• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সওজের ই-জিপি কার্যক্রম
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কাজী সাঈদা মমতাজ
মোট লেখা:১৮
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৬ - আগস্ট
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ই-গভর্নেন্স
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
২০১৫-১৬ অর্থবছরে সওজের ই-জিপি কার্যক্রম
কাজী সাঈদা মমতাজ
কমপিউটার সিস্টেম অ্যানালিস্ট, সওজ
ই-জিপি সিস্টেমটি সরকারের ক্রয়কারী সংস্থা (পিএ) এবং ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর (পিই) ক্রয়কাজ সম্পাদনের জন্য একটি অনলাইন প্লাটফর্ম। এটি একমাত্র ওয়েব পোর্টাল, যার মাধ্যমে ক্রয়কারী সংস্থা ও ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপদ ওয়েব ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে ক্রয়সংক্রান্ত কার্যাবলী সম্পাদন করতে পারে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রিফর্ম প্রজেক্ট-২’-এর আওতায় ই-জিপি সিস্টেম সিপিটিইউতে স্থাপিত ডাটা সেন্টারে হোস্ট করা হয়েছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সরকারের ক্রয়কারী সংস্থা ও ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ই-জিপি ওয়েব পোর্টালে প্রবেশ করতে পারে। ই-জিপি ক্রমান্বয়ে সরকারের সব প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার হবে। ফলে এর মাধ্যমে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় দরদাতাদের অবাধ অংশ নেয়ার সমসুযোগ সৃষ্টি হবে এবং ক্রয় প্রক্রিয়ায় দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হওয়ায় এই পদ্ধতিতে সরকার আগ্রহী।
ই-জিপি অর্থাৎ ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট কার্যক্রম বাংলাদেশে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, এলজিইডি, বিআরইবি, বিডব্লিউডিবিসহ চারটি প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে। এর মধ্যে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত দরপত্র ই-জিপির মাধ্যমে আহবান করেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরে মোট বরাদ্দের ৮৮ শতাংশ দরপত্র ই-জিপি পোর্টালে আহবান করা হয়। ৫০ কোটি টাকার ওপরে দরপত্র ই-জিপি পোর্টালে আহবান করা হলে সওজের দরপত্রের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে। চলতি অর্থবছরে মোট ৩৪২৯টি দরপত্র ই-জিপির মাধ্যমে আহবান করা হয়, যার কন্ট্রাক্ট ভ্যালু ৫০৭৬ কোটি টাকা। ই-জিপি পোর্টালে গিয়ে ই-টেন্ডারে ক্লিক করে অ্যাডভান্সড সার্চে ক্লিক করে কতগুলো দরপত্র ঘঙঅ দেয়া হয়েছে, কোন কোন টেন্ডার বাতিল হয়েছে এবং কোনটি রি-টেন্ডার হবে তা জানতে পারবেন। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩৪২৯টি টেন্ডার আহবান করা হয়েছে এবং ২৫২৩টি অ্যাওয়ারডেড, ৪৩টি ক্যানসেল্ড, দুটি পুনঃদরপত্র, ১৪টি বাতিল হয়েছে।
উক্ত সংখ্যাকে যদি এভাবে দেখি যে, শতকরা কতগুলো দরপত্র বাতিল হলো বা কতগুলো রি-টেন্ডার হবে, তবে তা ছকের মাধ্যমে দেখতে পারি। আমরা ছক দেখে খুব সহজেই বলতে পারি শতকরা কত শতাংশ দরপত্র Cancel/Re-tender/Reject হয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, যেসব দরপত্র পধহপবষ হয়েছে তার সংখ্যা নগণ্য। এখানে বিডারদের তথ্যও আছে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত সব দরপত্র ই-টেন্ডার করা হয়।
ই-জিপি কেন দরকার
০১. দরপত্র প্রথমেই Annual Procurement Plan (APP) হিসেবে ওয়েব পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এপিপি দেখে ঠিকাদার ঠিক করবেন, তিনি এই দরপত্রে অংশ নেবেন কি না। যদি নেন তবে সে প্রস্ত্ততি নেয়ার সময় পাবেন।
০২. দরপত্রগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত। যেকেউ অংশ নিতে পারবেন।
০৩. স্বচ্ছতা বিদ্যমান।
০৪. রাজনৈতিক হয়রানি থেকে মুক্ত থাকা যায়।
০৫. স্বচ্ছ প্রতিযোগিতা।
০৬. সময় ও অর্থ সাশ্রয়।
ই-জিপি পোর্টালের কারণেই আমরা একনজরে যেকোনো তথ্য যেকোনোভাবেই পেতে পারি, আর এটিই ই-জিপির সুফল। এই তথ্যগুলো কখনই সাধারণ মানুষ জানতে পারতেন না, যা ই-জিপির কল্যাণে জানতে পারছেন।
যেকোনো দরপত্র সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে Procurement Nature-এর ওপর ক্লিক করলে Details Notice দেখতে পাবেন এবং সেই অনুযায়ী ঠিকাদার দরপত্রে অংশ নিতে পারবেন। আবার যদি জানতে চান এ বছর কী কী দরপত্র ই-জিপির মাধ্যমে আহবান করা হবে, তবে Home Page এবং Annual Procurement Plan-এ ক্লিক করলে দেখা যাবে কোন কোন সময় কী কী দরপত্র কোন কোন সংস্থা আহবান করবে এবং সেই অনুযায়ী ঠিকাদার প্রস্ত্ততি নিতে পারবেন। আবার ই-জিপি কী তা জানতে Home Page-এ About e-GP-তে ক্লিক করতে হবে। কোন কোন ব্যাংক ই-জিপিতে এনলিস্টেড তা জানতে Home Page Reports-এ ক্লিক করতে হবে এবং তখন রেজিস্টার্ড ব্যাংকের তালিকা পাওয়া যাবে এবং ব্রাঞ্চের ওপর ক্লিক করলে ওই ব্যাংকের রেজিস্টার্ড ব্যাংকের তালিকা ঠিকানাসহ পাওয়া যাবে এবং পছন্দমতো ব্যাংক ব্যবহার করা যাবে।
আবার কোন কোন সংস্থার কোন কোন অফিস ই-জিপিতে এনলিস্টেড তা জানতে Home Page Reports-এ ক্লিক করে Registration Details-এর অধীনে রেজিস্টার্ড মিনিস্ট্রিতে ক্লিক করলে জানা যাবে।
আবার ই-কন্ট্রাক্ট কতগুলো হয়েছে, তা জানতে চাইলে e-Contracts→Advanch Serch→Then Select office→Serch-এ ক্লিক করতে হবে। কেউ যদি ই-জিপিতে কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন জানতে চান, তাহলে Home Page-G Registration Flow Chart-এ ক্লিক করে জানতে পারেন এবং বাংলা-ইংরেজি যে মাধ্যমেই জানতে চান, সবই পাওয়া যাবে।
প্রথমবার যখন ঠিকাদার রেজিস্ট্রেশন করবেন, তখন ব্যাংকে ৫ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। এরপর প্রতি বছরের জন্য ২ হাজার টাকা দিয়ে নবায়ন করতে হবে। ঠিকাদার Home Page থেকে Annual Procurement Program-এ জানতে পারবেন কোন কোন প্রতিষ্ঠানে কী কী দরপত্র আহবান করবে। সাধারণত একজন ঠিকাদার বা যেকেউ যেকোনো দরপত্র ওয়েবসাইট থেকে দেখতে পারবেন, কিন্তু যেসব ঠিকাদার ব্যাংক টেন্ডার ডকুমেন্ট কেনার টাকা জমা দেবেন তারাই শুধু দরপত্রের ডকুমেন্ট ডাইনলোড করতে পারবেন। Closing date-এর আগের দিন দরপত্র অনলাইনে জমা দেয়া ভালো। কারণ শেষ দিন সার্ভারে সমস্যা হতে পারে, বিদ্যুৎ নাও থাকতে পারে, আবার ইন্টারনেটে সমস্যা হতে পারে। সে জন্য একদিন আগে দরপত্র জমা দেয়া উচিত। অনলাইনে যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো সময় দরপত্র সেন্ড করা যায়। সবই ঘরে বসে ক্লিক করে জানা যাবে। কোথাও যেতে হবে না। আর এটিই ই-জিপির সুফল

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৬ - আগস্ট সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস
অনুরূপ লেখা