• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > পিসির ঝুটঝামেলা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৩ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ট্রাবলশূটিং
তথ্যসূত্র:
ট্রাবলশুটার টিম
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
পিসির ঝুটঝামেলা

সমস্যা : আমার কমপিউটারটি বায়োস্টার মাদারবোর্ড মডেল এমসিপি৬পিবি-এএম২+ সকেট, এএমডি সেম্প্রন ১৪০ প্রসেসর, ১ গিগাবাইট ৮০০ বাস ডিডিআর২ র্যা ম ও ২৫০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক। হার্ডডিস্কটির পার্টিশন হচ্ছে : ০১. সিু লোকাল ডিস্ক ৫০ গিগাবাইট, ০২. ডিু লোকাল ডিস্ক ৫০ গিগাবাইট, ০৩. ইু নিউ ভলিউম ৫০ গিগাবাইট, ০৪. এফু নিউ ভলিউম ১০০ গিগাবাইট এবং ০৫. জিু ডিভিডি ড্রাইভ। এ পিসিটি আমরা চারজন ব্যবহার করি। তাই একজনের সাথে আরেকজনের কাজ মিশে যাওয়ায় বেশ অসুবিধা হয়। এখন আমার প্রশ্ন হলো- এফ ড্রাইভের ১০০ গিগাবাইটকে কি আমি ৫০+৫০ গিগাবাইটে ভাগ করতে পারব? এতে কি হার্ডডিস্কের ক্ষতি হবে? যদি পারি তবে কিভাবে পার্টিশন করব? ডিভিডি ড্রাইভ জি-এর নাম কি পাল্টানো যায়? আমি আরো ২ গিগাবাইট র্যােম লাগাতে চাই। তারপর কি আমি এ পিসিতে উইন্ডোজ ৭ বা ৮ ইনস্টল করতে পারব? আমি আগেও আমার সমস্যার উত্তর পেয়েছি। এবারো সমস্যার সমাধানগুলোর সমাধান দয়া করে জানাবেন।

-বরুণ দে

সমাধান : পার্টিশন করলে হার্ডডিস্কের তেমন একটা সমস্যা হয় না। কিন্তু পার্টিশন করার জন্য হার্ডডিস্কের কিছু জায়গা নষ্ট হয়। এ জায়গার পরিমাণ ফাইল ফরমেটের ওপরে ভিত্তি করে ৪০০ মেগাবাইট বা তারচেয়ে কিছু বেশি হতে পারে। ব্যাপারটা অনেকটা একটি বাড়ির ফ্লোরের ওপর দেয়াল তুলে আলাদা আলাদা রুম বানানোর মতো। এখানে রুমগুলো হচ্ছে ড্রাইভ এবং দেয়ালগুলো হচ্ছে পার্টিশন। দেয়াল যেমন কিছুটা জায়গা নষ্ট করে তেমনি পার্টিশনও হার্ডডিস্কে কিছুটা জায়গা নেয়। ১০০ গিগাবাইটকে দু’ভাগে ভাগ করে নিতে পারেন খুব সহজেই যেকোনো পার্টিশন ম্যানেজার সফটওয়্যারের মাধ্যমে। এজন্য ব্যবহার করতে পারেন পার্টিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট বা প্যারাগন পার্টিশন ম্যানেজার। ১০০ গিগাবাইটের ড্রাইভটি খালি করে নিতে হবে পার্টিশন করার আগে তা নাহলে ডাটা হারানোর ভয় থেকে যাবে। পার্টিশন ম্যানেজার সফটওয়্যার দিয়ে যে পার্টিশনকে বিভক্ত করবেন তা সিলেক্ট করে রিসাইজ পার্টিশন অপশনে ক্লিক করে অ্যাপস্নাই করলে তা পিসি রিস্টার্ট করবে এবং পিসি আবার চালু করার আগে পার্টিশন করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। পরের ভাগটুকু আন-এলোকেটেড অবস্থায় থাকবে, তাই তা সিলেক্ট করে ক্রিয়েট পার্টিশন অপশনে ক্লিক করলেই তা ড্রাইভে পরিবর্তিত হবে। ড্রাইভের ওপরে রাইট বাটন ক্লিক করে রিনেম করে ড্রাইভের নতুন নাম দিতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি ড্রাইভ লেটার বদলাতে চান তবে পার্টিশন ম্যানেজারের সাহায্যে তা করতে পারবেন। ডিভিডি ড্রাইভের নাম বদলানোর কাজ কিছুটা ঝামেলার। এটি রেজিস্ট্রি এডিটরের সাহায্যে করতে হবে। আপনি আরো দুই গিগাবাইট র্যাডম লাগিয়ে পিসির পারফরম্যান্স কিছুটা বাড়িয়ে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে ৪ গিগাবাইট র্যাকমের জন্য উইন্ডোজ ৭ বা ৮-এর ৬৪ বিট ভার্সন ব্যবহার করেতে হবে। ১ গিগাহার্টজের প্রসেসর ও ১ গিগাবাইট র্যাকম থাকলেই উইন্ডোজ ৭ বা ৮ ইনস্টল করা যায়। বর্তমানে পিসির যে কনফিগারেশন আছে তাতেও আপনি উইন্ডোজ ৭ বা ৮ ইনস্টল করতে পারবেন।

সমস্যা : আমি বায়োস্টার জি-৪১ডি৩+ মাদারবোর্ড ব্যবহার করছি। আমার প্রসেসর হচ্ছে পেন্টিয়াম ডি ২.৮ গিগাহার্টজ। আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমি কি এই মাদারবোর্ডে ডিডিআর৩ ১৬০০ বাস র্যা ম ব্যবহার করতে পারব? আমি কিছুদিন পর পিসি আপগ্রেড করে ১৬০০ বাস র্যা ম সাপোর্ট করে এমন মাদারবোর্ড কিনব। তাই এখন আর ১৩৩৩ বাসস্পিডের র্যাতম কিনতে চাচ্ছি না। উত্তর জানালে উপকৃত হব।

-নায়েম খান

সমাধান : আপনার পিসির মাদারবোর্ড সর্বোচ্চ ১৩৩৩ বাসস্পিডের র্যামম সাপোর্ট করে, তাই তা ১৬০০ বাসস্পিডের র্যা ম সাপোর্ট করবে না। র্যা ম লাগালে হয়তো চলবে, কিন্তু তা ১৩৩৩ বাসস্পিডে চলবে, ১৬০০ বাসস্পিডের পারফরম্যান্স পাবেন না। এর ফলে র্যাযম নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই এ কাজ না করাই ভালো। পিসির মাদারবোর্ড আপগ্রেড করার পর ১৬০০ বাস স্পিডের র্যা ম লাগানোটাই ভালো হবে।

সমস্যা : আমি ডেল ৩৪৫০ মডেলের ল্যাপটপ ব্যবহার করি। ল্যাপটপটির হার্ডডিস্ক ৫০০ গিগাবাইট। প্রথম ড্রাইভ সি তে ৪৮.৭ গিগাবাইটের মধ্যে মাত্র ১১.৫ গিগাবাইট জায়গা খালি আছে। অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৭ ইনস্টল করা আছে। এটা কি স্বাভাবিক? আমি কিভাবে উইন্ডোজ সেভেনে পেনড্রাইভকে র্যা ম হিসেবে ব্যবহার করতে পারি?

-আবেদিন আযহারুল

সমাধান : উইন্ডোজ ৭ এক্সপির তুলনায় অনেক বেশি জায়গা নিয়ে থাকে। ফ্রেশ ইনস্টলের পরে এটি প্রায় ১২+ গিগাবাইট জায়গা নেয়। সি ড্রাইভে সব সফটওয়্যার ইনস্টল করেছেন বলে তা এত বেশি জায়গা নষ্ট করেছে। বেশি ভারি সফটওয়্যারগুলো এবং গেম সি ড্রাইভে ইনস্টল না করে অন্য ড্রাইভে ইনস্টল করুন। সি ড্রাইভে যত বেশি ফাঁকা রাখবেন পিসি তত ভালো থাকবে এবং দ্রুত কাজ সম্পন্ন হবে। সি ড্রাইভের ওপরে রাইট বাটন ক্লিক করে প্রপার্টিজ থেকে ডিস্ক ক্লিনআপে ক্লিক করে অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো ক্লিন করলে কিছুটা জায়গা খালি হবে। গেম বা অন্য কোনো ভারি সফটওয়্যার (ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, কোরেল ড্র ইত্যাদি) ইনস্টল করা থাকলে তা আনইনস্টল করে আবার অন্য ড্রাইভে ইনস্টল করে নিন। উইন্ডোজ আপডেট অপশন অন করা থাকলে তা প্রতিনিয়ত আপডেট ডাউনলোড করে তা ইনস্টল করেও সি ড্রাইভের জায়গা নষ্ট করে। তাই গুরম্নত্বপূর্ণ আপডেট ছাড়া অন্যান্য আপডেট বন্ধ করে দিতে পারেন উইন্ডোজ আপডেট অপশন থেকে।

সমস্যা : আমার পিসি কোর টু ডুয়ো ২.৫৩ গিগাহার্টজ, ২ গিগাবাইট র্যাথম, ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক ও মনিটর স্যামসাং ১৯ এলসিডি। আমি একটি ইউপিএস কিনতে চাই। আমার পিসির জন্য কত ওয়াটের ইউপিএস লাগবে? অনলাইন ও অফলাইন দুই ধরনের ইউপিএস দেখলাম বাজারে। এ দুটির মধ্যে পার্থক্য কি? কোনটি ভালো হবে আমার জন্য? কত ওয়াটের ইউপিএসে কতটুকু ব্যাকআপ পাওয়া যাবে তা কিভাবে বুঝব?

-সঞ্চয়

সমাধান : আপনার পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী আপনার ৬৫০ভিএ পাওয়ারের ইউপিএসের দরকার হবে। তবে বেশি ব্যাকআপ পাওয়ার জন্য আরো বেশি ক্ষমতার ইউপিএস ব্যবহার করতে পারেন। অনলাইন ইউপিএস ও অফলাইন ইউপিএসের মধ্যে মূল পার্থক্য হচ্ছে এসি মোড থেকে ডিসি মোডে যাওয়ার সময় অনলাইন ইউপিএস কোনো সময় নেয় না, কিন্তু অফলাইন ইউপিএস কয়েক মিলিসেকেন্ড সময় নেয়। অফলাইনের ক্ষেত্রে অনেক সময় লোডশেডিং হলে পিসি রিস্টার্ট হতে পারে, কিন্তু অনলাইনের বেলায় তেমন হয় না। অনলাইন ইউপিএসকে ডাবল কনভার্সন ইউপিএসও বলা হয়, কারণ তা এসি থেকে ডিসি এবং ডিসি থেকে এসি মোডে পাওয়ার কনভার্ট করতে পারে। অনলাইন ইউপিএসে মূল কারেন্ট প্রবাহ ব্যাটারির ভেতর দিয়েই হতে থাকে, তাই পিসি চলার সময় তা ব্যাটারি চার্জ করার সাথে সাথে পিসিতে পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে থাকে। কারেন্ট চলে গেলে ব্যাটারি থেকে পাওয়ার ব্যাকআপ দেয়া শুরু করে, তাই এতে পাওয়ার ইনভার্ট করার জন্য সময়ের প্রয়োজন হয় না। অফলাইন ইউপিএসের ক্ষেত্রে মূল কারেন্ট প্রবাহের সাহায্যে পিসিতে পাওয়ারের জোগান দেয়া হয় এবং কারেন্ট চলে গেলে তা দ্রুত ব্যাটারি ব্যাকআপে কানেকশন দিয়ে থাকে। এ ক্ষুদ্র সময়ের ব্যবধান অনেক সময় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, যদি পিসি বেশি শক্তিশালী হয়। এছাড়া অনলাইন ইউপিএসে ফায়ারওয়াল থাকে, যা ভোল্টেজ আপডাউনের সমস্যার হাত থেকে পিসিকে রক্ষা করে। তাই অনলাইন ইউপিএসই বেশি ভালো এবং দামের দিক থেকে তা অফলাইনের চেয়ে কিছুটা বেশি দামের হয়ে থাকে।

ফিডব্যাক : jhutjhamela@comjagat.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস