• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > কমপিউটার সিকিউরিটি ও ম্যালওয়্যারবাইটস টুল
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মোহাম্মদ ইশতিয়াক জাহান
ইমেইল:rony446@yahoo.com:
মোট লেখা:৮৮
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - সেপ্টেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সিকিউরিটি
তথ্যসূত্র:
সিকিউরিটি
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
কমপিউটার সিকিউরিটি ও ম্যালওয়্যারবাইটস টুল
কমপিউটার ব্যবহারকারীদের অনেকেই জানেন, যেকোনো সময় কমপিউটার বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, ওয়ার্ম, ট্রোজান, রুটকীট, ডায়ালার, স্পাইওয়্যার, ম্যালওয়্যার আক্রান্ত হতে পারে। অনেক ব্যবহারকারীরা ভেবে থাকেন, ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ না থাকায় তার কমপিউটার নিরাপদ। কিন্তু ব্যবহারকারীদের এ ধারণা ভুল। শুধু ইন্টারনেট দিয়েই আপনার কমপিউটার ভাইরাস, ওয়ার্ম, ট্রোজান, রুটকীট, ডায়ালার, স্পাইওয়্যার, ম্যালওয়্যারের শিকার হয় না। আপনার পেনড্রাইভ, নেটওয়ার্ক, অরক্ষিত সিডির মাধ্যমেও কমপিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু তাই বলে পেনড্রাইভ বা সিডি ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে না, কমপিউটারকে নেটওয়ার্ক থেকে আলাদা করতে হবে তাও কিন্তু নয়। কেননা, কমপিউটার সুরক্ষার জন্য আপনাকে কমপিউটার ব্যবহারের ওপর বিশেষ লক্ষ রাখতে হবে। এসব বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হয়েছে।

০১.
কমপিউটারে অ্যান্টিভাইরাস, অ্যান্টিস্পাইওয়্যার টুল ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত এসব টুল ইন্টারনেট থেকে আপডেট করে নিন। কারণ, এসব টুলের প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো প্রতিনিয়ত ভাইরাস, ট্রোজান মোকাবেলা করার জন্য আপডেটেড ফাইল অনলাইনে ছেড়ে থাকে।

০২.
পেনড্রাইভ অন্য যেকোনো কমপিউটারে কিছু সময়ের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকলেই বা অন্য কমপিউটারের সাথে সংযোগ হলেই তা আপনার কমপিউটারে ব্যবহার করার আগে অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে ভালোভাবে স্ক্যান করে নিন। কারণ, পেনড্রাইভই ভাইরাস, ট্রোজান, ম্যালওয়্যার বিস্তারের বিশেষ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকে। অনেক ব্যবহারকারী ভেবে থাকেন, অন্য যে কমপিউটারে পেনড্রাইভটি ব্যবহার করা হয়েছে সে কমপিউটারে তো অ্যান্টিভাইরাস ছিল, তাই পেনড্রাইভে ভাইরাস আসার সম্ভাবনা নেই। সেসব ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে বলতে হচ্ছে আপনার ধারণাটি ভুল। কারণ, অন্য কমপিউটারে যদি ভাইরাস আগে থেকে অ্যাটাক করে থাকে, তারপর অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করা হয়ে থাকে, তাহলে ভাইরাস সেই অ্যান্টিভাইরাসকে অকার্যকর করে ফেলবে এবং সেই ব্যবহারকারীর আড়ালে তার কমপিউটারের ক্ষতিসাধন করতে থাকবে। অর্থাৎ এই অ্যান্টিভাইরাস টুলটি ভাইরাসের হাত থেকে কমপিউটারকে রক্ষা করতে পারবে না। তাই ব্যবহারের আগে আপনার পেনড্রাইভটি ভালোভাবে স্ক্যান করে নিন।

০৩.
অনেক ব্যবহারকারী যেমন : বাসা বা অফিস বা বাজারের বিক্রেতারা কমপিউটার স্লো হবে ভেবে অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করেন না। এসব ব্যবহারকারী বিক্রির উদ্দেশ্যে বা নিজের প্রয়োজনে বা অন্য কারোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ফাইল, সফটওয়্যার, টুল, গেম সিডি বা ডিভিডিতে রাইট করেন এবং তা অন্যকে দিয়ে থাকেন বা বিভিন্ন কমপিউটারে তা ব্যবহার করে থাকেন। অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার না করার কারণে এসব কমপিউটারে ভাইরাস থাকাটাই স্বাভাবিক এবং সিডি/ডিভিডি রাইট করার ফলে এসব ভাইরাস সিডি/ডিভিডিতেও রাইট হয়ে যায় এবং অন্য কমপিউটারে খুব সহজেই স্থানান্তরিত হয়ে যায়। তাই কমপিউটার ব্যবহারকারীদের মনে রাখা উচিত, যেকোনো সিডি/ডিভিডি ব্যবহার করার আগে কমপিউটারকে অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে ভালোভাবে চেক বা স্ক্যান করে নিন।

০৪.
অনেক সময় জরুরি কাজ করার সময় আমাদের এক কমপিউটার থেকে অন্য কমপিউটারে ডাটা লেনদেন করতে হয় এবং এর জন্য পেনড্রাইভ বা নেটওয়ার্কের সাহায্য নিতে হয়। কিন্তু স্ক্যান করতে সময় লাগতে পারে ভেবে এসব ফাইল চেক না করেই ব্যবহার করা শুরু করেন, এভাবেও ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই এটি কখনোই করা উচিত নয়। কারণ, ৪-৫ মিনিট সময় বাঁচাতে গিয়ে আপনার পিসির চরম সর্বনাশটিই করে ফেলবেন এভাবে।

ম্যালওয়্যারবাইটস অ্যান্টিম্যালওয়্যার

কমপিউটারকে সুরক্ষা দেয়ার প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত নতুন ও পুরনো অ্যান্টিভাইরাসের আপডেটেড সংবাদ নিয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে এবং কমপিউটারকে সুরক্ষা দেয়ার প্রয়োজনে অনেক সিকিউরিটি টুল প্রস্তুতকারক কোম্পানি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের টুল ও আপডেট ফাইল অনলাইনে বাজারে ছাড়ছে। এমনই একটি সিকিউরিটি অ্যান্টিম্যালওয়্যার টুল হচ্ছে ম্যালওয়্যারবাইটস (Malwarebytes)।

ম্যালওয়্যারবাইটস অ্যান্টিম্যালওয়্যার টুলটিকে সহজ ও কার্যকর ম্যালওয়্যার টুল হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। কমপিউটার নিয়মিত যেসব ভাইরাস, ওয়ার্ম, ট্রোজান, রুটকীট, ডায়ালার, স্পাইওয়্যার, ম্যালওয়্যার দিয়ে আক্রান্ত হয় সেসবের কথা মাথায় রেখেই এই টুলটি তৈরি করা হয়েছে। ম্যালওয়্যারবাইটস প্রস্তুতকারকের ভাষ্য, বেশ কিছু নতুন টেকনোলজি নিয়ে এই টুলটি ডিজাইন করা হয়েছে, যা খুব সহজে ও দ্রুততার সাথে ম্যালওয়্যারকে শনাক্ত করতে পারবে এবং ক্ষতির হাত থেকে কমপিউটারকে রক্ষা করতে পারবে। এই টুলের প্রস্তুতকারক কোম্পানি আরো উল্লেখ করেছে, এমন কিছু ম্যালওয়্যার রয়েছে যা অন্য কোনো অ্যান্টিভাইরাস টুল তা রিমুভ বা মুছতে পারে না। সেসব ম্যালওয়্যারকে শনাক্ত ও রিমুভ করতে পারবে এই অ্যান্টিম্যালওয়্যার টুলটি। এ টুলটি প্রতিনিয়ত ম্যালিসিয়াসের প্রতিটি ধাপকে মনিটর করাসহ আরো বেশ কিছু সুবিধা দিয়ে থাকে। ম্যালওয়্যারবাইটস টুলটিতে বেশ কিছু ফিচার রয়েছে :

০১. এই টুলটি উইন্ডোজ ২০০০/এক্সপি, ভিস্তা, ৭-এর ৩২-বিট ও ৬৪-বিটে সাপোর্ট করবে।
০২. খুব দ্রুত স্ক্যান করে থাকবে এবং সব ড্রাইভ স্ক্যান করার সুবিধা দেবে।
০৩. প্রতিদিন ডাটাবেজ আপডেট রিলিজ হয়ে থাকে, ফলে টুলটিকে ইন্টারনেট থেকে সহজেই আপ-টু-ডেট রাখা সম্ভব হবে।
০৪. স্ক্যানার ও প্রটেকশনের জন্য আলাদাভাবে Ignore লিস্ট রয়েছে।
০৫. ম্যালওয়্যারকে ম্যানুয়ালি রিমুভ করার অপশন রয়েছে।
০৬. বহু ভাষা সাপোর্ট করে।
০৭. অন্যান্য অ্যান্টিম্যালওয়্যারের সাথে একে ব্যবহার করা যাবে।

ডাউনলোড

বর্তমানে অনলাইনে ১.৪৬ ভার্সনের এই টুলের ট্রায়াল ভার্সন রয়েছে, যার সাইজ মাত্র ৫.৮৬ মেগাবাইট। এই টুলটি ডাউনলোড করার জন্য ভিজিট করুন : http://www.malwarebytes.org/mbam.php

উপরের আলোচনায় যে কথাটি বেশি মনে রাখা প্রয়োজন তা হচ্ছে কমপিউটার নিরাপদ রাখার জন্য আপনার ব্যবহারের ওপর বিশেষ লক্ষ রাখতে হবে। কারণ, সঠিকভাবে কমপিউটার ব্যবহার করে থাকলে আপনার কমপিউটার ভাইরাস, ট্রোজান, ম্যালওয়্যারমুক্ত রাখতে সক্ষম হবেন। আবার একটু ভুলের জন্য কমপিউটারটির বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তাই প্রথমেই আপনার কমপিউটার ব্যবহারের জন্য ওপরের আলোচিত দিকগুলো অনুসরণ করুন এবং অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন। কমপিউটার নিরাপদ রাখার জন্য আপনাকে নিয়মিত অনলাইনে ভিজিটও করতে হতে পারে। কারণ, বিভিন্ন সাইট বা ব্লগের বিভিন্ন জনের রিভিউ পড়েও আপনি জানতে পারবেন, কোন ভাইরাসের কার্যক্ষমতা বেশি এবং র্যা ঙ্কিংয়ের দিক থেকে কোন অ্যান্টিভাইরাসটি টপ চার্টে রয়েছে।


কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : rony446@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস