লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
মো: জাবেদ মোর্শেদ চৌধুরী
মোট লেখা:২৫
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৩ - সেপ্টেম্বর
ওয়েব ব্রাউজার নিরাপদ রাখুন
এ লেখা আপনাকে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে সাহায্য করবে। বাসায় যারা কমপিউটার ব্যবহার করছেন, যারা ছাত্র, ছোট ছোট ব্যবসায় পরিচালনা করছেন বা যারা সীমিত আকারে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন, তাদের জন্য এ লেখা বেশ সহায়ত দেবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়ে বা কোনো পলিসি তৈরি করার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সহায়ক হবে এ লেখা।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার যেভাবে নিরাপদ রাখা যায়
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারকে নিরাপদ রাখতে নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।
ধাপ-১ : ট্রাস্টেড সিকিউরিটি জোনের সাইটগুলো এমন নিরাপদ জায়গা, যেখানে নিশ্চিন্তে ভিজিট করা যায়। এ সাইটগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, এগুলোর মধ্যে ক্ষতিকর কোনো কনটেন্ট নেই। এসব জোন থেকে সাইট সংযুক্ত বা বাদ দিতে চাইলে সাইটস লেখা বাটনে ক্লিক করতে হবে। এর ফলে একটি সেকেন্ডারি উইন্ডো খুলবে, যেখানে বিশ্বস্ত সাইটগুলোর তালিকা থাকবে, যেখান থেকে আপনার পছন্দ মতো সাইট সংযুক্ত বা বাদ দিতে পারবেন। আপনার এটাও প্রয়োজন হতে পারে যে, শুধু প্রত্যায়িত সাইটগুলো (এইচটিটিপিএস) এই জোনে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। এ বিষয়টি ভিজিট করা সাইটগুলোকে সন্দেহাতীতভাবে নিরাপদ করবে।
ট্রাস্টেড সাইটস জোনের জন্য মিডিয়াম-হাই মানের নিরাপত্তা সেটিং নির্ধারণ করা দরকার (ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৬ বা তারও পুরনো ভার্সনের জন্য মিডিয়াম মানের নিরাপত্তা সেটিং নির্দিষ্ট করা যেতে পারে)। যখন ইন্টারনেট জোন হাই সেট করা হয়, তখন এক বা একাধিক নিরাপত্তা সেটিংয়ের কারণে অনেক সাইট ঠিকমতো কাজ নাও করতে পারে। আপনি যদি নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করেন, কোনো একটি নির্দিষ্ট সাইটে ক্ষতিকর কোনো কনটেন্ট নেই, তখন এটিকে আপনার ট্রাস্টেড জোনে সংযুক্ত করতে পারেন। আর যখনই সাইটটিকে আপনার ট্রাস্টেড জোনে অন্তর্ভুক্ত করবেন, তখনই ওই সাইটের জন্য অ্যাকটিভ-এক্স এবং অ্যাকটিভ-স্ক্রিপ্টিংয়ের মতো ফিচারগুলো সক্রিয় হয়ে যাবে। এ ধরনের নিরাপত্তা সেটিংয়ের সুবিধা হলো, বাই ডিফল্ট ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার অধিকতর নিরাপদ এবং অতিরিক্ত ফাংশনালিটি অর্জন করার জন্য সাইটগুলো ট্রাস্টেড জোনে সাদা তালিকাভুক্ত হবে।
ধাপ-২ : প্রাইভেসি ট্যাবে কোকিজের কনটেন্ট থাকে। যখন সরাসরি বা অন্য কোনো সাইটের (যেমন অ্যাড ব্যানারের কথা বলা যেতে পারে) মাধ্যমে কোনো সাইট ভিজিট করেন, তখন কমপিউটারে সাইটগুলো টেক্সট ফাইল হিসেবে কোকিজ রেখে দেয়। কোকিজ ইচ্ছে মতো যেকোনো ডাটা কমপিউটারে রেখে দিতে পারে। এ কোকিজ প্রায়ই আপনার কমপিউটার ট্র্যাক করার জন্য ব্যবহার হয়। এ ক্ষেত্রে ভালো হয় অ্যাডভান্স বাটন সিলেক্ট করে ‘ওভাররাইট অটোমেটিক কোকি হ্যান্ডলিং’ সিলেক্ট করা। তারপর প্রম্পট সিলেক্ট করা। এটা করতে হবে প্রথম পক্ষ এবং তৃতীয় পক্ষ বা উভয় পক্ষের ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে। এটি প্রতিক্ষেত্রে আপনাকে তৎক্ষণাৎ জানিয়ে দেবে, যখন কোন সাইট আপনার কমপিউটারে কোকিজ রাখতে যাবে। যদি প্রতিক্ষেত্রে কোকি স্থাপনের অনুমতি গ্রহণের বিষয়টি বিরক্তিকর মনে হয়, তাহলে ‘অলওয়েজ অ্যালাউ সেশন কোকি’ অপশনটি এনাবল করা যেতে পারে। এর ফলে অস্থায়ী কোকিজ ব্যবহারকারীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই সিস্টেমে অনুমোদিত হবে। মনে রাখতে হবে, সেশন কোকিজ স্থায়ী কোকিজের চেয়ে অনেক কম ঝুঁকিপূর্ণ। এর ফলে আপনি মূল সাইটটিকে মূল্যায়ন করতে পারবেন ভবিষ্যতে ওই সাইটের কোকিজ গ্রহণ করবেন নাকি প্রত্যাখ্যান করবেন। উদাহরনস্বরূপ, যখন একটি সাইটে ভিজিট করার সাথে সাথে বিজ্ঞাপনের ডোমেইন থেকে কোকি রাখতে চায়, তখন ওই সাইটের কোকিজকে আপনার কমপিউটারে স্থাপন করা আটকাতে ‘ব্লক কোকি’ অপশনটি চালু করা যেতে পারে।
‘সাইটস’ বাটন সিলেক্ট করার মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট সাইটের কোকিজ ম্যানেজ করা যেতে পারে। আপনি ইচ্ছে করলে সাইটগুলো সংযুক্ত করতে পারেন বা সংযুক্ত সাইট বাদও দিতে পারেন। ইতোমধ্যে বিদ্যমান কোনো সাইটের সেটিং আপনি পরিবর্তন করতে পারেন। এ উইন্ডোর নিচের সেকশন ওই নির্দিষ্ট সাইটের ডোমেইন নির্ধারণ করবে এবং কী ব্যবস্থা নেবে তাও নির্দিষ্ট করবে, যখন ওই সাইট আপনার কমপিউটারে কোকি রাখতে চাইবে। এ উইন্ডোর ওপরের অংশ ব্যবহার করে এ সেটিং পরিবর্তন করতে পারেন।
সাইট কোকি সেট করার সময় কোনো সতর্ক বার্তা পেতে না চাইলে ইন্টারনেট এক্সপেস্নারারের প্রি-সেট প্রাইভেসি নিয়ম ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ডিফল্ট বাটন ক্লিক করুন এবং স্লাইডারকে হাইয়ে সেট করুন। তবে মনে রাখতে হবে, এই হাই সেটিংয়ের কারণে কোনো কোনো ওয়েবসাইট ঠিক মতো কাজ নাও করতে পারে। এ ক্ষেত্রে সাইটটিকে এমন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন, যেখানে কোকি অনুমোদিত, যা ওপরে বর্ণনা করা হয়েছে।
ধাপ-৩ : অ্যাডভান্সড ট্যাব এমন সব সেটিং ধারণ করে, যেগুলো সব নিরাপত্তা জোনে কাজ করে। থার্ড পার্টি ব্রাউজার এক্সটেনশন অপশনকে নিষ্ক্রিয় করায় ভালো হতে পারে। এ অপশনটির মধ্যে টুল বার এবং ব্রাউজার হেলপার অবজেক্ট অন্তর্ভুক্ত থাকে। মনে রাখতে হবে, কোনো অ্যাড- অনস উপকারী মনে হলেও তা আপনার প্রাইভেসিও ভেঙে ফেলতে সক্ষম। যেমন, ব্রাউজারের অ্যাড-অনস আপনার ওয়েব ব্রাউজিং অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করতে পারে, এমনকি ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ওয়েবপেজের কনটেন্ট পর্যন্ত পরিবর্তন করতে পারে।
ধাপ-৪ : ইন্টারন্যাশনাল ডোমেইন নেমের (আইডিএন) অপব্যবহার হতে পারে। এর ফলে সব ওয়েবপেজ ঠিকানা ধাপ্পা দেয়ার অনুমোদন করতে পারে। এর ফলে ফিশিং (পাসওয়ার্ড, ইউজার নেম, ক্রেডিট কার্ড ডিটেলস ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা) আক্রমণ আরও সহজ হয়েছে। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে আইডিএন ধাপ্পাবাজি থেকে রক্ষা করতে অলওয়েজ শো এনকোডেড অ্যাড্রেসেস অপশন এনাবল করতে হবে। এর ফলে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে আইডিএন অ্যাড্রেসেস সব সময় এনকোডেড ফর্মে বার এবং স্ট্যাটাস বারে প্রদর্শিত হবে। আর এভাবেই দৃশ্যত একই ধরনের দেখতে ঠিকানাগুলোকে ধাপ্পা দেয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে।
ধাপ-৫ : প্লে সাউন্ডস ইন ওয়েবপেজেস অপশনটি ডিজা্যবল করা উচিত। এ অপশনটি ওয়েবপেজ কনটেন্টের অখ- অংশ নয়, বিপরীতে এটি অতিরিক্ত ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে, যেহেতু এটি ব্রাউজার প্রসেসে অতিরিক্ত অবিশ্বস্ত ডাটা ধারণ করে। এ অপশনটি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে সাউন্ড সহজাত ব্যবস্থাপনার কাজে লাগে। এটি অ্যাডোবি ফ্ল্যাশ বা অ্যাপল কুইক টাইমের মতো সফটওয়্যারের সাথে ইন্টারফেয়ার করে না।
ধাপ-৬ : প্রোগ্রাম ট্যাব অপশনটি ব্যবহার করে ওয়েবসাইট ভিজিট করা, ই-মেইল ম্যাসেজ এবং অন্যান্য নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ডিফল্ট অ্যাপ্লিকেশন নির্দিষ্ট করা যেতে পারে। ‘এই ব্রাউজারটি ডিফল্ট হিসেবে ব্যবহার করতে চান কি না’ ইন্টারনেট এক্সপেস্নারারের এ ধরনের বারবার জিজ্ঞাসা করার বিষয়টি ডিজ্যাবল করা যেতে পারে।
মজিলা ফায়ারফক্স যেভাবে নিরাপদ রাখা যায়
মজিলা ফায়ারফক্স ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ফিচারের মতোই অসংখ্য ফিচার সাপোর্ট করে। ব্যতিক্রম শুধু অ্যাকটিভ এক্স এবং নিরাপদ জোন মডেল। মজিলা ফায়ারফক্সের প্রাথমিক সাপোর্ট সিস্টেম হলো কনফিগারেবল সিকিউরিটি পলিসি (সিএসপি), যা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের নিরাপত্তা জোন মডেলের প্রায় অনুরূপ। যদিও এ অপশনগুলো সেটিংয়ের জন্য। এখানে কোনো গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস নেই। দুটি মডেলের এক্সপ্রেশনগুলোর পার্থক্য বোঝার জন্য ইন্টারনেট এক্সপেস্নারারের হেল্প ট্যাব দেখা যেতে পারে।
মজিলা ফায়ারফক্সের বিভিন্ন ফিচার ডিজ্যাবল করার ধাপ
মনে রাখতে হবে, বিভিন্ন ভার্সনে কিছু মেনু অপশন পরিবর্তন হতে পারে অথবা হোস্ট অপারেটিং সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করে অপশনগুলো ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় অবস্থান করতে পারে। এ কারণে আপনাকে যথাযথভাবে নিমণলিখিত ধাপগুলো অনুধাবন করতে হবে।
ধাপ-১ : মজিলা ফায়ারফক্সের সেটিংগুলো এডিট করতে চাইলে প্রথমে টুল, তারপর অপশন সিলেক্ট করতে হবে। এরপর একটি অপশন উইন্ডো দেখতে পাবেন, যেখানে সবচেয়ে ওপরে ক্যাটাগরির একটি সারি এবং নিচে এদের সংশ্লিষ্ট ফিচারগুলো দেখা যাবে।
জেনারেল ক্যাটাগরি : এ ক্যাটাগরির মাধ্যমে ফায়ারফক্সকে ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে সেট করা যায়। এখানে আরও অপশন যেমন- অলওয়েজ আস্ক মি হোয়্যার টু সেভ ফাইলস সিলেক্ট করা যায়। এই ফাংশন সিলেক্ট করলে কোনো একটি ওয়েবপেজ ফাইল কমপিউটারে সেভ করতে যাবে, তা কোথায় সেভ হবে স্পষ্টভাবে জানা যাবে।
প্রাইভেসি ক্যাটাগরি : প্রাইভেসি ক্যাটাগরিতে ব্রাউজার হিস্ট্রি এবং কোকিজের অপশনগুলো পাওয়া যাবে। হিস্ট্রি সেকশনে রিমেম্বার হোয়াইট আই এন্টার ইন ফরমস অ্যান্ড দ্য সার্স বার অপশনটি ডিজ্যাবল করা যায়। এর ফলে যদি ব্রাউজার এ অপশনটি মনে রাখে, তবে এটি হবে প্রাইভেসি ভায়োলেশন, বিশেষ করে ব্রাউজারটি যদি শেয়ারড এনভায়রনমেন্টে ব্যবহার হয়। এখানে ভিজিটেড পেজ এবং ডাউনলোড হিস্ট্রিও ডিজ্যাবল করা যায়।
কোকি সেকশনে আস্ক মি এভরি টাইম সিলেক্ট করা যায়। এর ফলে যখন একটি ওয়েবসাইট কোনো কোকি কমপিউটারে সেভ করতে যাবে, তা স্পষ্টভাবে জানা যাবে। যখন ব্যবহারকারী সাইটটি ভিজিট করতে যাবেন, তখন কোকির কনটেন্টগুলো দেখা যাবে এবং ব্যবহারকারী কোকি স্থাপন বাতিল, অনুমোদন বা শুধু ওই সেশনের জন্য অনুমোদন দিতে পারবেন। এটি ব্যবহারকারীকে কোন সাইট কোকি ব্যবহার করছে সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেবে। এটি ব্যবহারকারীকে কোকিজ কন্ট্রোলের ক্ষমতা দেবে, যেহেতু কোকিজ এনাবলের বিষয়টি সাধারণত বিরোধিতা করা হয়। ইউজ মাই চয়েজ ফর অল কোকিস ফ্রম দিস সাইট সিলেক্ট করলে ব্রাউজার বিষয়টি মনে রাখবে। ফলে যখনই ওই সাইটটি ব্রাউজ করতে যাবেন, তখন তা আপনাকে বারবার জানিয়ে দেয়ার মতো বিরক্তিকর বিষয়টির প্রয়োজন পড়বে না। অ্যালাউ ফর সেশন সিলেক্ট করলে ব্রাউজার রিস্টার্ট করার সাথে সাথে কোকিজ স্পষ্ট হয়ে যাবে। যদি কোনো কোকি বারবার ব্যবহারকারীর অনুমোদন চায়, তাহলে কিপ আনটিল : আই ক্লোজ ফায়ারফক্স অপশনটি সিলেক্ট করা যেতে পারে। এর ফলে ওয়েবসাইটগুলোতে স্থায়ী কোকিজ সেট করতে বাধা দেবে।
সিকিউরিটি ক্যাটাগরি : অনেক ওয়েব ব্রাউজার লগ-ইন তথ্য জমা রাখার প্রসত্মাব দিয়ে থাকে, যা গ্রহণ করা উচিত নয়। এ প্রসত্মাব গ্রহণ করতে চাইলে পাসওয়ার্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রটেক্ট করার মতো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আপনার কমপিউটারে আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে। সিকিউরিটি ক্যাটাগরির পাসওয়ার্ড সেকশনে সংরক্ষিত তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিভিন্ন অপশন আছে, মাস্টার পাসওয়ার্ড এই অপশনটি সিস্টেমে ডাটা এনক্রিপ্ট করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি মজিলা ফায়ারফক্সকে আপনার লগইন তথ্য ব্যবস্থাপনার অনুমতি দেন, তবে এই অপশনটি ব্যবহার করতে পারেন।
ওয়ার্ন মি হোয়েন সাইটস ট্রাই টু ইনস্টল অ্যাড-অন সিলেক্ট করলে ওপরে একটি ওয়ার্নিং বার দেখা যাবে, যখন কোনো ওয়েবসাইট এ কাজটি করতে যাবে।
কনটেন্ট ক্যাটাগরি : কনটেন্ট ক্যাটাগরিতে এনাবল জাভা নামে একটি অপশন আছে। জাভা হলো এমন একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, যা আপনার কমপিউটারে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালাতে ওয়েবসাইট ডিজাইনারকে সহায়তা করে। একান্ত বিশ্বস্ত কোনো ওয়েবসাইট না হলে এ অপশনকে ডিজ্যাবল করে রাখাই ভালো। বিশ্বস্ত কোনো সাইটটে একান্তই যদি জাভা প্রয়োজন পড়ে, তবে ব্যবহারের পরপরই তা ডিজ্যাবল করা ভালো যতক্ষণ না আবার জাভার প্রয়োজন পড়ে। অ্যাডভান্স বাটন প্রেস করলে নির্দিষ্ট জাভা ডিজ্যাবল হবে। এই ডায়ালগ বক্সে যতগুলো অপশন আছে, তার সবই ডিজ্যাবল করে রাখা ভালো।
কনটেন্ট সেকশনে আরও একটি অপশন আছে, যা দিয়ে ফাইল ডাউনলোড অবস্থায় কোনো কাজকে মডিফাই করা যায়। যেকোনো সময় ডাউনলোড করা সংশ্লিষ্ট ফাইলের সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ফাইল টাইপ কনফিগারড হয়ে যেতে পারে, যা ব্রাউজারকে আরও বিপজ্জনক করে তোলে। এই সংশ্লিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনের ঝুঁকিগুলো খুব সহজেই মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে, যদি এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওপেন হওয়ার মতো করে কনফিগারড করা থাকে। ম্যানেজ বাটনে ক্লিক করে ডাউনলোড সংক্রান্ত বর্তমান সেটিং দেখা যেতে পারে এবং প্রয়োজনে তা বদলানো যেতে পারে। যখন ব্রাউজার এ ধরনের কোনো ফাইল দেখবে, তখন ডাইনলোড অ্যাকশনস ডায়ালগ বক্সটি ফাইল টাইপ এবং বর্তমানের অ্যাকশন গ্রহণের কনফিগারেশন দেখাবে। কমপিউটারে এ ধরনের ফাইল টাইপ সেভ করার ক্ষেত্রে রিমোভ অ্যাকশন বা চেঞ্জ অ্যাকশন সিলেক্ট করতে হবে। আর এভাবে এ ধরনের সংশ্লিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন চালু করার জন্য অতিরিক্ত অ্যাকশনের প্রয়োজন পড়বে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওপেন হওয়া অ্যাপিস্নকেশনগুলোয় লুকানো ঝুঁকি থেকে সিস্টেমকে রক্ষা করতে পারে।
ফায়ারফক্স ১.৫ এবং তার পরের ভার্সনগুলোতে ক্লিয়ার প্রাইভেট ডাটা নামে একটি ফিচার আছে। এ অপশনটি অত্যন্ত গুরম্নত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ব্রাউজার থেকে রিমোভ করে থাকে। এ প্রাইভেসি ফিচারটি ব্যবহার করতে হলে টুল মেুন থেকে ক্লিয়ার প্রাইভেট ডাটা সিলেক্ট করতে হবে।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের মতো মজিলা ফায়ারফক্সে যেহেতু সিকিউরিটি জোনস সহজে কনফিগার করা যায় না, সেহেতু এটিতে প্রতি সাইটভিত্তিতে কনফিগার করা খুবই কঠিন। উদাহরণস্বরূপ, কোনো ব্যবহারকারী একটি সাইটে জাভাস্ক্রিপ্ট এনাবল করার ইচ্ছা করতে পারে, যা আবার অন্য সাইটগুলোর জন্য ডিজ্যাবল হতে হবে। এ ধরনের ফাংশনালিটি অ্যাড-অনস, যেমন নোস্ক্রিপ্টের মাধ্যমে ফায়ারফক্সে সংযুক্ত করা যেতে পারে।
নোস্ক্রিপ্ট ইনস্টলের মাধ্যমে বাই ডিফল্ট হিসেবে জাভাস্ক্রিপ্ট ডিজ্যাবল করা থাকবে। এই নোস্ক্রিপ্ট আইকন মেনু ব্যবহার করে কোনো ওয়েবসাইটের স্ক্রিপ্ট এনাবল করা যেতে পারে। এ স্ক্রিপ্টগুলো স্থায়ী বা অস্থায়ীভিত্তিতে অনুমোদন করা যেতে পারে। যদি টেম্পোরালি অ্যালাউ সিলেক্ট করা হয়, তাহলে ব্রাউজার বন্ধ না করা পর্যন্ত স্ক্রিপ্টগুলো স্থায়ী হবে।
যেহেতু বহু ওয়েব ব্রাউজারের ঝুঁকি স্ক্রিপ্টিংয়ের ওপর নির্ভরশীল, তাই ব্রাউজারকে বাই ডিফল্ট স্ক্রিপ্টিং ডিজ্যাবল হিসেবে কনফিগার করা হলে আক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও অধিকতর বর্ধিত করতে চাইলে নোস্ক্রিপ্টকে এমনভাবে কনফিগার করা যায়, জাভা, ফ্ল্যাশসহ অন্যান্য প্লাগ-ইনকে বাই ডিফল্ট ব্লক করা থাকবে। এটি প্লাগ-ইন টেকনোলজিকে মিটিগেট করতে সাহায্য করবে। নোস্ক্রিপ্ট এই এলিমেন্টগুলোকে প্লেসহোল্ডার আইকনের মাধ্যম প্রতিস্থাপন করে থাকে, যা ক্লিক করলেই এই এলিমেন্টগুলোকে এনাবল করা যাবে। প্রথমে নোস্ক্রিপ্ট আইকনে ক্লিক করে অপশনে ক্লিক করলে নোস্ক্রিপ্ট কনফিগারেশন স্ক্রিন দেখা যাবে।
এছাড়া অভ্যন্তরীণভাবে কোনো সাইট যদি ম্যালিসাস সাইট হয়ে থাকে এবং ব্যবহারকারীর অজ্ঞাতে কোনো বিশ্বস্ত সাইটও যদি অতিরিক্ত কিছু ফিচারের বিনিময়ে এ ম্যালিসাস সাইটের সাথে ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ে সমঝোতা করে থাকে, তাহলে সিস্টেমটি অনাকাঙ্ক্ষিত আক্রমণের শিকার হতে পারে। আর এ কারণেই বিশ্বস্ত সাইটগুলোর ক্ষেত্রেও অ্যাপ্লাই দিজ রেস্ট্রিকশন টু ট্রাস্টেড সাইটস টু অপশনটি এনাবল করা উচিত। যদি এই ব্যবস্থা খুব রক্ষণশীল মনে হয়, তাহলে কিছুটা ঝুঁকির বিনিময়ে এটি বন্ধ রাখা যেতে পারে।
ফিডব্যাক : jabedmorshed@yahoo.com