লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
মো: সাদা’দ রহমান
মোট লেখা:১৩
লেখা সম্পর্কিত
আইসিটি ডিভিশনের পর্যালোচনায় সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৩৬.৮৪ শতাংশ
গত ১৯ এপ্রিল আইসিটি ডিভিশনের মাসিক আরএডিপি (সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আইসিটি ডিভিশনের মোট ১৭ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়্। এসব প্রকল্পের মধ্যে ১৬টি বিনিয়োগ প্রকল্প ও একটি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প। চলমান এই ১৭ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের আটটি, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পাঁচটি, কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথোরিটিজের একটি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের একটি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দুইটি। সভায় জানানো হয়, এই ১৭ প্রকল্পে মোট বরাদ্দের পরিমাণ ১৫৬৭.৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে মোট ব্যয় করা হয়েছে ৫৭৭.৩৯ কোটি টাকা, আর আর্থিক অগ্রগতির পরিমাণ ৩৬.৮৪ শতাংশ।
সভায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরের গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনায় জানানো হয়, বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের আটটি প্রকল্পে মোট বরাদ্দের পরিমাণ ১১৭৯.৩২ কোটি টাকা, যার মধ্যে অর্থছাড় করা হয়েছে ১১৮.৯২ কোটি টাকা, আর ব্যয় হয়েছে ৪০৫.৬৯ কোটি টাকা, কাজের অগ্রগতির পরিমাণ ৩৪.৪০ শতাংশ। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পাঁচটি প্রকল্পে মোট বরাদ্দের পরিমাণ ১৬৫.৮০ কোটি টাকা, যার মধ্যে অর্থছাড় করা হয়েছে ৯৯.৩৫ কোটি টাকা, আর ব্যয় করা হয়েছে ৮১.৬৩ কোটি টাকা, কাজের অগ্রগতির পরিমাণ ৪৯.৩৪ শতাংশ। কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথরিটিজের একটি প্রকল্পের মোট বরাদ্দের পরিমাণ ১৩.৩৭ কোটি টাকা। এ প্রকল্পে এখন পর্যন্ত কোনো অর্থছাড় করা হয়নি। ফলে এ ক্ষেত্রে কাজের অগ্রগতি শূন্য। আইসিটি অধিদফতরের একটি প্রকল্পে মোট বরাদ্দের পরিমাণ ৭৯.৩৫ কোটি টাকা, অর্থছাড় করা হয়েছে ৬৪.০৪ কোটি টাকা, ব্যয় করা হয়েছে ৫১.৩৪ কোটি টাকা, এ কাজের অগ্রগতির পরিমাণ ৬৪.৫৫ শতাংশ। আইসিটি বিভাগের দুইটি প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ১২৯.৩৮ কোটি টাকা, অর্থছাড় হয়েছে ৭৭.৬১ কোটি টাকা, ব্যয় হয়েছে ৩৮.৭২ কোটি টাকা, আর কাজের অগ্রগতির পরিমাণ ২৯.৯৩ শতাংশ। সার্বিকভাবে এই ১৭ প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ১৫৬৭.৪০ কোটি টাকা, যার মধ্যে অর্থছাড় হয়েছে ৩৫৯.৫১ কোটি টাকা। এই ১৭ প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৩৬.৮৪ শতাংশ। সভায় চলমান প্রকল্পগুলোর গত ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প
এ প্রকল্প সম্পর্কে সভায় জানানো হয়- এই প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০১৮ পর্যন্ত। প্রাক্কলিত ব্যয় ২৮১.৯৭ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার, অর্থাৎ এখানে কোনো প্রকল্প সহায়তা নেই। চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বরাদ্দ ৭৬.৫০ কোটি টাকা, যার মধ্যে গত ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে অবমুক্ত করা হয়েছে ২৮.২৭ কোটি টাকা, আর ব্যয় হয়েছে ১১.০৫ কোটি টাকা। এ বছরের আর্থিক অগ্রগতি ১৪.৩৫ শতাংশ, আর এ বছরের বাস্তব অগ্রগতি ৪০ শতাংশ, ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি ৩.৯২ শতাংশ ও ক্রমপুঞ্জিত বাস্তব অগ্রগতি ৪০ শতাংশ। গত মার্চের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়- এ প্রকল্পের আওতায় রিটেন্ডার যেনো না করতে হয় এ বিষয়ে সতর্ক হয়ে স্পেসিফিকেশন প্রস্ত্তত করতে হবে। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেয়া অর্থ ১০০ শতাংশ ব্যয় করতে হবে। এ প্রকল্পের বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচ্য পর্যালোচনা সভায় জানানো হয়- টিওটি’র কারিগরি মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে, কার্যাদেশ দেয়ার অপেক্ষায় আছে। মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপার, গেম অ্যানিমেটর, ইউএক্স ও ইউআই ডিজাইনার এবং এপিপি বিপণনের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য ইওআই প্রকাশ করে পাওয়া আবেদনগুলোর মূল্যায়ন কমিটির যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই শর্ট লিস্টেড কোম্পানিগুলোকে আরএফপি দেয়া হবে। কর্মশালা/সেমিনারের দরপত্র দাখিল করা হয়েছে। মূলায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিষ্ঠানগুলোর যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। মাইক্রোবাস কেনা হয়েছে। আবার স্পেসিফিকেশন তৈরি করা হয়েছে এবং ইজিপিতে এর দরপত্র আহবান প্রক্রিয়াধীন আছে।
ফোর টায়ার জাতীয় ডাটা সেন্টার স্থাপন প্রকল্প
এ প্রকল্প পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হয়- এ প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২০১৫ থেকে জুন ২০১৮ পর্যন্ত। প্রাক্কলিত ব্যয় ১৫১৬.৯০ কোটি টাকা। এতে সরকার জোগান দেবে ৩১৭.৫৪ কোটি টাকা, আর প্রকল্প সাহায্য আসবে ১১৯৯.৩৬ কোটি টাকা। এ প্রকল্পে চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ ৬২৮.৭৮ কোটি টাকা। গত ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত অবমুক্ত হয়েছে ১৮.৮৪ কোটি টাকা, ব্যয় হয়েছে ৩২৯.৫২ কোটি টাকা। এ বছরের আর্থিক অগ্রগতি ৫২.৪১ শতাংশ, আর এ বছরের বাস্তব অগ্রগতি ৩৮ শতাংশ। ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি ৩৮ শতাংশ, আর ক্রমপুঞ্জিত বাস্তব অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ। গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়- এ প্রকল্পের ভবন নির্মাণ সম্পাদিত হওয়ার পর চলতি বছরের ১৫ মে’র মধ্যে চলতি অর্থবছরের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আনতে হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই জেনারেটর, চিলার, খুচরা যন্ত্রপাতি ও একটি গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় আছে।
লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট
এ প্রকল্প সম্পর্কে জানানো হয়- এ প্রকল্পের মেয়াদ জানুয়ারি ২০১৪ থেকে জুন ২০১৭ পর্যন্ত। প্রাক্কলিত ব্যয় ১৮০.৪০ কোটি টাকা। এর পুরোটার জোগান দেবে সরকার। এ প্রকল্পে চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ৫২.৮৮ কোটি টাকা, যার মধ্যে গত ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত অবমুক্ত করা হয়েছে ৪৯.৩৩ কোটি টাকা, আর ব্যয় হয়েছে ২৭.৬৭ কোটি টাকা। এ বছরের আর্থিক অগ্রগতি ৫২.৩২ শতাংশ, আর এ বছরের বাস্তব অগ্রগতি ৭৫ শতাংশ। ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি ৬০.৩২ শতাংশ ও ক্রমপুঞ্জিত বাস্তব অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। গত ১৫ মার্চের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল- ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প’-এর আওতায় চলতি অর্থবছরের আরএডিপিতে (সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) ৫২৮৮ কোটি টাকার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর সব অর্থব্যয় চলতি অর্থবছরের মে মাসের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে এবং এ ব্যাপারে কার্যকর ববস্থা নেয়া হয়েছে।
সিলেট হাইটেক পার্ক প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প
‘সিলেট হাইটেক পার্কের (সিলেট ইলেকট্রনিক সিটি) প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প’ সম্পর্কে জানানো হয়- এর মেয়াদ জানুয়ারি ২০১৬ থেকে জুন ২০১৮ পর্যন্ত। প্রাক্কলিত ব্যয় ১৮৭.১৩ কোটি টাকা। পুরো টাকা আসবে সরকারি তহবিল থেকে। চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ ৫৫ কোটি টাকা। গত ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত অবমুক্ত করা হয় ২৫ কোটি টাকা, ব্যয় হয়েছে ১৫.৮০ কোটি টাকা। এ বছরের আর্থিক অগ্রগতি ২৮.৭৩ শতাংশ, বাস্তব অগ্রগতি ৩১ শতাংশ। ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি ৮.৪৯ শতাংশ, আর ক্রমপুঞ্জিত বাস্তব অগ্রগতি ৩৪ শতাংশ। গত ১৫ মার্চের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল- কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্পের আওতায় সব কাজ চলতি অর্থবছরের জুনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক, যশোর প্রকল্প
এ প্রকল্প সম্পর্কে সভায় জানানো হয়- এ প্রকল্পের মেয়াদ ফেব্রম্নয়ারি ২০১৪ থেকে জুন ২০১৭। এটি দ্বিতীয় সংশোধিত মেয়াদ। প্রাক্কলিত ব্যয় ২৫৩.০৯ কোটি টাকা। পুরো তহবিল জোগাবে সরকার। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ৬১.১৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে এ পর্যন্ত অবমুক্ত হয়েছে ২৭.৭৭ কোটি টাকা, ব্যয় হয়েছে পুরোটাই। এ বছরের আর্থিক অগ্রগতি ৪৫.৪৩ শতাংশ, আর বাস্তব অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ। ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি ৮২.০১ শতাংশ, ক্রমপুঞ্জিত বাস্তব আর্থিক অগ্রগতি ৮৭ শতাংশ। গত ১৫ মার্চের সভার সিদ্ধান্ত ছিল- এ প্রকল্পের সব ঠিকাদার, প্রকল্প পরিচালক ও সচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) সমন্বয়ে একটি সভা আহবান করে প্রকল্পের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে হবে। এ প্রকল্পের আওতায় পিএমসি নিয়োগ করতে হবে। প্রকল্প এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম এবং সিআরআই অনুমোদিত ছবি স্থাপন করতে হবে।
লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স ইন বাংলাদেশ প্রজেক্ট
এ প্রকল্প সম্পর্কে আলোচ্য পর্যালোচনা সভায় জানানো হয়- এ প্রকল্পের মেয়াদ ফেব্রম্নয়রি ২০১৩ থেকে জুন ২০১৮। প্রাক্কলিত ব্যয় ৫৭২.৪৮ কোটি টাকা। সরকার দেবে ০.৫১ কোটি টাকা, আর এতে প্রকল্প সহায়তা ৫৭১.৯৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ ৯৫.৩০ কোটি টাকা। গত ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে অবমুক্ত হয়েছে ৯৫.২৪ কোটি টাকা, আর ব্যয় ৭১.৩২ কোটি টাকা। এ বছরের আর্থিক অগ্রগতি ৭৪.৮৪ শতাংশ, বাস্তব অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ। ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি ৫৪.৩০ শতাংশ, আর ক্রমপুঞ্জিত বাস্তব অগ্রগতি ৬৮ শতাংশ। গত ১৫ মার্চের সভার সিদ্ধান্ত ছিল- এ প্রকল্পের ৩৮টি কম্পোনেন্ট নিয়ে দ্রুত একটি সভা আহবান করতে হবে। এ প্রকল্পের আওতায় যেসব প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, সে প্রশিক্ষণের মান নিশ্চিত করতে হবে। অবশিষ্ট টেন্ডার দ্রুত আহবান করতে হবে এবং তা মূল্যায়ন করে দ্রুত কার্যাদেশ দিতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমপিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপন প্রকল্প
এ প্রকল্প সম্পর্কে সভায় জানানো হয়- এর মেয়াদ জানুয়ারি ২০১৫ থেকে জুন ২০১৭। প্রাক্কলিত ব্যয় ২৯৮.৯৮ কোটি টাকা। পুরোটাই আসবে সরকারি তহবিল থেকে। চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ ৭৯.৫৩ কোটি টাকা। গত ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে অবমুক্ত হয়েছে ৬৪.৩ কোটি টাকা, আর ব্যয় হয়েছে ৫১.৩৪ কোটি টাকা। এ বছরের আর্থিক অগ্রগতি ৬৪.৫৫ শতাংশ, আর বাস্তব অগ্রগতি ৭৫ শতাংশ। ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি ৮৬.৩৯ শতাংশ, ক্রমপুঞ্জিত বাস্তব অগ্রগতি ৯০ শতাংশ। গত ১৫ মার্চের সভার সিদ্ধান্ত ছিল- চলতি মাসের মধ্যেই প্রতিষ্ঠিত ৯০১টি ল্যাব উদ্বোধনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ প্রকল্পের আওতায় সিআরআই, ইয়ং বাংলা ও রবির উদ্যোগে বেশিসংখ্যক স্কুলে একসাথে ক্লাস করানোর বিশ্বরেকর্ড করার উদ্যোগ নিতে হবে।
কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের তৃতীয় সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প
‘কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক (এবং অন্যান্য হাইটেক পার্ক)-এর তৃতীয় সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প’ সম্পর্কে জানানো হয়- এ প্রকল্পের মেয়াদ জানুয়ারি ২০১৩ থেকে ডিসেম্বর ২০১৯। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ৩৯৪.১৪ কোটি টাকা। এর ২৯.৪৬ কোটি টাকা আসবে সরকারি তহবিল থেকে। এতে প্রকল্প সাহায্য ৩৬৪.৬৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ ৪৬.৯০ কোটি টাকা। গত ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে অবমুক্ত ৫৬.৫৭ কোটি টাকা, আর ব্যয় ৩৮.০৫ কোটি টাকা। এ বছরের আর্থিক অগ্রগতি ৮১.১৫ শতাংশ, আর বাস্তব আর্থিক অগ্রগতি ৮৯ শতাংশ। ক্রমপুঞ্জিত অগ্রগতি ৫৮.০৩ শতাংশ, ক্রমপুঞ্জিত বাস্তব অগ্রগতি ৬৩ শতাংশ। গত ১৫ মার্চের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল- প্রকল্প পরিচালকের অঙ্গীকার অনুযায়ী অগ্রগতি অর্জন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের গেট নির্মাণ ও প্রকল্প এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করতে হবে।
সফটওয়্যারের মান নিশ্চিতকরণ, পরীক্ষণ ও সার্টিফিকেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা প্রকল্প
এ প্রকল্প পরিস্থিতি সম্পর্কে সভায় জানানো হয়- এ প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০১৮। পুরোপুরি সরকারি অর্থায়নের এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ২৩.৬৪ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত এ প্রকল্পে কোনো অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি। এ বছরের আর্থিক অগ্রগতি শূন্য শতাংশ ও বাস্তব অগ্রগতি ৩০ শতাংশ। ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি শূন্য শতাংশ ও ক্রমপুঞ্জিত বাস্তব অগ্রগতি ৩০ শতাংশ। গত ১৫ মার্চের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল- এ প্রকল্পের আওতায় সরকারি অর্থে সফটওয়্যার উন্নয়নসহ অন্যান্য কাজের জন্য স্থানীয় টেন্ডার আহবান করতে হবে। বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়- উল্লিখিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রাতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান বাধ্যতামূলকসহ বৈদেশিক প্রতিষ্ঠান যৌথ উদ্যোগ হিসেবে ইওআইয়ে অংশ নিতে পারবে। এ ছাড়া অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে স্থানীয় টেন্ডার আহবান করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ই-গভর্নমেন্ট ইআরপি প্রকল্প
এ সম্পর্কে জানানো হয়- সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নের এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ২৩.৪৭ কোটি টাকা, যার মেয়াদ জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০১৮। চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ ছিল ৩.৬৪ কোটি টাকা। ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত এ প্রকল্পে কোনো টাকা অবমুক্ত করা হয়নি। এ বছরের আর্থিক অগ্রগতি শূন্য শতাংশ, বাস্তব অগ্রগতি ৪৫ শতাংশ। গত মার্চের সভার সিদ্ধান্ত ছিল- এ প্রকল্পের আওতায় চলতি অর্থবছরের জন্য দ্রুত ইওআই ও প্রকল্পের কিক অব মিটিং পরিকল্পনা কমিশনসহ অন্যান্য অংশীজনের সমন্বয়ে আহবান করতে হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ইআরপি সলিউশন স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যাকাডেমি (iDEA) প্রকল্প
এ প্রকল্প সম্পর্কিত পর্যালোচনায় জানানো হয়- এ প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০১৯। সম্পূর্ণ সরকারি তহবিলের এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ২২৯.৭৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ প্রকল্পে বরাদ্দ ১১.১৪ কোটি টাকা। ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো অর্থ অবমুক্ত করা হয়নি। এ বছরের আর্থিক অগ্রগতি শূন্য শতাংশ, বাস্তব অগ্রগতি ২০ শতাংশ। ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি শূন্য শতাংশ, ক্রমপুঞ্জিত বাস্তব অগ্রগতি ২০ শতাংশ। ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর প্রকল্পটি একনেক অনুমোদন দেয়। গত ১৫ মার্চের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল- এ প্রকল্পের প্রপোজাল ইভ্যালুয়েশন কমিটির প্রধান প্রকল্প পরিচালক হবেন। প্রকল্পের আওতায় নতুন আইডিয়া প্রদান, অর্থায়ন ইত্যাদি বিষয়ে একটি নীতিমালা দ্রুত তৈরি করে অনুমোদন নিতে হবে।
ফরমেশন অব ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান ফর ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্প
এ প্রকল্প পরিস্থিতি পর্যলোচনায় জানানো হয়- এ প্রকল্পের মেয়াদ ফেব্রম্নয়ারি ২০১৬ থেকে জুন ২০১৯। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ২৮.৫৭ কোটি টাকা। এতে বাংলাদেশ সরকার দেবে ৩.৫৭ কোটি টাকা, আর প্রকল্প সাহায্যের পরিমাণ ২৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ প্রকল্পে বরাদ্দ ৪.৮৪ কোটি টাকা। গত ১৬ এপ্রিলের মধ্যে অবমুক্ত হয়েছে ৪.৮৪ কোটি টাকা, আর ব্যয় হয়েছে এর পুরোটাই। এ বছরের আর্থিক অগ্রগতি ৮০.৯৪ শতাংশ, আর বাস্তব আর্থিক অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি ০.৩২ শতাংশ, আর ক্রমপুঞ্জিত বাস্তব আর্থিক অগ্রগতি ১৬ শতাংশ। গত ১৫ মার্চের সভায় সিদ্ধান্ত ছিল- ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপস্নান’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চলতি অর্থবছরের আরএডিপি বরাদ্দ যথাসময়ে ব্যয় করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
পিকেআই সিস্টেমের মানোন্নয়নে এবং সিসিএ কার্যালয়ের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রকল্প
পিকেআই (পাবলিক কি ইনফ্রাস্ট্রাকচার) সিস্টেমের মানোন্নয়ন এবং সিসিএ কার্যালয়ের সক্ষমতা বাড়ানো প্রকল্প সম্পর্কিত পর্যালোচনায় জানানো হয়- এ প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০১৮। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ২২.০৪ কোটি টাকা, যার পুরোটাই আসবে সরকারি তহবিল থেকে। চলতি অর্থবছরে এ প্রকল্পের বরাদ্দ ১৩.৩৭ কোটি টাকা। গত ১৬ এপ্রিল কোনো অর্থ অবমুক্ত হয়নি। এ বছরের আর্থিক অগ্রগতি শূন্য শতাংশ, বাস্তব অগ্রগতি ১০ শতাংশ। ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি শূন্য শতাংশ এবং ক্রমপুঞ্জিত বাস্তব অগ্রগতি ১০ শতাংশ। ১৫ মার্চের সভার সিদ্ধামেত্ম বলা হয়েছিল- এ অর্থবছরের আরএডিপিতে যে ১৩৬.৭০ লাখ টাকা পাওয়া গেছে, তা এ অর্থবছরের সব অর্থ মে মাসের মধ্যে ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে। নির্ধারিত ফরমে কর্মপরিকল্পনা ও সঠিক ক্রয় পরিকল্পনা তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিভাগে দাখিল করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক প্রকল্প
‘বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক (বরেন্দ্র সিলিকন সিটি স্থাপন) প্রকল্প’ সম্পর্কিত পর্যালোচনায় জানানো হয়- এ প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০১৭। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ২৩৮.২৫ কোটি টাকা। পুরোপুরি সরকারি অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। চলতি অর্থবছরে এ প্রকল্পের বরাদ্দ ছিল ২.৭৬ কোটি টাকা। ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো অর্থ অবমুক্ত করা হয়নি। এ বছরের আর্থিক অগ্রগতি শূন্য শতাংশ, বাস্তব অগ্রগতি ৫ শতাংশ। ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি শূন্য শতাংশ, ক্রমপুঞ্জিত বাস্তব অগ্রগতি ৫ শতাংশ। ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর একনেক এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। গত ১৫ মার্চের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল- এ প্রকল্পের সব কার্যক্রম, ক্রয় পরিকল্পনা ও প্রকল্প এলাকার সঠিক পরিমাপ ঠিক করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে বলা হয়- প্রকল্প বাস্তবায়নের সব কার্যক্রম ক্রয় পরিকল্পনা ও কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী সম্পাদিত হচ্ছে। প্রকল্প এলাকার সঠিক পরিমাপ করার জন্য ইতোমধ্যেই জরিপ করা হয়েছে, যেখানে মাল্টিটেন্যান্ট বিল্ডিংয়ের অবস্থান পরিমাপ নির্দিষ্ট রয়েছে।
গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প
এ প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়- এর মেয়াদ জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০১৯। সম্পূর্ণ সরকারি তহবিলের এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ১৫৯.০২ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ১.২৩ কোটি টাকা, কিন্তু গত ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে কোনো অর্থ অবমুক্ত করা হয়নি। ফলে এ বছরে আর্থিক অগ্রগতি শূন্য শতাংশ, বাস্তব অগ্রগতি ৫ শতাংশ। ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি শূন্য শতাংশ, ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি ৫ শতাংশ। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি এ প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়। গত ১৫ মার্চের সভার সিদ্ধান্ত মতে- প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী অর্থের যথাযথ ব্যবহারের জন্য যে নির্দেশনা দেন, এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষকে মনোযোগী হতে হবে এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময় ড. মো: জাফর ইকবাল, ড. কায়কোবাদসহ প্রথিতযশা বক্তিবর্গের সহযোগিতা নিতে হবে। এ ব্যাপারে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বলা হয়, প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে তারিখ পাওয়া সাপেক্ষে অতিসত্বর এ বিষয়ে প্রথিতযশা বক্তিবর্গের সহযোগিতা নেয়ার ব্যাপারে সভা আহবান করা হবে।
জাতীয় আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প
‘জাতীয় আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়ন (ইনফো সরকার তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্প’ সম্পর্কে সভায় অবহিত করা হয়- এ প্রকল্পের মেয়াদ জানুয়ারি ২০১৭ থেকে জুন ২০১৮। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ১৯৯৯.৪৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার জোগাবে ৭৭২.০২ কোটি টাকা, আর প্রকল্প সাহায্য আসবে ১২২৭.৪১ কোটি টাকা। এ প্রকল্পে চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ ৪২৮.০৫ কোটি টাকা। গত ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত অবমুক্ত হয়নি কোনো অর্থ। ফলে এ বছরের আর্থিক অগ্রগতি শূন্য শতাংশ, বাস্তব অগ্রগতি ১০ শতাংশ। ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি শূন্য শতাংশ, আর ক্রমপুঞ্জিত বাস্তব অগ্রগতি ১০ শতাংশ। গত ১৫ মার্চের সভার সিদ্ধান্ত মতে- এ প্রকল্পের আওতায় চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ দেয়া অর্থ ব্যয় করার জন্য বাণিজ্য চুক্তি, অর্থায়ন চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য সংশিস্নষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিমন্ত্রী/সচিবের স্বাক্ষর করা ডিও লেটার দিতে হবে। এ সম্পর্কিত কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে সভায় জানানো হয়- ইতোমধ্যেই প্রতিমন্ত্রীর স্বাক্ষরে ডিও লেটার ইস্যু করা হয়েছে।
গত ১৫ মার্চের সভায় বিবিধ সিদ্ধামেত্মর মধ্যে ছিল- ক. সব প্রকল্পের জন্য সরকারি অর্থে সফটওয়্যার উন্নয়নসহ অন্যান্য কাজের জন্য স্থানীয় টেন্ডার আহবান করতে হবে। খ. আইসিটি বিভাগের অধীন দফতর/সংস্থার আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যালোচনার জন্য প্রতিমন্ত্রী সপ্তাহের প্রথম দিন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং প্রতি বুধবার নির্ধারিত ছকে প্রতিবেদন সংগ্রহ করে প্রতি বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রীর সুবিধাজনক সময়ে অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য সভা করতে হবে। গ. আইসিটি বিভাগের প্রকল্প সম্পর্কিত নীতি-নির্ধারণী ও নীতি-সম্পর্কিত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়ার বিষয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের অনুমতি নিতে হবে। এসব বিষয়ে বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে ১৯ এপ্রিলের পর্যালোচনা সভায় জানানো হয়- প্রকারভেদে সরকারি অর্থে সফটওয়্যার উন্নয়নসহ অন্যান্য কাজের জন্য স্থানীয় টেন্ডার আহবানের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং অন্যান্য সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে