• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ই-ভোটিং সম্পর্কে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন যা বলছে
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: জাকারিয়া চৌধুরী
মোট লেখা:১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - জুলাই
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ই-ভোটিং
তথ্যসূত্র:
প্রচ্ছদ প্রতিবেদন ২
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ই-ভোটিং সম্পর্কে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন যা বলছে



০১.
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত। এই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং কেবলমাত্র সংবিধান ও সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে তা পালন করতে হবে। সাংবিধানিক এই গুরু দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নির্বাচন ব্যবস্থাপনার প্রতিটি অনুষঙ্গের কার্যকারিতা প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করে চিহ্নিত বাধাসমূহ অপসারণ কমিশনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। উন্নততর পদ্ধতি এবং প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহার তাই কমিশনের কর্মকৌশলের অন্যতম প্রধান উপাদান। এ প্রেক্ষিতেই কমিশন ২০০৯ সাল থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে আসছে।

০২.
সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শুধু বাংলাদেশ ও পাকিস্তান বাদে আর সব দেশেই নির্বাচনে কাগজের ব্যালট ব্যবহারের পরিবর্তে ইভিএমের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ব্যালট ব্যবহার শুরু হয়েছে। পাকিস্তানও তাদের আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে চায় এবং সে লক্ষ্যে তারা কিছুকাল পূর্বে ওই মেশিন সংগ্রহের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্রও আহবান করেছে।

০৩.
ভারতসহ সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশ যে ইলেকট্রনিক ভোটগ্রহণ পদ্ধতির প্রবর্তন করেছে তা আদৌ ই-ভোটিং নয়। ই-ভোটিং ব্যবস্থা তখনই প্রবর্তিত হয় যখন মেশিনগুলো একটি কমপিউটার নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত হয়। এগুলো ইভিএমের চেয়ে প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরও উন্নত, বিস্তৃত ও জটিল। বাংলাদেশে আমরা যেটা করার চেষ্টা করছি তা হলো ব্যবহারবান্ধব একটি কমপিউটার পদ্ধতি উদ্ভাবন, যা সহজেই পরিচালনা করা সম্ভব এবং যেটি ভোটকেন্দ্রের স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটারদের ভোটগ্রহণ, সংরক্ষণ ও গণনার শতভাগ সমেত্মাষজনক সার্ভিস দিতে সক্ষম।

০৪.
ইভিএমের প্রোটোটাইপ উদ্ভাবনের জন্য ২০০৯ সালে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির পরিচালক অধ্যাপক এসএম লুৎফুল কবিরকে অনুরোধ করে। কিছুদিন পর তিনি একটি মডেল কমিশনের সামনে উপস্থাপন করেন এবং এটির পরিচালনাসংক্রান্ত খুঁটিনাটি মেশিনটি চালিয়ে দেখান। কমিশন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতামত গ্রহণ করে এটিকে আরও উন্নত করা হয় এবং এই সংস্করণে ১০০টি মেশিন তৈরি করে কমিশন ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে এটি সাফল্যের সাথে ব্যবহার করে। ভোট শেষ হওয়ার আধঘণ্টার মধ্যে ওই ওয়ার্ডের ফল ঘোষণা করা সম্ভব হয়।

০৫.
বর্তমান পরীক্ষাধীন ইভিএম দুটি ইউনিট সমন্বয়ে গঠিত- একটি কন্ট্রোল ইউনিট ও অপরটি ব্যালট ইউনিট। কন্ট্রোল ইউনিটটি ব্যালট প্রদান ও প্রদত্ত ব্যালট সংরক্ষণের কাজ করে। মূলত এটিই মেশিনের মূল নিয়ন্ত্রক। প্রোগ্রামসম্বলিত সফটওয়্যারটি কন্ট্রোল ইউনিটেই স্থাপিত আছে এবং এখানে OTP বা (One Time Programmable chip) ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে একবার প্রোগ্রাম তৈরির পর আর কেউ যেন অন্য কিছু এর মধ্যে সঞ্চালন করতে না পারে। এই ইউনিটি মূলত কাগজের ব্যালট ও ব্যালট বাক্সকে প্রতিস্থাপিত করেছে। স্মার্টকার্ড দিয়ে নিয়ন্ত্রিত এই ইউনিটটি সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং বিদ্যমান ক্ষেত্রে যেমন তিনি ব্যালট পেপার ইস্যু করে থাকেন, এক্ষেত্রেও তিনি ইলেকট্রনিক ব্যালট ইস্যু করবেন। কতজন ভোট দিচ্ছেন তা ভোট প্রদানের সাথে সাথে ব্যালট ইউনিটের সম্মুখভাবে স্থাপিত ডিসপ্লেতে প্রদর্শিত হতে থাকবে, যা ভোট চলাকালীন সময়ে সব পোলিং এজেন্ট ও নির্বাচন কাজে নিয়োজিত এবং বুথে অবস্থানকারী অনুমোদিত ব্যক্তিরা দেখতে পাবেন।

০৬.
ব্যালট ইউনিটটি কন্ট্রোল ইউনিটের একটি তারের মাধ্যমে সংযুক্ত। ব্যালট ইউনিটে প্রার্থীদের নাম ও প্রতীকসম্বলিত একটি কাগজ লাগানো থাকে আর প্রতিটি প্রতীকের পাশে একটি বোতাম থাকে। কন্ট্রোল ইউনিট থেকে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ব্যালট ইস্যু করলে একটি সবুজ সঙ্কেত উভয় ইউনিটে জ্বলে উঠবে এবং ভোটার বোতাম টিপে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। ভোটার তার পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকের পাশের বোতামটি টিপলে একটি প্রলম্বিত বীপ শোনা যাবে- যেটা শুনে আর প্রতীকের পাশের বাতিটি জ্বলা দেখে ভোটার বুঝতে পারবেন তার ভোট গৃহীত হয়েছে। একই সাথে বাইরে ডিসপ্লেতে একটি সংখ্যা বেড়ে তখনকার ভোটসংখ্যা দেখা যাবে।

০৭.
দেশের বিভাজিত ও সংঘর্ষপ্রবণ রাজনৈতিক অঙ্গনে নির্বাচন ব্যবস্থাপনার নতুন কোনো প্রযুক্তি কিংবা উদ্ভাবনী পদ্ধতি প্রবর্তন করতে গেলেই রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে সন্দেহের উদ্রেক হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বহু চড়াই-উতরাই ও বাধা পেরিয়ে বর্তমানে একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে আছে। তবুও যেকোনো নতুন উদ্যোগ সহসাই সবার সমর্থন পাবে সেটা আশা করা যায় না। ইভিএমের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। শুরু থেকেই অনেকে এটা সন্দেহের চোখে দেখছেন এবং যেহেতু এটা কমপিউটারপ্রযুক্তিনির্ভর, তাই কমপিউটারে যেসব অনাচার সম্ভব সেগুলো ভেবে ইভিএম সম্পর্কেও নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও বুয়েটের উদ্ভাবকেরা এই সমালোচনা সম্পর্কে খুবই সচেতন। তাই এটি যেন সূক্ষ্ম কোনো কারচুপির শিকার না হয়, সেজন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যেমন-

ক. এই মেশিনগুলো সম্পূর্ণভাবে ব্যাটারিচালিত এবং এগুলো দেশের যেকোনো স্থানে ব্যবহার করা যাবে।

খ. এই মেশিনগুলো একেকটি একক ইউনিট (stand alone unit)। এগুলোর একটির সাথে আরেকটির কোনো আমত্মঃযোগ থাকবে না। কেউ কোনো অপকর্ম করতে সক্ষম হলেও তা ওই দখল করা ইউনিটগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

গ. মেশিনগুলোর সফটওয়্যারে ওটিপি (OTP) ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে কেউ চাইলেও অন্য কোনো প্রোগ্রাম সঞ্চালন করতে পারবে না।

ঘ. কন্ট্রোল ইউনিট চালু করার জন্য দুটি স্মার্টকার্ডের প্রবর্তন করা হয়েছে। একটি থাকবে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে আর অন্যটি থাকবে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে। পোলিং বুথ দখল হওয়ার সময় এরা কার্ডগুলো নিয়ে সরে পড়লে দুর্বৃত্তরা কোনো ভোট প্রদান করতে সক্ষম হবে না।

ঙ. কন্ট্রোল ইউনিটের সম্মুখভাবে স্থাপিত ডিসপ্লে মেশিন চালু অবস্থায় ও ভোট চলাকালে অব্যাহতভাবে ভোট প্রদানের অবস্থা প্রদর্শন করতে থাকবে। ডিসপ্লেতে কোনো হেরফের দেখতে পেলে তদারককারী কর্মকর্তা কিংবা পোলিং এজেন্ট ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা ত্বরিত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সক্ষম হবেন।

০৮.
একথা অনস্বীকার্য যে, বিদ্যমান ভোট দেয়ার পদ্ধতিতে কমিশন যেসব অসুবিধার মুখোমুখি হয়, সেগুলোর সবই যে ইভিএম ব্যবহারে সীমিত কিংবা দূরীভূত হবে তা নয়। বিদ্যমান ব্যবস্থায় অনেক দুষ্কর্মই ইভিএমের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে। যেমন- ভোটকেন্দ্র যদি দখল হয়ে যায় কিংবা কেন্দ্রের পোলিং স্টাফ এবং শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি একজোট হয়ে ভোট কারচুপি করতে চায়, তবে ইভিএমের মাধ্যমে তা প্রতিরোধ করা যাবে না। এটা নির্বাচন সংস্কৃতির সাথে জড়িত। এ ধরনের অপকর্ম ভোটার ও নাগরিক সচেতনতা এবং সামাজিক প্রতিরোধই দূর করতে সক্ষম।

তবে এসব সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ইভিএম প্রচলনের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বহুলাংশে সহজতর ও কম ব্যয়সাপেক্ষ হবে। নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই সুবিধাগুলো সত্যিই বিপ্লবাত্মক যা সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। এখানে এ ধরনের উল্লেখযোগ্য কিছু সুবিধার বিষয় উল্লেখ করা হলো-

ক. ইভিএমের আয়ু ১৫ বছর। ওই সময়কালে জাতীয় সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদসমূহের প্রতিটির পাঁচ বছর মেয়াদ হিসাব করলে তিন দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের প্রাথমিক প্রাক্কলনে দেখা গেছে, কাগজের ব্যালটে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়, ইভিএমের প্রচলন করতে তার চেয়ে বেশি ব্যয় করতে হবে না। তুলনামূলক খরচের বিবরণী দুটি ছকে দেয়া হলো।

খ. ব্যালট পেপার মুদ্রণ, ব্যালট বাক্সের সিল, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, স্ট্যাম্প প্যাড, হেসিয়ান ব্যাগ, মোমবাতি, ম্যাচ, গালা, ব্রাশ ইত্যাদি বহুবিধ খুচরা মালামাল সরবরাহের জন্য কোনো প্রথিতযশা সরবরাহকারী নেই। অল্পবিত্তের ব্যবসায়ীরা সাধারণত টেন্ডারে অংশ নেয়। এদের অনেকেই যথাসময়ে মালামাল সরবরাহে ব্যর্থ হয়ে উধাও হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে পুনঃদরপত্র আহবান করে এগুলো সংগ্রহ করা তখন অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। ইভিএম ব্যবহার করলে এসব মালামাল সংগ্রহের ঝামেলা দূরীভূত হবে।

গ. ইভিএম ব্যবহার করলে বৈধ ভোট, বাতিল ভোট, নষ্ট ও হারিয়ে যাওয়া ব্যালটের জন্য অসংখ্য ফরম পূরণ ও প্যাকেট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা থাকবে না। তখন প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের জন্য কাজটি করা অনেক সহজ হবে।

ঘ. যেহেতু কাগজের কোনো ব্যালট থাকবে না, সেহেতু ব্যালট পেপার টেম্পারিং, হারানোর কিংবা ছিনতাইয়ের কোনো সুযোগ থাকবে না।

ঙ. দিবালোকের মধ্যেই ভোটগ্রহণ ও ভোটগণনা সম্পন্ন করা সম্ভব হবে, যার ফলে নির্বাচন কেন্দ্রে গণনাকালীন ও তৎপরবর্তী সময়ে সংঘটিত সহিংসতা ন্যূনতম পর্যায়ে নেমে আসবে এবং ক্রমান্বয়ে তা সম্পূর্ণভাবে অপসারিত হবে।

চ. ভোট বাতিল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বিধায় এতদসম্পর্কিত দ্বন্দ্ব ও রেষারেষি শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। সহিংসতা বহুলাংশে কমবে।

ছ. ভোটাররা দ্রুততম সময়ে ভোট দিয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করতে পারবেন এবং ভোটগ্রহণের এক ঘণ্টার মধ্যেই কেন্দ্রের ভোটগণনা শেষ হবে।

জ. মধ্যরাতের আগেই সব ফল ঘোষণা করা সম্ভব হবে।

ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশন এগিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী। স্থানীয় নির্বাচনগুলো থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে ইভিএম ব্যবহার বিস্তৃত করা হবে। এর জন্য গণসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচারের কাজও হাতে নেবে নির্বাচন কমিশন। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে যেখানে পাঁচ কোটিরও অধিক লোক মোবাইল ফোনের মতো একটি জটিল যন্ত্র ব্যবহার করে অভ্যস্থ, সেখানে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে ইভিএমে ব্যবহার গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে আমার বিশ্বাস।

আগামী ১৫ বছর কাগজের ব্যালট ব্যবহার বাবদ খরচ

প্রতি ৫ বছরে নির্বাচন অনুষ্ঠান....গড় ভোটার সংখ্যা গড় ....ব্যালট সংখ্যা
০১. জাতীয় সংসদ.......................৯ কোটি.....................৯ কোটি
০২. উপজেলা পরিষদ....................৯ কোটি....................২৭ কোটি
(৩টি ব্যালট)
০৩. ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও ....৯ কোটি...................২৭ কোটি
সিটি করপোরেশন (৩টি ব্যালট)
-----------------------------------------------------------------------
........................................ মোট....২৭ কোটি...........৬৩ কোটি

আগামী ১৫ বছরে মোট ৩টি সব ধরনের নির্বাচন করা যাবে। এতে সর্বমোট ৬৩ x ৩=১৮৯ কোটি বালট মুদ্রণ করতে হবে। কাগজের ব্যালট ব্যবহার করলে খরচ হবে নিম্নরূপ :

০১. ১৫ বছরে ব্যালট ছাপানো = ৯৪.৫ কোটি টাকা
০২. বক্স = ২৫.০ কোটি টাকা
০৩. লক সিল ১ কোটি x ১৫ টাকা x ৫ = ৭৫.০ কোটি টাকা
০৪. মার্কিং সিল ১ কোটি x ৫ টাকা = ৫.০ কোটি টাকা
০৫. অফিসিয়াল সিল ৪০ লাখ x ২০ টাকা = ৮.০ কোটি টাকা
০৬. স্ট্যাম্প প্যাড ১ কোটি x ৫০ টাকা = ৫০.০ কোটি টাকা
০৭. হেসিয়ান ব্যাগ ৪০ লাখ x ১০০ টাকা = ৪০.০ কোটি টাকা
০৮. মোমবাতি, গালা, ব্রাশ ইত্যাদি = ৪০.০ কোটি টাকা
[৪০ লাখ x (৫০+২০+৩০) টাকা]
০৯. পরিবহন কেন্দ্র হতে উপজেলা = ১০.০ কোটি টাকা
১০. অন্যান্য = ২০.০ কোটি টাকা
১১. ১ দিনের ডিএ বাবদ ৮০০ টাকা = ৭২০.০ কোটি টাকা

(ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা, ম্যাজিস্ট্রেট, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কাজে সহায়তা প্রদানকারী অন্যান্য কর্মকর্তা)

সর্বমোট = ১০৮৭.৫ কোটি টাকা

আগামী ১৫ বছর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার বাবদ খরচ
ক্রমিক নং কাজের বিবরণ একক মূল্য ৳ পরিমাণ মোট মূল্য ৳
০১. ব্যালট ইউনিট ৮,৫০০ ৭,৫০,০০ ৬৩৭,৫০,০০,০০০
০২. কন্ট্রোল ইউনিট ১১,৫০০ ২,৫০,০০০ ২৮৭,৫০,০০,০০০
(ব্যাটারি ও ডিসপ্লেসহ)
০৩. স্মার্ট কার্ড ১২০ ৩,১২,৫০০ ৩,৭৫,০০,০০০
০৪. স্মার্ট কার্ড রাইটার ২০,০০০ ৩,৭৫০ ৭,৫০,০০,০০০
০৫. ইভিএম - - ২,৫০,০০,০০০
কাস্টোমাইজেশন
সফটওয়্যার
০৬. রিটার্নিং অফিসার, - - ১৫,০০,০০,০০০
প্রিসাইডিং অফিসার,
সহকারী প্রিসাইডিং
অফিসারদের ট্রেনিং
০৭. মক ভোটিং - - ১৫,৬২,৫০,০০০
০৮. নির্বাচনকালীন - - ১৫,৬২,৫০,০০০
তত্ত্বাবধান
০৯. পরামর্শ সেবা - - ১২,৫০,০০,০০০
১০. বিবিধ - - ৩,৭৫,০০,০০০
সর্বমোট ১০০১,২৫,০০,০০০

কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস
অনুরূপ লেখা