হোম > দেশী ব্র্যান্ডের স্মার্ট নোটবুকের যাত্রা শুরু
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৪ - আগস্ট
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ল্যাপটপ
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
দেশী ব্র্যান্ডের স্মার্ট নোটবুকের যাত্রা শুরু
দেশের অন্যতম বৃহত্তম আইটি পণ্য পরিবেশক প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লি. এবার বাজারে নিয়ে এসেছে নিজস্ব ব্র্যান্ডের স্মার্ট নোটবুক। গত ২০ জুলাই রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত ‘স্মার্ট নোটবুক গ্র্যান্ড লঞ্চিং সিরিমনি’র মাধ্যমে একই স্পেসিফিকেশনে দুটি মডেলের (ড৩১০ঈত্ ড৩১১ঈত) ল্যাপটপ বাজারে ছেড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইন্টেল সেলেরন ১০৩৭ইউ মডেলের প্রসেসরসম্পন্ন এ ল্যাপটপগুলোতে রয়েছে ১১.৬ ইঞ্চি এলইডি ডিসপ্লে, ৫০০ জিবি সাটা হার্ডড্রাইভ, ২ জিবি ডিডিআরথ্রি র্যাম, ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্স কার্ড, মাল্টি জেসচার ও স্ক্রলিং ফাংশন সমৃদ্ধ টাচপ্যাড এবং অন্যান্য ফিচার। এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ ল্যাপটপগুলোর দাম নির্ধারিত হয়েছে ২৩ হাজার টাকা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লি.-এর বিক্রয় মহাব্যবস্থাপক জাফর আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির উপ-মহাব্যবস্থাপক ও ল্যাপটপ বিভাগের প্রধান মুজাহিদ আলবেরুনী সুজন।
স্মার্ট ল্যাপটপের বিষয়ে জাফর আহমেদ বলেন, ‘দেশের মানুষকে অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী মূল্যে গুণগত মানের ল্যাপটপ ব্যবহারের সুযোগ করে দিতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত দেশী কোনো ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। তাই স্মার্ট ল্যাপটপ আমাদের জন্য একটি বিশাল চ্যালেঞ্জও বটে। তবে দেশের অন্যতম বড় আইটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের বিশাল সার্ভিস সেটআপের মাধ্যমে যেকোনো ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ডের মতোই কিংবা শ্রেয়তরভাবে আমরা এই ল্যাপটপের বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সক্ষম হব।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির উপ-মহাব্যবস্থাপক ও ল্যাপটপ বিভাগের প্রধান মুজাহিদ আলবেরুনী সুজন। স্মার্ট ল্যাপটপ নিয়ে বিশদ আলোচনায় তিনি বলেন, ‘দেশের বাজারে এ মুহূর্তে আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত প্রায় সব ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এ মুহূর্তে বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডই এন্ট্রি লেভেলের ল্যাপটপ উৎপাদন করা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে একটা পর্যায়ে দেশের ল্যাপটপ ব্যবহারে আগ্রহীদের চাহিদা অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে। তাদের কথা বিবেচনা করেই আমরা নতুন এই দুটি মডেলের ল্যাপটপ বাজারে নিয়ে এসেছি।’
স্মার্ট ল্যাপটপের গুণগত মান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘স্মার্ট ল্যাপটপগুলো বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক ল্যাপটপ প্রস্ত্ততকারী প্রতিষ্ঠানে প্রস্ত্তত হয়েছে। সুতরাং, স্মার্ট ল্যাপটপের গুণগত মান যেকোনো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের তুলনায় কোনো অংশে কম হবে না।’
স্মার্ট ল্যাপটপের নান্দনিক দিক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্মার্ট নোটবুকের দুটি মডেলই অত্যন্ত সিস্নম, যা দেখতে অনেকটা আল্ট্রাবুকের মতো দেখায়। এ ছাড়া বর্তমানে ক্রেতাদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা কালো ও সিলভার রংয়ের ল্যাপটপের দিকে। তাই ক্রেতাদের সৌন্দর্যবোধের বিষয়টিকেও আমরা আমাদের মাথায় রেখেছি।’
স্মার্ট ল্যাপটপের দাম নির্ধারণ সম্পর্কে মুজাহিদ আলবেরুনী জানান, ‘আমাদের ল্যাপটপের যে ধরনের কনফিগারেশন তার কাছাকাছি কনফিগারেশন দিয়ে বাজারে অন্য কোনো ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ ২৬-২৭ হাজার টাকার নিচে পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা মাত্র ২৩ হাজার টাকায় এই পণ্য কাস্টমারদের হাতে তুলে দিচ্ছি। আমরা খুব জোর দিয়েই বলতে পারি, বাজারের অন্যান্য ব্র্যান্ডের কাছাকাছি কনফিগারেশনের ল্যাপটপের চেয়ে আমাদের ল্যাপটপের পারফরম্যান্স ভালো হবে।’
বিক্রয়োত্তর সেবা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বের সেরা সব ব্র্যান্ডের ল্যাপটপের পরিবেশক স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লি.। অবশ্যই বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে মুন্সিয়ানা রয়েছে বলেই আমাদের ওপর বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডগুলো আস্থা রেখেছে গত এক যুগ ধরে। আর স্মার্ট ল্যাপটপ তো আমাদের প্রতিষ্ঠানেরই প্রতিনিধিত্বকারী। এর বিক্রয়োত্তর সেবা অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানেরই হবে।’
‘স্মার্ট নোটবুক গ্র্যান্ড লঞ্চিং সিরিমনি’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ) সভাপতি মোহাম্মদ খান, সাবেক সভাপতি কাউছার উদ্দীন ও এমএ হক অনু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম ঢেউসহ দেশের সিনিয়র আইসিটি সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন