আকর্ষণীয় ডিজাইন ও সহজ ব্যবহারযোগ্যতার কারণে অ্যাপল কমপিউটারের খ্যাতি রয়েছে বিশ্বজুড়ে। অ্যাপলের সাম্প্রতিক উদ্ভাবনীগুলো এত চমকপ্রদ যে এ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখা এখন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে প্রযুক্তিপ্রেমীদের। অথচ এক যুগে আগে অ্যাপল কোম্পানি প্রায় দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল। সেই দুর্দিন কাটিয়ে উঠে অ্যাপল এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে সফল টেকনোলজি কোম্পানি হিসেবে। এই লেখাটি যখন তৈরি করা হচ্ছিল, ঠিক তখনই অ্যাপল স্বীকৃতি পায় বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি হিসেবে।
অ্যাপলের এই বিজয়োৎসবের এক বিরাট অংশজুড়ে ছিল অ্যাপলের একসারি নতুন পণ্য যেমন : আইফোন, আইপ্যাড ইত্যাদি। অ্যাপলের যাত্রা শুরু হয় মূলত অ্যাপল ম্যাক কমপিউটারের মাধ্যমে, যা উইন্ডোজ আসার আগে ঘটে। ম্যাক কমপিউটার রেঞ্জের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু আকর্ষণীয় মডেলের ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপ কমপিউটার। অনেকের মতে, উইন্ডোজের ব্যাপক বিস্তার ঘটার আগেই ম্যাক নিজের জায়গা তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়। বস্ত্তত ম্যাক কমপিউটার বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ত্রিশ বছর ধরে কমপিউটিংবিশ্বে নিয়ে আসে নিত্যনতুন প্রযুক্তিপণ্য। ম্যাক পিসি যেমন সহজে ব্যবহারযোগ্য, তেমনি এতে এমন কিছু টুল রয়েছে, যা উইন্ডোজ পিসি থেকে একে স্বতন্ত্র করেছে। ম্যাকের এসব টুলের কারণে উৎপাদনশীলতা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে আকর্ষণীয় ও মজার মজার বিষয়।
এ লেখায় মূলত উপস্থাপন করা হয়েছে অ্যাপলের হার্ডওয়্যারসংশ্লিষ্ট বিষয়কে এড়িয়ে উইন্ডোজ ও ম্যাকের অপারেটিং সিস্টেমসহ সফটওয়্যারসংশ্লিষ্ট কিছু মৌলিক পার্থক্য।
ম্যাক বনাম পিসি
পিসি এবং অ্যাপল ম্যাক কমপিউটারের মধ্যে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। তবে এ লেখায় তুলে ধরা হয়েছে অ্যাপল ও উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সংশ্লিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে পার্থক্যকে উপজীব্য করে। বেশিরভাগ বাণিজ্যিক পিসি মাইক্রোসফট উইন্ডোজভিত্তিক। পক্ষান্তরে অ্যাপল ম্যাক রান করে ম্যাক ওএসে। উইন্ডোজের সর্বশেষ ভার্সন হলো উইন্ডোজ ৭ আর ম্যাক ওএসের সর্বশেষ ভার্সন হলো ম্যাক ওএসএক্স।
অ্যাপল কমপিউটার নয় এমন কমপিউটারে অর্থাৎ নন-অ্যাপল কমপিউটারে ম্যাক ওএসএক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের জন্য অ্যাপল কমপিউটার লাইসেন্স দেয় না অর্থাৎ ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু মাইক্রোসফটের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কেননা মাইক্রোসফট কোনো হার্ডওয়্যার পণ্য তৈরি করে না। এটি শুধু সফটওয়্যারকেন্দ্রিক কোম্পানি। সুতরাং কেউ যদি ম্যাক ওএসএক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে চায়, তাহলে তাকে অবশ্যই ম্যাকের কাছ থেকে ম্যাক কমপিউটার কিনতে হবে। কিন্তু কেউ যদি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে চায়, তাহলে তাদেরকে তেমন কোনো বাধ্যবাধকতার সম্মুখীন হতে হবে না এবং যার-তার কাছ থেকে কমপিউটার কিনে ব্যবহার করতে পারবে।
সুতরাং স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে ম্যাক কেনার মানেই হচ্ছে অ্যাপলের ওপর অগাধ বিশ্বাস রাখা। ম্যাক যা করতে পারে পিসি থেকে তা আশা করা যায় না। মজার ব্যাপার হলো অনেক ক্ষেত্রেই ম্যাক ওএসএক্স এবং উইন্ডোজের মধ্যে পার্থক্য ভাসাভাসা। উইন্ডোজ এবং ম্যাকের প্রেজেন্টেশন স্টাইলে বৈষম্য রয়েছে ঠিকই, তবে গভীর পর্যবেক্ষণে দেখা যায় গ্রাফিক্যাল ইফেক্ট এবং কন্ট্রোলগুলো প্রায় একই রকম। অ্যাপ্লিকেশনগুলো নিচের ‘docking’ বার থেকে চালু করা যায়। দৃষ্টিগোচর হয় মুভেবল, রিসাইজেবল উইন্ডো এবং মাল্টিপল প্রোগ্রাম উইন্ডো, যা যেকোনো সময় ওপেন করা যায়।
প্রকৃতপক্ষে বলা যায়, গত কয়েক বছরে এই দুটি সিস্টেমের মধ্যে বৈসাদৃশ্যের চেয়ে সাদৃশ্যই যথেষ্ট বেড়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বলা যায় মাইক্রোসফট ও অ্যাপল উভয়ই একে অপরের কিছু কিছু আইডিয়া নকল করেছে, যা আরো বিস্তারিতভাবে এ লেখায় তুলে ধরা হয়েছে।
কমপিউটারের হার্ডওয়্যারের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায় অন্তত অভ্যন্তরীণভাবে। ২০০৬-এর আগ পর্যন্ত অ্যাপল ম্যাক ব্যবহার করতো পাওয়ারপিসি (PowerPC) প্রসেসর, যা অ্যাপলকে পিসি থেকে আলাদা করেছে। পক্ষান্তরে বেশিরভাগ পিসিই ইন্টেল চিপের ওপর নির্ভরশীল। আর্থিক ও বিভিন্ন কৌশলগত কারণে অ্যাপল সুইচ করে ইন্টেল হার্ডওয়্যার ব্যবহার করার জন্য। এর ফলে সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর জন্য সহজ হয় ম্যাক ওএস উপযোগী সফটওয়্যার তৈরি করা। শুধু তাই নয়, অফিস স্যুট থেকে শুরু করে গেম পর্যন্ত সবকিছুই এখন ডেভেলপ করা হচ্ছে ম্যাক ও পিসি উভয়ের উপযোগী করে।
উইন্ডোজ কী বিদায় হবে?
আমরা অনেকেই মনে করি, ম্যাক শুধু অন্যান্য ম্যাক ইউজারের কাছে ফাইল এবং তথ্য শেয়ারিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু এ ধারণাটি ভুল। স্টার্টারদের জন্য সাধারণ অ্যাপ্লিকেশন যেমন মাইক্রোসফট অফিস এখন ম্যাকেও পাওয়া যায়। সমতুল্য বা সমমানের পিসি ভার্সনের প্রোগ্রামের ডকুমেন্ট সহজেই ম্যাক এডিশনে ওপেন করা যায়। একই ব্যাপার পরিলক্ষিত হতে দেখা যায় ফটো, মিউজিক, ভিডিও বা এ ধরনের অন্য কোনো কনটেন্টের ক্ষেত্রেও।
পছন্দের বা ব্যবহারকারীর সংখ্যার আধিক্যের আলোকে বলা যায়, ম্যাক ওএস উইন্ডোজের মতো তেমন ব্যাপক বিস্তৃত বা প্রশস্ত নয়। অর্থাৎ ম্যাকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা উইন্ডোজের মতো তেমন বেশি নয়। উইন্ডোজের জন্য সুপরিচিত বা অল্পপরিচিত অনেক টুল বা ইউটিলিটি রয়েছে, তবে এসব টুল বা ইউটিলিটি যে ম্যাক ওএসের উপযোগী থাকবে তেমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।
অবশ্য এখন এ অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। অ্যাপল সম্প্রতি তার ম্যাক ওএসে চালু করে অ্যাপ স্টোর (App Store) ধারণা। এটি সফটওয়্যারের জন্য একটি ওয়ান স্টপ শপ স্টোরের ধারণা, যা আইফোন এবং আইপ্যাডের জন্য ভালোভাবে কাজ করে। এর ফলে ম্যাক কমপিউটার ব্যবহারকারীরা তার পণ্য কেনা এবং ইনস্টলেশনের একই ধরনের সহজ সুবিধা পাবে।
তারপরও ‘ডাইড ইন দ্য উল উইন্ডোজ’ ব্যবহারকারীদের জন্য মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের প্রয়োজন হবে বারবার। এ ক্ষেত্রে রয়েছে বেশ কিছু উপায়। ইন্টেল প্রসেসরের উপরোল্লিখিত পদক্ষেপে দেখা গেছে, বুট ক্যাম্প (Boot Camp) নামের একটি সফটওয়্যার অ্যাপল ম্যাক ওএসে সংযোজন করে। এর ফলে ম্যাক কমপিউটারে উইন্ডোজ ইনস্টল করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। ফলে কমপিউটারের পাওয়ার অন করার পর ব্যবহারকারী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তার কমপিউটার উইন্ডোজে নাকি ম্যাক ওএসে চালু হবে। অর্থাৎ ওএসের বুট ক্যাম্প সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকলে ব্যবহারকারী তার পছন্দ অনুযায়ী ম্যাক ওএস বা উইন্ডোজ চালু করতে পারবেন।
বিকল্পভাবে বলা যেতে পারে, ভার্চুয়ালাইজেশন সফটওয়্যার ইনস্টল করা যেতে পারে ম্যাকে উইন্ডোজ চালানোর জন্য যা ‘inside’ Mac OS হিসেবে পরিচিত। এর অর্থ হলো Parallels Desktop নামের প্রোগ্রাম ব্যবহার করে ভার্চুয়াল পিসি তৈরি করা, যা ম্যাক ওএস প্রোগ্রাম উইন্ডোতে রান করে। এসব ক্ষেত্রের জন্য দরকার উইন্ডোজের এক কপি।
সারকথা
উইন্ডোজ রান করানো যায় ম্যাক কমপিউটারে অথবা ম্যাক ওএস প্রোগ্রাম উইন্ডোতে উইন্ডোজ রান করানো যায়। এ ধরনের কাজ অবিরতভাবে করতে চাওয়ার অর্থ হলো উইন্ডোজ পিসির বিকল্পের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যকে পরাভূত করা।
ম্যাক ওএসএক্স এবং উইন্ডোজের মধ্যে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। তা সত্ত্বেও এদের মধ্যে অনেক মিল বা সাদৃশ খুঁজে পাওয়া যায়, বিশেষ করে যখন উইন্ডোজ ৭-এর সাথে তুলনা করা হয়। উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা কোনো প্রোগ্রাম খোঁজ করতে এবং চালু করার জন্য Start-এ ক্লিক করেন। ম্যাক ওএসে এ কাজটি একইভাবে করা হয় ডেস্কটপের ওপরে Apple মেনু ব্যবহার করে।
অ্যাপল ব্যবহারকারীদের বাধ্য করা হয়েছে ‘Dock’-এর পরিবর্তে প্রোগ্রাম আইকনের কাস্টোমাইজেবল স্ট্রিপ ব্যবহার করতে, যা স্ক্রিনের নিচে রান করে। এই ধারণাটি কমবেশি অনেকটা উইন্ডোজ ৭-এর মিররের মতো। এর ফলে ব্যবহারকারী টাস্কবারে আইটেমকে ‘pin’ করতে পারেন। সুতরাং আপনি যদি উইন্ডোজ ৭-এর টাস্কবারে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন কিভাবে ম্যাক ওএসএক্সে ডক (Dock) ব্যবহার করতে হয়।
Dock-এর প্রথম আইকন হলো ‘Finder’। এই টুল পিসিতে অনেকটা উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারের মতো কাজ করে। এই টুল ব্যবহার হয় ম্যাক পিসিতে স্টোর করা ফোল্ডার এবং ফাইলগুলো উন্মোচন করতে। এটি যেমন ডিসপ্লে করে ডিস্কগুলো যেমন সিডি এবং ডিভিডি, তেমনি ডিসপ্লে করে পিসির সাথে সংযুক্ত ডিভাইসগুলো যেমন ক্যামেরা, ইউএসবি কী এবং এক্সটারনাল হার্ডডিস্ক। যদি আপনি উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন, তাহলে ফাইন্ডারে সাবলীলভাবে কাজ করতে পারবেন।
ম্যাক ওএসএক্স এবং উইন্ডোজের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটি উইন্ডোজ ব্যবহারকারীকে বিভ্রান্ত করে ব্যবহারের ক্ষেত্রে। ম্যাক ওএস অ্যাপ্লিকেশন সাধারণত প্রোগ্রাম উইন্ডোর ওপরে মেনুবার ডিসপ্লে করতো না, যা এখন উইন্ডোজে আদর্শ হিসেবে পরিণত হয়েছে।
ইদানীং সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর মধ্যেও এক প্রবণতা পরিলক্ষিত হতে দেখা যাচ্ছে। যেমন মাইক্রোসফট সম্পৃক্ত করেছে উইন্ডোজ অ্যাপ্লিকেশন থেকে মেনুবার হাইড বা অপসারণ করার সুবিধা। লক্ষণীয়, ম্যাক ও মাইক্রোসফট একে অপরের কিছু কিছু ধারণা গ্রহণ করেছে। পক্ষান্তরে ম্যাক ওএস প্রোগ্রাম স্ক্রিনের ওপরে মেনুবার ডিসপ্লে করে।
উইন্ডোজ এবং ম্যাকের মধ্যে আরেকটি পার্থক্য রয়েছে, যা উইন্ডোজ ব্যবহারকারীকে বিভ্রান্ত করতে পারে। তা হলো অ্যাপলে ডান মাউস বাটন ক্লিকের অনুপস্থিতি। কোনো দুর্ঘটনা বা অসাবধানতার কারণে এমনটি ঘটেনি। অ্যাপলের ডিজাইনতত্ত্ব পরিচালিত হয় সরলীকরণ মন্ত্রে। সুতরাং ডেস্কটপে কম বাটন থাকাটা তাদের কাছে বাঞ্ছনীয় মনে হয়েছে। যে কারণে ডান ক্লিক বাটনের অনুপস্থিতি ঘটেছে। পক্ষান্তরে উইন্ডোজ অফার করছে সহায়ক ডান মাউস বাটন ক্লিক।
যে কারণে ম্যাক থেকে সুইচ করা হয়
ম্যাক কমপিউটার যেমন সহজে ব্যবহার করা যায়, তেমনি এতে কাজ করে মজাও পাওয়া যায়। ম্যাকে রয়েছে বেশ কিছু মডেল, যেগুলোর প্রায় সবই উইন্ডোজ পিসির সাথে ম্যাচ করে।
সমতুল্য পিসি হার্ডওয়্যারের দামের চেয়ে আপতদৃষ্টিতে ম্যাকের দাম যথেষ্ট বেশি। অ্যাপল কোম্পানির মূল বৈশিষ্ট্য হলো উন্নত মান এবং চমৎকার ডিজাইন। ডিজাইন এবং মানের বিষয়ে কোনো অবস্থাতে অ্যাপল আপোস করেনি, যা ইদানীংকার ম্যাক রেঞ্জের সব ক্ষেত্রে অব্যাহত রয়েছে।
সুতরাং উইন্ডোজ পিসি থেকে ম্যাক পিসিতে সুইচ করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না উচ্চমূল্যের কারণে এবং তা ছাড়া এক প্লাটফরম থেকে আরেক প্লাটফরমে স্থানান্তর তথা শিফট হওয়াটাও সমস্যামুক্ত নয়। উদাহরণস্বরূপ, উইন্ডোজ পিসির তুলনায় ম্যাক ওএসের সফটওয়্যারের মার্কেট অনেক ছোট এবং আপনার বিদ্যমান উইন্ডোজ অ্যাপ্লিকেশন ম্যাক ওএসের সাথে যথাযথভাবে কাজ নাও করতে পারে। যদিও কয়েকভাবে উইন্ডোজকে ম্যাকে রান করানো যায়, যা ইতোমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে।
অ্যাপল ম্যাক হলো আকর্ষণীয় কমপিউটার এবং উইন্ডোজ যা যা করতে পারে ম্যাক তা হ্যান্ডেল করতে পারে। অবশ্য উইন্ডোজের কমপিউটিংয়ের কাজের ধারার সাথে ম্যাক ওএসের কাজের ধারায় কিছুটা ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।
ম্যাক ওএস সিকিউরিটি
প্রায় সব ধরনের ব্যবহারকারীর মনে এক ধরনের অর্থহীন ভুল ধারণা এমন দৃঢ়ভাবে চালু আছে যে অ্যাপল ম্যাক কমপিউটারে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়া অসম্ভব। আসলে তা নয়। বাস্তবতা হলো, ম্যাক ওএস প্লাটফরম ব্যবহারকারীর সংখ্যা উইন্ডোজ ব্যবহারকারীর চেয়ে অনেক কম। আর ভাইরাস প্রোগ্রাম রচয়িতার লক্ষ্য হলো গতানুগতিক এবং বিপুলসংখ্যক উইন্ডোজ ব্যবহারকারী। তাই স্বাভাবিকভাবে অ্যাপলের ম্যাক ওএস কম ভাইরাস আক্রান্ত হয়, কেননা অ্যাপলের ব্যবহারকারী কম থাকায় ভাইরাস রচয়িতার টার্গেটও এ ক্ষেত্রে কম পরিলক্ষিত হয়।
কিছুদিন আগেও যেহেতু ভাইরাস রচয়িতাদের মূল লক্ষ্য ছিল শুধু উইন্ডোজ, তাই আন প্রোটেক্টেড ম্যাক অর্থাৎ নিরাপদ বেষ্টনীর বাইরে ম্যাকের জন্য তেমন কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যেত না ব্যবহারকারীর মধ্যে। অথচ সে ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ছাড়া উইন্ডোজ পিসির কথা ভাবাই যায় না। অবশ্য এখন এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে অর্থাৎ অ্যাপল কমপিউটারও এখন ব্যাপকভাবে ভাইরাস আক্রান্ত হচ্ছে। তাই অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার প্রস্ত্ততকারকরা ইদানীং ম্যাক ওএসের উপযোগী অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম তৈরি করতে শুরু করেছেন। যেমন : ক্যাসপারস্কি, নর্টন, অ্যাভাস্ট, সোফস ইত্যাদি কোম্পানি ম্যাক উপযোগী অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম তৈরি করছে।
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : swapan52002@yahoo.com