• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের তৈরি সম্ভাবনাময় কিছু প্রকল্প
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সম্পাদক
মোট লেখা:৩১৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - আগস্ট
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সম্পাদনা
তথ্যসূত্র:
সম্পাদকীয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের তৈরি সম্ভাবনাময় কিছু প্রকল্প
বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কোর্স যখন প্রায় শেষ পর্যায়ে আসে, তখন ছাত্রদেরকে তৈরি করতে দেয়া হয় আইসিটিবিষয়ক নানা ধরনের প্রকল্প। বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্ররা দল গঠন করে সাধারণত এসব প্রকল্প তৈরির কাজটি করে থাকেন। আর সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে ও দিকনির্দেশনায় এসব প্রকল্প তৈরি হয়ে থাকে। এসব প্রকল্পের মধ্যে এমন কিছু প্রকল্প বেরিয়ে আসে, যেগুলো মানদন্ডের বিবেচনায় সফল বলে চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু এসব প্রকল্পের বাণিজ্যিকায়নের তেমন কোনো উদ্যোগ নেই বললেই চলে। সরকারি কিংবা বেসরকারি খাতের কোনো উদ্যোক্তাকে এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে দেখা যায় না। ফলে এ প্রকল্পগুলো বাণিজ্যিক উৎপাদনের মুখ দেখে না। এভাবে এক সময় কালের গহবরে হারিয়ে যায়। এতে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো তৈরিতে যারা কাজ করেছেন, তারা পরবর্তী সময়ে এ ধরনের প্রকল্পে হাত দিতে উৎসাহ বোধ করেন না। এর ফলে আমরা জাতীয়ভাবে কার্যত উৎসাহ হারিয়ে ফেলছি তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত যাবতীয় উদ্ভাবনার কাজে নামতে। এটি জাতির জন্য একটি চরম নেতিবাচকতা। এ নেতিবাচকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তাই বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের সম্পাদিত প্রকল্পগুলোর কিভাবে বাণিজ্যিকায়ন করা যায়, সে ব্যাপারে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে সরকারি-বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক সচেতনতা সৃষ্টির প্রত্যাশা করছি। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের চলতি সংখ্যার প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে উপজীব্য করেছি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের তৈরি করা কয়েকটি সম্ভাবনাময় আইসিটি প্রকল্পকে।

এবার আমরা প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কয়েকটি প্রকল্পের বিবরণ তুলে ধরেছি এগুলোর মধ্যে আছে- বুয়েটের ছাত্রদের তৈরি করা ডিজিটাল ডায়রি, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের অক্ষর শনাক্ত করার ব্যবস্থা, বৈদ্যুতিক পাখার স্বয়ংক্রিয় গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, পথ অনুসরণকারী গাড়ি, পার্কিং এরিয়া কন্ট্রোল, সিকিউরড প্রোডাক্ট কাউন্টার, ঘরের বাতির স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের করা নিরাপদ ই-ভোটিং এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের করা পিপীলিকা সার্চ ইঞ্জিন। আমাদের বিশ্বাস এসব প্রকল্প খুবই সম্ভাবনাময় এবং উল্লিখিত প্রতিটি প্রকল্পের বাণিজ্যিকায়ন সম্ভব। প্রয়োজন শুধু উদ্যোক্তাদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসা। উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসবেন, সে প্রত্যাশা নিয়েই এ প্রকল্পগুলোর এবারের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে তুলে ধরা। এই প্রকল্পগুলোর যাতে বাণিজ্যিকভাবে বাস্তবায়ন হয়, সে ব্যাপারে সরকারি-বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের সচেতন করে তোলার একটা দায়িত্ব অবশ্যই আছে গণমাধ্যমের। গণমাধ্যমের সংশ্লিষ্টজনেরা সে তাগিদটুকু পালন করবেন, সে আশাও রাখি।

চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ফ্রিল্যান্সারদের কষ্টার্জিত আয়ের ওপর ১০ শতাংশ হারে আয়কর আরোপ করে। পরে সংশ্লিষ্টদের প্রতিবাদের মুখে রাজস্ব বোর্ড তা প্রত্যাহার করে নেয়। জুলাই মাস থেকে নতুন আরোপিত এ কর ব্যাংকওয়্যার ট্রান্সফারের মাধ্যমে কেটে নেয়া শুরুও হয়েছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন ফেসবুক ও ব্লগে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ প্রেক্ষাপটে অর্থমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর সাথে সংক্ষুব্ধ পক্ষের একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সে প্রেক্ষাপটে নতুন কর আরোপের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। আমরা সরকারের এই বোধোদয়ের জন্য সংশ্লিষ্টদের মোবারকবাদ জানাই। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এ সিদ্ধান্ত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। তা ছাড়া ফ্রিল্যান্সারেরা চান অধিক পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পথ খোলার জন্য সরকার ফ্রিল্যান্সারদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। তাদের এই দাবি যৌক্তিক বলে আমরা মনে করি।

বাংলাদেশে সফটওয়্যার পাইরেসি বন্ধের ক্ষেত্রে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। সরকারের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট প্রকল্প, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের অটোমেশন প্রকল্প, কেন্দ্রীয় ব্যাংক অটোমেশন প্রকল্প, ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমপিউটার ল্যাব স্থাপন, মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদি ধরনের নানা প্রকল্পে বৈধভাবে প্রচুরসংখ্যক সফটওয়্যার ব্যবহার হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশে সফটওয়্যার পাইরেসি কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ।


কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস