• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > হ্যামার হেডস ডিলাক্স
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - সেপ্টেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
হ্যামার হেডস ডিলাক্স
টাইম ম্যানেজমেন্ট ও পাজল গেমগুলোর মধ্যে বিজুয়েল্ড ও জুমা ডিলাক্স খুবই জনপ্রিয় গেমস। এ দুটো গেমই ডেভলপ করেছে নিউক্লিড গেমস কোম্পানি এবং পাবলিশ হয়েছে পপ-ক্যাপ গেমস কোমাপানির ব্যানারে। এই কোম্পানির আরেকটি মজার গেম হচ্ছে হ্যামার হেডস ডিলাক্স। এই গেমের প্রথম ভার্সন বের হয়েছিলো ২০০৬ সালে হ্যামার হেডস নামে। পরে গেমের জনপ্রিয়তার রেশ ধরে বের হয়েছে ডিলাক্স নামের পর্বটি। সম কাটানোর জন্য এবং মজা পাবার জন্য বেশ ভালো একটি গেম এটি।

গেমসটিতে একটি খোলা মাঠে কিছু গর্ত থাকে এবং সেই গতের্র ভেতর থেকে কিছু দূষ্ট বেঁটে বা বামনরা মাথা বের করবে, আর গেমারকে মাউসের সাহায্যে একটি একটি হাতুড়ীর নড়াচড়া করে তাদের মাথায় বাড়ি দিয়ে তাদের ধরাশায়ী করতে হবে। একটি লাইফ বার রাখা হয়েছে গেমে যেখানে বামনদের মারতে না পারলে তা কমতে থাকবে। তাই বামনের মাথায় বাড়ি মারা যত কম ফসকে যায় ততই ভালো। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেশ কিছু বামনের মাথায় হাতুড়ির বাড়ি বসাতে পারলেই লেভেল পার করা যাবে। আবার কিছু বামনেরদের মাথায় একবার বাড়ি দিয়েই তাকে কাবু করা যাবে না কয়েক ঘা বসিয়ে তবেই তাকে বাগে আনতে হবে। এ গেমটিতে প্রতি স্টেজে একটি করে চেকপয়েন্টের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিন্তু পুরনো ভার্সনটিতে পাঁচটি লেভেল পর পর চেকপয়েন্ট ছিলো। তাই নতুন গেমে কোন এক লেভেলে গেমার নির্দিষ্ট সংখ্যক বামনের মাথায় আঘাত করতে না পারলে তাকে আবার সেই লেভেল থেকেই খেলতে হবে। নতুন এ গেমে আগের গেমের মতো পাঁচ লেভেল আগে থেকে খেলতে হবে না, তাই গেমটি খেলার সময় বিরক্তি ধরবে না। গেমটিতে তিনটি আলাদা গেম মোড রয়েছে এবং সেই সাথে রয়েছে বিভিন্ন পদক পাওয়ার ব্যবস্থা। ট্রফি রুমে গিয়ে দেখার ব্যবস্থা আছে কি কি ট্রফি বা পদক গেমার অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। গেমের শেষের দিকে বেশ বড় লাইফ বা বেশি হিট পয়েন্টযুক্ত বস আসবে যাকে কুপোকাত করবে বেশ বেগ পেতে হবে। গেমে দোকান থেকে লাইফ কিনে নিজের লাইফ বার আরো শক্তিশালী করা যাবে।



নতুন গেমটি আগের গেমের চেয়ে গ্রাফিক্স ও গেমপ্লের দিক থেকে কিছুটা ভিন্ন। নতুন গেমটি আগের গেমের চেয়ে বেশি ভালো হয়েছে তাই যারা আগে এটি খেলেছেন তাদের কাছেও গেমটি ভালো লাগবে আর যারা খেলেননি তাদের কাছে তো আরো বেশি ভালো লাগবে। একেকবার একেক ধরণের বাম আসবে যাদের অঙ্গভঙ্গি দেখতে হাসি আসবে। সব গর্তেই যে বামন থাকবে তা কিন্তু নয় এতে থাকতে পারে ফাঁদ ও বোম যা আপনার লাইফ বারের তেরটা বাজিয়ে দিবে। লাইফ ছাড়াও আরো কেনা যাবে বিভিন্ন রকমের হাতুড়ি ও কর্মদক্ষতা। দোকান থেকে কিছু কেনার জন্য জোগাড় করতে হবে কয়েন। বামনের মাথায় বাড়ি দিলে তাদের পকেট থেকে পড়তে পারে কয়েন এবং বোনাস লেভেল খেলেও পাওয়া যাবে কয়েন। নতুন গেমে ম্যারাথন নামে নতুন গেম মোড যোগ করা হয়েছে যাতে অনেক লম্বা সময় ধরে একটানা বামন মারতে হবে। খুব সাবধানে বুঝেশুনে খেলতে হবে গেমটি। গেমটি খেলতে পেন্টিয়াম ৩ বা ৫০০ মেগাহার্টজের সমমানের প্রসেসর লাগবে, এছাড়া ১২৮ মেগাবাইট Ram লাগবে। গেমটির আকার খুবই ছোট এবং এটি হার্ডডিস্কে ২৫ মেগাবাইট জায়গা খালি থাকলেই গেমটি খেলা যাবে।
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস