• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > পিসি’র ঝুটঝামেলা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সমস্যা ও সমাধান
তথ্যসূত্র:
ট্রাবলশুটার টিম
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
পিসি’র ঝুটঝামেলা



কমপিউটার জগৎ ট্রাবলশূটার টিম



কমপিউটার ব্যবহারকারীদের নিত্যনতুন সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু আমাদের এই নতুন বিভাগ ‘পিসির ঝুটঝামেলা’তে পিসির হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক, ভাইরাসজনিত সমস্যা, ভিডিও গেম সম্পর্কিত সমস্যা, পিসি কেনার ব্যাপারে পরামর্শ ইত্যাদিসহ যাবতীয় সব ধরনের কমপিউটারের সমস্যার সমাধান দেয়া হবে। আপনাদের সমস্যাগুলো আমাদের এই বিভাগের মেইল অ্যাড্রেসে (jhutjhamela@comjagat.com) বা কমপিউটার জগৎ, কক্ষ নম্বর-১১, বিসিএস কমপিউটার সিটি, রোকেয়া সরণি, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭ ঠিকানায় চিঠি লিখে জানান প্রতিমাসের ২০ তারিখের মধ্যে। উলে¬খ্য, মেইলের মাধ্যমে পাঠানো সমস্যার সমাধান যত দ্রুত সম্ভব মেইলের মাধ্যমেই জানিয়ে দেয়া হবে এবং সেখান থেকে বাছাই করা কিছু সমস্যা ও তার সমাধান প্রেরকের নাম- ঠিকানাসহ ম্যাগাজিনের এই বিভাগে ছাপানো হবে। সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সমস্যা পাঠানোর সময় পিসির কনফিগারেশন, অপারেটিং সিস্টেম, পিসিতে ব্যবহার হওয়া অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম, পিসি কতদিন আগে কেনা এবং পিসির ওয়ারেন্টি এখনো আছে কি না- এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উলে¬খ করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।



সমস্যা : আমার পিসিতে পেনড্রাইভ অনেক স্লো কাজ করছে। প্রথম দিকে ডাটা ট্রান্সফার বেশ দ্রুতগতিতেই হতো, কিন্তু এখন অনেক সময় লাগছে। আমার পেনড্রাইভের মডেল ট্রান্সসেন্ড ভি৬০ ৪ গিগাবাইট। অন্য পিসিতে কাজ করার সময় ভালোই স্পিড পাওয়া যায়, কিন্তু আমার পিসিতেই এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সমস্যা কি পেনড্রাইভে নাকি পিসিতে? এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো কিভাবে?
-শোয়েব, টাঙ্গাইল।



সমাধান :
কি ধরনের ফাইল ট্রান্সফার করা হচ্ছে তার ওপরেও পেনড্রাইভের ডাটা ট্রান্সফারের গতি নির্ভর করে। অনেক ছোট ফাইল একসাথে ট্রান্সফার করার সময় তা অনেক সময় স্লো হয়ে যায়, আর বড় আকারের সিঙ্গেল ফাইল ট্রান্সফারের সময় গতি বেশি হয়। পেনড্রাইভ থেকে পিসিতে ডাটা ট্রান্সফার করার জন্য টেরাকপি (TeraCopy) নামের সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। এতে ফাইল ট্রান্সফারের সময় তা পজ করতে পারবেন এবং একসাথে আলাদা আলাদা অনেক ফাইল কপি করার কমান্ড দিতে পারবেন। সেই সাথে প্রতিটি কপি কমান্ডকে কন্ট্রোলও করতে পারবেন। http://www.codesector.com লিঙ্কটি থেকে টেরাকপি সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন বিনামূল্যে।



সমস্যা : ব্রাউজিংয়ের সময় কোনো ওয়েবপেজ সেভ করতে দিলে সিপিইউ থেকে শব্দ করে এবং ভারি কোনো কাজ করার সময় মাঝে মাঝে পিসি হ্যাং করে। ভাইরাসের কারণে কি এ ধরনের সমস্যা হতে পারে? গেম খেলার সময় গেম লোড হতে বেশ সময় লাগে, কিন্তু আগে তা বেশ ভালোভাবেই চলতো। আমি উইন্ডোজ সেভেন আল্টিমেট ব্যবহার করি। আমার পিসির কনফিগারেশন হচ্ছে এএমডি অথলন এক্সটু ৩৬০০+, ২ গিগাবাইট ডিডিআর২ র্যা ম, এনভিডিয়া জিফোর্স ৮৫০০ জিটি ১ গিগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড, ৫০০ ও ২৫০ গিগাবাইটের দুটি হার্ডডিস্ক।
-সজল, চেরাগ আলী।



সমাধান :
আপনার সমস্যার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনার প্রসেসরের ফ্যানের শব্দ হচ্ছে যখন তা বেশ জোরে ঘুরছে। যখন আপনি কোনো ওয়েবপেজ সেভ করছেন- তখন তা সেভ করার সময় প্রসেসরের মধ্য দিয়ে বেশ দ্রুতগতিতে ডাটা ট্রান্সফার করে। এতে প্রসেসরের কার্যক্ষমতা বেড়ে যায় সাধারণ অবস্থার চেয়ে। সে জন্য প্রসেসর গরম হয়ে ওঠে আর কুলিং ফ্যানের গতি আরো বেড়ে যায় প্রসেসর ঠান্ডা করার জন্য। ক্যাসিং খুলে আপনার প্রসেসরের ওপরে রাখা হিটসিঙ্কটি চেক করুন। এতে হয়তো বেশ ময়লা জমে রয়েছে, যার কারণে প্রসেসর ঠিকমতো ছেড়ে দিয়ে ঠান্ডা হতে পারছে না এবং কুলিং ফ্যানের ওপরে চাপ বাড়াচ্ছে। প্রসেসর বেশি গরম হয়ে গেলে হ্যাং হওয়া বা মেশিন স্লো হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। মাসে অন্তত একবার ক্যাসিং খুলে ভেতরের অংশ পরিষ্কার করুন। দুই থেকে তিন মাস অন্তর কুলিং ফ্যান ও হিটসিঙ্ক পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন। এতে কমপিউটার এ ধরনের সমস্যার হাত থেকে বাঁচাতে পারবেন। ধুলোবালি কমপিউটারের যন্ত্রাংশের জন্য বেশ ক্ষতিকর, তাই পিসি এমন স্থানে রাখা উচিত যেখানে ধুলোবালি কম প্রবেশ করতে পারে এবং ডাস্ট কভার ব্যবহার করা আবশ্যক। তবে ডাস্ট কভার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে কাজ শেষে পিসি বন্ধ করার পর পিসিটি ঠান্ডা হবার সুযোগ না দিলে গরমে পিসির যন্ত্রাংশের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।



সমস্যা : আমার আসুস ডিভিডি রাইটারের গায়ে লাইটস্ক্রাইব লেখা। কেনার সময় ড্রাইভের দাম সাধারণ ড্রাইভের তুলনায় কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে। বেশি দামের কারণ জানতে চাওয়ায় বলা হয়েছে এটি নতুন টেকনোলজি। কিন্তু লাইটস্ক্রাইব টেকনোলজির কাজ কি? একজনের কাছে শুনলাম এ টেকনোলজি দিয়ে ডিভিডি সারফেসে ছবি প্রিন্ট করা যায়, এটা কি সম্ভব?
-আবীর, মগবাজার।



সমাধান :
লাইটস্ক্রাইব টেকনোলজিযুক্ত ডিভিডি রাইটারের দাম সাধারণ ড্রাইভের চেয়ে কিছুটা বেশিই। নতুন এ টেকনোলজির সাহায্যে সিডি বা ডিভিডির উপরের অংশে (যে পাশে ডাটা রাইট হয় তার উল্টো পাশে) ইচ্ছেমতো লেখা, ছবি বা ডিজাইন বার্ন করা যায়। তবে যেকোনো ডিস্কের ক্ষেত্রে তা হবে না। ডিস্ক সারফেসে ছবি বার্ন করার জন্য ডিস্কটিকে লাইটস্ক্রাইব সাপোর্টেড ডিস্ক হতে হবে। লাইটস্ক্রাইব ডিস্কগুলোর দাম সাধারণ ব্ল্যাঙ্ক ডিস্কের চেয়ে বেশি। লাইটস্ক্রাইব ডিস্কের সারফেসে লাইট সেনসিটিভ কেমিক্যালের আবরণ দেয়া থাকে যা দেখতে অনেকটা সাদা পাউডারের মতো মনে হয়। তবে এ সারফেসে শুধু গ্রেস্কেল বা সেপিয়া মোডে ছবি, লেখা বা ডিজাইন বার্ন করা যায়। আমাদের দেশে এখনো রঙ্গিন লাইটস্ক্রাইব ডিস্ক আসেনি। বাজারে ভারবাটিম, মিতসুবিশি ও অন্যান্য কিছু কোম্পানির লাইটস্ক্রাইব ডিস্ক পাওয়া যায়।

লাইটস্ক্রাইব ডিস্কের সারফেসে ইমেজ বার্ন করার পর সাবধানে রাখতে হয়, তা না হলে হাতের স্পর্শে বার্ন করার ইমেজের ক্ষতি হতে পারে। সময়ের সাথে ডিস্কের ওপরে বার্ন করা ইমেজের গাঢ়ত্ব ধীরে ধীরে হালকা হতে থাকে। বেশিক্ষণ ধরে অপটিক্যাল ড্রাইভের ভেতরে রেখে কাজ করলে বার্ন করার ইমেজের ক্ষতি হবার ব্যাপক সম্ভাবনা থাকে। শখের বশে কিছু পছন্দের ডিস্কে ইমেজ বার্ন করে রাখা যায়, কিন্তু তা টেকসই হবে এমনটা ভাবা ঠিক নয়। সাবধানে ডিস্ক হোল্ডারে রেখে দিলে তা অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।

লাইটস্ক্রাইব ডিস্কে রাইট করার জন্য নতুন নেরো বার্নিং সফটওয়্যারে লাইটস্ক্রাইব কভার বার্ন অপশনে যেতে হবে। তারপর ড্রাইভে ডিস্ক উল্টো করে ঢুকিয়ে নেরো কভার ডিজাইনার দিয়ে ইচ্ছেমতো ডিজাইন বা লেভেল লিখে তা ডিস্ক সারফেসের মাপের সাথে মিলিয়ে বার্ন করুন। ডিস্ক সারফেসে ইমেজ বার্ন করার জন্য ডাটা রাইটের চেয়ে কিছু বেশি সময় লাগবে। ইমেজ বার্ন করা সারফেসে কখনো হাত বা ভেজা কিছু লাগাবেন না এবং রাইট করার সময় কন্ট্রাস্ট রেশিও বাড়িয়ে দিন, এতে বার্ন করা ইমেজ গাঢ় দেখাবে।



সমস্যা : আমার পিসি কোর টু ডুয়ো ২.৫৩ গিগাহার্টজ, ২ গিগাবাইট র্যানম, ২৫০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক ও মনিটর এলজি ১৭ ইঞ্চি সিআরটি। আমি একটি ইউপিএস কিনতে চাই। আমার পিসির জন্য কত ওয়াটের ইউপিএস লাগবে? অনলাইন ও অফলাইন দুইরকমের ইউপিএস দেখলাম বাজারে। এ দুটির মাঝে পার্থক্য কি? কোনটি ভালো হবে আমার জন্য? কত ওয়াটের ইউপিএসে কতটুকু ব্যাকআপ পাওয়া যাবে তা কিভাবে বুঝবো?
-মহসিন, ধানমন্ডি।



সমাধান :
পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী আপনার ৬৫০ভিএ পাওয়ারের ইউপিএসের দরকার হবে। তবে বেশি ব্যাকআপ পাওয়ার জন্য আরো বেশি ক্ষমতার ইউপিএস ব্যবহার করতে পারেন। অনলাইন ইউপিএস ও অফলাইন ইউপিএসের মধ্যে মূল পার্থক্য হচ্ছে AC মোড থেকে DC মোডে যাওয়ার সময় অনলাইন ইউপিএস কোনো সময় নেয় না, কিন্তু অফলাইন ইউপিএস কয়েক মিলিসেকেন্ড সময় নেয়। অফলাইনের ক্ষেত্রে অনেক সময় লোডশেডিং হলে পিসি রিস্টার্ট হতে পারে, কিন্তু অনলাইনের বেলায় সেরকম হয় না। অনলাইন ইউপিএসকে ডাবল কনভার্সন ইউপিএসও বলা হয়, কারণ তা AC থেকে DC এবং DC থেকে AC মোডে পাওয়ার কনভার্ট করতে পারে। অনলাইন ইউপিএসে মূল কারেন্ট প্রবাহ ব্যাটারির ভেতর দিয়েই হতে থাকে, তাই পিসি চলাকালীন তা ব্যাটারি চার্জ করার সাথে সাথে পিসিতে পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে থাকে। কারেন্ট চলে গেলে ব্যাটারি থেকে পাওয়ার ব্যাকআপ দেয়া শুরু করে, তাই এতে পাওয়ার ইনভার্ট করার জন্য সময়ের প্রয়োজন হয় না। অফলাইন ইউপিএসের ক্ষেত্রে মূল কারেন্ট প্রবাহের সাহায্যে পিসিতে পাওয়ারের যোগান দেয়া হয় এবং কারেন্ট চলে গেলে তা দ্রুত ব্যাটারি ব্যাকআপে কানেকশন দিয়ে থাকে। এ ক্ষুদ্র সময়ের ব্যবধান অনেক সময় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে যদি পিসি বেশি শক্তিশালী হয়। এছাড়াও অনলাইন ইউপিএসে ফায়ারওয়াল থাকে, যা ভোল্টেজ আপ-ডাউনের সমস্যার হাত থেকে পিসিকে রক্ষা করে। তাই অনলাইন ইউপিএসই বেশি ভালো এবং দামের দিক থেকে তা অফলাইনের চেয়ে কিছুটা বেশি মূল্যের হয়ে থাকে।



সমস্যা : পিসি কতটুকু পাওয়ার টানছে তা পরিমাপ করার কোনো উপায় আছে কি?
-শরিফ, কুষ্টিয়া।



সমাধান :
পিসিতে কি কি ডিভাইস সংযুক্ত রয়েছে এবং পিসি কনফিগারেশনের তালিকা যুক্ত করে http://extreme.outervision.com/PSU Engine এ সাইটি থেকে নিজের পিসির পাওয়ার রিকোয়ারমেন্ট সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন। আপনাকে শুধু পিসির পার্টসগুলোর সঠিক বর্ণনা দিতে হবে, বাকি কাজ ওয়েবসাইট ক্যালকুলেশন সিস্টেম করে দেবে। যারা পিসি আপগ্রেড করতে চান তাদের নতুন ডিভাইসগুলোর জন্য কতটুকু বাড়তি পাওয়ারের প্রয়োজন হবে তা নির্ধারণ করা সহজ হবে।



সমস্যা : ইন্টেল কোর আই সেভেনের জন্য কোন মাদারবোর্ড ভালো হবে? কোন ব্র্যান্ডের মাদারবোর্ড সবচেয়ে ভালো?
-সালমান, ঢাকা।



সমাধান :
বাজারে দুই রকমের কোর আই সেভেন প্রসেসর রয়েছে। একটি হচ্ছে i7-8xx ও অপরটি i7-9xx সিরিজ। প্রথম সিরিজের জন্য যে মাদারবোর্ড ব্যবহার করা হয় তার সকেট হচ্ছে LGA-1156 এবং অপরটি হচ্ছে LGA-1366। LGA-1156 সাপোর্টের কিছু ইন্টেল চিপসেট হচ্ছে H55, H57, P55, Q57 এবং LGA-1366 সাপোর্টের ইন্টেল চিপসেটটি হচ্ছে X58। মাদারবোর্ডের বেশিরভাগ মাদারবোর্ডই চীনের তৈরি। তাই তাদের পারফরমেন্সের মধ্যে তেমন একটা হেরফের নেই। যে হারে বাজারে কমপিউটার পণ্যের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তাতে কেউ খারাপ পণ্য বাজারে ছেড়ে কোম্পানির সুনাম নষ্ট করবে না। তাই নিশ্চিন্তে যেকোনো ব্র্যান্ডের ওপরে ভরসা করতে পারেন। তবে একেক ব্র্যান্ডের মাদারবোর্ড একেক রকমের ফিচার দিয়ে থাকে। কেউ গ্রাফিক্স কার্ড ভালো দেয় তো কেউ কিছু স্লট বেশি দেয়, আবার কেউ বেশি চ্যানেলযুক্ত সাউন্ডকার্ড দেয় তো কেউ স্পেশাল টেকনোলজির সাপোর্ট দেয়। তাই একই চিপসেটের কয়েকটি মডেল দেখেশুনে যেটি আপনার পছন্দ হয় সেটি কিনুন।



সমস্যা : কোর আই সেভেনের কোরের সংখ্যা মূলত কয়টি? ইন্টারনেট ব্রাউজ করে এক সাইটে দেখতে পেলাম কোরের সংখ্যা ৪টি, আবার আরেকটিতে দেখলাম ৬টি। তাই বুঝতে পারছি না কোনটি সত্য আর কোনটি মিথ্যা?
-রাফাত, দিনাজপুর।



সমাধান :
কোর আই সেভেনের এ পর্যন্ত প্রায় ৪টি সিরিজের প্রসেসর বের হয়েছে। এগুলো হচ্ছে i7-6xx, i7-7xx, i7-8xx ও i7-9xx। কোড নেম অনুযায়ী এগুলো পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়, যেমন- Arrandale, Clarksfield, Lynnfield, Bloomfield ও Gulftown। Arrandale প্রসেসরগুলোর ২টি কোর ও ৪ মেগাবাইট ক্যাশ মেমরি থাকে। এভাবে Clarksfield, Lynnfield ও Bloomfield-এর ক্ষেত্রে ৪টি কোর ও ৬-৮ মেগাবাইট ক্যাশ মেমরি থাকে। Gulftown হচ্ছে ইন্টেলের এ পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী প্রসেসর। এ সিরিজের মধ্যে পড়ে দুটি প্রসেসর। একটি হচ্ছে i7-970 ও অপরটি হচ্ছে i7-980X (Extreme)। এ প্রসেসরগুলোতে রয়েছে ৬টি করে কোর, ১২টি থ্রেড ও ১২ মেগাবাইট ক্যাশ মেমরি। মডেল দেখে বুঝতে হবে তাতে কতটি কোর রয়েছে।



সমস্যা : আমি ইন্টেলের মাদারবোর্ড কিনতে চাচ্ছি। ওয়েবসাইটে দেখে দুটো মডেল পছন্দ হয়েছে। এগুলো হচ্ছে Intel DH55TC ও Intel DH55HC। মাদারবোর্ড দুটোর মধ্যে ফিচারেরও কোনো পার্থক্য খুঁজে পেলাম না। আমাকে জানাবেন কি, কোন মাদারবোর্ডটি কিনলে ভালো হবে এবং এ দুটো মাদারবোর্ডের মধ্যে মূল পার্থক্য কোথায়? যদি পার্থক্য না-ই থাকে, তাহলে দুটোর মডেলের নাম আলাদা কেন? দুটো মাদারবোর্ডের দামের পার্থক্যের ব্যাপারে জানালেও বেশ উপকৃত হবো।
-শাহরিয়ার, ঢাকা।



সমাধান :
মাদারবোর্ড দুটোর মধ্যে মূল পার্থক্য হচ্ছে এর আকারে বা ফর্ম-ফ্যাক্টরে। Intel DH55TC মডেলের মাদারবোর্ডের Form Factor হচ্ছে Micro ATX এবং এর ডাইমেনশন হচ্ছে 9.6´9.6 ইঞ্চি। এই মাদারবোর্ডটি মাইক্রো এটিএক্স কেসিংয়ের উপযুক্ত করে বানানো মাদারবোর্ড। আর Intel DH55HC মডেলের মাদারবোর্ডের Form Factor হচ্ছে ATX এবং এর ডাইমেনশন হচ্ছে 12´9.6 ইঞ্চি। যার ফলে আকারে এই মডেলটি একটু বড় এবং এর জন্য বড় আকারের এটিএক্স কেসিংয়ের প্রয়োজন পড়বে। এ দুটো মডেলের দামের তেমন ব্যবধান নেই এবং বিভিন্ন ফিচারও একই ধরনের। তবে Intel DH55HC মডেলের মাদারবোর্ডটিতে পিসিআই স্লট রয়েছে ৩টি এবং Intel DH55TC মডেলের মাদারবোর্ডটিতে পিসিআই স্লট রয়েছে মাত্র ১টি। বড় মাদারবোর্ডের ৩টি পিসিআই স্লটে আপনি পিসিআই সাউন্ডকার্ড, টিভিকার্ড, ল্যানকার্ড অন্যান্য পেরিফেরাল ডিভাইস সংযুক্ত করতে পারবেন, কিন্তু ছোট মাদারবোর্ডটিতে শুধু একটি পেরিফেরাল ডিভাইস সংযুক্ত করতে পারবেন। এখন আপনি যদি বড় আকারের ATX কেসিং নিতে আগ্রহী হন তাহলে বড় মাদারবোর্ড কিনতে পারেন। আর যদি আপনি ছোট কেসিং বা মাইক্রো এটিএক্স ফর্ম-ফ্যাক্টরের কেসিং ব্যবহার করতে চান তাহলে বাড়তি পিসিআই স্লট প্রয়োজন পড়ে না। তাহলে Intel DH55TC মডেলের মাদারবোর্ড আপনার জন্য ভালো হবে।



সমস্যা : আগের ইন্টেলের প্রসেসরগুলোয় ফ্রন্ট সাইড বাস (FSB) স্পিড সম্পর্কে তথ্য দেয়া থাকতো, কিন্তু বর্তমানে নতুন প্রসেসরগুলোয় ফ্রন্ট সাইড বাস স্পিড সম্পর্কে কিছু লেখা থাকে না।
-রুবেল, বরিশাল।



সমাধান :
বর্তমানে নতুন প্রসেসরগুলো, যেমন- Intel Core i3, i5, i7 প্রসেসরগুলো নতুন টেকনোলজি বা আর্কিটেকচারাল ডিজাইন দিয়ে বানানো। নতুন এই প্রযুক্তি হচ্ছে মাইক্রো আর্কিটেকচার বা কোর মাইক্রো আর্কিটেকচার প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির কোড নেম হচ্ছে Nehalem। নেহালেম প্রসেসরগুলোতে ফ্রন্ট সাইড বাস ব্যবহার করা হয় না। এই প্রসেসরগুলোতে আরো গতিসম্পন্ন নতুন টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই প্রযুক্তির নাম QuickPath Interconnect (QPI)। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে প্রসেসরের হাইপার-ট্রান্সপোর্টের গতি অনেকগুণ বাড়ে। QuickPath Interconnect প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় বলে এখন আর ফ্রন্ট সাইড বাস (FSB) স্পিডের ব্যাপারে কোনো তথ্য দেয়া থাকে না।

কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
পাঠকের মন্তব্য
০১ মার্চ ২০১১, ৭:০৩ AM
চািলেয় যাওয়াই ঊত্তম
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস