করা যাবে। আবার ট্রিগারের টাইমিং ঠিক না হলে নিজের পাতা ফাঁদে নিজেকেই পড়তে হবে।
ফিচারসমূহ
গেমে ১২ অ্যাপিসোডে ভাগ করে প্রায় ৭২টি ইভেন্ট রয়েছে। বেশ কিছু মোডে গেম খেলার ব্যবস্থা রয়েছে, যেমন- ডেটোনেটর, সারভাইভাল, এলিমিনেটর, টাইম ট্রায়াল ইত্যাদি। মাল্টিপ্লেয়ার মোডে আটজন একসাথে খেলা যায়। তবে মজার বিষয় হচ্ছে অফলাইনে একই পিসিতে স্ক্রিন দু’ভাগ করে দু’জন একসাথে খেলতে পারবে। রাস্তায় থাকা মোটরকার, ট্রাক, পেট্রোল পাম্প, ব্রিজ, ফ্লাইওভার ইত্যাদি ট্রিগার করার পাশাপাশি বিল্ডিং ধসিয়ে দেয়া, প্লেন ক্র্যাশ করানো, হেলিকপ্টার থেকে এক্সপ্লোসিভ ফেলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা যাবে। হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া মিসাইলের মোকাবেলাও করতে হবে এবং তা ফিরিয়ে দিয়ে হেলিকপ্টারও ধ্বংস করা যাবে।
দুর্বলতা
গেমে স্পিডোমিটার ও ম্যাপ দেয়া হয়নি। লো কোয়ালিটি গ্রাফিক্স মোডে খেলার সময় সামনে কি বাধা আছে তা বুঝতে কষ্ট হবে। তবে হাই কনফিগারেশনের পিসি হলে এ সমস্যা হবে না।
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট
ইন্টেল পেন্টিয়াম ডি ৩.০ গিগাহার্টজ, ২ গিগাবাইট র্যােম, ৬.৫ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস, পিক্সেল শ্রেডার ৩.০ সাপোর্টেড ২৫৬ মেগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড (জিফোর্স ৭৬০০ বা রেডিওন এক্স ১৬০০ বা তদুর্ধ)।