• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > পিসি’র ঝুটঝামেলা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - আগস্ট
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সমস্যা ও সমাধান
তথ্যসূত্র:
ট্রাবলশুটার টিম
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
পিসি’র ঝুটঝামেলা




কমপিউটার জগৎ ট্রাবলশূটার টিম

কমপিউটার ব্যবহারকারীদের নিত্যনতুন সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু আমাদের এই নতুন বিভাগ ‘পিসির ঝুটঝামেলা’তে পিসির হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক, ভাইরাসজনিত সমস্যা, ভিডিও গেম সম্পর্কিত সমস্যা, পিসি কেনার ব্যাপারে পরামর্শ ইত্যাদিসহ যাবতীয় সব ধরনের কমপিউটারের সমস্যার সমাধান দেয়া হবে। আপনাদের সমস্যাগুলো আমাদের এই বিভাগের মেইল অ্যাড্রেসে (jhutjhamela@comjagat.com) বা কমপিউটার জগৎ, কক্ষ নম্বর-১১, বিসিএস কমপিউটার সিটি, রোকেয়া সরণি, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭ ঠিকানায় চিঠি লিখে জানান প্রতিমাসের ২০ তারিখের মধ্যে। উলে¬খ্য, মেইলের মাধ্যমে পাঠানো সমস্যার সমাধান যত দ্রুত সম্ভব মেইলের মাধ্যমেই জানিয়ে দেয়া হবে এবং সেখান থেকে বাছাই করা কিছু সমস্যা ও তার সমাধান প্রেরকের নাম- ঠিকানাসহ ম্যাগাজিনের এই বিভাগে ছাপানো হবে। সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সমস্যা পাঠানোর সময় পিসির কনফিগারেশন, অপারেটিং সিস্টেম, পিসিতে ব্যবহার হওয়া অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম, পিসি কতদিন আগে কেনা এবং পিসির ওয়ারেন্টি এখনো আছে কি না- এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উলে¬খ করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।



সমস্যা : আমার পিসির কনফিগারেশন পেন্টিয়াম ৪, ১.৭ গিগাহার্টজ, ৫১২ মেগাবাইট র্যাঅম ও ১৬০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক। আমার পিসির ডিভিডি-রম নষ্ট হয়ে গেছে। এটি কোনো সিডি বা ডিভিডি রিড করতে পারে না। আমি নতুন অপটিক্যাল ড্রাইভ কিনতে চাই। তবে ডিভিডি রাইটার নাকি কম্বো ড্রাইভ কিনব তা বুঝতে পারছি না। দুটির মধ্যে পার্থক্য কি? কোন ব্র্যান্ডের অপটিক্যাল ড্রাইভ ভালো? বাজারে লাইটস্ক্রাইব টেকনোলজিযুক্ত রাইটারের দাম বেশি। কিন্তু এ টেকনোলজি কী কাজে ব্যবহার করা হয় তা বুঝলাম না। ডুয়াল লেয়ারের ডিভিডি কি আমাদের দেশে পাওয়া যায়? ডুয়াল লেয়ার ডিভিডি রাইট করার জন্য কি আলাদা রাইটার লাগে?

-আরিফুর রহমান, গেন্ডারিয়া



সমাধান :
কম্বো ড্রাইভ ও ডিভিডি রাইটার নিয়ে অনেকেরই কিছু দুর্বল ধারণা রয়েছে। কম্বো ড্রাইভ সিডি/ডিভিডি রিড করতে পারে এবং সিডি রাইট করতে পারে কিন্তু ডিভিডি রাইট করতে পারে না। কম্বো ড্রাইভগুলোর পারফরমেন্স তেমন একটা ভালো নয়। ডিভিডি রাইটার দিয়ে সিডি/ডিভিডি রিড বা রাইট করা যায়। বাজারে বেশ কয়েক ব্র্যান্ডের অপটিক্যাল ড্রাইভ পাওয়া যায়। তার মধ্যে আসুস, স্যামসাং, লাইটঅন, এইচপি, ফিলিপস, বেনকিউ ইত্যাদি জনপ্রিয়। কেউ কারো চেয়ে খারাপ নয়। অপটিক্যাল ড্রাইভ যত্নসহকারে ব্যবহার করলে তা অনেক দিন টিকে। অপটিক্যাল ড্রাইভের ট্রের ধুলোবালি পরিষ্কার রাখা, বেশিক্ষণ ধরে ডিভিডি না চালানো অর্থাৎ ডিভিডি ড্রাইভে ডিস্ক ঢুকিয়ে একটানা কয়েক ঘণ্টা মুভি না দেখে তা কপি করে হার্ডডিস্কে নিয়ে দেখা, স্ক্র্যাচ পড়া ডিস্ক বা ময়লা লেগে থাকা ডিস্ক ড্রাইভে না ঢোকানো ইত্যাদি কাজ করলে অপটিক্যাল ড্রাইভ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। লাইটস্ক্রাইব টেকনোলজির সাহায্যে ডিস্কের সারফেসে ইচ্ছেমতো ছবি বা লেখা প্রিন্ট করা যায়। তবে যেকোনো ডিস্কে তা করা যাবে না। এ জন্য লাইটস্ক্রাইব ডিস্কের দরকার হবে। বাজারে লাইটস্ক্রাইব ডিস্ক খুব একটা প্রচলিত নয়। তবে খুঁজে দেখলে ভারবাটিম বা মিতসুবিশি কোম্পানির লাইটস্ক্রাইব ডিস্ক পেয়ে যেতে পারেন। ডিস্কের ওপরে প্রিন্ট করা ইমেজ গ্রে-স্কেল মোডে থাকবে, তা রঙিন হবে না। এসব ডিস্কের দাম সাধারণ ব্ল্যাঙ্ক ডিস্কের তুলনায় কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। বাজারে লাইটঅন লেভেল ট্যাগ নামে নতুন ডিভিডি রাইটার এসেছে। এর সাহায্যে ডিস্কের কোনায় ডিস্কের নাম লিখে রাখা যাবে। ডুয়াল লেয়ারের ডিভিডি আমাদের দেশে পাওয়া যায়। দামও খুব বেশি নয়। ৫০-১০০ টাকার মধ্যেই ডুয়াল লেয়ারের ডিস্ক পাওয়া যায়। যার ধারণক্ষমতা ৮.৫ গিগাবাইট। নতুন প্রায় সব রাইটারেই ডুয়াল লেয়ারের ডিভিডি রাইট করার ব্যবস্থা আছে।



সমস্যা : আমার পিসির কনফিগারেশন ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ৩ গিগাহার্টজ, ২ গিগাবাইট ডিডিআর২ র্যা ম, ১৮.৫ ইঞ্চি এলসিডি মনিটর ও ৩২০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক। এ কনফিগারেশনের জন্য ইউপিএস কিনতে চাই। কত পাওয়ারের ইউপিএসে কত সময় ব্যাকআপ পাওয়া যাবে তা জানালে বেশ উপকৃত হব। অফলাইন ইউপিএস ও অনলাইন ইউপিএসের মধ্যে পার্থক্য কী?

-পার্থ, মুগদা



সমাধান :
আপনার কমপিউটারের জন্য ৮০০ভিএ ক্ষমতার ইউপিএস কিনতে পারেন। এতে করে আপনি সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট পাওয়ার ব্যাকআপ পাবেন। আর যদি ১২০০ভিএ ক্ষমতার ইউপিএস ব্যবহার করেন, তাহলে সর্বোচ্চ ২৫ মিনিট পাওয়ার ব্যাকআপ পাবেন। ব্র্যান্ডভেদে ৮০০ভিএ ক্ষমতার ইউপিএসের দাম ৩,৩০০ টাকা থেকে শুরু এবং ১২০০ভিএ ক্ষমতার ইউপিএসের দাম ৫,০০০ টাকা থেকে শুরু। অনলাইন ইউপিএস এবং অফলাইন ইউপিএসের মধ্যে তেমন একটা পার্থক্য নেই। মূল পার্থক্য হচ্ছে এসি মোড বা অল্টারনেটিভ কারেন্ট মোড থেকে ডিসি মোড বা ডিরেক্ট কারেন্ট মোডে যেতে অনলাইন ইউপিএসের কোনো সময় লাগে না। কিন্তু অফলাইন ইউপিএস খুবই সামান্য সময় নিয়ে থাকে। এ অতি অল্প সময়ের মধ্যেও বিদ্যুৎ প্রবাহে বিচ্যুতির কারণে পিসি রিস্টার্ট হয়ে যেতে পারে। সবার ক্ষেত্রে এ সমস্যা নাও হতে পারে। তবে অনেকেই এ সমস্যায় ভোগেন। তাই নিশ্চিন্ত থাকার জন্য অনলাইন ইউপিএস ব্যবহার করতে পারেন।



সমস্যা : মনিটরের কন্ট্রাস্ট রেশিও ৫০০০০০০:১। আবার কিছু মনিটরে দেখলাম ১০০০:১। কন্ট্রাস্ট রেশিওর মানের মাঝে এত পার্থক্য থাকার কারণ কী?

-আনোয়ার, যাত্রাবাড়ী



সমাধান :
কন্ট্রাস্ট রেশিও ডিসপ্লে সিস্টেমের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কন্ট্রাস্ট রেশিও হচ্ছে সবচেয়ে উজ্জ্বল রঙ ও সবচেয়ে গাঢ় রঙের উজ্জ্বলতার অনুপাত। অর্থাৎ সাদা ও কালো রঙের মাঝে পার্থকের মান বুঝাতে ব্যবহার করা হয় কন্ট্রাস্ট রেশিও। বেশি কন্ট্রাস্ট রেশিওযুক্ত মনিটরগুলো বেশি ভালোমানের ও স্পষ্ট শেড বা ছায়া দেয়ার ক্ষমতা রাখে। কন্ট্রাস্ট রেশিও দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে ডাইনামিক ও অপরটি টাইপিক্যাল। সংক্ষেপে এদেরকে DCR ও TCR বলে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। টাইপিক্যাল কন্ট্রাস্ট রেশিওকে ন্যাটিভ, স্ট্যাটিক, কনস্ট্যান্ট বা স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রাস্ট রেশিও নামে অভিহিত করা হয়। অনেক সময় শুধু কন্ট্রাস্ট রেশিও বলতে টাইপিক্যাল কন্ট্রাস্ট রেশিওকেই ধরা হয়। একটি মনিটরে সাধারণ বা স্বাভাবিক যে কন্ট্রাস্ট রেশিও থাকে তা হচ্ছে টাইপিক্যাল কন্ট্রাস্ট রেশিও। তাই তার মান কম হয়ে থাকে। কিন্তু কন্ট্রাস্ট রেশিও বাড়তে বাড়তে সর্বোচ্চ যে পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে তা হচ্ছে ডাইনামিক কন্ট্রাস্ট রেশিও। তাই ৫০০০০০০:১ হচ্ছে ডাইনামিক ও ১০০০:১ হচ্ছে টাইপিক্যাল কন্ট্রাস্ট রেশিওর পরিমাণ। তাই এত বড় মান দেখে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। ব্যাপারটি অনেকটা মনিটরের ন্যাটিভ রেজ্যুলেশন ও ম্যাক্সিমাম রেজ্যুলেশনের পার্থক্যের মতো। ১৭ ইঞ্চি মনিটরের ন্যাটিভ বা স্বাভাবিক রেজ্যুলেশন হচ্ছে ১০২৪X৭৬৮। কিন্তু গ্রাফিক্স কার্ডের সাহায্যে তার মান বাড়িয়ে ১২৮০X১০২৪-এ উন্নীত করা যায়। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য ডাইনামিক কন্ট্রাস্ট রেশিওর মান দেয়া হয়, যাতে তা অনেক বেশি মনে হয়। মনিটর কেনার আগে দেখে নিন ফিচার লিস্টে যে কন্ট্রাস্ট রেশিওর কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা ডাইনামিক না টাইপিক্যাল।



সমস্যা : নতুন গেমের গেম রিকোয়ারমেন্টে উল্লেখ করা থাকে পিক্সেল শেডার ৩.০ সাপোর্টের কথা। আমি পিক্সেল শেডারের কারণে অনেক গেম খেলতে পারছি না। আমার গ্রাফিক্স কার্ডের পিক্সেল শেডার ২.০। গ্রাফিক্স কার্ডে পিক্সেল শেডারের ভূমিকা কী?

-শিহাব, মগবাজার



সমাধান :
পিক্সেল শেডার গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিটের একটি অন্যতম অংশ। নতুন গেমগুলো বেশ বাস্তবসম্মত করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই শেডের মাধ্যমে প্রতি পিক্সেলে বাস্তবতা এবং উপযুক্ত ইফেক্ট ফুটিয়ে তোলার জন্য পিক্সেল শেডার টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে। মাইক্রোসফটের ডিরেক্ট থ্রিডি ও সিলিকন গ্রাফিক্সের ওপেনজিএল শেডার সাপোর্ট করে। ডিরেক্ট থ্রিডির (ডিরেক্টএক্স) ক্ষেত্রে তা পিক্সেল শেডার। কিন্তু ওপেনজিএলের ক্ষেত্রে পিক্সেলকে ফ্র্যাগমেন্ট হিসেবে অভিহিত করায় এক্ষেত্রে তা ফ্র্যাগমেন্ট শেডার হিসেবে পরিচিত। লাইটিং ইফেক্ট, সারফেস ইফেক্ট এবং কালার, টেক্সার, শেপ সঠিকভাবে জেনারেট করে তা দিয়ে প্রাণবন্ত ছবি ফুটিয়ে তোলার জন্য পিক্সেলে শেডারের প্রয়োজন হয়। তাই নতুন গেমগুলো পিক্সেল শেডার না পেলে সেই গ্রাফিক্স কার্ড সাপোর্টে রান করে না। নতুন গেমগুলো খেলতে চাইলে অবশ্যই পিক্সেল শেডার ৩.০ বা তার চেয়ে বেশি সাপোর্টসহ গ্রাফিক্স কার্ড কেনা উচিত।



সমস্যা : মনিটরের ফিচারগুলো দেখে বেশ হিমশিম খেতে হয়। এত ফিচারের মাঝে কোনটি দেখে ভালো মনিটর বাছাই করব তা ঠিক করাটাই মুশকিল। সহজ কোনো উপায় আছে কী, যা দেখে ভালো মনিটর বাছাই করা যায়? ব্র্যান্ডভেদে মনিটরের কোয়ালিটির তারতম্য হয় কী? যদি হয় তবে কোনটি কেনা ভালো হবে?

-মেহেদি



সমাধান :
এলসিডি মনিটরগুলোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হচ্ছে রেজ্যুলেশন সাপোর্ট, কন্ট্রাস্ট রেশিও, রেসপন্স টাইম ও রিফ্রেশ রেট। তাই এগুলোর দেখেই আপনি সহজে ভালোমানের মনিটর বাছাই করতে পারবেন। প্যানেল টাইপ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভালো পিকচার কোয়ালিটি পাওয়ার জন্য। কিন্তু বাজারের বেশিরভাগ মনিটরের প্যানেল টাইপ হচ্ছে টুইস্টেড নেমাটিক বা TN প্যানেল। তাই এ নিয়ে তেমন একটা না ভাবলেও চলবে।

সঠিক আলো ও প্রয়োজনীয় অন্ধকারের মধ্যে সামঞ্জস্য করে আলো-ছায়ার সঠিক মিশ্রণে ছবি আরো স্পষ্ট করে তোলার জন্য বেশি কন্ট্রাস্ট রেশিওযুক্ত মনিটর কেনা ভালো। তবে কেনার আগে কন্ট্রাস্ট রেশিওর মান টাইপিক্যাল না ডাইনামিক হিসেবে দেয়া আছে তা দেখতে হবে। ডাইনামিকের ক্ষেত্রে ৫০০০০:১ এবং টাইপিক্যালের ক্ষেত্রে ১০০০:১ হলেই হবে।

সাদা থেকে কালো, কালো থেকে কালো বা কালো থেকে সাদা রঙ পরিবর্তনের সময় পিক্সেলগুলো কত দ্রুততার সাথে রঙ পরিবর্তনে সাড়া দিতে পারে তার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় রেসপন্স টাইমের পরিমাণ দিয়ে। এক্ষেত্রে রেসপন্স টাইম যত কম হবে তত ভালো। রেসপন্স টাইম বেশি হলে একটি ফ্রেম চলে যাবার পর পরের ফ্রেমে আগের ফ্রেমের ছায়া থেকে যায়, যাকে ঘোস্টিং বলে। ফার্স্ট পারসন শূটিং গেমাররা এ ধরনের সমস্যায় বেশি পড়ে থাকেন। তাই রেসপন্স টাইম ২-৫ মিলিসেকেন্ড সাপোর্টেড মনিটর কেনা উচিত দ্রুত ট্রান্সজিশন পাওয়ার জন্য। গেমারদের জন্য ২ মিলিসেকেন্ড বা তারচেয়ে কম রেসপন্স টাইমের মনিটর কেনা উচিত।

মনিটরে কিছু প্রদর্শিত হচ্ছে এমন সময় মনিটর প্রসেসর থেকে প্রতি সেকেন্ডে কি গতিতে ডাটা ট্রান্সফার করতে সক্ষম তার পরিমাণ রিফ্রেশ রেট দিয়ে পরিমাপ করা হয়। রিফ্রেশ রেট যত বেশি হবে মনিটরের দৃশ্য তত কম কাঁপবে এবং নিখুঁত দেখাবে। রিফ্রেশ রেট প্রয়োজনের তুলনায় বেশি দিয়ে রাখলে মনিটরের স্থায়িত্ব কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

বাজারের প্রতিটি ব্র্যান্ডই তাদের মনিটরের সাথে ফিচার লিস্টে সব ফিচারের পরিপূর্ণ বিবরণ দিয়ে থাকে। তাই এগুলো দেখে মনিটর যাচাই-বাছাই করা তেমন কোনো কাজ নয়। কিছু ব্র্যান্ডের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন- কিছু ব্র্যান্ডের মনিটরের ব্রাইটনেস ভালো, কিছুর কালার ডেপথ ভালো, কিছুর ডিজাইন বেশ আকর্ষণীয়, কিছুতে নতুন টেকনোলজির ব্যবহার করা হয়েছে এবং কিছুতে ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস রয়েছে। এসব সুবিধার কথা বিবেচনা করে যে ব্র্যান্ডের মনিটর ভালো লাগে তা নির্বাচন করুন। তবে মূল যে বৈশিষ্ট্যগুলো রয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে কোনো আপোস না করে ভালো মনিটর কিনুন। ডিজাইন বা এক্সটা ফিচারের দিকে নজর দিতে গেলে ঝামেলায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। LED LCD মনিটরগুলো বেশ ভালো। তাই দাম একটু বেশি হলেও তা কেনার চেষ্টা করুন।



সমস্যা : আমি ইন্টেলের মাদারবোর্ড কিনতে চাচ্ছি। ওয়েবসাইট দেখে দুটো মডেল পছন্দ হয়েছে। এগুলো হচ্ছে Intel DH55TC ও Intel DH55HC। মাদারবোর্ড দুটোর মধ্যে ফিচারেরও কোনো পার্থক্য খুঁজে পেলাম না। এখন দয়া করে জানাবেন কি, কোন মাদারবোর্ডটি কিনলে ভালো হবে এবং এ দুটো মাদারবোর্ডের মধ্যে মূল পার্থক্য কোথায়? যদি পার্থক্য না-ই থাকে তাহলে দুটো মডেলের নাম আলাদা কেন? দুটো মাদারবোর্ডের দামের পার্থক্যের ব্যাপারে জানালেও বেশ উপকৃত হবো।



সমাধান :
মাদারবোর্ড দুটোর মধ্যে মূল পার্থক্য হচ্ছে এর আকারে বা ফর্ম-ফ্যাক্টরে। Intel DH55TC মডেলের মাদারবোর্ডের Form Factor হচ্ছে Micro ATX এবং এর ডাইমেনশন হচ্ছে 9.6 X 9.6 ইঞ্চি। এই মাদারবোর্ডটি মাইক্রো এটিএক্স কেসিংয়ের উপযুক্ত করে বানানো। আর Intel DH55HC মডেলের মাদারবোর্ডের Form Factor হচ্ছে ATX এবং এর ডাইমেনশন হচ্ছে 12 X 9.6 ইঞ্চি। যার ফলে আকারে এই মডেলটি একটু বড় এবং এর জন্য বড় আকারের এটিএক্স কেসিংয়ের প্রয়োজন পড়বে। এ দুটো মডেলের দামের তেমন ব্যবধান নেই এবং বিভিন্ন ফিচারও একই ধরনের। তবে Intel DH55HC মডেলের মাদারবোর্ডটিতে পিসিআই স্লট রয়েছে ৩টি এবং Intel DH55TC মডেলের মাদারবোর্ডটিতে পিসিআই স্লট রয়েছে মাত্র ১টি। বড় মাদারবোর্ডের ৩টি পিসিআই স্লটে আপনি পিসিআই সাউন্ডকার্ড, টিভিকার্ড, ল্যানকার্ডসহ অন্যান্য পেরিফেরাল ডিভাইস সংযুক্ত করতে পারবেন, কিন্তু ছোট মাদারবোর্ডটিতে শুধু একটি পেরিফেরাল ডিভাইস সংযুক্ত করতে পারবেন। এখন যদি বড় আকারের ATX কেসিং নিতে আগ্রহী হন, তাহলে বড় মাদারবোর্ড কিনতে পারেন। আর যদি ছোট কেসিং বা মাইক্রো এটিএক্স ফর্ম-ফ্যাক্টরের কেসিং ব্যবহার করতে চান, তাহলে বাড়তি পিসিআই স্লট প্রয়োজন না পড়ে। এক্ষেত্রে Intel DH55TC মডেলের মাদারবোর্ড আপনার জন্য ভালো হবে। মাদারবোর্ডের মডেল দুটিই ইন্টেল কোর প্রসেসরের প্রথম প্রজন্ম বা ফার্স্ট জেনারেশনের প্রসেসরের জন্য বানানো। নতুন পিসি কিনলে সেকেন্ড জেনারেশনের কোর প্রসেসর কেনার চেষ্টা করুন এবং মাদারবোর্ড হিসেবে নতুন সকেট এলজিএ-১১৫৫যুক্ত মাদারবোর্ড বেছে নিন। নতুন মাদারবোর্ডের দামের সাথে আগের মাদারবোর্ডের দামের পার্থক্য সামান্য। তাই নতুনটি কেনার চেষ্টা করুন।



সমস্যা : আমার পিসির কনফিগারেশন ইন্টেল কোর আই থ্রি ৫৪০ ৩.০৬ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ইন্টেল ডিএইচ৫৫পিজে মাদারবোর্ড, ২ গিগাবাইট র‌্যাম ও ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক। আমি উইন্ডোজ সেভেন আল্টিমেট ব্যবহার করি। চার মাস ব্যবহারের পর তা বেশ স্লো হয়ে গেছে। সার্ভিস সেন্টার থেকে ঠিক করিয়ে আনতে হয়েছে। কিন্তু এক মাস যেতে না যেতেই আবার একই সমস্যা। এটা কী কারণে হচ্ছে? বারবার পিসি নিয়ে সার্ভিস সেন্টারে যাওয়াটা বেশ ঝামেলার। কারণ আমার বাসা নারায়ণগঞ্জ। এখান থেকে আগারগাঁও যাওয়া বেশ কষ্টকর।

-রনি, নারায়ণগঞ্জ



সমাধান :
দোকান থেকে এখন ফ্রেশ উইন্ডোজ ইনস্টল করে দেয়া হয় কম। তাদের পোর্টেবল হার্ডডিস্কে থাকা উইন্ডোজের ব্যাকআপ কপি অন্য পিসির হার্ডডিস্কে ইনস্টল করে দেয়া হয়। তাই তা অনেক সময় হার্ডওয়্যারের সাথে মিল খায় না এবং অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। এভাবে দেয়া উইন্ডোজগুলো বেশিদিন টেকে না এবং খুব সহজেই ক্র্যাশ করে থাকে। ইউজারের কারণেও পিসির সমস্যা হয়। বেশি সফটওয়্যার ইনস্টল করা, অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ইনস্টল করা, সিস্টেম ইউটিলিটি সফটওয়্যার ব্যবহার না করা, সফটওয়্যার ঠিকমতো আন-ইনস্টল না করা, হার্ডডিস্ক ভরাট করে রাখা, উল্টাপাল্টা সফটওয়্যার ইনস্টল করা, অজানা সফটওয়্যার ব্যবহার করা, ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার না করা ইত্যাদি হচ্ছে ইউজারের দোষ। এ ধরনের সমস্যার কারণে পিসিতে অনেক সমস্যা দেখা দেয়, যা অনেকেই ধরতে পারেন না। একসাথে দুটি অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ব্যবহার করার প্রবণতা এখনকার ইউজারদের এক বিশাল সমস্যা। ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে ডাবল সুরক্ষা পাওয়ার আশায় সিস্টেমের ওপরে চাপ ফেলে তাকে ঠিকমতো কাজ করতে বাধা দেয়া হয়। একসাথে দুটি অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম কোনোমতেই ব্যবহার করা উচিত নয়। আপনি যদি দুটি অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে থাকেন তবে তার একটি বাদ দিয়ে দিন। প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ছাড়া বেশি সফটওয়্যার ইনস্টল করবেন না। নতুন করে ইউন্ডোজ সেটআপ দিয়ে নিন। এজন্য কোনো বন্ধু বা অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্য নিন বা ইন্টারনেট থেকে উইন্ডোজ সেভেন ইনস্টল করার পদ্ধতি ডাউনলোড করে তা প্রিন্ট করে নিজে নিজে ইনস্টল করে নিন।



সমস্যা : শুনেছি বাজারে যেসব ক্যাসিং পাওয়া যায় সেগুলোতে যত ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কথা লেখা থাকে ততটা দেয় না। এর কারণ কী? এমন কোনো ক্যাসিং নেই যার সাথে যত লেখা থাকে তত ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট যুক্ত থাকে? আমি গেম খেলার জন্য নতুন পিসি কিনব। তাই কোন ক্যাসিং আমার জন্য ভালো হবে জানালে উপকৃত হব।

-সম্রাট, উত্তরা



সমাধান :
সাধারণ মানের ক্যাসিংগুলোর পাওয়ার সাপ্লাইগুলোতে লেখা থাকে ৪০০ বা ৫০০ ওয়াট। কিন্তু ক্ষমতা দেয়া হয় তারচেয়ে অনেক কম। সাধারণ মানের ক্যাসিংগুলোর দাম প্রায় ১৮০০-২৪০০ টাকার মধ্যে এবং একটি ভালোমানের ৪০০ ওয়াট পাওয়ার সাপ্লাইয়ের দাম ৩০০০ টাকার ওপরে। তাহলে বুঝে নিন কী কারণে এসব ক্যাসিংয়ে যত ওয়াট লেখা থাকে তত ওয়াট দেয়া হয় না। কমপিউটার কেনার সময় ক্যাসিং ও পাওয়ার সাপ্লাইকে অনেকেই গুরুত্ব দেন না। এ দুটি ডিভাইসের প্রতি অবহেলার জন্য অনেককে পরে খেসারত দিতে হয়। পাওয়ার সাপ্লাই সিস্টেমের সাথে তাল মিলিয়ে পর্যাপ্ত পাওয়ার দিতে না পারলে সিস্টেমের ক্ষতি হতে পারে। বেশিরভাগ পিসির সমস্যার মূলে রয়েছে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের সমস্যা। ক্যাসিং ভালো না হলে ভেন্টিলেশন ও কুলিং সিস্টেম খারাপ হয় এবং এতে অত্যধিক গরমে পিসির কম্পোনেন্ট নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভালো মানের ও ব্র্যান্ডের ক্যাসিংগুলোর সাথে সাধারণত পাওয়ার সাপ্লাই দেয়া থাকে না। আলাদা পিএসইউ কিনে তাতে লাগাতে হয় সিস্টেমের ক্ষমতার কথা বিবেচনা করে। সার্ভার ক্যাসিংগুলোতেও পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট থাকে না। পিসি কেনার আগে পিসির কনফিগারেশনের তালিকা নিয়ে অনলাইনে পাওয়ার ক্যালকুলেটরের সাহায্যে সিস্টেমের জন্য কত ক্ষমতার পাওয়ার সাপ্লাই লাগবে তা পরিমাপ করে কেনা ভালো। পরিমাপ করে যা আসবে তার থেকে ১০০ বা ১৫০ ওয়াট বেশি কেনার চেষ্টা করা উচিত। পাওয়ার ক্যালকুলেটরগুলো গুগলে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খেয়াল রাখতে হবে পাওয়ার ক্যালকুলেটরে হিসাব করার সময় পিসির লোড ৭৫ ভাগ বা ১০০ ভাগ সিলেক্ট করে নিতে হবে প্রসেসর ও গ্রাফিক্স কার্ডের ক্ষেত্রে। পাওয়ার সাপ্লাই ছাড়া বেশ কিছু ভালোমানের ক্যাসিং রয়েছে যেগুলোর দাম ৩৫০০ টাকা থেকে শুরু। মানসম্পন্ন ৪০০ ওয়াট পিএসইউর দাম ৩৫০০ টাকা থেকে শুরু। যারা ভারি কাজ করার জন্য পিসি কিনবেন অর্থাৎ গেম খেলা, হাই ডেফিনিশন মুভি দেখা, ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফটো এডিটিং ইত্যাদি, তারা পিসির ক্যাসিং ও পাওয়ার সাপ্লাইয়ের জন্য ন্যূনতম ৮০০০ টাকা বাজেট করার চেষ্টা করুন। মাঝারি মানের পিসির যাতে ভালোমানের প্রসেসর ও কম ক্ষমতার গ্রাফিক্স কার্ড আছে তারা এত দামি ক্যাসিং না কিনে Delux MG 466 ATX Casing, Delux SH 496 ATX Casing, CSM 1805 ATX Casing, Gigabyte Setto 142 ATX Casing, Space 604 ATX Casing, Space 703 ATX Casing, Space 707 ATX Casing, TRANS NET HU09A Casing ইত্যাদি মডেলের ক্যাসিং কিনতে পারেন, যাতে প্রায় ৪০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট দেয়া থাকে। এগুলোর দাম ৩০০০-৪০০০ টাকার মধ্যে। এরচেয়ে বেশি দামের কিনতে হলে গেমিং ক্যাসিং কিনতে হবে। সাধারণ অফিস পিসি বা এক্সটা গ্রাফিক্স কার্ড ছাড়া পিসির জন্য সাধারণ মানের ক্যাসিংই যথেষ্ট। তবে বেশি সস্তার দিকে ভুলেও হাত বাড়াবেন না।



সমস্যা : আমি দুটি এটিআই রাডেওন এইচডি ৫৭৫০ গ্রাফিক্স কার্ড কিনে ক্রসফায়ার করতে চাই। এজন্য কি কি লাগবে? আমার পিসির কনফিগারেশন এএমডি ফেনম টু এক্সফোর ৩.২ গিগাহার্টজ প্রসেসর, এমএসআই ৮৯০জিএমএ-জি৬৫, ২ গিগাবাইট ডিডিআর৩ ১৩৩৩ বাসস্পিডের র্যাাম, ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক, সিএসএম ১৮০৫ এটিএক্স ক্যাসিং ও আসুস এমএস২২৮এইচ ২২ ইঞ্চি মনিটর। নতুন গেমগুলো ফুল ডিটেইলসে খেলতে চাই। তাই এ কনফিগারেশন ঠিক আছে কি না সে ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিলে খুশি হব।

-রিজভী, চট্টগ্রাম



সমাধান :
এটিআই রাডেওন এইচডি ৫৭৫০ গ্রাফিক্স কার্ড গেমিংয়ের জন্য মোটামুটি ভালোই শক্তিশালী কার্ড। দুটি কার্ড ব্যবহার করে ক্রসফায়ার করলে বেশ ভালো পারফরমেন্স পাবেন আপনার প্রসেসরের সাথে। কোয়াড কোরের প্রসেসরের ফলে গেমিং পারফরমেন্স অনেক বেড়ে যাবে। আপনার মাদারবোর্ডের মডেল অনুযায়ী তাতে দুটি পিসিআই এক্সপ্রেস স্লট আছে। যার ফলে অনায়াসে দুটি কার্ড তাতে লাগাতে পারবেন। মাদারবোর্ডে হাইব্রিড ক্রসফায়ারএক্স থাকার কারণে বাড়তি সুবিধা পাবেন। হার্ডকোর গেমিংয়ের জন্য আপনার পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী প্রসেসর, মাদারবোর্ড ও মনিটর ঠিক আছে। কারণ গেমিংয়ের জন্য ২ মিলিসেকেন্ড রেসপন্স টাইমের মনিটর থাকা ভালো, যা আপনার মনিটরে আছে। সেই সাথে মনিটরটি এলইডি এলসিডি, ফুল এইচডি এবং ১০০০০০০০:১ অনুপাতের অতি উঁচুমানের কন্ট্রাস্ট রেশিও দেয়া আছে, যা গেমিংয়ের জন্য ভালোর কাতারে ফেলা যায়। আপনার র্যানম বেশ দুর্বল হাই-এন্ড গেমিং পিসি হিসেবে। চেষ্টা করুন ৪-৮ গিগাবাইট র্যাবম নেয়ার। তবে ভালো হয় হাই-পারফরমেন্স গেমিং র্যা ম কিনতে পারলে, যার দাম কিছুটা বেশি। মোটামুটি দামের মধ্যে ১৬০০ মেগাহার্টজসম্পন্ন র্যািম বাজারে পাওয়া যায়, তা কিনে নিতে পারেন। ২ গিগাবাইট করে দুটি কেনা ভালো একটি ৪ গিগাবাইট র্যাাম কেনার চেয়ে। ৮ গিগাবাইটের বেলায় ৪ গিগাবাইটের দুটি কিনতে হবে। দুটি স্লটে দুটি র্যাাম বসিয়ে ডুয়াল চ্যানেল সাপোর্টে বেশ ভালো পারফরমেন্স পাওয়া যাবে। গেমিংয়ের জন্য সাধারণ মানের হার্ডডিস্ক না কিনে বেশি ক্যাশযুক্ত ও বেশি আরপিএমের হার্ডডিস্ক কেনা উচিত। এতে গেম লোড হওয়ার সময় বেশ কাজে দেয়। গেমিংয়ের জন্য সবচেয়ে ভালো এসএসডি বা সলিড স্টেট হার্ডড্রাইভ। এগুলোর দাম অনেক বেশি এবং ধারণক্ষমতা কম। ভালো হয় গেমিংয়ের জন্য সাধারণ হার্ডডিস্কের পাশাপাশি একটি এসএসডি হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা। এবার আসা যাক ক্যাসিং প্রসঙ্গে। গেমারদের জন্য এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গেম খেলার সময় সিস্টেমের ওপরে বেশ লোড পড়ে। তাই তা বেশ গরম হয়ে যায়। গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য গেমিং ক্যাসিংগুলোতে বেশ কয়েকটি কুলিং ফ্যানের ব্যবস্থা থাকে। গ্রাফিক্স কার্ডবিহীন অবস্থায় আপনার ক্যাসিং আপনার পিসির জন্য যথেষ্ট ছিল কিন্তু এর কুলিং সিস্টেম ও ৪০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট গেমিংয়ের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এটিআই রাডেওন এইচডি ৫৭৫০ গ্রাফিক্স কার্ড চালানোর জন্য ন্যূনতম ৪৫০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই প্রয়োজন হয়। তাই দুটি গ্রাফিক্স কার্ড একসাথে চালানোর জন্য স্বাভাবিকভাবেই আরো বেশি ক্ষমতার পিএসইউ লাগবে। পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী ৮৫০-১০০০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই দরকার হবে। গেমিং ক্যাসিংয়ের দাম ৪০০০ টাকা থেকে শুরু। দুটি গ্রাফিক্স কার্ড ও পর্যাপ্ত কুলিং সিস্টেম বসানোর জন্য ক্যাসিংয়ের ভেতরে বেশ জায়গার দরকার পড়বে। তাই মিড টাওয়ারের বদলে ফুল টাওয়ার ক্যাসিং কেনাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সাধারণত গেমিং ক্যাসিংয়ে ২-৩টি হাই-পারফরমেন্স কুলিং ফ্যান দেয়া থাকে এবং আরো কয়েকটি ফ্যান লাগানোর জন্য জায়গা দেয়া থাকে। প্রয়োজনে আরো কয়েকটি কুলিং ফ্যান কিনে লাগিয়ে নিতে পারেন। ওভারক্লক করার ইচ্ছে থাকলে ওয়াটার কুলিং বা হিটসিঙ্ক ব্যবহার করতে পারেন। পিসি কনফিগারেশন উপরে উল্লিখিত মানের হলে নতুন গেমগুলো ফুল ডিটেইলসে খেলতে আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।



সমস্যা : কমপিউটারের মনিটরে যা দেখা যায় তার ইমেজ বানানোর জন্য কোনো সফটওয়্যার আছে কী?

-রাসেল, ঢাকা



সমাধান :
মনিটরের স্ক্রিনশট নেয়ায় জন্য অনেক ধরনের সফটওয়্যার পাওয়া যায়। যার সাহায্যে খুব সহজেই স্ক্রিনশট নেয়া যায়। কিন্তু উইন্ডোজেই স্ক্রিনশট নেয়ার সুবিধা দেয়া আছে। উইন্ডোজে স্ক্রিনশট নেয়ার জন্য কীবোর্ডের Print Screen নামের বাটনটি চাপুন। এতে আপনার স্ক্রিনের ইমেজ তোলা হয়ে যাবে। এখন তা সংরক্ষণ করার পালা। তোলা ইমেজ সংরক্ষণ করার জন্য মাইক্রোসফট পেইন্ট বা অন্য কোনো ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার খুলে তাতে পেস্ট করুন এবং তার একটি নাম দিয়ে তা সেভ করে রাখুন। এক্ষেত্রে প্রতিবার বাটন চেপে সেভ করে নিতে হবে প্রত্যেক ছবির জন্য। কিন্তু অন্য সফটওয়্যারগুলোর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বাটনে চাপতে থাকলেই তা পূর্বনির্ধারিত স্থানে নিজে নিজেই তোলা ছবি সংরক্ষণ করতে থাকবে পর্যায়ক্রমে নাম দিয়ে। উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা হয়েছে। স্টার্ট বাটনে ক্লিক করে নিচের সার্চবক্সে Snipping Tool লিখলে একটি প্রোগ্রাম আসবে, তা চালু করলেই স্ক্রিনের ইমেজ নেয়ার অপশন পাওয়া যাবে এবং নিজের ইচ্ছেমতো ইমেজ অংশ ছোট-বড় করে নেয়া যাবে। তারপর তা সেভ করে রাখা যাবে। উইন্ডোজের সাথে দেয়া স্ক্রিনশট নেয়ার প্রোগ্রামগুলোর সমস্যা হচ্ছে তা মনিটরের রেজ্যুলেশন যে মানে সেট করা আছে তার বেশি রেজ্যুলেশনে ইমেজ সেভ করতে পারে না। কিন্তু আলাদা সফটওয়্যারগুলোয় আরো অনেক বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। গুগলে Free Screenshot Software লিখে সার্চ দিলে অনেক সফটওয়্যার পাওয়া যাবে। সেখান থেকে একটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন।


কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : jhutjhamela@comjagat.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস