• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > শিক্ষার্থীপ্রতি এক ল্যাপটপ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মো: মাসুম হোসেন
মোট লেখা:৩
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ল্যাপটপ
তথ্যসূত্র:
উদ্যোগ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
শিক্ষার্থীপ্রতি এক ল্যাপটপ

আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় আইসিটি ব্যবহারের বিকল্প নেই। এরই নাম ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা। উন্নয়ন বিশ্বের অনেক দেশেই এরকম শিক্ষাব্যবস্থা চালু রয়েছে, যার শুরু প্রায় এক দশক আগে। এ ব্যবস্থায় ইন্টারেকটিভ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা স্কুল সময় বা নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষকের অধ্যাপনা শুনতে পারে। প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞেস করে জানতে পারে। ইচ্ছে করলে অনেক প্রতিষ্ঠান এ প্রক্রিয়া একত্রেও চালাতে পারে। এজন্য দরকার ওয়ার্ক স্টেশন, সার্ভার ও ল্যাপটপ। আইসিটিনির্ভর এ শিক্ষা ব্যয়বহুল।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষণ শিক্ষাব্যবস্থায় ই-এডুকেশন চালু রয়েছে। টেলিভিশনের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া ‘ওয়ান ওয়ে ট্র্যাফিক’। এটি ইন্টারেকটিভ নয়। কিন্তু ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রো-অ্যাকটিভ ই-এডুকেশন চালু করা সম্ভব। যেমন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, নেসলে বাংলাদেশের মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান তাদের স্টাফদের প্রশিক্ষণের জন্য ই-লার্নিং পদ্ধতি প্রয়োগ করছে।


চুক্তি স্বাক্ষরের পর করমর্দন করছেন কর্মকর্তারা

আমাদের দেশে ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে অনেক নামীদামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুল রয়েছে। এগুলোতে আইসিটিনির্ভর মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা আধুনিক প্রযুক্তিশিক্ষায় জ্ঞান লাভ করতে পারবে। বর্তমানে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যক্তি পর্যায়ে সীমিতসংখ্যক ল্যাপটপ বা বাসায় ডেস্কটপ কমপিউটার আছে। এর মধ্যে হাতেগোনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিডি/অডিও ক্যাসেটের মাধ্যমে বিশেষ কোনো শিক্ষা কর্মসূচী, লেকচার, ক্লাস-নোট, আত্ম-উন্নয়নমূলক কর্মসূচী ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। যেসব শিক্ষার্থীর কমপিউটার নেই তারা হয়তো স্কুলের কমপিউটার ল্যাবে এসব কার্যক্রমে অংশ নেয়। সব মিলিয়ে সবার অংশগ্রহণে আইসিটি শিক্ষা যেন অবহেলিতই থেকে যাচ্ছে।

আশার কথা ঢাকার অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ‘প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য ১টি করে ল্যাপটপ’ নামে একটি যুগোপযোগী প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এটি বাংলাদেশে এ ধরনের প্রথম উদ্যোগ। এ প্রকল্পে শীর্ষস্থানীয় আইসিটি প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিস শিক্ষার্থীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে এসার, এইচপি ও গিগাবাইট ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ সরবরাহ করবে এবং এতে ঋণ সহায়তা দেবে দেশের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক- ব্যাংক এশিয়া। এর ফলে এ স্কুলের সব শিক্ষার্থী আইসিটিনির্ভর শিক্ষার আওতায় আসার সুযোগ পাচ্ছে।

এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ জি.এম. নিজাম উদ্দিন, স্মার্ট টেকনোলজিস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম এবং ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইরফানউদ্দিন আহমেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও বিসিএস সভাপতি মোস্তাফা জববার এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ এর মাধ্যমে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ জি.এম. নিজাম উদ্দিন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সবসময় সেরা শিক্ষাটাই দিতে চাই। শিক্ষার্থীদের আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক করে সর্বোচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করাই আমাদের ব্রত। শিক্ষার পাশাপাশি প্রতি বছর আন্তঃস্কুল বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি মেলার আয়োজন করে আসছি। আমাদের শিক্ষার মান ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশে সর্বজনস্বীকৃত।

স্মার্ট টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, একুশ শতকে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই। আমরা যেহেতু সরাসরি আমদানিকারক, তাই সাশ্রয়ী মূল্যে আইসিটি পণ্য সরবরাহ করা আমাদের জন্য সহজ। পাশাপাশি গ্রাহক সন্তুষ্টি ও আস্থা অর্জনই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আপোসহীন নৈতিকতা আমাদের আদর্শিক অবস্থান। আমাদের আধুনিক দক্ষ প্রকৌশলী বিক্রয়োত্তর সেবা দিতেও পারঙ্গম। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপায়ণে তথ্যপ্রযুক্তি সামগ্রীকে সুলভ উপায়ে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া আমাদের অঙ্গীকার। শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করাও আমাদের দায়িত্ব।

অনুষ্ঠানে ব্যাংক এশিয়া লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইরফানউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য ঋণ প্রদানের মাধ্যমে লাভবান হওয়া। তবে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এবং যেকোনো ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে একথা সত্য যে, ইচ্ছে করলেই অধিক মুনাফা অর্জন সম্ভব নয়। তাছাড়া ব্যবসায়ের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতারও একটি ব্যাপার থাকে।

আরও বক্তব্য রাখেন অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সভাপতি মো: সাখাওয়াত হোসেন, ব্যাংক এশিয়ার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস.এম. খোরশেদ আলম, অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালক আয়েশা হোসেন শাহনিলা।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে স্মার্টের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) জাফর আহমেদ, সিনিয়র ব্যবস্থাপক আবুল বাশার মোহাম্মদসহ স্মার্ট টেকনোলজিস ও ব্যাংক এশিয়ার উর্ধতন কর্মকর্তা বা গণমাধ্যমের সাংবাদিকসহ যুগোপযোগী এই প্রকল্পটির সার্বিক সমন্বয়কারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্মার্ট টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপক (বিপণন) মুজাহিদ আল বিরুনী। এ সময় অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বিপুলসংখ্যক উৎসাহী ও আগ্রহী শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : masum@smartbd.net
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
২০০৯ - মার্চ সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস