• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > প্রযুক্তি নিয়ে যেতে হবে সবখানে
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সম্পাদক
মোট লেখা:৩১৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - জুন
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সম্পাদনা
তথ্যসূত্র:
সম্পাদকীয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
প্রযুক্তি নিয়ে যেতে হবে সবখানে

প্রযুক্তির সদম্ভ পদচারণা সবখানে। আমাদের প্রতিদিনের জীবন থেকে শুরু করে এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে প্রযুক্তির প্রবেশ নেই। কোনো ক্ষেত্রেই প্রযুক্তিকে পাশে ঠেলে কিংবা এড়িয়ে চলার অর্থ হচ্ছে বোকার স্বর্গে বাস করা। এমনকি খেলাধুলাকে সর্বোচ্চ মাত্রায় উপভোগ্য করে তুলতে চাই প্রযুক্তির ব্যবহার। এর সাক্ষাৎ প্রমাণ বিশ্বকাপ ফুটবলের উনিশতম আসর, যা বসছে এই জুনের ১১ তারিখে, শেষ হবে ১১ জুলাইয়ে। মাসব্যাপী এই খেলার উৎসবের সবখানে পাওয়া যাবে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়া। দক্ষিণ আফ্রিকাকে এজন্য সে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটাতে হয়েছে। সম্প্রসারিত টেলিযোগাযোগের আওতায় আনতে হয়েছে এর দশটি স্টেডিয়ামকে। ব্যবস্থা করতে হয়েছে বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচগুলো থ্রিডি ব্রডকাস্টিংয়ের এবং রেকর্ডিংয়ের। বিশ্বব্যাপী খেলাগুলো সরাসরি সম্প্রচার নিশ্চিত করতে স্যাটেলাইট প্রভাইডারদের কাছ থেকে সার্ভিস কিনতে হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতায় নেমেছে তাদের নিজ নিজ মোবাইল ডিভাইসে বিশ্বকাপ উপভোগের আকর্ষণীয় সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে। এবারের বিশ্বকাপ ফুটবলে সংযোজিত প্রযুক্তির নানা দিক তুলে ধরেই আমাদের এবারের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন।

শুধু বিশ্বকাপ ফুটবল নয়, ক্রিকেটসহ সব খেলাই প্রযুক্তির ছোঁয়া পেয়ে আমাদের কাছে দিন দিন আকর্ষণীয় থেকে আকর্ষণীয়তর হচ্ছে। সেই সাথে খেলাধুলার জনপ্রিয়তার পারদমাত্রা সময়ের সাথে উপরে উঠে আসছে। এই যে কতদিন আগে আমাদের দেশমাতৃকার গর্বিত সন্তান মুসা ইব্রাহিম যে এভারেস্ট বিজয় করলেন, সে অভিযানেও প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। প্রযুক্তির পথ বেয়েই আজ পর্বত আরোহণ যেমনি আকর্ষণীয় হয়েছে, তেমনি পর্বতারোহীদের নিরাপত্তা বিধান আগের চেয়ে অনেক অনেক বেশিমাত্রায় সহজতর করে তোলা হয়েছে।

মোটকথা আমরা আমাদের জীবনের সবক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তিকে যত বেশি দ্রুত সংশ্লিষ্ট করতে পারবো, সামগ্রিকভাবে আমাদের জাতীয় অগ্রগমন ঘটবে তত দ্রুতলয়ে। এজন্য এ উপলব্ধি সবচেয়ে বেশিমাত্রায় আসতে হবে আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও নীতি-নির্ধারকদের। আমাদের সুদৃঢ় বিশ্বাস এ উপলব্ধি নিয়ে আমরা যদি কাজ করতে পারি, তবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা মোটেও অসম্ভব কোনো ব্যাপার নয়। এ উপলব্ধিতে ঘাটতি থাকলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কোনো স্বপ্নেরই বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।

আরেকটি বিষয়, বিশ্ববাসীর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা সম্প্রসারণ ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই। এ সত্যটুকু ভুলে গেলে চলবে না। এই যে গত ২ মে, ২০১০ আমাদের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ‘মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট’ ইস্যুর বিষয়টি চালু করলেন, তা কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদেই আমাদের চালু করতে হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে এর কোনো বিকল্প নেই। কারণ, বিভিন্ন দেশ এই মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বাধ্যতামূলক করে তুলছে বিভিন্ন সময়সীমার মধ্যে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় মালয়েশিয়ান কোম্পানি আইআরআইএস মাত্র আট মাসে এই মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট তৈরি করে। এই পাসপোর্ট অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৩৮টি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফলে এই পাসপোর্ট নকল করা সম্ভব হবে না। এ ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু শুরু করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে পাসপোর্ট জালিয়াতি এবং পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গিয়ে আমাদের নাগরিকদের যেভাবে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হতো, আশা করা হচ্ছে তা এখন সমূলে বন্ধ হবে। এটা সময়ের বড় প্রয়োজন হয়ে দেখা দিয়েছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতি ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগ বেড়ে যাওয়ার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বেড়েছে। ফলে বিশ্ব এখন রূপ নিয়েছে একটি গ্লোবাল ভিলেজ তথা বিশ্বগ্রামে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রায় ৭৫ লাখ বাংলাদেশী নাগরিক চাকরি, লেখাপড়া ও ব্যবসায় বাণিজ্যে নিয়োজিত। পাসপোর্ট নিয়ে এদের ভোগান্তি কমাতে এ ব্যবস্থা প্রয়োজন ছিল। এই পাসপোর্ট ব্যবস্থা চালু ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। গত বছরের মার্চে ৫২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট প্রবর্তনের প্রকল্প অনুমোদিত হয়। এর বাস্তবায়নের কাজ এখন দ্রুত এগিয়ে চলছে।

কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস