লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
তথ্যসূত্র:
সফটওয়্যারের কারুকাজ
সফটওয়্যারের কারুকাজ
কোনো কিছু ইনস্টল করা
ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার জন্য বেশিরভাগ মোবাইল প্লাটফরম বৈধ সোর্স থেকে কোনো কিছু ইনস্টল করে অনুমোদন করে। উইন্ডোজ ৮-এর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি একই। উইন্ডোজ ৮ ব্যবহারকারীদেরকে শুধু ওইসব অ্যাপ ইনস্টল করতে দেবে, যেগুলো ডিজিটালভাবে সাইন করা অর্থাৎ উইন্ডোজ স্টোরের ফাইল। তারপরও যদি কখনও কোনো ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে যতক্ষণ পর্যন্ত না এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো বৈধ সোর্স থেকে সফটওয়্যার রান করানোর জন্য সিস্টেমকে কনফিগার করতে পারেন। আর এ কাজটি করতে পারেন ভায়া কোনো সিঙ্গেল রেজিস্ট্রি কী দিয়ে।
এ জন্য REGEDIT চালু করুন এবং রেজিস্ট্রি কী HKEY_LOCAL_MACHINE\Software\ Policies\Microsoft\Windows\Appx\AllowTrustApps-এর ভ্যালুকে ১-এ সেট করুন।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ টুল প্রদর্শন করা
অভিজ্ঞ উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা কেনো অ্যাডভ্যান্স অ্যাপলেটে প্রচুর সময় কাটান অথবা আবার কিছু ব্যবহারকারী আছেন, যারা খুব বিরক্ত তাদের প্রিয় টুলগুলো উইন্ডোজ ৮-এর গভীরে হিডেন থাকায়। উইন্ডোজ তার ব্যবহারকারীদের প্রতি খুব যত্নশীল।
আমরা জানি, Win+X চাপলে প্রচুর টেকনিক্যাল টুলসহ একটি মেনু চালু হয়, যেমন ‘Device Manager’, ‘Network Connection’, ‘Computer Management’সহ কিছু টুল।
যদি আরও বেশি ক্ষমতার দরকার হয়, তাহলে চার্ম বার ওপেন করুন স্ক্রিনের ডান দিকে আঙ্গুল দিয়ে ফ্লিক করে এবং সিলেক্ট করুন Settings। এরপর সিলেক্ট করুন Tiles। ‘Show administrative tools’-কে পরিবর্তন করুন ‘Yes’-এ এবং স্টার্ট স্ক্রিনের খালি জায়গায় আবার ক্লিক করুন। এবার ডান দিকে স্ক্রল করলে বিভিন্ন অ্যাপলেট কী-এর একটি নতুন টাইলের হোস্ট খুঁজে পাবেন, যেমন Performance Monitor, Event Viewer, Task Scheduler, Resource Monitorসহ অনেক টুলে এক ক্লিকে অ্যাক্সেস করার জন্য প্রস্ত্তত থাকে।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে অ্যাক্সেস করা
কিছু প্রোগ্রাম আছে যেগুলো যথাযথভাবে কার্যকর করানোর আগে দরকার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ক্ষমতাসহ রান করার। পিন করা স্টার্ট স্ক্রিন অ্যাপের জন্য পুরনো কনটেক্সট মেনু যথাযথ নয়। তবে একটিতে ডান ক্লিক করুন, যদি এটি এই অ্যাপের জন্য যথাযথ হয়ে থাকে। আপনি দেখতে পারবেন Run As Administrator অপশন।
আবুল কালাম আজাদ
দÿÿণ মুগদা, ঢাকা
স্টার্ট মেনু থেকে ইন্টারনেট সার্চ করা
এখানে উল্লিখিত টিপটি নির্ভর করছে গ্রম্নপ পলিসি এডিটরের ওপর, যা উইন্ডোজের কোনো কোনো ভার্সনে কার্যকর নয়। এ টিপটি উইন্ডোজ ৭-এর হোম প্রিমিয়াম, স্টার্টার বা হোম বেসিক এডিশনে কাজ করবে না।
স্টার্ট মেনু থেকে ইন্টারনেট সার্চ এনাবল করা
আপনার পিসিজুড়ে সার্চ করার সহজতম উপায় হলো Start Menu-র সার্চ বক্স। এ ফিচারকে সক্রিয় করার জন্য নিচে বর্ণিত ধাপগুলো সম্পন্ন করতে হবে :
স্টার্ট মেনুর সার্চ বক্সে টাইপ করুন GPEDIT.MSC এবং এন্টার চাপুন গ্রম্নপ পলিসি এডিটর চালু করার বন্য।
User Configuration®Administrative Templates®Start Menu-এ গিয়ে Taskbar-এ যান।
‘Add Search Internet link to Start Menu’-এ ডাবল ক্লিক করুন। এরপর পরবর্তী সময়ে আবির্ভূত হওয়া স্ক্রিনে Enabled সিলেক্ট করে Ok-তে ক্লিক করুন এবং গ্রম্নপ পলিসি এডিটর বন্ধ করুন।
এরপর যখনই স্টার্ট মেনুর সার্চ বক্সে সার্চ টার্ম টাইপ করবেন, তখন ‘Search the Internet’ লিঙ্ক আবির্ভূত হবে। এবার আপনার ডিফল্ট ব্রাউজারে সার্চ কার্যকর করার জন্য লিঙ্কে ক্লিক করুন।
স্ক্রিন ক্যালিব্রেট করা
আপনি স্ক্রিনে যে কালার দেখতে পান তা নির্ভর করে মনিটর, গ্রাফিক্স কার্ড সেটিং, লাইটেনিংসহ বেশ কিছু বিষয়ের ওপর। তবে বেশিরভাগ সাধারণ ব্যবহারকারী একই ডিফল্ট উইন্ডোজ কালার প্রোফাইল ব্যবহার করে থাকেন।
সৌভাগ্যবশত উইন্ডোজ ৭-এ এখন যুক্ত করা হয়েছে Colour Calibration Wizard ফিচার, যা আপনাকে সহায়তা করবে যথাযথভাবে ব্রাইটনেস, কন্ট্রাস্ট এবং কালার সেটিংয়ে। ClearType টিউনার নিশ্চিত করবে যে টেক্সট দেখা যাবে কেতাদুরস্ত এবং শার্প। এজন্য Start-এ ক্লিক করে DCCW টাইপ করে এন্টার চাপুন।
নেটওয়ার্ক সাপোর্ট যুক্ত করা
বাইডিফল্ট উইন্ডোজ লাইভ মুভিমেকার (Windows Live MovieMaker) ব্যবহারকারীদেরকে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ফাইল ইম্পোর্ট করতে দেয় না। তবে রেজিস্ট্রি টোয়েকের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তা খুব সহজেই পরিবর্তন করতে পারবেন। এজন্য REGEDIT রান করে ব্রাউজ করুন HKEY_CURRENT_USER\Software\Microsoft\Windows Live\Movie Maker রেজিস্টি কী-তে। এবার যুক্ত করুন DWORD ভ্যালু, যা AllowNetorkFiles হিসেবে পরিচিত। এই ভ্যালুকে ১ হিসেবে সেট করুন নেটওয়ার্ক সাপোর্ট যুক্ত করার জন্য।
এক্সপি মোড সক্রিয় করা
সম্প্রতি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এক্সপির সিকিউরিটি সাপোর্ট প্রত্যাহার করে নেয়ার পরও এক্সপি উইন্ডোজ ঘরানার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবহারকারী। তাই কখনও কখনও উইন্ডোজ ৭ ব্যবহারকারীদেরকে এক্সপি মোড সক্রিয় করতে হয়।
ধরুন, আপনি একটি পুরনো অথচ গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার পেলেন, যা উইন্ডোজ ৭-এ রান করে না। এ ক্ষেত্রে আপনি এক্সপি মোড, এক্সপির ভার্চুয়াল কপি ব্যবহার করে চেষ্টা করেত পারেন, যা উইন্ডোজ ৭-এর ডেস্কটপে একটি উইন্ডোতে রান করবে। এটি শুধু উইন্ডোজ ৭ প্রফেশনাল, এন্টারপ্রাইজ বা আল্টিমেট ভার্সনে কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে আপনার সিস্টেমে বিল্টইন হার্ডওয়্যার ভার্চুয়ালাইজেশন (AMD-V বা IntelVT) সক্রিয় থাকা দরকার। এবার নিশ্চিত হওয়ার জন্য বায়োস চেক করে দেখুন।
এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন VirtualBox নামের এক ফ্রি ভার্চুয়ালাইজেশন টুল, যা হার্ডওয়্যার সাপোর্টের জন্য প্ররোচিত করে না। তবে এ ক্ষেত্রে আপনাকে ভার্চুয়াল মেশিনের জন্য ব্যবহার করতে হবে এক্সপির লাইসেন্স কপি।
সালমা ফেরদৌস বীথি
বহদ্দারহাট, চট্টগ্রাম
নতুন ফোল্ডারের শর্টকাট তৈরি করা
উইন্ডোজ ৭ এক্সপেস্নারারে যখনই নতুন কোনো ফোল্ডারের প্রয়োজন হবে, তখন তা খুব সহজেই তৈরি করতে পাবেন মাউস ব্যবহার না করেই। অ্যাক্টিভ এক্সপেস্নারার উইন্ডোতে নতুন ফোল্ডার তৈরি করার জন্য Ctrl+Shift+N চাপুন এবং স্বাভাবিকভাবে এর নাম দিন।
পিসি রিপেয়ার করা
যদি উইন্ডোজ ৭ স্টার্ট না হয়, তাহলে আপনার দরকার হবে না ইনস্টলেশন বা রিপেয়ার ডিস্কের, যেহেতু রিপেয়ার এনভায়রনমেন্ট এখন হার্ডডিস্কে ইনস্টল অবস্থায় থাকে। এজন্য পিসি স্টার্ট করার সাথে সাথে ঋ৮ চাপতে হবে। এরপর যদি আপনি দেখতে পান Repair Your Computer অপশন, তাহলে বেছে নিন উইন্ডোজ ৭-এর রিকোভারি টুলের সম্পূর্ণ রেঞ্জ দেখার জন্য।
আশরাফ উদ্দিন
চাষাঢ়া, নারায়ণগঞ্জ