• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ১০টি অর্থনৈতিক উন্নয়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সম্পাদক
মোট লেখা:৩১৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৬ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সম্পাদক
তথ্যসূত্র:
সম্পাদকীয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
১০টি অর্থনৈতিক উন্নয়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দেশে ১০টি বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের উন্নয়ন কর্মকা--র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এগুলো হচ্ছে: আব্দুল মোনেম ইকোনমিক জোন, একে খান ইকোনমিক জোন, আমান ইকোনমিক জোন, বে ইকোনমিক জোন, মেঘনা ইকোনমিক জোন, মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন মীরসরাই ইকোনমিক জোন, পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন, সরবরহ ট্যুরিজম পার্ক এবং শ্রীহট ইকোনমিক জোন এগুলো হবে দেশে এ ধরনের প্রথম অর্থনৈতিক জোন। এগুলোর উন্নয়ন কর্মকা- উদ্বোধন করে তিনি উদ্যোক্তাদের প্রতি এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহবান জানান। তিনি বলেন, এ অথনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে আমি স্থানীয় লোকদের সহযোগিতা কামনা করব, যাতে করে বিনিয়োগকারীরা একটি সুন্দর পরিবেশে এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারেন। এসব অর্থনেতিক অঞ্চল হবে ক্ষুধাযুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পক্ষে সহায়ক। তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার থেকে এই দশটি ইকোনমিক জোনের ভিত্তি প্রস্তব স্থাপন করেন। বর্তমান সরকারকে বিনিয়োগ ও ব্যবসায়-বান্ধব সরকার হিসেবে অবিহিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ থেকে কোনো ব্যবসায় করতে চাই না। বরং আমরা চাই ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে, কারণ আমরা দেশের দ্রুত উন্নয়ন চাই। তিনি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের প্রতিও আহবান জানান উল্লিখিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উপলক্ষে দেখা এক বাণীতে বলেন- ‘আমরা ২০১০ সালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক আইন প্রয়ান করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করি। এর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিই, যা ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান এবং আর ৪০০০ কোটি ডলারের রফতানি বাড়াবে।’ বাণীতে তিনি আরো বলেন, ‘২০১০ সাল নাগাদ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে উন্নীত করার সরকারি লক্ষ্যমাত্রা, দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ - (বেজা) এর ঐকামিত্মক আগ্রহ ও প্রচেষ্টায় আমরা ইতোমধ্যেই ৫৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের স্থান নির্ধারণ করেছি। দেশের উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করার লক্ষে প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপ ব্যবহারে আওতায় জোন ভেডেলপার নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরকে নিজস্ব অঞ্চল স্থাপনের জন্য সমাঝোতা স্মারক সাক্ষর করতে সক্ষম হয়েছি।’
আমরা মনে করি সম্প্রতি উদ্বোধন করা এই দশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কর্ম শেষ হলে এবং ভালোয় ভালোয় তা চালু হলে দেশের সামাগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। এর মাধ্যমে যেমনি বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, তেমনি ব্যাপকভাবে বাড়বে রফতানি আয়ও। এসব রফতানি অঞ্চল গড়ে তোলায় আমরা পাব বিপুল পরিমাণে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ উল্লিখিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে যদি আগামী দেড় দশকে অঞ্চলপ্রতি ১ বিলিয়ন ডলার করেও বিনিয়োগ করি, তবে মোট বিনিয়োগ আসবে ১০০ বিনিয়ন তথা ১০ হাজার কোটি ডলার। ধরে নেয়া যায় এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হবে একটি বিপুল অঙ্কের অর্থ। আর এর মধ্যে আইসিটি অবকাঠামো খাতের বিনিয়োগের পরিমাণ নিওক কম হবে না। এর পর শতাংশও যদি আইসিটি অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগ হয় তবে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ আইসিটি অবকাঠামো খাতে ব্যয় হবে। সেটুকুতে ভাগ বসাতে আমরা জাতি হিসেবে কতটুকু প্রস্ত্তত সে প্রশ্নও কিন্তু পাশাপাশি এসে যায়। আমরা যদি সেজন্য নিজেদের যথাযথভাবে প্রস্ত্তত করতে না পারি, তবে অবকাঠামো খাতের অর্থ চলে যাবে বিদেশীদের হাতে, বিশেষ করে ভারতীয়দের হাতে। তাই আইসিটি খাতের অবকাঠামো খাতে যাতে আমরা নিজেরা বিনিয়োগ করতে পারি, সে ব্যাপারে সরকারি ও দেশীয় বেসরকারি খাতকে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, প্রতিটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে যে বিনিয়োগ হবে, তার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ বিনিয়োগ হবে আইটি অবকাঠামো খাতে। কারণ আজকের দিনে শিল্প খাতের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন এক অপরিহার্য বিষয় হয়ে উঠেছে। চাইলের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন আমরা এড়িয়ে চলতে পারব না। তাই উল্লিখিত অর্থনৈতিক জোন গুলো থেকে সত্যিকারের উপকার নিজেদের পকেটে পুরতে হলে নিজেদের ডিজিটাল প্রস্ত্তত করার কথাটি যেনো আমরা ভুলে না যাই। সবশেষে সরকারও বেসরকারি অংশীদারিত্বে গড়ে উঠতে যাওয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো সকল বাস্তবায়নের কামনা রইলো।

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৬ - মার্চ সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস