• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > মজিলা বাংলাদেশ ও ফায়ারফক্স ওএস
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সালমান রাহমান দেশ
মোট লেখা:১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৪ - অক্টোবর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মজিলা ফায়ারফক্স
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
মজিলা বাংলাদেশ ও ফায়ারফক্স ওএস

প্রায় তিন বছর আগে মজিলা একটি প্রজেক্টের ঘোষণা দিয়েছিল। এর নাম ই২এ বা ইড়ড়ঃ২এবপশড়। এই প্রজেক্টের মূল ধারণা ছিল মোবাইল ফোনের জন্য মুক্ত ওয়েবের ওপর ভিত্তি করে এবং মুক্ত ওয়েবকে লক্ষ্য করে একটি অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা, যাতে করে ডেভেলপার, পার্টনার এবং বিশেষ করে ব্যবহারকারীরা ওয়েব থেকে সম্ভাবনাময় কিছু খুঁজে পান।

প্রতি মুহূর্তে বিশ্বে যতজন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাদের বেশিরভাগই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন এবং ধারণা করা হয়, ভবিষ্যতে কয়েক বছরে কয়েকশ’ কোটি নতুন ব্যবহারকারী ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হবেন, যাদের বেশিরভাগ হবে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। এসব ব্যবহারকারীকে ওয়েবের সম্পূর্ণ সুবিধা দেয়ার উদ্দেশ্যে এই প্রজেক্টের যাত্রা শুরু। উল্লেখ্য, বর্তমান স্মার্টফোন বাজারের সাথে প্রতিযোগিতা নয় বরং ব্যবহারকারীর জন্য বিকল্প পছন্দ সৃষ্টি করাও এর উদ্দেশ্য।

প্রথমে সবাই এই প্রজেক্টের ঘোষণায় আশ্চর্য হলেও অচিরেই মজিলার কর্মীসহ সার বিশ্বের মজিলার স্বেচ্ছাসেবক দল এই প্রজেক্টের উন্নয়নের পেছনে কাজ করতে থাকে। যার ফলে তৈরি হয় একটি স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম, যার নাম ‘ফায়ারফক্স ওএস’।

কেনো ফায়ারফক্স ওএস

কেনো একজন ব্যবহারকারী ফায়ারফক্স ওএস ব্যবহার করবেন? এ প্রসঙ্গে প্রথমেই বলা যেতে পারে, এটি সম্পূর্ণ উন্মুক্ত একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। মুক্তসোর্স হওয়ার কারণে সব দেশ থেকেই বিভিন্ন ডেভেলপার এর উন্নয়নের পেছনে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে খুব দ্রুত এর উন্নয়ন ঘটছে।

এটি তৈরির পেছনের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে ওয়েব প্রযুক্তিকে সবার হাতে পৌঁছে দেয়া। ফলে ফায়ারফক্স ওএসের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে ওয়েবনির্ভর এইচটিএমএল৫ ও জাভাস্ক্রিপ্ট প্রযুক্তি। কিন্তু ওয়েবনির্ভর প্রযুক্তিই কেনো?

দেখা যায়, প্রায় সব ইন্টারনেটযুক্ত মোবাইল ডিভাইসে এইচটিএমএল ও জাভাস্ক্রিপ্ট চলতে পারে এবং খুব কম হার্ডওয়্যর রিসোর্স দরকার পড়ে এগুলো চলতে। এ কারণেই ফায়ারফক্স ওএসের মূল প্রযুক্তি হিসেবে এইচটিএমএল৫ ও জাভাস্ক্রিপ্টকে বেছে নেয়া হয়েছে।

ফলে ফায়ারফক্স ওএস খুব কম হার্ডওয়্যার রিসোর্স গ্রহণ করে থাকে এবং থার্ডপার্টি অ্যাপগুলো ডিভাইসের হার্ডওয়্যার রিসোর্সের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে পারে।

অল্প হার্ডওয়্যার রিসোর্স ব্যবহারের কারণে ফায়ারফক্স ওএস চালানোর জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ডিভাইসের প্রয়োজন হয় না। এ কারণে ফায়ারফক্স ওএস চালানোর মতো ডিভাইস তৈরির খরচ অনেকাংশে কমানো গেছে।

এ ছাড়া ফায়ারফক্স ওএস উন্মুক্ত ওয়েবনির্ভর করে তৈরি করা হয়েছে বলে এতে রয়েছে ‘অ্যাডাপ্টিভ সার্চ’ নামের একটি নতুন ফিচার। এর ফলে একজন ব্যবহারকারী ওয়েবে কিছু অনুসন্ধান করে সে বিষয়ের অ্যাপ খুঁজে পাবেন এবং তা ডাউনলোড বা ইনস্টল না করেই চালিয়ে দেখতে পারবেন।

ফায়ারফক্স ওএসের ব্রাউজারের জন্য আলাদা ডাটা কম্প্রেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ব্যবহারকারীর ডাটা তুলনামূলক কম খরচ হবে। তবে এ কথা সত্য, ফায়ারফক্স ওএসের অ্যাপ্লিকেশন মার্কেট এখনও অন্যান্য স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেমের তুলনায় ততটা সমৃদ্ধ নয়। কিন্তু ওয়েব টেকনোলজিনির্ভর হওয়ায় একজন ওয়েব ডেভেলপার খুব সহজেই ফায়ারফক্স ওএসের জন্য অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারবেন। ফলে ফায়ারফক্স মার্কেটপ্লেসে অ্যাপ্লিকেশনের সংখ্যা খুব দ্রুত বাড়ছে।

বাংলাদেশে ফায়ারফক্স ওএস

মজিলা ২০১১ সাল থেকে ফায়ারফক্স ওএস নিয়ে কাজ শুরু করে এবং অত্যন্ত সফলতার সাথে বেশ কিছু দেশে ফায়ারফক্স ওএসের আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা ঘটায়। ভারতেও কিছু দিন আগে এই অপারেটিং সিস্টেম আসার পরপরই চলে আসে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে প্রকাশিত ফায়ারফক্স ওএস ১.৪ সংস্করণকে সম্পূর্ণ শুদ্ধ চলিত বাংলাভাষায় রূপ দিয়েছে এই মজিলা বাংলাদেশ কমিউনিটি। এই অপারেটিং সিস্টেমে বাংলাদেশী ব্যবহারকারীদের লেখার সুবিধার জন্য অভ্র ও প্রভাত নামের দুটি বাংলা কিবোর্ড বিল্ট-ইন করে দিয়েছেন মজিলা বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য অনিরুদ্ধ অধিকারী। সারাদেশে ফায়ারফক্স ওএসের প্রচারণা এবং জ্ঞানদানে মজিলা বাংলাদেশ কমিউনিটির ভূমিকা ছিল সর্বপ্রথম।

শুধু এখানেই শেষ নয়, ফায়ারফক্স ওএসের প্রকাশনাকে সফল করার লক্ষ্যে বিগত এক বছর ধরেই এর পেছনে কাজ চলছিল। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কাজ হলো দেশে ফায়ারফক্স ওএসের কন্ট্রিবিউটর এবং অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার বাড়ানো। এই লক্ষ্যকে মাথায় রেখে দেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এ থেকে অনেক ফায়ারফক্স ওএস অ্যাপ ডেভেলপার বেরিয়ে আসেন। ভবিষ্যতেও এ ধরনের আরও আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে মজিলা বাংলাদেশ কমিউনিটির। এছাড়া ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে ফায়ারফক্স ওএসের সাহায্য সংক্রান্ত নিবন্ধগুলোকেও বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে।

অনেক বাধা পেরিয়ে চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে এলো মজিলার ফায়ারফক্স ওএস। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ফায়ারফক্স ওএস সংবলিত মোবাইল হ্যান্ডসেট সিম্ফনি গোফক্স এফ১৫ (ঝুসঢ়যড়হু এড়ঋড়ী ঋ১৫) বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখে।

একনজরে সিম্ফনি গোফক্স এফ১৫

ফোনটিতে রয়েছে ফায়ারফক্স ওএসের সর্বশেষ ১.৪ সংস্করণ। এতে রয়েছে ৩.৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ১ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম, এবং মেইল-৪০০ জিপিইউ। এছাড়া রয়েছে ডুয়াল সিম সাপোর্ট এবং সম্পূর্ণ থ্রিজি ফিচার। এটি ফায়ারফক্স ওএস সংবলিত একমাত্র ফোন, যাতে ভিডিও কল করার ফিচার রয়েছে। রয়েছে ৩.২ মেগাপিক্সেল ব্যাক ও ০.৩ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। ফোনটিতে সেন্সর ও অ্যাক্সেলেরোমিটার সেন্সর রয়েছে। ওয়াই-ফাই সুবিধা থাকলেও ডিভাইসটিতে জিপিএস নেই। তবে এতে আশাহত হওয়ার কারণ নেই। মজিলার এমএলএস সার্ভিস ও মজিলা বাংলাদেশের কল্যাণে আপনি সহজেই নেভিগেশনের কাজ করতে পারবেন জিপিএস ছাড়াই।

মজিলা বাংলাদেশ ও ফায়ারফক্স ওএস

মজিলার বিভিন্ন প্রজেক্টে অবদানকারী হিসেবে মজিলা বাংলাদেশ কমিউনিটি অনেক দিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছে। ফায়ারফক্স ওএসের বাংলাদেশে প্রকাশ সফল করার লক্ষ্যে অনেকেই কোডিং, লোকালাইজেশন, কমিউনিটি এনগেজমেন্ট, সহায়তা দেয়া, সোশ্যাল প্রমোশন ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় অবদান রেখে যাচ্ছেন। এবার মজিলা বাংলাদেশের কিছু অবদানকারীর কাছ থেকে জেনে নেয়া যাক ফায়ারফক্স ওএস সম্পর্কে তাদের চিন্তাধারা ও মতামত।

বেলায়েত হোসেন : দেশের একটা বড় জনগোষ্ঠী এখনও ফিচার ফোন ব্যবহার করেন। তাছাড়া বাংলাদেশের প্রায় ৯০ শতাংশ লোক বাংলাভাষা ছাড়া আর কোনো ভাষা জানেন না। বাংলাদেশের এই বিশাল জনগোষ্ঠী বাংলাভাষায় স্মার্টফোন ব্যবহার করে তাদের জীবনমানের উন্নয়নের সম্ভাবনাকে আরও বহুগুণ বাড়ানোর প্রয়াসেই তৈরি হয়েছে ফায়ারফক্স ওএস। এ কারণে মজিলা বাংলাদেশের প্রয়াসে ফায়ারফক্স ওএসকে বাংলাভাষায় অনুবাদ করাও হয়েছে।

অনিরুদ্ধ অধিকারী : আমার মতে, ফায়ারফক্স ওএস লোকাল কনটেন্ট তৈরি করতে স্থানীয় ডেভেলপারদের উদ্বুদ্ধ করবে এর অপারেটরভিত্তিক বিলিং সুবিধার মাধ্যমে। অপারেটরের মাধ্যমে বিলিং করার ফলে যেমন একদিকে সেবা কেনার পরিমাণ বাড়বে, অপরদিকে সে অর্থ সহজেই স্থানীয় ডেভেলপারেরা পেতে পারবেন। এর মাধ্যমে আমরা স্থানীয় কনটেন্টের বিশাল এক বাজার তৈরি করতে পারি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় এটি মাইলফলক হতে পারে।

আশিকুর রহমান নূর : ফায়ারফক্স ওএস একটি কমিউনিটিভিত্তিক পণ্য। মজিলার প্রতিটি পণ্যের যেমন কমিউনিটি সাপোর্ট আছে, ফায়ারফক্স ওএসেরও কমিউনিটি সাপোর্ট আছে। বাংলাদেশের মজিলা সাপোর্ট টিম ফায়ারফক্স ওএসের জন্য সাপোর্ট দিতে প্রস্ত্তত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ফায়ারফক্স ওএসের সব সহায়ক নিবন্ধ বাংলায় লোকালাইজেশন করেছি, যাতে ব্যবহারকারীদের সমস্যার সমাধান দ্রুত হয়।

তৌফিক এনাম রাইন : এই প্রজেক্টে আমি শুরুতে যোগ দিয়েছিলাম একজন অনুবাদক হিসেবে এবং এরপর গুগল সামার অব কোডে আমি মজিলার ফায়ারফক্স ওএসবিষয়ক একটি প্রকল্পে স্টুডেন্ট ডেভেলপার হিসেবে কাজ করেছি। এই প্রজেক্টটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি আশাবাদী। জানি না, এই প্রজেক্টটি সামনে আমি কতদূর নিয়ে যেতে পারব। তবে একটা ব্যাপার আমি বলতে চাই, ফায়ারফক্স ওএস মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের একটি মাইলফলক।

আশিকুর রহমান অমিত : ফায়ারফক্স ওএস শুধু স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেমই নয়। মুক্ত ওয়েব প্রতিষ্ঠার একটি প্রতীক। যারা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন, তাদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে ফায়ারফক্স ওএস। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের হাত ধরে ফায়ারফক্স ওএসের মাধ্যমে উন্মুক্ত ওয়েব প্রতিষ্ঠিত হোক- এই আশা ব্যক্ত করি।

মাহে আলম খান : বাংলাদেশ এই প্রথম কোনো কমিউনিটির প্রয়াসে যাত্রা শুরু করল একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। আমরা মজিলা বাংলাদেশ ফায়ারফক্স ওএসের বাংলাদেশে আত্মপ্রকাশের প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছিলাম। এমনটি আর কখনও ঘটেনি বাংলাদেশে। যেকোনো পণ্য বাজারে আসার পর সেটিকে ঘিরে তৈরি হয় তার কমিউনিটি। কিন্তু ফায়ারফক্স ওএসের কমিউনিট আগেই তৈরি হয়েছে ওপেন ওয়েবের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। এটি কোনো কর্পোরেট কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের বার্ষিক ডিভিডেন্ট দেয়ার উদ্দেশ্যে ডেভেলপ করা পণ্য নয়। এটি হলো আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে, নিজেদের মতো করে, নিজেরাই তৈরি করেছি এমন একটি বিষয়। ফায়ারফক্স ওএস আগামী এক বছরে বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ডিজিটাল জগতে প্রবেশযোগ্যতা তৈরি করে তাদের জীবনমান পাল্টে দবে বলে আমার দৃঢ়বিশ্বাস।

ফারজিয়া আফরোজ : ফায়ারফক্স ওএস মূলত এমন একটি জনগোষ্ঠীর কাছে স্মার্টফোন ও থ্রিজি সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে, যারা এতদিন এর আওতার বাইরে ছিল। ফলে এটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের নতুন একটি পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে। এছাড়া ফায়ারফক্স ওএসের অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট অন্যান্য যেকোনো মোবাইল প্লাটফর্মের অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের তুলনায় সহজ ও ভালোভাবে ডকুমেন্টেড, যা আমাদের ডেভেলপারদের এই প্লাটফর্মে অ্যাপ তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ করছে। আমাদের দেশে একটি শক্তিশালী কমিউনিটি থাকায় ফায়ারফক্স ওএসের বিস্তার ও উন্নয়ন খুব দ্রুত হবে বলে আশা করছি।

আবু শাহরিয়ার রাতুল : ফায়ারফক্স ওএস অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের কাজ ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য সহজ হয়। তাই আমরা ওয়েব ডেভেলপারদের কাছেই প্রথমে এই প্লাটফরম সম্পর্কে ধারণা দেই। পাশাপাশি শক্তিশালী ও নিবেদিত কমিউনিটি থাকার কারণে অ্যাপ ডেভেলপ করার ডকুমেন্টেশন বেশ সহজলভ্য।

ফায়ারফক্স ওএসের ভবিষ্যৎ

মজিলা একটি ভিন্ন ধরনের সংগঠন। মজিলার মূল আন্দোলন ওপেন ওয়েব। মজিলার আদর্শকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেই আজকের এই ফায়ারফক্স ওএস। যার ফলিত উদাহরণ হচ্ছে এইচটিএমএল৫ ও জাভাস্ক্রিপ্ট প্রযুক্তিনির্ভর একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম।

ফায়ারফক্স ওএস তৈরির পেছনে মজিলার আরও একটি লক্ষ্য হচ্ছে- মোবাইলে ওয়েবকে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে গড়ে তোলা। অর্থাৎ এমন একটি দিনের সূচনা করা, যেখানে প্রতিটি স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম বা প্রায় সব প্লাটফর্মের মূল ভিত্তিই হবে ওয়েবপ্রযুক্তি। এ লক্ষ্য পূরণে মজিলা আসেত্ম আসেত্ম এগিয়ে যাচ্ছে তার টেলিকম ও হার্ডওয়্যার পার্টনার এবং মজিলার অবদানকারীদের সাহায্যে। হয়তো সে লক্ষ্যে মজিলা একদিন পৌঁছে যাবে। এটি শুধু দিনের শুরু। আরও অনেক কিছুই বাকি

ফিডব্যাক : me@2hr.me
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস