• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > থ্রিডিএস ম্যাক্সে রেন্ডারিং : মেন্টাল-রে
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: টংকু আহমেদ
মোট লেখা:৫৩
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
থ্রিডি স্টুডিও ম্যাক্স
তথ্যসূত্র:
মাল্টিমিডিয়া
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
থ্রিডিএস ম্যাক্সে রেন্ডারিং : মেন্টাল-রে



গত সংখ্যায় মেন্টাল-রে রেন্ডারিং বিষয়ে প্রথম পর্ব ছাপা হয়েছিল। চলতি সংখ্যায় এর শেষ পর্ব ছাপা হলো।

শেষ অংশ

৩য় ধাপ

কালার কন্ট্রাস্ট (Spatial Contrast) :

এখানকার বাই-ডিফল্ট মানগুলো ০.০৫১ দেয়া থাকে। এর থেকে কম মান স্যাম্পেলে কোনো পরিবর্তন আনবে না অর্থাৎ নিষ্ক্রিয় থাকে। বেশি মান রেন্ডারিং সময় কমাবে, কিন্তু বেশি পরিমাণ বাড়ালে কালার বা আলফা পিক্সেলের মিসিংয়ের কারণে ইমেজ কালার ও শার্পনেস নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ কারণে এদের মান .৬-এর থেকে বেশি হওয়া উচিত নয়; চিত্র-১৩। ফাস্ট, ড্রাফট বা টেস্ট রেন্ডারিংয়ের জন্য হাই কন্ট্রাস্ট ভ্যালু (.৩-.৬) এবং মিনিমাম স্যাম্পেল = ১/৪, ম্যাক্সিমাম স্যাম্পেল = ১ দিতে পারেন, তবে ডেপথ্ অফ ফিল্ড অথবা এরিয়া লাইট সফট স্যাডো ব্যবহার করলে মিনিমাম = ১ এবং ম্যাক্সিমাম = ৩ অথবা ৪ ব্যবহার করতে পারেন; চিত্র-১৪।


চিত্র-১৩


চিত্র-১৪

জিটার :

জিটার বাই-ডিফল্ট অফ থাকে। টাইলিং, সোজা লাইন যুক্ত টেক্সচারগুলোর ক্ষেত্রে জিটার ব্যবহার করে ইমেজের লাইন বা টাইলিংয়ের আঁকাবাঁকা অবস্থাকে অনেকটাই স্মুথ করা যায়। এটা অন করলে রেন্ডারিং টাইম সামান্য বেশি লাগে।


চিত্র-১৫

বাকেট উইডথ :

বাকেট উইডথ বাই-ডিফল্ট ৪৮ দেয়া থাকে। বড় সাইজের তুলনায় ছোট সাইজ নিবিড়ভাবে স্যাম্পেল ক্যালকুলেশনের সুযোগ পায় এবং সে কারণে ইমেজ মান কিছুটা উন্নত হয়। তবে তুলনামূলকভাবে সময় অনেক বেশি লাগে। তাই খুব ছোট আকারের বাকেট ব্যবহার না করে মধ্যম আকার (১৬-৩২) হওয়া উচিত। ‘বাকেট অর্ডার’ অপশনটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ ফিচার নয়; বিবিধ স্টাইলে বাকেটগুলো রেন্ডার করে, এর ফলে কিছুটা সময়ের তারতম্য ঘটে। বাই-ডিফল্ট Hibart (best) থাকে, এটি আসলে ভালো। আপনি ইচ্ছে করলে অন্য যেকোনোটি সিলেক্ট করে দিতে পারেন; চিত্র-১৫।

৪র্থ ধাপ

Rendaring Algorithms-এর অধীন Trace Depth কে কখনও কখনও কন্ট্রোল করার প্রয়োজন পড়ে। অবজেক্টের ডিটেইল বা ক্লোজ শটের জন্য রিফ্লেকশন বা রিফ্রাকশন মান উঁচু এবং লং শটের ক্ষেত্রে কিছুটা নিচু মানের করা যেতে পারে। কারণ ট্রেস ডেপ্থ রেন্ডারিং টাইমের ওপরে অনেকটা প্রভাব ফেলে। সুতরাং অপ্রয়োজনে সময় ব্যয় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এর কন্ট্রোল জেনে রাখা জরুরি। বাই-ডিফল্ট Max. Depth = 6, Max. Reflections = 6 এবং Max. Refraction = 6 দেয়া থাকে; চিত্র-১৬।


চিত্র-১৬

Max. Depth-এর মান পরিবর্তন করে রিফ্লেকশন ও রিফ্রাকশন এই দুইটির মান একই হারে একই সাথে পরিবর্তন করতে পারেন। আবার আলাদাভাবে কমবেশি করতে চাইলে ডানের ম্যাক্সিমাম রিফ্লেকশন ও ম্যাক্সিমাম রিফ্রাকশনের ঘরে মান বসাতে পারেন, তবে ম্যাক্সিমাম ডেপথের থেকে বেশি মান বসালে তা অবজেক্টে অ্যাপ্লাই হবে না। যেমন- ম্যাক্সিমাম ডেপ্থ যদি ৪ হয়, আর ম্যাক্সিমাম রিফ্লেকশন বা ম্যাক্সিমাম রিফ্রাকশনের মান যদি ৫ বা তার বেশি হয় তবে সেটা কার্যকর হবে না।

এখানে রিফ্লেকশন ও রিফ্রাকশন ট্রেস ডেপ্থ এবং এদের ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে।


চিত্র-১৭


চিত্র-১৮

মূলত আই-রে বা আলোকরশ্মি কোন অবজেক্টের ওপর আপতিত হওয়ার পর সে কতবার বা কতগুলো স্তরে প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত হবে সেটাকে নির্ধারণ করে দেয়াই ট্রেস ডেপথ্ অপশনের কাজ। ধরে নিন, ম্যাক্সিমাম রিফ্লেকশনের মান ৪ দেয়া হলো, এর ফলে একটি রে কোনো একটি রিফ্লেকটিভ অবজেক্টের ওপর চার বার বাউন্স করবে। আর ম্যাক্সিমাম রিফ্রাকশন = ৪ দিলে প্রতিটি আলোকরশ্মি রিফ্র্যাটিভ অবজেক্টগুলোর ৪টি স্তর ভেদ করতে পারবে এবং সেগুলো আবার ফিরেও আসবে; চিত্র-১৭, ১৮। সুতরাং কোনো পারফেক্ট আউটপুটের জন্য এই মান দুটি অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। ১৯ নং চিত্রে ট্রেস ডেপথ = ৩ ও ট্রেস ডেপথ্ = ৯-এর তুলনামূলক পার্থক্য দেখানো হলো। আশা করি, এ থেকে ট্রেস ডেপথ্-এর গুরুত্ব বুঝতে পারবেন; চিত্র-১৯।


চিত্র-১৯

পরের রোল-আউটগুলো লাইট, ক্যামেরা ও মেটিরিয়ালনির্ভর। তবে এগুলোকে পরিবর্তন না করেও আলোচিত বিষয়গুলোকে কন্ট্রোলের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত আউটপুট পাওয়া যাবে। এখন মেন্টাল রে ফাইনাল আউটপুট বা ফাইনাল গ্যাদার সেটআপ দেখানো হয়েছে।

শেষ ধাপ

ফাইনাল গ্যাদার :

আগেই উল্লেখ করা হয়েছে মেন্টাল-রে রেন্ডারিং স্ক্যান লাইন রেন্ডারিং থেকে কপি সিপিইউ মেমরি ব্যবহার করে, যে কারণে আপনার উচিত সিপিইউ কনফিগার অনুযায়ী মেমরি লিমিট সেট করে নেয়া। এর জন্য প্রসেসিং ট্যাবে ক্লিক করে ‘ট্রানস্লেটর রোল আউট’-এর মেমরি লিমিটের মান পরিবর্তন করে দিন। আপনার সিপিইউ-র র্যাগমের দুই-তৃতীয়াংশ মান দেয়াটা স্ট্যান্ডার্ড হবে। যেমন- র্যা ম ২ জিবি হলে এই মান ১৫০০ টাইপ করে দিন; চিত্র-২০। এর ফলে রেন্ডারিং টাইম অনেকটাই কম লাগবে।


চিত্র-২০

রেন্ডারার ট্যাবে ক্লিক করে নিচের মানগুলো মিলিয়ে নিন-

স্যাম্পেল পার পিক্সেল>মিনিমাম = ১, ম্যাক্সিমাম = ৪ । ফিল্টার>টাইপ = মিচেল, উইডথ = ৪, হাইট = ৪। অপশনস>লক স্যাম্পেলস = চেক, বাকেট উইডথ = ৩২, বাকেট অর্ডার = হাইবার্ট (বেস্ট)। ট্রেস ডেপথ >ম্যাক্সিমাম ডেপথ = ৬, ম্যাক্সিমাম রিফ্লেকশন = ৬, ম্যাক্সিমাম রিফ্রাকশন = ৬; চিত্র-২১, ২২।


চিত্র-২১


চিত্র-২২


চিত্র-২৩


চিত্র-২৪

ইনডাইরেক্ট ইলুমিনেশন ট্যাবে ক্লিক করে ফাইনাল গ্যাদার রোল-আউটের বেসিক>এনাবল ফাইনাল গ্যাদারকে চেক করুন এবং প্রি-সেট হিসেবে হাই অথবা মিডিয়ামকে সিলেক্ট করে দিন। ট্রেস ডেপথের সব মান ৫-এর স্থানে ৬ করে দিন; চিত্র-২৩। সবশেষে আউটপুট সাইজকে প্রয়োজনমতো সেট করে রেন্ডার করুন; চিত্র-২৪।


কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : tanku3da@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস