রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা হোক তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ আবদুল কাদেরকে
প্রতিটি দেশেই এমন কিছু ব্যক্তিত্ব রয়েছেন, যারা তাদের কর্মজীবনের মাধ্যমে নিজেদের স্মরণীয়-বরণীয় করে তুলেছেন। জাতি তাদের জীবদ্দশায় কিংবা মরণোত্তর পর্যায়ে নানাভাবে সম্মানিত করে থাকে। বাংলাদেশেও রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশেষ কৃতিত্বের অধিকারী ব্যক্তিদের সম্মানিত করার ব্যবস্থা রয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে একুশে পদক, স্বাধীনতা দিবস পদক প্রদানের মাধ্যমে প্রতিবছর জাতীয় পর্যায়ের কৃতী সন্তানদের সম্মানিত করা হয়। এবছরেও এর ব্যতিক্রম হবে না বলে ধরে নেয়া যায়।
৩ জুলাই, ২০১১ অধ্যাপক আবদুল কাদেরের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে লিখতে গিয়ে আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে মনে হয়েছে, বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের অগ্রপথিক বলে খ্যাত ও মাসিক কমপিউটার জগৎ-এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মরহুম আবদুল কাদের তেমনি একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি তার কর্মসূত্রেই একুশে পদক কিংবা স্বাধীনতা দিবস পদক পাবার দাবি রাখেন।
লেখক ও অন্যান্য আইটিবিষয়ক পত্রিকার প্রেরণার উৎস
শুরু থেকেই আমি কমপিউটার লাইনের পুরো ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলাম। পাশাপাশি কমপিউটার জগৎ পত্রিকার জন্মলগ্ন থেকেই এর সব কর্মকান্ডের সাথে ছিলাম এবং আজো এর সাথে জড়িত আছি সহযোগী সম্পাদক হিসেবে।
সেই সূত্রেই জেনেছি, আইটিবিষয়ক লেখক সৃষ্টি ও নতুন নতুন আইটি ম্যাগাজিনের প্রেরণার উৎস ছিলেন আবদুল কাদের। কমপিউটার জগৎ পত্রিকা প্রকাশের সম্ভবত মাস দুয়েক আগে অধ্যাপক মরহুম আবদুল কাদের তার এক ঘনিষ্ঠ স্কুলবন্ধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ভূঁইয়া ইকবালের ছোট ভাই ভূঁইয়া ইনাম লেলিনকে কমপিউটার জগৎ-এর প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ দেন। যিনি পরবর্তী সময়ে ‘কমপিউটার বিচিত্রা’ নামে আরেকটি কমপিউটারবিষয়ক মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করতে শুরু করেন সম্ভবত ১৯৯৫ সালে। কমপিউটার জগৎ প্রকাশনার কয়েক মাস পর কমপিউটার লাইনের ছাত্র মো: তারেকুল মোমেন চৌধুরী সহকারী সম্পাদক হিসেবে কমপিউটার জগৎ-এ যোগ দেন। তিনি পরবর্তী সময় ‘কমপিউটার ভুবন’ নামে পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন সম্ভবত ১৯৯৭-৯৮ সালে। ১৯৯২ সালে বুয়েটের ছাত্র জাকারিয়া স্বপন কমপিউটার জগৎ-এ সহযোগী সম্পাদক হন। তিনিও বছর দুয়েক পরে ‘কমপিউটিং’ নামে পত্রিকার সাথে যুক্ত হন নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে। অধ্যাপক মরহুম আবদুল কাদেরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রতিবেশীর ছেলে ইকো আজহার ঢাকা ভার্সিটির কমপিউটার সায়েন্সের ছাত্রাবস্থায় কমপিউটার জগৎ-এ লেখালেখি শুরু করেন। পরে এই পত্রিকার প্রথমে সহযোগী ও পরে কারিগরি সম্পাদক হন। এরপর তিনি ইত্তেফাক পত্রিকার কমপিউটারের পাতা সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। গোলাম নবী জুয়েল ১৯৯২ থেকে কমপিউটার জগৎ-এ লেখালেখি শুরু করেন এবং ডিসেম্বর মাসে কমপিউটার জগৎ-এর লেখক সম্পাদক হিসেবে উন্নীত হন। গোলাম নবী জুয়েল পরে কমপিউটার বিচিত্রার সাথে সম্পৃক্ত হন এবং সেখানে নিয়মিতভাবে লেখালেখি শুরু করেন। এভাবে শামীমু্জ্জামান প্রমি, মোস্তফা স্বপন, হাসান শহীদ, শামীম আখতার তুষার, ফাহিম হুসাইন, ইথার হান্নান, জেসান রহমান, ওমর আল জাবির মিশো, আবু সাঈদ, শোয়েব হাসান, নাদিম আহমেদ, জিয়াউস শামছ এমনি একঝাঁক প্রতিশ্রুতিশীল তরুণের কমপিউটার বিষয়ে লেখালেখির হাতেখড়ি অধ্যাপক আবদুল কাদেরের কাছে। তেমনি বেশ কিছু কমপিউটারবিষয়ক পত্রিকার পরোক্ষভাবে প্রেরণার উৎসাহ ছিলেন অধ্যাপক আবদুল কাদের। সুতরাং বলা যেতে পারে, অধ্যাপক আবদুল কাদেরের তথা কমপিউটার জগৎ-এর অন্যতম একটি সাফল্যের দিক হলো আইটিসংশ্লিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক তৈরিতে বিরাট ভূমিকা রাখা। বর্তমানে আইটিতে যারা লেখেন বা সিনিয়র লেখক বা এক্ষেত্রে মূলধারার লেখক আছেন যাদের আইটি সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না, অধ্যাপক আবদুল কাদের তাদেরকে দিয়ে আইটিবিষয়ক লেখালেখি করিয়েছেন। পরে তাদের অনেকেই এখন আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। বর্তমানে অনেক আইটি পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে এবং অনেক দৈনিকে নিয়মিতভাবে আইটি বিষয়ে কিছু অংশ বরাদ্দ করা হয়েছে, যার প্রেরণার উৎস হচ্ছেন অধ্যাপক মরহুম আবদুল কাদের। শুধু আইসিটি বিষয়ে যে সাংবাদিকতা চলতে পারে, তারও পথপ্রদর্শক মরহুম অধ্যাপক আবদুল কাদের। আজ দেশে প্রচুর প্রতিষ্ঠিত আইটি সাংবাদিক রয়েছেন। এসব সাংবাদিকের একটি ফোরামও সফলভাবে কাজ করছে।
জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে বা দাবি আকারে উপস্থাপন করতে তিনি নিজে না লিখে দেশের বিখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্টদের দিয়ে কমপিউটার জগৎ-এ লিখিয়েছেন। সেজন্য তিনি এসব প্রখ্যাত সাংবাদিককে প্রয়োজনীয় রসদ বা তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় গাইডলাইন দিতেন।
পাঠক সৃষ্টিতে আবদুল কাদের
কমপিউটার জগৎ যখন তার প্রকাশনা শুরু করে, তখন বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে কমপিউটার সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা ছিল না। শুধু তাই নয়, শিক্ষিত সমাজের অনেকেই মনে করতেন কমপিউটারের ব্যাপক প্রসার হলে দেশের বেকারত্ব ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় নীতিনির্ধারকদের মনে ছিল কমপিউটার ভীতি। এরা ছিলেন কমপিউটারের ব্যাপক ব্যবহারের বিরুদ্ধে। এমন অবস্থায় কমপিউটারসংশ্লিষ্ট বাংলা পত্রিকা বের করা রীতিমতো এক দুঃসাহসিক কাজ ছিল।
যেহেতু আবদুল কাদের কমপিউটার বিষয়ে প্রচুর পড়াশোনা করতেন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে কমপিউটারের চলমান প্রবণতা সম্পর্কে ধারণা রাখতেন, তাই কমপিউটার জগৎ-এর প্রকাশনার শুরু থেকেই এমন সব বিষয়ে লেখার পরিকল্পনা করেন, যা ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পায় এবং কমপিউটার সম্পর্কে জনমনে ভীতি দূরীভূত হয়।
অধ্যাপক আবদুল কাদের কমপিউটার জগৎ প্রকাশনার শুরু থেকে পরিকল্পনা করেন কমপিউটারের সুফল জনসাধারণের মধ্যে পৌঁছে দিতে হবে। সেজন্য কমপিউটারপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামগুলোর ওপর বাংলা ভাষায় সহজবোধ্য করে কিছু বই প্রকাশ করতে হবে। কমপিউটারপ্রযুক্তিবিষয়ক বাংলা বই প্রকাশ সেসময় ছিল এক দুঃসাহসিক কাজ। এমনকি তা কল্পনা করাও ছিল এক দুঃসাধ্য ব্যাপার। আবদুল কাদের সাহসিকতার সাথে ৮টি বিষয়ে বাংলায় বই প্রকাশের উদ্যোগ নেন। সেগুলো ছিলো ডস, ওয়ার্ডস্টার, লোটাস, ডিবেজ, উইন্ডোজ, ওয়ার্ড পারফেক্ট, ট্রাবলশূটিং ও ডিটিপি। তিনি এই বইগুলো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বাইরে বিক্রি না করে কমপিউটার জগৎ-এর গ্রাহকদের ফ্রি দিতেন। এই বইগুলো প্রকাশের পরপর তিনি পত্রিকায় এক ঘোষণা দেন, যা নিয়মিতভাবে প্রতি মাসে কমপিউটার জগৎ-এ প্রকাশিত হতো। কেউ এ পত্রিকার এক বছরের গ্রাহক হলে পছন্দমতো বিনামূল্যে যেকোনো দুইটি বই ফ্রি পাবেন। এই গ্রাহক যদি অপর কাউকে গ্রাহক করেন, তাহলে তিনি আরো দুটি বই ফ্রি পাবেন এবং নতুন গ্রাহকও অনুরূপভাবে তার পছন্দমতো দুটি বই ফ্রি পাবেন। এভাবে রাতারাতি কমপিউটার জগৎ-এর গ্রাহক সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়, যা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল। বলতে বাধা নেই আমি, ভূঁইয়া ইনাম লেলিন ও তারেকুল মোমেন চৌধুরী প্রবলভাবে মরহুম আবদুল কাদেরের এ কার্যক্রমের বিরোধী ছিলাম। আমরা তিনজনই এমন কার্যক্রমকে নিছকই পাগলামো মনে করতাম। কেননা, সে সময় কমপিউটার জগৎ-এর আয়ের তুলনায় ব্যয় অনেকগুণে বেড়ে গিয়েছিল। তিনি শুধু আমাদের বলতেন, ‘প্রথমে জাতিকে সেবা দাও, সব সময় ব্যবসায় করতে চেয়ো না’। তিনি মনে করতেন, পাঠক বাড়লে, কমপিউটারের ব্যাপারে জনসচেতনতা যেমন বাড়বে, তেমনি এ সংশ্লিষ্ট যৌক্তিক দাবিগুলোর প্রতি জনসমর্থনও বাড়বে, যা প্রযুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করবে। বর্তমানে বাংলায় আইটিবিষয়ক যেসব বই প্রকাশিত হচ্ছে তার প্রেরণার উৎস হলো আবদুল কাদের।
মরহুম আবদুল কাদের যেমনি ছিলেন অত্যন্ত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন তেমনি ছিলেন অত্যন্ত প্রচারবিমুখ। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে বা দাবি আকারে উপস্থাপন করতে তিনি নিজে না লিখে দেশের বিখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্টদের দিয়ে কমপিউটার জগৎ-এ লিখিয়েছেন। সেজন্য তিনি এসব প্রখ্যাত সাংবাদিককে প্রয়োজনীয় রসদ বা তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় গাইডলাইন দিতেন। এজন্য আবদুল কাদেরকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নীতি নির্ধারণী মহলের কাছে এবং জনগণের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলার উদ্দেশ্যে তিনি এসব প্রখ্যাত সাংবাদিকদের দিয়ে নিয়মিতভাবে কমপিউটার জগৎ-এ লিখিয়েছেন যাতে সব মহলে দাবিগুলো গ্রহণযোগ্যতা পায়। কমপিউটার জগৎ-এ নিয়মিতভাবে আইটিবিষয়ক লেখালেখি করে অনেকে রীতিমতো আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। এসব বিখ্যাত সাংবাদিকের মাঝে অন্যতম হলেন নাজিম উদ্দিন মোস্তান, আবীর হাসান, আজম মাহমুদ, কামাল আরসালান, তাজুল ইসলাম, আবদাল হোসেন, গোলাপ মুনীর প্রমুখ।
উপরোল্লিখিত আলোচনায় বলা যায় বাংলায় আইটিবিষয়ক ম্যাগাজিন সৃষ্টির প্রেরণার উৎস কমপিউটার জগৎ তথা আবদুল কাদের ছিলেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। বরং বলা যায়, বাংলাদেশে বাংলায় আইটিবিষয়ক প্রকাশনার সৃষ্টির প্রসব-বেদনা ভোগ করেছেন আবদুল কাদের। পরবর্তী পর্যায়ে যেসব পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে, প্রচারণার ক্ষেত্রে তাদেরকে তেমন কোনো বেগ পেতে হয়নি। একটি পত্রিকা টিকে থাকার জন্য বিশেষ করে আইটিবিষয়ক পত্রিকাকে যে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয় সেই পথ পাড়ি দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলার পথ মসৃণ করে দিয়ে গেছেন অধ্যাপক আবদুল কাদের। এর ফলে পরে যেসব পত্রিকা বের হয় সেসব পত্রিকাকে তেমন কোনো বেগ পেতে হয়নি। কেননা সেসব পত্রিকা মূলত আবদুল কাদেরের প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে গেছে।
অনন্য কিছু অবদান
এ শিল্প সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তিনি একাধিক সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন, আয়োজন করেছেন বিভিন্ন ক্যুইজ প্রতিযোগিতা, গুণী ও মেধাবীদের সম্মানিত করে জাতির সামনে তুলে ধরেছেন। শুধু তাই নয়, কমপিউটারকে সর্বসাধারণের মধ্যে পরিচিত করার লক্ষ্যে তিনি ঢাকার জিঞ্জিরায়, কুমিল্লার মুরাদনগর ও ভোলায় কমপিউটার নিয়ে যান। দেশের তরুণ মেধাবীদের উৎসাহিত করতে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ইন্টারনেট সপ্তাহ ও কমপিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতে যেমন- ফাইবার অপটিক ক্যাবলের ওপর একাধিক সংবাদ সম্মেলন, ডাটা এন্ট্রির গুরুত্ব তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন, মোবাইল ফোনের ব্যাপক প্রসারের জন্য সর্বপ্রথম জোরালো দাবি তুলে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করেছেন- ‘স্ট্যাটাস সিম্বল নয়, চাই ব্যাপক জনগোষ্ঠীর হাতে মোবাইল ফোন’ যা সে সময় ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। এভাবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের দাবি, Y2K সমস্যা, ইউরোমানি কনভার্সন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু জাতির সামনে তুলে ধরেন।
সর্বস্তরে কমপিউটারে বাংলা প্রয়োগ, বিজ্ঞানসম্মত বাংলা কী-বোর্ড ইত্যাদি বিষয় কমপিউটার জগৎ প্রকাশনার শুরুর বছরেই জাতির সামনে তুলে ধরেন অধ্যাপক আবদুল কাদের।
আইটি খাতকে থ্রাস্ট সেক্টর হিসেবে ঘোষণা এবং কমপিউটার সামগ্রীর ওপর থেকে ভ্যাট ও ট্যাক্স পুরোপুরি প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলে তিনি নিজের উদ্যোগে যোগাযোগ করতেন। এক্ষেত্রে আবদুল কাদেরের অবদান আইটি শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের চাইতেও বেশি ছিল, একথা অনেকেই স্বীকার করবেন তা নির্দ্বিধায় বলা যেতে পারে। তবে আগামী প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করার জন্য তাদের মধ্যে মরহুম আবদুল কাদেরের অবদানকে তুলে ধরতে হবে। সেই সাথে প্রয়োজন তাকে জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত করে তার অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি দেয়া। এতে করে আগামী প্রজন্ম এ ধরনের আন্দোলনে উৎসাহিত হবে।
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : mahmood@comjagat.com