• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ক্লাউড কমপিউটিং এবং আমাদের ভাবনা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সম্পাদক
মোট লেখা:৩১৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - অক্টোবর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
কমপিউটারায়ন
তথ্যসূত্র:
সম্পাদকীয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ক্লাউড কমপিউটিং এবং আমাদের ভাবনা
প্রযুক্তিবোদ্ধারা বেশ কয়েক বছর ধরেই বলে আসছেন, ভবিষ্যৎ কমপিউটিং হবে মূলত ক্লাউডনির্ভর। আর তাই গুগল, আমাজন, আইবিএম, এইচপি ও ডেলের মতো বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এই খাতে ইতোমধ্যেই প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে মোটামুটি শুরু হয়ে গেছে এই ক্লাউড কমপিউটিং। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে কমপিউটার ও ইন্টারনেটে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনবে এই ক্লাউড কমপিউটিং। কি এই ক্লাউড কমপিউটিং, কিভাবে এটি কাজ করে, সেবার ধরনইবা কি- ইত্যাদি বিষয় নিয়েই তৈরি হয়েছে আমাদের এবারের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রযুক্তিবোদ্ধারা পর্যন্ত সবাই যাতে এই ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি সম্পর্কে আদ্যোপান্ত বুঝতে পারেন সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

ক্লাউড কমপিউটিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে কোনো কোম্পানির ডাটা গুগল কিংবা মাইক্রোসফটের মতো বড় বড় কোম্পানির সার্ভারে থাকবে এবং সেখান থেকে ওই কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রয়োজনমতো তা ব্যবহার করবেন। এতে করে কোম্পানিগুলোর ব্যয় সাশ্রয় হবে এবং সময় বাঁচবে।

এই মুহূর্তে ক্লাউড কমপিউটিংয়ের বাজার খুব বড় নয়, তবে আগামী ৫ বছরের মধ্যে এই বাজার ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আগামী ১৭ ও ১৮ নভেম্বর হংকংয়ের দ্য মীরা হোটেলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তৃতীয় ক্লাউড কমপিউটিং ওয়ার্ল্ড ফোরাম এশিয়া সম্মেলন। গুগল ও আমাজন ওই সম্মেলনকে বেশ গুরুত্বের সাথে নিয়েছে।

আমরা চাই সরকার ক্লাউড কমপিউটিং নিয়ে চিন্তাভাবনা করুক। তথ্য পাচার হতে পারে এই আশঙ্কায় যদি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয় তাহলে সাবমেরিন ক্যাবল নিয়ে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল আবারও তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।

ভিয়েতনাম কত দ্রুত আইসিটি খাতে বিশেষ করে হার্ডওয়্যারের পাশাপাশি সফটওয়্যার ও টেলিকমিউনিকেশন খাতে এগিয়ে যাচ্ছে সে কথাই তুলে ধরা হয়েছে ‘আইসিটিতে ভিয়েতনামের অগ্রযাত্রা’ প্রবন্ধে। এই দেশটির কাছে বাংলাদেশের শেখার আছে অনেক কিছু। বাংলাদেশ যেখানে আইসিটি খাতে ক্রমাগত পিছিয়ে পড়া পছন্দ করে, সেখানে ভিয়েতনাম দেখিয়েছে যে কিভাবে এগিয়ে যেতে হয়। আইসিটি খাতে ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধির হার বর্তমানে বিশ্বের প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে একটি। দেশটিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস গত ৫ বছরে ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। গত বছর ১ হাজার সফটওয়্যার কোম্পানিতে কর্মরত ছিল ৬৪ হাজার জন।

আমাদের সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে চলেছে, যদিও তা আশানুরূপ নয়। দীর্ঘদিন থেকে বলা হলেও দেশে এখনো গড়ে ওঠেনি সফটওয়্যার পার্ক। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারকে আইটি পার্ক বা ভিলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়া হলেও কবে তার সুফল মিলবে তা নিশ্চিত নয়।

দেশের আইসিটি খাতের অবস্থার পরিবর্তন চাইলে ভিয়েতনামের মতো বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির এবং একই সাথে প্রয়োজন আইসিটিসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সততা। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করা ও কমিশনভোগীদের নির্মূলও জরুরি।

দেশে এই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ৫ দিনবা্যাপী আয়কর মেলা। করদাতাদের উদ্বুদ্ধকরণ ও নতুন করদাতা সৃষ্টির এই আয়োজনকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কমপিউটার জগৎ-এর ওয়েবসাইট উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানসহ ৫ দিনের মেলা সরাসরি সম্প্রচার করে। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ও এটুআই-এর জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মো: নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এই উদ্যোগ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নকে আরো ত্বরান্বিত করবে। মেলাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার, ডিজিটাল এনবিআর তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এনবিআরের ওয়েবসাইটে দেয়া ট্যাক্স ক্যালকুলেটর ও রিটার্ন প্রিপারেশন সফটওয়্যার করদাতাদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। ভবিষ্যতে এই উদ্যোগ বহুদূর এগিয়ে যাক এটাই প্রত্যাশা।

ভারতের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় মাত্র ১ হাজার ৬০০ রুপিতে শিক্ষার্থীদের দিচ্ছে কমপিউটিং ডিভাইস। বিষয়টি বেশ চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে। এত কম দামে এ ধরনের ডিভাইস শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়ার উদ্যোগ এর আগে কেউ নেয়নি। আগামী বছর নাগাদ এই ডিভাইস পৌঁছে যাবে শিক্ষার্থীদের হাতে। তারা ফ্রি সফটওয়্যারও পাবেন। মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে সাহায্যের হাত বাড়াতে চেয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গুগলের সাথেও আলোচনা চলছে। মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী কপিল সিবাল বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তুকি দামে ডিভাইসটি পাওয়া যাবে। দাম আরো কমিয়ে আনা যায় কি না তা নিয়েও ভাবা হচ্ছে।

এমন উদ্যোগ যদি বাংলাদেশে নেয়া হতো তাহলে সত্যি দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছে যেতো কমপিউটিং ডিভাইস এবং সত্যিকার অর্থেই দেশ সোনার বাংলার দিকে একটু হলেও অগ্রসর হতে পারতো। দেশের বিশেষজ্ঞরা কি ভাববেন বিষয়টি নিয়ে? আমরা চাই আমাদের দেশেও শিক্ষার্থীদের হাতে কম দামের কমপিউটিং ডিভাইস তুলে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হোক।

কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস