• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > পিসির ঝুটঝামেলা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ রিপোর্টার
মোট লেখা:৩৭৯
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - ডিসেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ট্রিকস ‍এন্ড টিপস
তথ্যসূত্র:
ট্রাবলশুটার টিম
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
পিসির ঝুটঝামেলা






কমপিউটার জগৎ ট্রাবলশূটার টিম

কমপিউটার ব্যবহারকারীদের নিত্যনতুন সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু আমাদের এই নতুন বিভাগ ‘পিসির ঝুটঝামেলা’তে পিসির হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক, ভাইরাসজনিত সমস্যা, ভিডিও গেম সম্পর্কিত সমস্যা, পিসি কেনার ব্যাপারে পরামর্শ ইত্যাদিসহ যাবতীয় সব ধরনের কমপিউটারের সমস্যার সমাধান দেয়া হবে। আপনাদের সমস্যাগুলো আমাদের এই বিভাগের মেইল অ্যাড্রেসে (jhutjhamela@comjagat.com) বা কমপিউটার জগৎ, কক্ষ নম্বর-১১, বিসিএস কমপিউটার সিটি, রোকেয়া সরণি, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭ ঠিকানায় চিঠি লিখে জানান প্রতিমাসের ২০ তারিখের মধ্যে। উলে¬খ্য, মেইলের মাধ্যমে পাঠানো সমস্যার সমাধান যত দ্রুত সম্ভব মেইলের মাধ্যমেই জানিয়ে দেয়া হবে এবং সেখান থেকে বাছাই করা কিছু সমস্যা ও তার সমাধান প্রেরকের নাম- ঠিকানাসহ ম্যাগাজিনের এই বিভাগে ছাপানো হবে। সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সমস্যা পাঠানোর সময় পিসির কনফিগারেশন, অপারেটিং সিস্টেম, পিসিতে ব্যবহার হওয়া অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম, পিসি কতদিন আগে কেনা এবং পিসির ওয়ারেন্টি এখনো আছে কি না- এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উলে¬খ করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।



সমস্যা : আমার ল্যাপটপের মডেল আসুস কে৪২এফ। প্রসেসর কোর আই থ্রি, ২ গিগাবাইট র‌্যাম ও ৩২০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক। আমার ল্যাপটপ বেশ গরম হয়ে যাচ্ছে। বন্ধুরা পরামর্শ দিল ল্যাপটপ কুলার কেনার। কিন্তু কোন ল্যাপটপ কুলার কিনব? সেগুলো ভালো না মন্দ, তা বুঝব কিভাবে? ল্যাপটপ কুলারের দাম কত? আমার ল্যাপটরের আকার ১৪ ইঞ্চি, তাই এ মাপের ভালো কোনো কুলারের নাম ও মডেল জানালে বেশ উপকৃত হব?

-শরীফ, খুলনা



সমাধান :
ল্যাপটপ গরম হবেই, কারণ অনেক ছোট জায়গায় চাপাচাপি করে ডিভাইসগুলো বা হার্ডওয়্যারগুলো লাগানো হয়েছে। এতে পর্যাপ্ত কুলিং সিস্টেম এবং ভেন্টিলেশন সুবিধা থাকে না। ল্যাপটপ বেশি গরম হলে তার যন্ত্রাংশগুলো ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে। তাই ল্যাপটপের স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য ল্যাপটপ কুলার ব্যবহার করা ভালো। ল্যাপটপের পাশ বা পেছন দিয়ে যেখানে কুলিং ফ্যান লাগানো থাকে এবং ভেতরের গরম বাতাস বের হওয়ার জন্য যে ছিদ্র দেয়া থাকে, তা যেনো সবসময় খোলা থাকে। অনেকে বিছানায় ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করেন এবং বাতাস চলাচলের পথ আটকে ফেলেন। তাদের উচিত ল্যাপটপের নিচে বই বা মোটা কিছু দিয়ে ল্যাপটপে কাজ করা। বাজারে বেশ কিছু ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কুলার রয়েছে। চীন থেকে আমদানি করা কিছু কম দামি ল্যাপটপ কুলারও পাওয়া যায়। ভালোমানের ল্যাপটপ কুলার ব্যবহার করা উচিত। তা না হলে তা ভালোর বদলে আরো খারাপ করে দেবে ল্যাপটপ। কারণ এসব কুলার ল্যাপটপ থেকে ইউএসবি পোর্টের সাহায্যে পাওয়ার নিয়ে কুলিং ফ্যান চালায়। তাই কুলার কেনার আগে পোর্ট ভালো করে দেখে নেবেন এবং তা চালু করে দেখে নেবেন ফ্যান ঠিকমতো ঘোরে কি না। বাজারের সেরা ল্যাপটপ কুলার ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে বেলকিন, ভিশন, জিনিয়াস ইত্যাদি। কুলারগুলোর দাম ৫শ’ থেকে ২ হাজার টাকার মতো হতে পারে। কুলিং ফ্যান ছাড়াও রয়েছে লিকুইড ক্রিস্টাল কুলিং সিস্টেম, কিন্তু তার দাম কিছুটা বেশি।



সমস্যা : আমি গেমিং ল্যাপটপ কিনতে চাই। আমার বাজেট ১ লাখ টাকা। আমি নতুন সব ধরনের গেম হাই ডিটেইলসে খেলতে চাই। ল্যাপটপের কনফিগারেশন কত হলে নতুন গেমগুলো ভালোভাবে এতে চলবে। কোন ব্র্যান্ডের গেমিং ল্যাপটপ ভালো? গেমিং ল্যাপটপ কেনাটা বেশি ভালো হবে নাকি গেমিং পিসি কেনাটা ভালো হবে? এ ব্যাপারে ঝুটঝামেলা টিমের কাছে পরামর্শ চাই।

-রায়হান, রামপুরা



সমাধান :
বাজারে বেশ কিছু ব্র্যান্ডের গেমিং ল্যাপটপ রয়েছে তার দাম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই অরিজিনাল গেমিং ল্যাপটপ মডেলের মোডিফাইড ভার্সন। এগুলোর মান কতুটুকু ভালো, তা সঠিক করে বলা যাচ্ছে না। দেশের বাইরে থেকে আনতে পারলে ভালো, তবে সেক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি পাবেন না এ কথাটি খেয়াল রাখবেন। কোর আই ফাইভ বা কোর আই সেভেনযুক্ত বেশ কিছু ল্যাপটপ বাজারে পাওয়া যাবে। সব দোকানে এগুলো পাবেন না। কিছু কিছু দোকানে এগুলো রাখা হয়। যদি না পান, তবে বিক্রেতার সাথে কথা বলে অগ্রিম কিছু টাকা দিয়ে প্রি-অর্ডার করে তা বাইরে থেকে আনতে পারেন। অনেকে শখ করে গেমিং ল্যাপটপ কিনে থাকেন। ল্যাপটপে গেম ভালো চলে না, তা নয়। ডেস্কটপ যেরকম করে গেম খেলা যায়, তা ল্যাপটপে সম্ভব নয়। ল্যাপটপের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে বহনযোগ্যতা। কিন্তু গেমিং ল্যাপটপের ওজন প্রায় ৭-৮ কেজি হয়ে থাকে। তাই তা বহন করাটা কষ্টকর। ল্যাপটপের আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে ব্যাটারি ব্যাকআপ। গেমিং ল্যাপটপ গেম খেলার সময় অনেক রিসোর্স দখল করে, তাই অফলাইনে থাকা অবস্থায় ব্যাটারির পাওয়ার অনেক তাড়াতাড়ি খরচ হয়। বেশ যত্নও করতে হয় এসব ল্যাপটপের। তাই নিজেই বুঝতে পারছেন ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ বেশি সুবিধাজনক গেম খেলার জন্য। আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে গেমিং ল্যাপটপের দামে অনেক হাই কনফিগারেশনের পিসি কেনা যাবে, যা দিয়ে আরো ভালো গেমিং এক্সপেরিয়েন্স পাওয়া যাবে।



সমস্যা : আমি বাংলা লেখার জন্য অভ্র বাংলা ব্যবহার করি। কিন্তু যখনই বাংলা মোডে লিখতে চাই, তখনই ডিফল্ট ফন্ট হিসেবে ভ্রিন্দা ফন্টে বাংলা লেখা হয়। তা আবার বদল করে সিয়াম রূপালিতে নিতে হয়। এমন কোনো উপায় আছে কি যাতে ভ্রিন্দা ফন্টের বদলে সিয়াম রূপালি ডিফল্ট করে দেয়া যায় এবং বাংলা মোডে লেখা শুরু করলে সিয়াম রূপালিতে লেখা হয়?



সমাধান :
নির্দিষ্ট কোনো বাংলা ইউনিকোড ফন্টকে ডিফল্ট করার জন্য ভ্রিন্দা ফন্টটির বদলে পছন্দের ফন্ট দিতে হবে। এ কাজ করার জন্য একটি ছোট্ট প্রোগ্রাম রয়েছে, যার নাম ফন্ট ফিক্সার। ওমিক্রনল্যাবের ওয়েবসাইট থেকে এ প্রোগ্রামটি ডাউনলোড করতে পারবেন বিনামূল্যে। ডাউনলোড লিঙ্কটি হচ্ছে- http ://www.omicronlab.com/tools/font-fixer.html। প্রোগ্রামটি চালু করলে পিসিতে ইনস্টল করা ইউনিকোডভিত্তিক বাংলা ফন্টগুলোর তালিকা এলে সেখান থেকে পছন্দের ফন্টটি সিলেক্ট করে ফিক্স ইট বাটনে ক্লিক করলেই ভ্রিন্দা ফন্টের বদলে নতুন ফন্ট চলে আসবে। এ প্রোগ্রামের ডিফল্ট ফন্ট হচ্ছে সিয়াম রূপালি। ফন্ট ফিক্স করার পর পিসি রিস্টার্ট করতে হবে। এরপর অভ্র দিয়ে বাংলা লেখার সময় বাংলা মোড অন করলেই তা সিলেক্ট করে দেয়া ফন্টে লেখা হবে। তবে বাংলা লেখার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ইউনিকোডভিত্তিক ফন্ট হচ্ছে সোলায়মানলিপি। এ ছাড়া আরো রয়েছে- কালপুরুষ, আপনালোহিত, আদর্শলিপি, বেন্সেন, বেন্সেন হ্যান্ডরাইটিং, নিকষ, একুশে আজাদ, একুশে দুর্গা, একুশে সরস্বতী, একুশে পূজা, একুশে সুমিত, একুশে পুনর্ভবা, একুশে শরিফা, একুশে গোধূলি, লিখন, রূপালি, আকাশ, সাগর, মিত্রা মনো, মুক্তি, লোহিত ইত্যাদি আরো অনেক ফন্ট। সব ফন্ট ওমিক্রনল্যাবের ওয়েবসাইট থেকে নামিয়ে নেয়া যাবে।



সমস্যা : আমার পিসি কোর টু ডুয়ো ২.৫৩ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ২ গিগাবাইট ডিডিআর৩ র‌্যাম, এটিআই রাডেওন এইচডি ৫৭৫০ গ্রাফিক্স কার্ড এবং ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক। আমি পিসিতে ডার্ট ৩ গেমটি ইনস্টল করেছি এবং তা ঠিকমতো ইনস্টল হয়েছে। এরপর ডিস্কে দেয়া ক্র্যাক ফাইল ঠিকমতো কপি করে দিলাম, কিন্তু তারপরও গেমটি চলছে না। গেম চালু করলে তা চালু হয় না। শর্টকাট বা গেম চালু করার ফাইলে ক্লিক করলে মাউসে বিজি সাইন আসে, কিন্তু গেম চালু হয় না। কোনো ধরনের এরর মেসেজও দেখায় না। আমি উইন্ডোজ সেভেন আল্টিমেট ৩২ বিট ব্যবহার করি। গেমের ডিস্কে সমস্যা না পিসিতে সমস্যা, তা বুঝতে পারছি না। তাড়াতাড়ি ব্যাপারটির সমাধান দিলে খুব খুশি হব।

-মেনন, ঢাকা



সমাধান :
গেমটি খেলার জন্য পিসি কনফিগারেশন যথেষ্ট, তাই পিসির কোনো সমস্যা নেই। গেমটি চালানোর জন্য গেমস ফর উইন্ডোজ-লাইভ নামের সফটওয়্যারটি লাগে। সফটওয়্যারটি ইনস্টল করা না থাকলে এ সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক। তাই সফটওয়্যারটি ইনস্টল করে নিন। ডিরেক্টএক্স ও গ্রাফিক্স ড্রাইভার আপডেট করে নিন।



সমস্যা : এলসিডি মনিটরের ক্ষেত্রে রেসপন্স টাইম কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তা কতটুকু হলে ভালো হয়? আমি ২২ ইঞ্চি আকারের একটি এলইডি এলসিডি মনিটর কিনতে চাইছি। কোন মনিটরটি ভালো হবে?

-মোহাম্মদ সেলিম, নারায়ণগঞ্জ



সমাধান :
সাধারণ ইউজারদের জন্য রেসপন্স টাইম অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। রেসপন্স টাইম যত কম হবে, তত ভালো। সাধারণ ইউজারদের জন্য তা ৫ মিলিসেকেন্ড হলে ভালো। গেমারদের জন্য তা ২ মিলিসেকেন্ড বা তার চেয়ে কম হলে ভালো হয়। কারণ, অ্যাকশন গেম বা শুটিং গেম খেলার সময় ঘোস্টিং ইফেক্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রেসপন্স টাইমের প্রয়োজন পড়ে। এক দৃশ্য থেকে আরেক দৃশ্য যখন খুব দ্রুত বদলে যায়, তখন আগের দৃশ্যের ছায়া পরবর্তী দৃশ্যে দেখা দেয় এবং তা আবছা কালো দেখায়। গেমারদের ক্ষেত্রে তা গেম খেলার সময় সমস্যার সৃষ্টি করে। বাজারের বেশিরভাগ মনিটরে এখন রেসপন্স টাইম ৫ মিলিসেকেন্ডের কম দেয়া হচ্ছে। মনিটরের ব্র্যান্ড ও ডিজাইন যেটি পছন্দ হয়, সেটি কিনে নিতে পারেন। কারণ, প্রতিযোগিতার এ বাজারে কেউ কারো চেয়ে কম নয়। ডিসপ্লেতে রাখা মনিটরগুলোর পিকচার কোয়ালিটি বা ভিডিও প্লেব্যাক দেখে যেটি আপনার কাছে ভালো লাগে, সেটি কিনে নিতে পারেন।



সমস্যা : কিছুদিন আগে আমার গুগল অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গিয়েছিল এবং আমি তাতে ঢুকতে পারছিলাম না। কিন্তু সেকেন্ডারি মেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে গুগলের সাহায্যে আমি আবার আমার গুগল অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করতে পেরেছি। আমি ৯ অক্ষরের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেছি এবং তা শক্তিশালী ছিল। কিন্তু তারপরও কিভাবে তা হ্যাক হলো। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের সমস্যায় না পড়তে হয়, সে জন্য কী করা যায়? পাসওয়ার্ড কিভাবে আরো শক্তিশালী করা যায়?

-শিহাব, মগবাজার



সমাধান :
মেইল অ্যাকাউন্ট ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে অনেকেই ভুগছেন। এ ব্যাপারটি বেড়ে গেছে। কারণ, সবাই খুব সহজ পাসওয়ার্ড বা কমন কিছু পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন, যা সহজেই হ্যাকারেরা অনুমান করতে পারেন। অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং রোধ করার জন্য মেইল সার্ভিস বা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো কিছুটা তৎপর হয়েছে এবং কিছু নতুন সিকিউরিটি অপশন যোগ করছে যাদের সার্ভিসের সাথে। তাদের সিকিউরিটি সার্ভিসগুলো ব্যবহার করে কিছুটা সুরক্ষা পেতে পারেন। পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করার জন্য কিছু পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো হচ্ছে-

০১. পাসওয়ার্ড ৮ অক্ষরের নিচে ব্যবহার না করা,
০২. দশ অক্ষরের ওপরে হলে ভালো হয়,
০৩. বড় হাতের অক্ষর ও ছোট হাতের অক্ষর মিলিয়ে পাসওয়ার্ড দেয়া ভালো,
০৪. অক্ষরের পাশাপাশি সংখ্যা ব্যবহার করে তা আরো জোরদার করা যায়,
০৫. শুধু সংখ্যায় পাসওয়ার্ড না দেয়া,
০৬. একই অক্ষর বা সংখ্যার পুনরাবৃত্তি না করা,
০৭. অক্ষর ও সংখ্যার সাথে সিম্বল ব্যবহার করলে পাসওয়ার্ড অনেক শক্তিশালী হয়,
০৮. নিজের নাম বা প্রিয়জনের নামে পাওয়ার্ড না দেয়া,
০৯. কোনো ফোন নাম্বার বা জন্মদিনের তারিখ দিয়ে পাসওয়ার্ড না দেয়া।



সমস্যা : আমি পিসির ফোল্ডার অপশনে গিয়ে হিডেন ফাইল শো করার কমান্ড দেয়া সত্ত্বেও তা দেখা যাচ্ছে না। খুব সমস্যার মধ্যে পড়ে গেছি, কারণ আমার গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডকুমেন্ট রয়েছে, যা আমি খুঁজে পাচ্ছি না। এটা কি ভাইরাস সমস্যা না অন্য কিছু? আমি উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক ২ ব্যবহার করি।



সমাধান :
এক্সপি ইউজারদের এটি খুব সাধারণ একটি সমস্যা। অনেকেই এ সমস্যার জন্য মেইল করেছেন। এ সমস্যা দূর করা তেমন কোনো কঠিন কাজ নয় এবং খুব সহজেই কোনো থার্ড পার্টি সফটওয়্যারের সাহায্য ছাড়াই তা ঠিক করা যাবে। এ সমস্যার সমাধান দু’ভাবে করা যায়। প্রথমত, মেনু বারের ফোল্ডার অপশন থেকে ভিউ ট্যাবে গিয়ে Display the contents of system folders চেকবক্সটি মার্ক করে দিন, তারপর Hidden files and folders-এর রেডিও বাটন মার্ক করুন এবং Hide file extensions for known file types চেকবক্সটি থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিন। Ok করে বের হয়ে আসুন, তারপর দেখুন হিডেন ফাইল দেখা যাচ্ছে কি না।

রেজিস্ট্রি এডিট করেও এ সমস্যা দূর করা যায়। রেজিস্ট্রি এডিট করার জন্য স্টার্ট বাটনে ক্লিক করে রান অপশনে গিয়ে regedit টাইপ করে এন্টার চাপলে একটি উইন্ডো আসবে। এরপর নেভিগেট করুন HKEY_CURRENT_USER\Software\Microsoft\Windows\Current Version\ Explorer\ Advanced\Hidden। Hidden-এর ওপর ডাবল ক্লিক করে Value Data বক্সে ১ লিখে ওকে করে দিন। এরপর দেখুন সব ঠিক হয়ে গেছে। প্রয়োজনে একবার পিসি রিস্টার্ট দিয়ে নিন। ভাইরাসজনিত সমস্যা এটি, তাই ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।

আপনার পিসির রেজিস্ট্রি এডিট করা অপশনও যদি ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হয়ে থাকে তবে এ পদ্ধতি কাজ করবে না। যদি ভাইরাস দিয়ে রেজিস্ট্রি এডিট ডিজ্যাবল হয়ে যায় তবে তা আবার এনাবল করার জন্য রিমুভ রেক্ট্রিকশন টুল নামের একটি সফটওয়্যার রয়েছে। ভাইরাসের কারণে ডিজ্যাবল হয়ে যাওয়া অনেক অপশন এ ছোট্ট প্রোগ্রামের সাহায্যে এনাবল করা যায়। ইন্টারনেটে সার্চ করে নামিয়ে নিন এ টুলটি এবং ভালোভাবে পিসিতে সংরক্ষণ করে রাখুন।



সমস্যা : আমার পিসির কনফিগারেশন পেন্টিয়াম ফোর ১.৮ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম, ৬৪ মেগাবাইট গ্রাফিক্স কার্ড ও ৮০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক। আমি উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করি এবং অ্যান্টিভাইরাস হিসেবে অ্যাভাইরা ফ্রি ভার্সন ব্যবহার করি। আমার পিসিতে হঠাৎ করে টাস্ক ম্যানেজার ডিজ্যাবল হয়ে গেছে। এখন আর Ctrl+Alt+Delete চেপে টাস্ক ম্যানেজার আনতে পারছি না। এ সমস্যার সমধান করব কিভাবে?

-সুমন বড়ুয়া, বাগেরহাট



সমাধান :
ট্রোজান গোত্রের একটি ভাইরাস এ সমস্যার সৃষ্টি করে যার ফলে এ সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যা সমাধানের জন্য স্টার্ট মেনুর রান অপশনে গিয়ে gpedit.msc টাইপ করে এন্টার চাপুন। গ্রুপ পলিসি উইন্ডো এলে সেখানে User Configuration থেকে Administrative TemplatesSystem-এ গিয়ে Ctrl+Alt+Delete options সিলেক্ট করুন, তারপর ডান পাশ থেকে Remove Task Manager-এ ডাবল ক্লিক করুন এবং Disable বাটনে মার্ক করে ওকে চাপুন। এরপর Ctrl+Alt+Delete চেপে দেখুন টাস্ক ম্যানেজার আসে কি না।



সমস্যা : আমি নতুন একটি পিসি কিনতে চাই। আমার অনুমিত পিসি কনফিগারেশন হচ্ছে- ইন্টেল কোর আই সেভেন-২৬০০ ৩.৪ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ইন্টেল ডিএইচ৬৭সিএল-বি৩ মাদারবোর্ড, ৪ গিগাবাইট ডিডিআর৩ ১৩৩৩ বাস স্পিড র‌্যাম, ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল ক্যাভিয়ার ব্ল্যাক ৭৫০ গিগাবাইট সাটা ৬ গিগাবাইট/সেকেন্ড ৬৪ মেগাবাইট ক্যাশ ৭২০০ আরপিএম হার্ডডিস্ক, ২০ ইঞ্চি এইচপি এলইডি এলসিডি মনিটর, এমএসআই এন৫৬০জিটিএক্স টিআই গোল্ড এডিশন গ্রাফিক্স কার্ড, সনি ২৪এক্স ডিভিডি রাইটার, কোরি ব্র্যান্ডের ৬২৪৬ ক্যাসিং, ডেলটা ৬৫০ ওয়াট পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট, মাইক্রোল্যাব ২:১ এম৫৯০ স্পিকার, প্রোলিঙ্ক ৬৫০ ভিএ ইউপিএস, পারফেক্ট মাল্টিমিডিয়া কিবোর্ড ও অপটিক্যাল মাউস। আমার বাজেট ৮০ হাজার টাকা। আমার বাজেট অনুযায়ী কি পিসি কনফিগারেশন ঠিক আছে কি না জানাবেন।

-রুবেল হোসাইন



সমাধান :
বাজেট অনুযায়ী পিসি কনফিগারেশন মোটামুটি ঠিক আছে। কিছুটা দাম বেশি লাগতে পারে। র‌্যাম ১৩৩৩ মেগাহার্টজ বাসস্পিডের বদলে ১৬০০ মেগাহার্টজ গতির নিলে আরো ভালো পারফরম্যান্স পাবেন। ক্যাসিং হিসেবে থার্মালটেকের ডক্কার মডেলটি দেখতে পারেন। স্পিকারের ক্ষেত্রে সারাউন্ড সাউন্ড ভালো করে পেতে ৪.১ বা ৫.১ স্পিকার ব্যবহার করতে পারেন। খরচ বেশি হলে কোর আই সেভেনের বদলে কোর আই ফাইভ সিরিজের ২৫০০ মডেলের প্রসেসর বা এএমডি ফেনম ২ এক্সসিক্স ১১০০টি সিরিজের প্রসেসর দেখতে পারেন। মাদারবোর্ডের ক্ষেত্রে গেমারদের পছন্দের তালিকায় আসুস ও গিগাবাইট বেশি ভোট পেয়ে থাকে, তাই এটিও বিবেচনা করতে পারেন।



সমস্যা : আমার কমপিউটারের কনফিগারেশন এলজিএ১৩৬৬ সকেটের কোর আই সেভেন-৭৬০ প্রসেসর, গিগবাইট কিলার স্নাইপার মাদারবোর্ড, র‌্যাম ১৬ গিগাবাইট, স্যামসাং এইচডি২০৪ইউআই এটিএ ২ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক, ২ গিগাবাইট ডিডিআর৫ এক্সএফএক্স রাডেওন ৬৯৭০ গ্রাফিক্স কার্ড, থার্মালটেক টিআর২ আরএক্স ৭৫০ওয়াট পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট এবং মনিটর স্যামসাং সাইঙ্ক মাস্টার এসএ৩৫০ ২২ ইঞ্চি এলইডি এলসিডি মনিটর। আমি চার মাস যাচাইবাছাই করার পর এ পিসি কিনেছি (অনেক কমপিউটার জগৎ ম্যাগাজিন ঘাঁটতে হয়েছে এ জন্য)। আমি মূলত ভালোমানের গ্রাফিক্স ডিজাইন, থ্রিডি অ্যানিমেশন, সব ধরনের অফিশিয়াল কাজ এবং খুব ভালোমানের গেম চালানোর জন্য এ কনফিগারেশনের জন্য এ পিসি কিনেছি। কিন্তু আমার পিসিতে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তাই সমস্যাগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জানালাম। সমস্যাগুলোর সমাধান দিলে খুব উপকার হবে। আমি উইন্ডোজ সেভেন আল্টিমেট ব্যবহার করি এবং ক্যাস্পারস্কি আসল রেজিস্টার করা অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করি। আমার পিসির সমস্যাগুলো নিম্নরূপ-

০১. আমি অ্যাডোবি ফটোশপ ও ইলাস্ট্রেটর সিএস৫, কোয়ার্ক এক্সপ্রেস ৮, বিজয় বায়ান্ন, অ্যাডোবি অ্যাক্রোব্যাট রিডার ও রাইটারে কাজ করে থাকি। মাঝে মাঝে ইলাস্ট্রেটরে কাজ করে ফটোশপে কাজ করতে গেলে স্লো মনে হয়। অ্যাডোবি সফটওয়্যারে বাংলা লিখতে গেলে বিজয়ও অনেক সময় স্লো কাজ করে। কাজে যাতে এ ধরনের সমস্যা না হয় সেজন্য আমার পিসির স্পিড বাড়ানোর জন্য কী করতে পারি। এ ছাড়া পিসিতে আর কোনো সমস্যা দেখা দেয় না।

০২. পিসি অন হওয়ার পর ২-৩ মিনিট সময় লাগে ডেস্কটপ আসতে এবং কাজের উপযোগী হতে। অ্যাডোবি সিএস৫ সিরিজের সফটওয়্যারগুলো আরো দ্রুত রান করার কোনো উপায় আছে কি?

০৩. ক্রাইসিস ২ গেমটি খুব ভালোভাবে খেলে শেষ করেছি, কিন্তু থ্রিডি স্টেরিওস্কোপিক অপশন অফ দেখায়, সেটা অন করতে পারিনি। কিন্তু পুরনো আরেকটি পিসি আছে যার কনফিগারেশন লো, তাতে এ অপশন অন হয়। এটি কি জন্য হচ্ছে? হার্ড রিসেট গেমটি খেলার সময় গ্রাফিক্স ভেঙে ভেঙে আসে অনেকটা মুভি দেখার সময় আটকালে যেমন হয়। গেমের সেটিং কিছুটা এদিক-ওদিক করলে মোটামুটি ভালোই চলে। হার্ড রিসেট ছাড়া আর কোনো গেম তেমন সমস্যা করেনি।

০৪. আমি কিভাবে বুঝব যে আমার গ্রাফিক্স কার্ড ও র‌্যাম পরিপূর্ণভাবে কাজ করছে কি না? সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন হচ্ছে, আমার স্যামসাং এলসিডি মনিটর ও গ্লসি ক্যাসিং (পাওয়ার ট্রাইন গেমিং ক্যাসিং এটিএক্স-পি৪-২০০৮সি মডেল) পরিষ্কার রাখার জন্য কী করতে পারি।


-মো: আতিকুর রহমান চৌধুরী



সমাধান :
আপনার পিসি কনফিগারেশন যথেষ্ট ভালো। কিন্তু আপনি আপনার র‌্যামের ধরন ও গতি সম্পর্কে ধারণা দেননি এবং অপারেটিং সিস্টেম ৩২ না ৬৪ বিট, তাও উল্লেখ করেননি। প্রসেসর ও র‌্যাম বাড়ালেই পিসির গতি বেড়ে যাবে না, কারণ হার্ডডিস্ক ডাটা ট্রান্সফারের গতি কম। তাই হার্ডডিস্ক তাদের সাথে তাল মেলাতে পারে না। হাই-এন্ড প্রসেসর এবং বেশি মেমরির র‌্যামের সাথে তাল মেলানোর জন্য সবচেয়ে ভালো হার্ডডিস্ক হচ্ছে সলিড স্টেট ড্রাইভ বা এসএসডি হার্ডডিস্ক। এগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। এগুলোর ধারণক্ষমতা ৩২-৩৬০ গিগাবাইট পর্যন্ত হতে পারে। ৪০-৮০ গিগাবাইটের একটি এসএসডি হার্ডডিস্ক কিনে তা প্রথম ড্রাইভ হিসেবে কোনো পার্টিশন ছাড়া পুরোটাই উইন্ডোজ ড্রাইভ অর্থাৎ তাতে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করে নিন। এতে কমপিউটার চালু হওয়ার গতি অনেক বেড়ে যাবে এবং অন্যান্য কাজও বেশ দ্রুত হবে। এসএসডি পেতে সমস্যা হলে গেমিং সিরিজের কিছু হার্ডডিস্ক রয়েছে যেমন- ওয়েস্টার্ন ডিজিটালের ক্যাভিয়ার ব্ল্যাক, সিগেটের ব্যারাকুডা, হিটাচির ডেস্কস্টার ইত্যাদি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

র‌্যামের ক্ষেত্রেও র‌্যামের পরিমাণের ওপরে জোর না দিয়ে র‌্যামের গতির ওপরে নজর দিলে ভালো হতো। ডিডিআর৩ র‌্যামের ক্ষেত্রে র‌্যামের গতি অর্থাৎ বাসস্পিড ১৮৬৬ মেগাহার্টজ পর্যন্ত হতে পারে এবং তা ওভারক্লক করে ২৪০০ মেগাহার্টজ পর্যন্ত উন্নীত করা সম্ভব। বাজারে ১৬০০ মেগাহার্টজের গেমিং র‌্যাম পাওয়া যাচ্ছে এবং এর চেয়ে বেশি ক্ষমতার র‌্যাম চাইলে তা বাইরে থেকে আনিয়ে নিতে হবে। বেশ কিছু বিক্রেতা আছেন, যারা বিদেশ থেকে কয়েকটি করে এ ধরনের এক্সক্লুসিভ পণ্য কিনে এনে তা বিক্রি করেন। সেলবাজার, ক্লিকবিডি, দেশিলিস্টিং ইত্যাদি অনলাইন শপিং মার্কেটে খোঁজ করে এ ধরনের বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। র‌্যামের পরিমাণ ৪ গিগাবাইটের ওপরে হলে অবশ্যই উইন্ডোজ ৬৪ বিট ব্যবহার করতে হবে, তা না হলে ৪ গিগাবাইটের পরে যে বাকি র‌্যাম থাকবে তা কোনো কাজ করবে না। ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম ও ভালো গতি হার্ডডিস্ক ব্যবহার করলে অ্যাডোবির অ্যাপ্লিকেশনগুলোও নির্বিঘ্নে চলবে।

থ্রিডি স্টেরিওস্কোপিক অপশন এনভিডিয়ার গ্রাফিক্স কার্ডে এনাবল হবে, কিন্তু এটিআই রাডেওন সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ডে হবে না। আপনার পুরনো পিসিতে হয়তো এনভিডিয়ার গ্রাফিক্স কার্ড রয়েছে, তাই তাতে এ অপশনটি এনাবল হয়েছে। হার্ড রিসেট গেমে কিছু বাগ রয়েছে, তাই এ সমস্যা হচ্ছে। গেমটির প্যাচ ডাউনলোড করে নিলে এ সমস্যা থাকবে না। এলসিডি মনিটর পরিষ্কার করার জন্য লিকুইড ক্লিনার পাওয়া যায়, যা স্প্রে করে পাতলা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হয়। বাজারে গিয়ে এলসিডি ক্লিনার খোঁজ করলেই তা পেয়ে যাবেন, যার দাম ১৫০ টাকা। এ একই ক্লিনার দিয়ে ক্যাসিংও পরিষ্কার করতে পারেন। ক্যাসিংয়ের ভেতরে মাঝে মাঝে পরিষ্কার করার জন্য একটি ব্লোয়ার মেশিন কিনে নিতে পারেন। এগুলো ৬০০ ওয়াট ক্ষমতার হয়ে থাকে এবং এগুলোর দাম ৫৫০-৬০০ টাকার মতো।



সমস্যা : আমি গিগাবাইটের জিএ-জেড৬৮এমএ-ডি২এইচ-বি৩ মাদারবোর্ড কিনতে চাই। আমি যদি এতে ১৩৩৩ মেগাহার্টজের ডিডিআর৩ র‌্যাম লাগাই তবে কি সম্পূর্ণ পারফরম্যান্স পাব? এ মাদারবোর্ডের সাথে গিগাবাইট রাডেওন এইচডি ৬৮৫০ গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করা যাবে কি? আর এ গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে কি হার্ডকোর গেমিং সম্ভব? আপনার উত্তরের আশায় রইলাম।

-মো: শামস ওয়াদুদ আবীর



সমাধান :
১১৫৫ সকেটের এ মাদারবোর্ডে ইন্টেল কোর আই সিরিজের প্রসেসর চালানোর সুবিধাসহ সর্বোচ্চ ২১৩৩ মেগাহার্টজ বাসস্পিডের র‌্যাম লাগাতে পারবেন। চারটি র‌্যাম স্লটের প্রতিটি ৮ গিগাবাইট করে র‌্যাম লাগিয়ে মেমরির পরিমাণ ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত উন্নীত করতে পারবেন। ১৩৩৩ মেগাহার্টজের বদলে গেমিংয়ের জন্য ১৬০০ মেগাহার্টজের গেমিং র‌্যাম ব্যবহার করাটা ভালো হবে। গ্রাফিক্স কার্ড পুরোপুরিভাবে সাপোর্ট করবে এবং গ্রাফিক্স কার্ডটি নতুন গেমগুলো ভালোভাবে চালানোর জন্য মোটামুটি ভালোই উপযোগী। হার্ডকোর গেমিং সিস্টেমে প্রসেসর ও র‌্যাম ওভার ক্লক করার পাশাপাশি একাধিক গ্রাফিক্স কার্ড লাগিয়ে ক্রসফায়ার বা এসএলআই করা হয়ে থাকে। যদি ভবিষ্যতে ক্রসফায়ার বা এসএলআই করার চিন্তা থাকে তবে দুটি পিসিআই-এক্সপ্রেস স্লট আছে এমন মাদারবোর্ড কিনুন।



সমস্যা : আমার পিসি হচ্ছে ইন্টেল কোর আই ফাইভ-২৪০০ প্রসেসর, গিগাবাইট জিএ-জেড৬৮এমএ-ডি২এইচ-বি৩ মাদারবোর্ড, এডাটা ২+২ গিগাবাইট ১৬০০ মেগাহার্টজ ডিডিআর৩ র‌্যাম, ১ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক, এক্সএফএক্স এইচডি ৬৭৯০ গ্রাফিক্স কার্ড, এসার ২১.৫ এলইডি এলসিডি মনিটর, গিগবাইট ক্যাসিং এবং ৬০০ ওয়াট গিগাবাইট পাওয়ার সাপ্লাই। আমার ল্যাপটপ হচ্ছে এসার ৪৭৫৫জি-২৪১৪জি৬৪এমএন। আমি কি গ্রাফিক্স সম্পর্কিত যাবতীয় কাজ পিসি এবং ল্যাপটপ উভয়েই করতে পারব? -
ইয়াসিন



সমাধান :
পিসির কনফিগারেশন অনুযায়ী গ্রাফিক্সের কাজ করার জন্য যেসব অ্যাপ্লিকেশন প্রয়োজন তা আপনি ভালোভাবেই চালাতে পারবেন। মডেল অনুযায়ী ল্যাপটপের কনফিগারেশন হচ্ছে ইন্টেলের সেকেন্ড জেনারেশন স্যান্ডিব্রিজ কোর আই ফাইভ-২৪১০এম ২.৩০ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ৪ গিগাবাইট ডিডিআর৩ র‌্যাম, ৬৪০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক, ১৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে এবং ২ গিগাবাইট মেমরির এনভিডিয়া জিফোর্স জিটি৫৪০ গ্রাফিক্স কার্ড। পিসি এবং ল্যাপটপ দুটিতেই আরামে গ্রাফিক্সের কাজ করতে পারবেন। কিন্তু ল্যাপটপের চেয়ে ডেস্কটপে গ্রাফিক্সের কাজ করাটা বেশি ভালো হবে।



সমস্যা : নতুন গেমগুলোর মধ্যে এখন পিক্সেল শেডার চাওয়া হয়। আমি পিক্সেল শেডারের কারণে অনেক গেম খেলতে পারছি না। আমার গ্রাফিক্স কার্ডের পিক্সেল শেডার ২.০। গ্রাফিক্স কার্ডে পিক্সেল শেডারের ভূমিকা কী?

-আরিফ, গোপীবাগ



সমাধান :
পিক্সেল শেডার গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিটের একটি অন্যতম অংশ। নতুন গেমগুলো বেশ বাস্তবসম্মত করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে, তাই শেডের মাধ্যমে প্রতি পিক্সেলে বাস্তবতা এবং উপযুক্ত ইফেক্ট ফুটিয়ে তোলার জন্য পিক্সেল শেডার টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে। মাইক্রোসফটের ডিরেক্ট থ্রিডি ও সিলিকন গ্রাফিক্সের ওপেনজিএল শেডার সাপোর্ট করে। ডিরেক্ট থ্রিডির (ডিরেক্টএক্স) ক্ষেত্রে তা পিক্সেল শেডার, কিন্তু ওপেনজিএলের ক্ষেত্রে পিক্সেলকে ফ্র্যাগমেন্ট হিসেবে অভিহিত করায় এক্ষেত্রে তা ফ্র্যাগমেন্ট শেডার হিসেবে পরিচিত। লাইটিং ইফেক্ট, সারফেস ইফেক্ট এবং কালার, টেক্সচার, শেপ সঠিকভাবে জেনারেট করে তা দিয়ে প্রাণবন্ত ছবি ফুটিয়ে তোলার জন্য পিক্সেল শেডারের প্রয়োজন হয়। তাই নতুন গেমগুলো পিক্সেল শেডার না পেলে সেই গ্রাফিক্স কার্ড সাপোর্টে রান করে না। নতুন গেমগুলো খেলতে চাইলে অবশ্যই পিক্সেল শেডার ৩.০ বা তার চেয়ে বেশি সাপোর্টসহ গ্রাফিক্স কার্ড কেনা উচিত।


কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : jhutjhamela@comjagat.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস